ঈদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা “রাজকুমার” ও “দেয়ালের দেশ” চলছে অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাগৃহে এই রবিবার পর্যন্ত
তানিম মান্নানঃ এই ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশে মোট ১১ টি বাংলা সিনেমা মুক্তি পেলেও জনপ্রিয়তার বিচারের ৬ টি সিনেমা মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই সিনেমা হল থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু বাকি ৫ টি সিনেমা “রাজকুমার”, “দেয়ালের দেশ”, “ওমর”, “মোনা জ্বীন ২” এবং “লিপ্সটিক” দাপটের সাথে দর্শকপ্রিয়তা পায় এবং মুক্তির ৪ সপ্তাহ পর এখনও হাউসফুল শো পাচ্ছে। আর এই ৫ টি বাংলা সিনেমাই অস্ট্রেলিয়াতে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গজ ফিল্মস। সিনেমার সময়সূচী এবং টিকেটের তথ্য পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে: www.bongozfilms.com
দর্শকপ্রিয়তার বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে শাকিব খান, তারিক আনাম খান এবং মাহিয়া মাহি অভিনীত সিনেমা “রাজকুমার”। এটি বর্তমানে সিডনির হয়টস্ ব্যাংকসটাউন হলে প্রতিদিন দেখা যাবে এই রবিবার ৫ মে পর্যন্ত এবং ক্যাম্পবেলটাউনের ডুমারেস্ক স্ট্রিট সিনেমায় রবিবার সন্ধ্যায়। এছাড়াও বাকি স্টেটের সিনেমা হলেও দেখানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিমেল আশরাফের পরিচালনায় নির্মিত সিনেমাটিতে শাকিব খানকে দর্শক আবিষ্কার করেছে একদম ভিন্নরূপে। শাকিব খানের ভীষণ পরিশীলিত অভিনয় দেখে সিডনির অনেক নতুন দর্শক ইতিমধ্যে মুগ্ধ হয়েছেন।
এরপরই সবচেয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে মিশুক মনি পরিচালিত “দেয়ালের দেশ” যেখানে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ এবং বুবলি। কাব্যিক ধাঁচে নির্মিত সিনেমাটিকে বলা হচ্ছে খামখেয়ালি এক প্রেমিকের ভালোবাসার নৈবেদ্য! তুমুল প্রেমের তীব্রতার গল্প “দেয়ালের দেশ”। এই সিনেমাটির প্রথম শো শুরু হচ্ছে এই শুক্রবার ৩ মে থেকে এবং সীমিত কিছু শো হবে যা আগামী ১২ মে পর্যন্ত চলবে।
এরপরই পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবে শরিফুল রাজের আরেকটি থ্রিলার সিনেমা “ওমর” যা পরিচালনা করেছেন মোস্তফা কামাল রাজ। কামরুজ্জামান রোমানের পরিচালনায় বাংলাদেশের সবচাইতে স্মার্ট হরর সিনেমা “মোনা জ্বীন ২” যেখানে অসাধারণ অভিনয় করেছেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। আর এরপর মুক্তি পাবে পূজা চেরি আর আদর আজাদ অভিনীত আরেকটি রোমান্টিক থ্রিলার “লিপ্সটিক” যারও পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান।
আশার কথা যে এই ৫ টি সিনেমাই সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন আমেজের গল্পে নির্মিত এবং আমাদের গতানুগতিক প্রেমের চিত্রনাট্যের বাইরে। বাংলাদেশের সিনেমা উত্তরোত্তর উন্নতি করছে এবং অনেক নতুন পরিচালক দক্ষতার সাথে গল্প বলছেন। প্রতিটা সিনেমাতে ইংরেজি সাবটাইটেল থাকায় প্রবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্ম বা ভিন্ন ভাষার দর্শকও বিনোদন খুঁজে পাবেন। বিশেষত প্রবাসী বাংলাদেশি কিংবা বাংলাভাষী দর্শকদের মতামত পেলে আমাদের নির্মাতারা আরো ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে পারবেন।
|