bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













“ম্যারগেরিটা” ও বিবিধ প্রসঙ্গ প্রসঙ্গ
আবু এন. এম. ওয়াহিদ


“ম্যারগেরিটা পিৎজা”



এবার মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা হয়ে ইতালির মিলান যাওয়ার পথে নিউইয়র্কের “জেএফকে” আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক মুদ্রা-বিনিময় কেন্দ্রের সামনে গিয়ে মনে পড়ল, ডলার ভাঙ্গিয়ে কিছু ইউরো কিনতে হবে। দোকানি ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম, আজকের রেট কত - অর্থাৎ একশ” ডলারে কত ইউরো পাওয়া যাবে? উত্তর পেলাম, “বাহাত্তর”। পাল্টা প্রশ্ন রাখলাম, বাজার দর ছিয়াশি, আমি মাত্র বাহাত্তর পাব কেন? “বাকিটা আমাদের কমিশন”, এমনি গাছাড়া গোছের একটি জবাব দিয়ে শ্বেতাঙ্গ তরুণ অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বুঝলাম, তার গরজ নেই আর। আমারও বিকল্প আছে। হয় কাসাব্লাঙ্কা, না হয় মিলান গিয়ে ইউরো কেনার সুযোগ পাব, এখনি ছ”কড়া ন”কড়া দামে ডলারগুলো হাতছাড়া করি কেন। এ পর্যন্ত কথাটি একেবারে সাদামাটা হলেও এর একটি তাৎপর্য আছে বৈকি এবং এ প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসব - একবার নয়, একাধিক বার। কেন? একটু ধৈর্য ধরুন, শিগগিরই খোলাসা হয়ে যাবে।

মরক্কান এয়ার লাইন্সের নাম, “রয়েল এয়ার মারক”। আগে এই এয়ার লাইন্সে আমার ওড়ার কোনো সুযোগ হয়নি, এবারই প্রথম। এ সফরে “জেএফকেতে” আমার দীর্ঘ যাত্রা-বিরতি ছিল। তারপর নিউইয়র্ক থেকে কাসাব্লাঙ্কা আরো ছ”ঘণ্টার রাত্রিকালীন আকাশভ্রমণ। এই লম্বা সময়টুকুতে একগাদা একঘেয়েমি ও বিরক্তিসহ অল্প কিছু নতুন অভিজ্ঞতা যোগ হয়েছে, যা কিনা আমি আপনাদের সাথে এখন ভাগাভাগি করতে পারি। বিমান যথাসময়ে আসমানে ডানা মেলল। খাওয়াদাওয়া, চা-কফির পালা শেষ হলে দিলাম ঘুম। ফজরের পর আবার নাস্তা এলো। খেতে খেতে বাইরে তাকিয়ে দেখি, অন্ধকারের কালো চাদর আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে, দূর দিগন্তে ডিমের কুসুমের মত লাল সূর্য উঁকি মারছে। তারও প্রায় আধা ঘণ্টা পর মাধ্যাকর্ষণের টান অনুভব করতে লাগলাম। উড়োজাহাজ নিচে নামতে শুরু করেছে। এভাবে নামতে নামতে এক সময় কাসাব্লাঙ্কার মাটি দৃষ্টিসীমার ভেতরে চলে এলো। শহরটি আটলান্টিকের পাড়ে, সাগর সৈকত থেকে ২০/৩০ কি.মি. দূরে বিস্তীর্ণ সমতল ময়দানে বিমানবন্দর। প্রথমে মনে হয়েছিল ধুসর বালুর মরুভূমি - দূরে দূরে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে দু-চারটি সবুজ গাছ। পরে বুঝলাম, বালু নয় - বিশাল খোলা জায়গা, ঘাসে ঘাসে ঢাকা, তবে তাজা সবুজ ঘাস নয়, এ যে সব মরা ঘাস! একেবারে মরা! শুকনো খড়ের মতন বিবর্ণ!

বিমান অবতরণ করে রানওয়েতে ট্যাক্সি করতে করতে ধীর গতিতে এগুচ্ছে। আরেকটু সামনে যাওয়ার পর টার্মিন্যাল বিল্ডিং-এর শেষ প্রান্তে এক টুকরো ছোট্ট সবুজ বাগান আমার কৌতূহলী দৃষ্টি কাড়ল। কয়েকটি পাম গাছ, আর নানা জাতের নাম না জানা একগুচ্ছ ঘন সবুজ গাছগাছালি। কিছু ফুলগাছও আছে। তার ওপর গাঙচিল ওড়াউড়ি করছে। কাছেই কয়েকটি দুম্বা ঘাস খাচ্ছে। গাছের তলায় বসে এয়ারপোর্টের কর্মচারীরা আড্ডা মারছে। আটলান্টিক থেকে বয়ে আসা ধু ধু বাতাস বাগিচার গাছগুলোর ডালপালাকে ওলটপালট করে দিচ্ছে। আহা! খোলা হওয়ায় পাম গাছের তলায় ওদের সাথে বসে যদি দু”দণ্ড জিরিয়ে নিতে পারতাম! আফসোস, এর কোনো সুযোগ হলো না!

দেখতে দেখতে উড়োজাহাজ জেট-ব্রিজের মুখে এসে থামল। আমরাও একে একে সব নেমে এলাম। হলওয়ে ধরে হাঁটতে হাঁটতে ট্র্যানজিট লাউঞ্জে এসে পৌঁছলাম। মরক্কোতে জিনিসপত্রের দামদর কি রকম, পরখ করতে এক দোকানে গিয়ে দেখি, সবকিছুর মূল্য ইউরোতে লেখা। মনে আবার ডলার ভাঙাবার তাগিদ অনুভব করলাম, কিন্তু দোকানি সায় দিল না, বরং টাকা বদলাবার জন্য আমাকে কাছের “কফি সপে” সপে দিল। সেখানে গিয়ে একশ” ডলারের বিনিময়ে একাশি ইউরো পেয়ে বেশ খুশি খুশি লাগল! নিউইয়র্কের তুলনায় লাভ হলো নিট ৯ ইউরো। বিকেল বেলা মিলান গেলে এ নিয়ে আবার কথা হবে। বিমানে যান্ত্রিক গোলমালের জন্য আড়াই ঘণ্টার ফ্লাইট ছাড়তে কাসাব্লাঙ্কাতেই পাক্কা আড়াই ঘণ্টা দেরি হয়ে গেলো। এ কারণে খিদে পেয়েছিল খুব। অবেলা হলেও আকাশ-বিহারের মাঝপথে একটি পূর্ণ “হট মিল” পাওয়া গেল! ভাগ্যবান বাঙালি হয়ে আরব মুল্লুকে তৃপ্তির সাথে মাছ-ভাতই খেলাম! দরিয়ার “বোঙ্গা” মাছ - স্বাদে-গন্ধে রুইয়ের মতন, তবু রুই নয়!

বিমানের প্রায় মধ্যখানে বাঁ দিকের রো-তে আয়েল সিটে আমি বসা। মাঝখানের সিট খালি, উইন্ডো আসনে এক ইতালীয় মহিলা ব্যবসায়ী, বয়স আনুমানিক ষাটের কোঠায়। জুতার কারবার করেন। কাসাব্লাঙ্কাতে এসেছিলেন অর্ডার নিতে। খেতে খেতে তাঁর সাথে কথা হলো। মিলান সম্পর্কে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল, ভদ্রমহিলার কাছে জেনে নিলাম। তিনি শহরে থাকেন না। মিলান থেকে একটু দূরে তাঁর বাসা। খাওয়ার সময় ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের কাছ থেকে এক বোতল ওয়াইন চেয়ে নিয়েছেন - হোওয়াইট ওয়াইন। অকস্মাৎ কী মনে করে তিনি আমার সাথে ওয়াইন ভাগাভাগি করতে চাইলেন। মহিলার অপ্রত্যাশিত আচরণে আমি তাজ্জব না হয়ে পরিনি! জীবনে এমন প্রস্তাব তো কখনো পাইনি! বললাম, “ধন্যবাদ, আমি সুরা পান করি না, আপনি কোনটা পছন্দ করেন, “সাদা” না “লাল”“? “আমি ইতালিয়ান, আমার ওয়াইন হলেই হলো”! এই উত্তরের পর তাঁর সাথে আমার আর কোনো কথা হয়নি, তিনিও বলেননি, আমিও না! কে জানে, সদিচ্ছার মূল্যায়ন না করায় হয়তো বা দুঃখ পেয়েছেন! পথেঘাটে অজানা অচেনা মানুষের সাথে এমন ঘটনা সত্যি বিরল! আর ঘটলেই বা কী? বৈচিত্র্যময় দুনিয়াটা অনেক বড়, মানুষের ব্যস্ততা আরো বেশি, জগতে চলার পথে কে বা কাহার!

এমনি এলোপাথাড়ি ভাবতে ভাবতে গন্তব্যে এসে গেলাম। মিলান এয়ারপোর্টটি বেশ বড়। হলওয়ে অনেক লম্বা, হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে কোনো ঝামেলা হলো না। ব্যাগেজ এরিয়ার পাশে এক মুদ্রা-বিনিময় দোকানে বাজার যাচাইয়ের জন্য একশ” ডলারের বদলা চাইলে দোকানি বলল, সাতান্ন ইউরো মিলবে। আমি কিনতে চাইনি, কিনিওনি, কিন্তু আমার মুনাফা ৯ থেকে এক লাফে বেড়ে দাঁড়াল ২৪। কাস্টম-এর ঘাট পাড়ি দিয়ে বাইরে এসে আরেক দোকানে ডলারের দাম যাচাই করলাম। দেয়ালের এপাশ আর ওপাশ, এখানে ডলার-ইউরোর অনুপাত দেখলাম, ২ : ১, অর্থাৎ ১০০ ডলারে পাব মাত্র ৫০ ইউরো, অথচ আমি পেয়েছি ৮১। এখন আমার মুনাফা গিয়ে দাঁড়ালো ৩১ ইউরোতে। বাহ! কাসাব্লাঙ্কাতে এবার আমার ভালো ব্যবসা হয়ে গেল! ভাবলাম, ফেরার পথে, আরো কিছু ইউরো কিনে নিলে কেমন হয়! এ ধরনের দামের তারতম্যকে অর্থনীতির পরিভাষায় বলে “মার্কেট ইম্পারফেক্শন” কিংবা “বাজার গড়বড়”। “বাজার গড়বড়” কেন হয় এবং এর সুবিধা অসুবিধা কী, এ নিয়ে অর্থশাস্ত্রে বিস্তারিত আলোচনা আছে। সেদিকে আজ আমি যাব না।

মিলানের ঘড়ি দেখে বুঝলাম, সন্ধ্যা নামতে আর মাত্র ২ ঘণ্টা বাকি। এয়ারপোর্ট থেকে শহর অনেক দূরে, দিনে দিনে হোটেলে পৌঁছার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে উঠলাম। দামামাদী করে এক ট্যাক্সি ঠিক করালাম, ৯৫ ইউরো দিতে হবে, হোটেলে যেতে ৫০ মিনিট লাগবে। ইতালি সবুজে সবুজময় সুজলা সুফলা সুন্দর এক দেশ! এয়ারপোর্ট থেকে শহরের দিকে বেরোবার পথ আরও সুন্দর! দু”দিকে রাস্তা, মাঝখানে আইল্যান্ড। রাস্তার দু”পাশটা উঁচু, বেশ উঁচু। কেন এমন, আমার বোধগম্য হলো না। ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞেস করে কোনো সদুত্তর পাইনি। আমি বললাম, রাস্তাটা এমনভাবে চলছে যেন নদীর মতন। সে বলল, “হ্যাঁ, আগামী বার তোমার সেবায় গাড়ির বদলে নৌকো নিয়ে আসব”। শহরে যখন ঢুকলাম তখনও সন্ধ্যা নামতে বেশ বাকি। দিনটি ছিল শুক্রবার, মানুষজন হয় রেস্তোরাঁয় আড্ডা মারছে, নয়তো ঘরে আহার সারছে। পথেঘাটে গাড়িঘোড়া লোক চলাচল নেই বললেই চলে। ট্যাক্সি একবার নির্জন এক শিল্প এলাকায় ঢুকে পড়লে আমি একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, কে জানে!

চালকের মনোভাব বোঝার জন্য তার সাথে গল্প জুড়ে দিলাম। বললাম, ইতালি পিৎজার দেশ। তোমরা এখান থেকে এমনি একটি মজাদার খাবার সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছ। তোমাদের দেশে নিশ্চয়ই নানা জাতের পিৎজা হয়, তার মাঝে খেতে কোনটি সবচেয়ে ভালো? সে বলল, “নেপোলী” পিৎজা। (“নিয়োপলিটান” থেকে “নেপোলী” শব্দটির উৎপত্তি)”। আরো বলল, “ইতালিতে যখন এসেই পড়েছ, এটি না খেয়ে যেও না”। মিলানের কোথায় কোথায় এই পিৎজা পাওয়া যায় তার ফিরিস্তি দিতে দিতে ট্যাক্সি ড্রাইভার সূর্য ডোবার আগেই আমাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিল। চার তারকা “র্যা ডিসন ইন” হোটেল, গড়ে উঠেছে সিটি সেন্টারের ৪/৫ কি.মি. দূরে একটি মধ্যবিত্ত আবাসিক এলাকায়। রাস্তাঘাট এমনভাবে খা খা করছে, যেন মৃত-পুরী। বাঙালি তো নেই-ই, কোনো মানুষই নেই। এদেশে আমি আগে আরও দু”বার এসেছি। যত্রতত্র কর্মরত বাঙালি ছেলেপুলে দেখে সাহস পেতাম। পথে চলাফেরা অনেক সহজ লাগত। মিলানে এ এক বিরাট ব্যত্যয়!

চেক ইন করার পর, হোটেলের ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে এক কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলাম, তোমরা এখানে কি পিৎজা বানাও, কোন কিসিমের?। বলল, “ম্যারগেরিটা”। এতে আমার আগ্রহ নেই, আমি চাই, “নেপোলী” পিৎজা। দুদিন থাকলাম, তবু আমার পিৎজা খাওয়া হলো না। বাইরে গিয়ে যে খাব তারও সাহস পেলাম না, কারণ অপরাধ প্রবণতার দিক থেকে মিলানের স্থান ইতালিতে তৃতীয়! যেদিন চলে আসব, সেদিন নাস্তার পর নিতান্তই কৌতূহল বশত ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা এখানে “নেপোলি” পিৎজা বানাও না কেন? বলল, “ম্যারগেরিটাই” “নেপোলী”, আর “নেপোলী”ই “ম্যারগেরিটা”। বললাম, আহা! তাই নাকি! আমি তো এখনই চলে যাব, আগে জানলে মিলান থেকে অন্তত এক স্লাইস “ম্যারগেরিটা” খেয়ে যেতে পারতাম। “চিন্তার কোনো কারণ নেই, তুমি এয়ারপোর্টে পাবে”, সহৃদয় ম্যানেজার জবাব দিল।

এবার “ম্যারগেরিটা”র রেসিপিটি একটু সংক্ষেপে বলা দরকার। এই পিৎজার ডো”টা (খামির) বিশেষভাবে বানানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় “০” অথবা “০০” ধরনের ঘেউজাত ময়দা। তার সাথে মেশানো হয় খাঁটি “নিয়োপলিটান” ইস্ট অথবা “ব্রুয়ারস” ইস্ট, নুন এবং পানি। মিশ্রণ যন্ত্র অথবা হাত দিয়ে খামির মাখানো হয়। বেলনী ছাড়া খালি হাতে ৩ মি.মি. পুরু করে একটি রুটি তৈরি করা হয়। এটি হতে পারে গোল অথবা চারকোণা। বেক করার পর এতে করে পিৎজার ক্রাস্ট হয় কোমল, নরম, নমনীয় এবং সুগন্ধি। এই পিৎজা বানাতে লাগে বিশেষ এক কিসিমের মৎজারেলা পনির যা কিনা তৈরি করা হয় “জল মহিষের” দুধ থেকে যারা বিচরণ করে ইতালির “ক্যাম্পেনিয়া” এবং “ল্যাজিও” অঞ্চলের জলাভূমিতে। পনিরের ওপর যে সস ব্যবহৃত হয় তা আসে সেইসব টমেটো থেকে যা উৎপন্ন হয় “ভিসুভিয়াস” পর্বতমালার দক্ষিণের উর্বর সমতল জমিতে। সবশেষে পিৎজার ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সবুজ “ব্যাজেলপাতা”। মৎজারেলা পনিরের - “সাদা”, টমেটো সসের - “লাল” এবং ব্যাজেলপাতার - “সবুজ” - এই তিন রঙের প্রতিফলন পাবেন ইতালির জাতীয় পতাকায়। “পতাকার” উৎপত্তি আগে না “ম্যারগেরিটা” আগে, তা আমি বলতে পারব না। পিৎজা সাজানো হলে লোহার প্যানে শুকনো অ”ক কাঠের আগুনে ৪৮৫ ডিগ্রি সে: উত্তাপে মাত্র ১ থেকে দেড় মিনিটে পিৎজা বেক হয়ে যায়। আভেন থেকে যখন পিৎজা বের করা হয় তখন তার তিনটির মাঝে দু”টি রঙ অটুট থাকে কিন্তু ব্যাজেলপাতা সবুজ থেকে কালো রঙ ধারণ করে। মিলান থেকে ফেরার দিন এয়ারপোর্ট এসে সাড়ে চার ইউরো দিয়ে কিনে আসুদা হয়ে এক স্লাইস “ম্যারগেরিটা” পিৎজা খেলাম।





লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক - টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি
এডিটর - জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ Email: awahid2569@gmail.com








Share on Facebook               Home Page             Published on: 21-Oct-2020

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far