‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ আবু এন. এম. ওয়াহিদ
আজকের লেখাটি লিখছি বিশেষ করে আমার মাঝবয়সী পাঠক বন্ধুদের জন্যে, তবে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং বৃদ্ধদের কাছে যে এর কোনো উপযোগিতা নেই তা বলছি না। দেশে থাকতে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ কিংবা মাঝবয়সের সঙ্কট বলে কোনো কথা কোনো দিন শুনিইনি। পশ্চিমা দেশে এমনই একটা কথা চালু আছে অনেক দিন ধরেই, কিন্তু আমি জানতাম না। এ জাতীয় ক্রাইসিসের কথা প্রথম আমার কানে আসে ১৯৯০এর একেবারে গোড়ার দিকে যখন আমার বয়স ৪০এর কাছাকাছি। ওই সময় একবার এক সোশ্যাল গ্যাদারিং-এ আমার থেকে বছর পাঁচেকের বড় এক বন্ধু অধ্যাপক বলছিলেন, ‘আই থিংক আই অ্যাম ইন ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস, ঈদার আই নিড অ্যা মোটর সাইকেল অর শ্যাল হ্যাভ টু ম্যারি অ্যাগেইন’। অর্থাৎ, ‘আমার মনে হয় আমি মাঝবয়সের সঙ্কটে পড়েছি, হয় আমার একখানা মোটর সাইকেল দরকার, নয় তো আবার বিয়ে করতে হবে’। বিয়ের কথাটা বুঝলাম, হয়তো স্ত্রীর সাথে বনিবনা হচ্ছে না, অথবা যুগ যুগ ধরে সকাল-বিকেল একই মুখ দেখতে দেখতে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছে, কিন্তু ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ সাথে মোটর বাইকের কী সম্পর্ক থাকতে পারে, তা আমার মাথায় এলো না।
এ নিয়ে অনেক ভেবেছি, অনেককে জিজ্ঞেসও করেছি, কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। ন্যাশভিলে আমাদের বাড়ির কাছে ‘ম্যাক্কে’ নামে পুরনো বই, সিডি, ডিভিডি কেনা-বেচার এক বিশাল নতুন দোকান খুলেছে। সে দিন অফিস থেকে ফেরার পথে, ‘ম্যাক্কে’-তে গিয়ে ঢুকলাম। ঘোরাঘুরি করতে করতে ‘ফ্রি বুকস বিনে’ হঠাৎ চোখে পড়ে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর ওপর একখানা বই। পাতা উল্টিয়ে দেখি, সেটা একটা উপন্যাস। ওতে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ সম্পর্কীয় কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। বইটা বাক্সে রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করছি আর ভাবছি, ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ নিয়ে একটা শর্ট পিস লিখলে কেমন হয়, কিন্তু তার আগে জানতে হবে এর সাথে মোটর বাইকের সম্পর্কটা কী। এমন অবস্থায় আমি সচরাচর যা করে থাকি তাই করলাম। বাসায় এসেই আমার লিভিং রেফারেন্স - ইংল্যান্ড (শেফিল্ড) প্রবাসী বন্ধু মাহবুবকে ফোন দিলাম। কথা বলে বুঝলাম মাহবুব এ বিষয়ে অনেক কিছুই জানে, তবু মোটর বাইকের সঙ্গে মিডলাইফের কোনো যোগসূত্র সেও দিতে পারলো না। মাহবুবের সাথে ফোন রেখে গুগল সার্চ দিলাম, অনেক ঘাঁটাঘাঁটির পর উইকিপিডিয়াতে গিয়ে এ দুয়ের সম্পর্কের মধ্যে একটা যোগসূত্র আবিষ্কার করলাম। তৎক্ষণাৎ মনে হলো, একটা বিশাল কাজ করে ফেলেছি। এ প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসব। তার আগে দেখে নেই ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ ইতিবৃত্তটা কী।
মানুষ তার জীবনে চলার পথে মাঝবয়সে এসে যে একটা ক্রাইসিস মোকাবেলা করে তা প্রথম শনাক্ত করেন বিখ্যাত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানী ‘এলিয়ট জ্যাক’। তিনি তাঁর গবেষণায় এবং লেখায় ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ কথা প্রথম উল্লেখ করেন ১৯৬৫ সালে। তার মানে এই নয় যে, পঁয়ষট্টি সালের আগে এ সব দেশে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ বলে কিছু ছিল না এবং এমন ক্রাইসিসে কেউ পড়েনি। সঙ্কট ছিল ঠিকই, মানুষ ভুগেছেও, কিন্তু লোকজন এ সমস্যাকে তখন ও-ভাবে জানত না, বুঝতও না। ‘এলিয়ট জ্যাকের’ বদৌলতে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ সম্পর্কে আমরা এখন অনেক কিছু জানি। শুধু পুরুষ নয়, নারীর জীবনেও এ জাতীয় ক্রাইসিস আসতে পারে। শুধু ‘আসতে পারে’ নয় বরং পুরুষের চেয়ে বেশিই আসে, একটু আগেই আসে। মোটামুটি অর্ধেক জীবন পার করার পর সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোনো এক সময়ে মানুষ এ সঙ্কটে আক্রান্ত হতে পারে। এ সময়ে নারীর জীবনে মেনোপজের মাধ্যমে জটিল জৈবিক, রাসায়নিক এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন দেখা দেয়। অনেকে এই বয়সে মা-বাবাকে হারায়, তারপর ছেলেমেয়েরাও বড় হয়ে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। দাম্পত্যজীবনের একঘেয়েমির জন্য জীবনে যোগ হয় নতুন মাত্রা। নারীর মিডলাইফ ক্রাইসিস অধিকাংশ সময়ে পরিবারে তার ভূমিকা ও স্বামী-সন্তানদের সাথে বিদ্যমান সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত।
পুরুষের জীবনে এ সঙ্কট একটু ভিন্নভাবে আসে। জীবনের মাঝখান পেরিয়ে তারা যখন পেছন দিকে ফিরে তাকায় তখন চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মেলায়। পুরুষের মিডলাইফ ক্রাইসিস তার পেশা এবং চাকরির সাথে সম্পর্কিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অধিকাংশ লোকই মাঝ-জীবনে এসে যখন দেখে জীবনে সাফল্যের চেয়ে তার ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী, তখন তাকে পেয়ে বসে দুশ্চিন্তা ও হতাশায়, সে দারুণভাবে নাস্টালজিয়ায় ভুগতে থাকে। জীবনে নেমে আসে মিডলাইফ ক্রাইসিস। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার শরীর নরম এবং নাজুক হয়ে পড়ে। শরীরের সঙ্গে মনের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমতাবস্থায় আধা-জীবনের ব্যর্থতাকে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য পুরুষরা চমক লাগানো নতুন কিছু করতে চায়। কেউ চাকরি বদলায়, কাউকে পায় টাকা উড়ানোর বাতিকে, কেউ অদ্ভুত কাজ কারবার করতে থাকে যার যথার্থতা সাধারণ বুদ্ধিতে বোঝা দুষ্কর হয়ে ওঠে, কেউ বিয়ের বাইরে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জীবনটাকে লেজেগোবরে করে ফেলে, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
একই সময়ে মানুষের জীবনে আরেকটা সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। তাকে ইংরেজিতে বলে ‘মিডলাইফ স্ট্রেসার’ অর্থাৎ মাঝবয়সের চাপ বা প্রেশার। অনেক সময়ে এটা হয়ে থাকে আর্থিক কিংবা কাজের ওভারলোডের কারণে। ‘মিডলাইফ স্ট্রেসার’ এবং ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস, কিন্তু অনেক সময় এদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না। ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ একেক সমাজে এবং একেক সংস্কৃতিতে একেক রকম হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জাপানি এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ খুবই মামুলি ধরনের। বাংলাদেশে এ জাতীয় কোনো গবেষণা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই, তবে আমার মতে ভারতে কম হলে বাংলাদেশেও এ সমস্যার প্রকোপ ও গভীরতা পশ্চিমা দেশের চেয়ে অল্প হওয়ারই কথা।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৫ শতাংশ লোক ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসে’ ভুগে থাকে। নারী-পুরুষের ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসে’ পার্থক্য আছে বটে, কিন্তু তাদের আবেগজনিত তীব্রতায় কোনো ব্যত্যয় হয় না। তাত্ত্বিক দিক থেকে ‘মিডলাইফ’ ক্রাইসিসের কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলে থাকেন মানুষের মৃত্যু-চিন্তা ও মৃত্যুভয়, কারো কারো মতে, এটা হয়ে থাকে সেলফ অ্যাকচুয়েলাইজেশন, সেলফ রিয়েলাইজেশন, সেলফ ইভেলুয়েশন ইত্যাদি কারণে। যে কারণেই হোক, এখন প্রশ্ন হলো, কেউ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসে’ আক্রান্ত হয়েছে কি না তা বোঝার উপায় কি? বোঝা কঠিন নয়, এর সুস্পষ্ট কতগুলো আলামত আছে। বিশেষজ্ঞরা ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ কম করে হলেও ৩০/৪০টা আলামত বের করেছেন। তার মধ্যে প্রধান কয়েকটা এখানে উল্লেখ করলাম। ১. হঠাৎ করে অনির্দিষ্ট ও না জানা স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলার প্রাণান্তকর প্রয়াস; ২. আপনার চেয়ে সফল সহকর্মী বা বন্ধুদের কাছে নিজেকে হেয় কিংবা ছোট ভাবা; ৩. আপন মনে তারুণ্য ফিরে পাওয়ার জোর তাগিদ অনুভব করা; ৪. অধিক সময় একা অথবা বিশেষ কোনো বন্ধুর সংস্পর্শে কাটানোর প্রবল বাসনা; ৫. নিজের জীবন ও জীবনযাত্রার গুণে-মানে হামেশা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা; ৬. চারপাশের আসবাব, যন্ত্রপাতি, জিনিসপত্র, নিকটের মানুষজন নিয়ে এক ধরনের বিরক্তি ও একঘেয়েমির ভাব প্রকাশ করা; ৭. নতুন, অস্বাভাবিক, অদ্ভুত, বিপদসংকুল এবং রোমাঞ্চকর কিছু করার তীব্র আকাঙ্খা মনের মধ্যে পোষা; ৮. হঠাৎ অতিরিক্ত কেনাকাটায় মজে থাকা; ৯. আগজীবনের পছন্দ-অপছন্দ এবং সিদ্ধান্তগুলোকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা; ১০. নিজের পরিচয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রীতিমতো সন্দিহান হয়ে ওঠা; ১১. সব ব্যাপারে ক্রমাগত সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা; ১২. স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্যজীবন ও ভালোবাসায় ফাটল ধরা; ১৩. নতুন করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার উদগ্র আকাঙ্খা।
এ সব আলামত নিয়ে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ ভুক্তভোগীরা এক প্রকার শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটায়। এ অবস্থায় তাদের অসংলগ্ন কাজ কারবারের পরিণতি লোকচক্ষু ধরা পড়ে এ ভাবে - কেউ কেউ অতিরিক্ত মদ্যপানে ও অন্যান্য নেশা জাতীয় কাজে মত্ত হয়ে থাকে; কেউ আগজীবনের ভুলভ্রান্তির জন্য মনের দুঃখে দারুণভাবে মুষড়ে পড়ে। কেউ ছেলেমেয়েদের বৈষয়িক সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত পেরেশানিতে হায় হায় করতে থাকে; কেউ জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে কারণে অকারণে ঝগড়া করে; কেউ ঘনঘন আয়নায় নিজের চেহারা দেখে; কেউ নতুন নতুন দামি দামি ডিজাইনের জামাকাপড়ের দিকে ঝুঁকে যায়; কেউ কেউ শান্তির আশায় দ্বিতীয়বার বিয়ে করে অশান্তির ঘেরাটোপে আটকা পড়ে, কেউবা আবার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য স্পোর্টস কার, মোটর বাইক, স্পিড বোট, ইত্যাদি কিনে। পাঠকগণ লক্ষ করুন, এখানে পাওয়া গেল ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ সঙ্গে মোটর বাইকের একটা সম্পর্ক। অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে অ্যাডভেঞ্চারিজমের মাধ্যমে। আর মোটর বাইক এই দুঃসাহসিকতারই একটা আনুষঙ্গিক উপাদান। এ কারণেই আমার বন্ধু অধ্যাপক ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ সঙ্গে মোটর বাইকের যোগসূত্রের কথা বলেছিলেন।
‘মিডলাইফ ক্রাইসিসে’ পড়লে কী করতে হয়। একেক সমাজ এ সমস্যাকে একেকভাবে মোকাবেলা করে থাকে। পাশ্চাত্য দেশে এ সিনড্র্রোমের প্রতিকার স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা, মুভি-থিয়েটারে যাওয়া, দেশ-বিদেশে বেড়ানো, ছেলেমেয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো, তার ওপর প্রয়োজন হলে ফিজিও এবং সাইকোথেরাপি নেওয়া ইত্যাদি, ইত্যাদি।
জাপান ও ভারতে এটা বিশেষ কোনো সমস্যা নয়, তাই এ নিয়ে কেউ তেমন একটা মাথা ঘামায় না। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ সমাজে এর কোনো গবেষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আরব এবং মুসলিম দুনিয়ায় ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ সম্ভবত একটা ট্রিভিয়াল ইস্যু। ‘ঈমানদার’ মুসলমানদের জীবনে এমন মিডলাইফ কেন, কোনো ক্রাইসিসই আসার কথা নয়, কারণ মুসলমান তো কোনো ব্যাপারেই অতি আশাবাদী হয় না, আবার হতাশও হয় না। সর্ব অবস্থায় তারা আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে। কদাচিৎ এমন ক্রাইসিসে কেউ পড়লে তার প্রতিকার করে অতিরিক্ত নামাজ-রোজা, দানখয়রাত, বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা ইত্যাদির মাধ্যমে।
ফিরে আসি পুরনো দিনের সেই পুরনো কথায়, ‘হয় আমার একখানা মোটর সাইকেল দরকার, নয় তো আবার বিয়ে করতে হবে’। এখানে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসে’ আক্রান্ত বন্ধুদের একটা কথা বলে রাখি। সঙ্কটে যদি পড়েই যান, সামর্থ্য থাকলে মোটর বাইক কিনেন, যত পারেন রাস্তাঘাটে, বনবাদাড়ে ঘোরাঘুরি করেন, কোনো অসুবিধা নেই এবং যদিও কঠিন, তবু স্ত্রীর সঙ্গে সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করুন। দ্বিতীয় বিয়ের পথে কস্মিনকালেও পা বাড়াবেন না। এতে ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ দূর তো হবেই না, বরং আপনার অজান্তে লাইফ লং ক্রাইসিসের প্রশস্ত দুয়ারখানা খুলে যাবে। সুতরাং ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ মোকাবেলায় সাবধান - অতি সাবধান!
লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক - টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি এডিটর - জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ Email: awahid2569@gmail.com
|