একটি ছোট্ট ফরমায়েশি গল্প আবু এন. এম. ওয়াহিদ
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আমি কোয়াড্রুপল বাইপাস সার্জারি সেরে উঠেছি। এত বড় ধকল কাটিয়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হতে একটু সময় লাগছে, এর মাঝে অল্পস্বল্প জরুরি কাজে অফিসেও যাচ্ছি। সাথে সাথে এটাও বুঝতে পারছি, আগের জায়গায় ফিরে আসতে শরীর মহাশয়ের আরো অনেকদিন সময় লাগবে। সার্জারির আগে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আমার চেনা-অচেনা অসংখ্য পাঠককে দোয়া করতে বলেছিলাম। আচমকা আমার এই কঠিন রোগের খবর পেয়ে তাঁরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তাতে আমি বিস্মিত ও অভিভূত না হয়ে পারিনি! প্রথমে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন আমার কাছে নানা কিসিমের ডজন ডজন ইমেইল আসত। মোটা দাগে বলতে গেলে সবাই সমবেদনা জানিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন, বলেছেন - দোয়া করবেন। তার মাঝে আবার কেউ কেউ মূল্যবান উপদেশও দিয়েছেন। দুএকজন একই ধরনের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা আমার সাথে ভাগাভাগি করেছেন, সার্জারির পরে কখন কী করতে হবে, কিসে কিসে সাবধান থাকতে হবে, সেসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলোর সাথে, সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও, একাধিক ব্যক্তি একটি দাবিও আগাম জানিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, সুস্থ হয়ে উঠলে যেন আমার এ অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি নতুন লেখা তৈরি করি। প্রিয় পাঠকদের জন্য ওই লেখাটা লিখব বলে আজ বসেছি, কিন্তু অনেকদিন না লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে লেখালেখি যেন ভুলেই গেছি! কী লিখব, কোথা থেকে শুরু করব, কী রাখব আর কী ছাঁটব, কিছুই বুঝতে পারছি না।
কেমন হবে জানি না, তবে আজকের শুরুটা এভাবে করতে চাই, - সার্জারির দিন বিকেল চারটার দিকে গভীর ঘুম থেকে যখন চেতনার জগতে ফিরছি, তখনও আমি মরা-বাঁচার সন্ধিক্ষণে। ক্ষণিকের জন্য জাগি, আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এমনি অবস্থায় একসময় চোখ খুলে দেখি, মাথায় নীল টুপি ও গায়ে অ্যাপ্রোন পরা সাত-আট জন মানুষ আমার চারদিকে হাঁটাহাঁটিতে ব্যস্ত, তাঁরা ফিসফিস করছেন, কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার হাত পা বাঁধা, কথা বলতে অপারগ, মনে হলো, কে যেন আমার মুখ দিয়ে বুক পর্যন্ত একটি বাঁশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেও শ্বাস টানতে পারছি না। একটি শ্বাস নেই আর ভাবি, এই বুঝি আমার শেষ নিঃশ্বাস! মরেই যখন যাব, তখন কলেমাটা তো পড়তে হয়। এখন আমার দুটো সংগ্রাম - একদিকে শ্বাস টেনে প্রাণবায়ু ধরে রাখা, অন্যদিকে তৌহিদের বাণী পড়ে মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া। জীবন বাঁচাতে পারলেও আমার বিশ্বাসের মূল মন্ত্রটি পড়তে গিয়ে দেখি, সব তালগোল পাকিয়ে ফেলছি। বার বার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সফল হলাম, পড়তে পারলাম, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ...... মুহাম্মাদান আবদুহূ ও রাসূলুহূ। মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল, বললাম, হে আল্লাহ্, আমি প্রস্তুত, তুমি আমার ছেলেমেয়েদের দেখে রেখো - তোমার কাছে এই আমার শেষ প্রার্থনা। মুখের কথাটি ফুরাবার আগেই আবার ঘুমিয়ে পড়া।
তারপর আবার জ্ঞান পুরোপুরি ফিরেছে কিনা জানি না, চোখ খোলা না বন্ধ তাও বলতে পারব না, তবে স্পষ্ট মনে আছে, আমার সামনে যেন শুরু হলো অভিনব এক খেলা - আলোর খেলা। যেদিকে তাকাই, শুধু আলো আর আলো, রঙ বেরঙের আলো, তখন শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো কষ্ট টের পাইনি। অবাক বিস্ময়ে আর আনন্দে ভাসছি, একা একা আলোর সাগরে ভাসছি! নীরবতায় ভরা গভীর প্রশান্তির এক সুনসান পরিবেশ! মানুষ নেই, জন নেই, যেন মহাশূন্যে উড়ে বেড়াচ্ছি আলোর মেলায়! এ কোথায় এলাম, কোন দিকে যাচ্ছি, এমনি ভাবতে ভাবতে, ভাসতে ভাসতে স্বপ্নের জগৎ পেরিয়ে বাস্তবে ফিরে এলাম। অনুভব করলাম, আমার মুখ থেকে ব্রিদিং টিউব বের করা হলো। এখন আমি কথা বলতে পারছি। আমার হুস পুরোপুরি ফিরে এসেছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাকে কিঞ্চিৎ পানি খেতে দেওয়া হলো। পানি গেলার সাথে সাথে ঢেকুর উঠলো। এতে ডাক্তার, নার্স সবাই খুশি, কেন? কারণ, আমার অরগ্যানগুলো ঘুম থেকে আস্তে আস্তে জেগে উঠছে, আমার সিস্টেম কাজ করতে শুরু করেছে। সামনে সার্জন, দুপাশে দুজন নার্স, জানানো হলো, আমি আইসিইউতে শুয়ে আছি। সার্জন বললেন, You have done very well, you are doing fine now. বাঁ হাতের আইভি খুলে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়ার জন্য নার্সদের প্রতি নির্দেশ রেখে তিনি চলে গেলেন।
তারপর শুরু হলো শুশ্রূষাকারীদের পরিচর্যার পালা, মনিটারে তাঁরা অনবরত আমার ভাইটাল সাইনগুলো দেখছেন, কতক্ষণ পরপর রক্তের নমুনা নিচ্ছেন, পরীক্ষার ফলাফল দেখে আমার মেডিক্যাল চার্ট-এ টুকে রাখছেন।
বারো ঘণ্টার মাথায় নার্সরা আমাকে ধরে উঠালেন, বসালেন এবং ধরে ধরে হাঁটাতে নিয়ে গেলেন। আমি কোনো অসুবিধা ছাড়াই হাঁটাহাঁটি করে রুমে ফিরে এলাম। বেশ স্বস্তি পেলাম এবং অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠলাম, ভাবলাম, বাহ! আধা দিনের মধ্যে হাঁটতেও পারলাম, স্বাভাবিক খাবারও পেয়ে গেলাম, তাহলে সপ্তাহ দিনের মধ্যেইতো আমি সুস্থ-সবল হয়ে বাড়ি ফিরে যাব! আমার এই ভুল ধারণা ভাঙতে সময় দুদিনও লাগেনি। বুঝলাম, বাইপাস সার্জারির উপশম প্রক্রিয়ায় দুটো ধারা আছে। একটি ব্যথা-বেদনা নিয়ে শারীরিক - যার অগ্রগতি মোটামুটি সরলরৈখিক অর্থাৎ সময়ের সাথে ক্রমে ক্রমে সেরে ওঠে, ওঠা-নামা করে না। অন্য ধারাটি হলো, মনের ভালো লাগা না লাগাকে ঘিরে। একটু বিশদ করে বলতে গেলে এ রকম দাঁড়ায় - বসতে ভালো লাগে না, শুতে ভালো লাগে না, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না, কথা বলতে মন চায় না, কারো কথা শুনতে বিরক্ত লাগে। মনের এ জাতীয় উপসর্গের নিরাময় প্রক্রিয়া বড় কঠিন, বড় জটিল, বড় বিচিত্র! একদিন ভালো, তো দুদিন খারাপ! দুদিন ভালো, তো তিনদিন খারাপ! যেদিন ভালো যায়, সেদিন রোগী আশাতীত রূপে আশান্বিত হয়ে ওঠে। যে দিন খারাপ যায়, সে দিন ভালো দিনের প্রত্যাশায় আশা-নিরাশার মাঝে সে দোল খায়।
শুরুতে এই ভালো-মন্দের বিষয়টি আমার মেনে নিতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল, আমি অতি সহজেই ধৈর্যহারা হয়ে যেতাম, কারণে অকারণে মেজাজ করতাম, কেবলই অভিযোগ অনুযোগ করতাম, তবে পর্যায়ক্রমে এ বাস্তবতার সাথে আমি খাপ খাওয়াতে পেরেছিলাম এবং এতে দেশ-বিদেশে থাকা আমার কয়েকজন বিচক্ষণ বন্ধুর পরামর্শ ও উপদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আজ আমি তাঁদের কাছে ভীষণভাবে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। এখন বুঝি, রোগী কখনো হা হুতাশ করতে পারে না, তার এমনটি করা উচিত নয়, এর কারণ ইংরেজি প্যাশেন্ট শব্দের মাঝেই লুকিয়ে আছে। প্যাশেন্স মানে ধৈর্য, আর যে ধৈর্যশীল, সে আহাজারি করে না, করতে পারে না। আমি কঠিন ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এবার নতুন করে এই সামান্য জ্ঞান অর্জন করেছি বলে দাবি করতেই পারি।
এরই ধারাবাহিকতায়, হাসপাতালে থাকাকালীন কোনোদিন ভালো, কোনোদিন মন্দ, কোনোদিন ভালোমন্দের মিশেলে কেটেছে আর কোনো-দিন সে যেন পারই হতে চায় না! ঘড়ির কাঁটা ঘুরে, নৈশব্দের মাঝে প্রতিটি টিকটিক শব্দ গোনার চেষ্টা করি, ষাট হলে এক মিনিট গেল, আমার জন্য এ যেন একদিনের সমান! যতদিন সেখানে ছিলাম, এভাবে প্রতিটি মুহূর্ত গুনে গুনে কাটিয়েছি, পার হয়ে এসেছি ব্যথা-বেদনা ও নিবিড় অনুভূতির এক গভীর মহাসাগর! রাতের কথাই যদি বলি, ঘরের বাতি নেভানো, পরিবেশ শান্ত, যান্ত্রিক বিছানায় নিদ্রাহীন আমি, তবে একা নই - আমার সঙ্গী, আমি আর আমার ছটফটানি। চোখে ঘুম নেই, শরীরে স্বস্তি নেই, এমতাবস্থায় বেচারা মনের আর দোষটা কী। এলোমেলো কতকিছু ভাবি, সবার আগে মায়ের কথা মনে পড়ে, ছোটবেলার কথা ভাবি যখন চাহিদা ছিল অতি অল্প, কিন্তু সব চাহিদাই পেশ করতে হত মা জননীর কাছে, আরো ভাবি, জগতে যাঁর যত চাহিদা আছে তার প্রথম ও আদি চাহিদা হলো, মা, ভাত দাও। তাঁর কথা এখানেই শেষ হবার নয়, দেখতাম, জ্বরজারি হলে তিনি কী রকম অস্থিরতা করতেন, সারারাত আমার বালিশের পাশে বসে থাকতেন। এখন মা নেই, পাশে আছেন আমার স্ত্রী। তিনি দিন-রাতই আমার সঙ্গী। তার ঘুম নেই, বিশ্রাম নেই, আমাকে অকৃত্রিম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ভাবছি, সময় এলে তার এ প্রতিদান দিতে হবে। এমন তন্ময়তায় মাঝে মাঝে নার্স এসে বিরক্ত করেন, আবার চলেও যান। যেই আমার সেই আমি অব্যক্ত এক যন্ত্রণা নিয়ে পড়ে থাকি বিছানায়, জানালার ফাঁকে ফ্যাল ফ্যাল করে বাইরে চেয়ে থাকি, দেখি - বিদ্যুতের খাম্বায় খাম্বায় বড় বড় তেজি বাল্ব জ্বলছে, তাদের চারপাশে পোকার দল বিরামহীন ঘুরপাক খাচ্ছে, আলোর প্রতি কীটপতঙ্গের এ কী অদ্ভুত আকর্ষণ! কী তফাৎ মানুষের সাথে পোকাদের! সব পতঙ্গ সবসময় আলোর দিকেই ছোটে, অথচ বুদ্ধিমান বলে কথিত অনেক মানুষ অনেকসময় আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়! কেন? এ এক সর্বজনীন প্রশ্ন। এর উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। আমার কাছেও একটা উত্তর আছে, দিতে পারি এক শব্দে!
যে কদিন হাসপাতালে ছিলাম, নার্সদের সাথে আমার খুনসুটি লেগেই থাকত। একদিন রাত দুটো কি আড়াইটা বাজে, টয়লেটে যাব বলে ডেকেছি তাঁকে। তখন আমি বিছানা থেকে নিজে নিজে উঠতে পারি না, শুতেও পারি না। তিনি আমাকে তুলে দিলেন, আমি টয়লেট সেরে এলাম। এবার বললেন, আপনি এখন বিছানায় শোবেন না, চেয়ারে গিয়ে বসবেন। কোথায় স্বস্তি পাব - জানি না, এমনি এমনি বলে দিলাম, আমি চেয়ারে বসব। তিনি আমাকে চেয়ারে নিয়ে বসালেন এবং চেয়ারটি রিক্লাইন করে দিলেন। পাঁচ মিনিট যেতে না যেতে আবার ডাকলাম, বললাম - না, আমার এখানে ভালো লাগছে না, আপনি আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমার ওপর ভীষণ বিরক্ত হলেন। আমি বললাম, রোগীদের প্রশ্ন করতে নেই, কারণ তারা নিজেরাই জানে না কখন কী চায় এবং কিসে তাদের আরাম। এভাবে নার্সদের অনেক জ্বালাতন করেছি। তাঁরা আমার উপর বিরক্ত হয়েছেন, আমিও হয়েছি, সময় সময় তাঁদের ওপর রাগও করেছি। তবে বারো ঘণ্টার ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার আগে, আমি আমার সেবা দানকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতাম এবং আবেগাপ্লুত হয়ে তাঁরাও আমাকে মাফ করে দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলতেন, You are a nice man, good patient. এভাবে জীবনের প্রতিটি দিন, দিনের শেষে যদি ক্ষমা চেয়ে আর ক্ষমা করে বিছানায় ঘুমোতে যেতে পারতাম, তাহলে আজ নিঃসন্দেহে একটি উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারতাম!
শেষের দিকে নিজেই উঠতে-বসতে পারতাম, তখন আর অকারণে ডাকাডাকি করে কাউকে বিরক্ত করতাম না। রাতের বেলা রোগীদের যখন ঘুম আসে না, কোনো কিছু ভালো লাগে না, তখন তারা খুনির বেশে আবির্ভূত হয়, তাদের একটি মাত্র কাজ হয়, সময়কে খুন করা। ইংরেজিতে একটি কথা আছে না? Time is the ultimate healer. সময় কিভাবে কাটানো যায় - যখন শুয়ে স্বস্তি নেই, তখন চেয়ারে গিয়ে বসতাম; তাতেও যখন অশান্তি, তখন দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম; এতেও ভালো লাগে না, কী আর করার - টয়লেটে গিয়ে বসে থাকতাম। এভাবে সহজেই আধাঘণ্টা একঘণ্টা পার করে দিতাম। তারপর আবার বিছানায় শোয়া ......টয়লেটে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকা। সময় কাটাবার জন্য টয়লেট বোলের সিটে বসে থাকাও যে একটা বিকল্প হতে পারে, তা কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবিনি!
পুনশ্চ: সার্জারির তৃতীয় সপ্তাহে একদিন সার্জনের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। সেটা সেরে অফিসে গেলাম, ডিনের সাথে দেখা করব বলে। তখন অফিস খোলা, কিন্তু আমি অসুস্থতাজনিত ছুটিতে। ডিন একটি ছোট্ট জরুরি কাজ করে দিতে বললেন। সেটা সারার পর আমার সেক্রেটারি এসে হাজির, বিভাগের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ না করলেই নয়। দেখলাম, এগুলো এক দিনে সামাল দেওয়া যাবে না। বুঝলাম, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। অসুখবিসুখেও রেহাই নেই। আমাকে আরো কয়েকদিন অফিস করতে হবে। নিয়মিত অফিসে যেতে লাগলাম। ডিন দেখে বললেন, ΤDonΥt overdo, you can work at best 2 hours a day, no more than that. কিন্তু কার কথা কে শুনে, আমি ফুল টাইম কাজ করতে লাগলাম। অফিসের কাজ সেরে আমার জমে থাকা ব্যক্তিগত কাজে হাত দিলাম। দুদিন পর ডিন আমার অফিসে এলেন, বললেন, ΤI saw when you came in, go home right away. If I see you again working more than two hours a day, I will lock your door and not let you get in!
লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক - টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি এডিটর - জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ Email: awahid2569@gmail.com
|