খ. ম. ফারুখ শ্রদ্ধাঞ্জলি ড. স্বপন পাল
ফারুখ-ভাই চিরতরে ইহ জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছেন জেনে গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছিলাম। তাঁর বিদায় ছিল অপ্রত্যাশিত, তাই ভীষণভাবে বেদনাদায়ক। তাঁর মত ন্যায় নীতির প্রশ্নে আপোষহীন সাহসী যোদ্ধারাই দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে ব্রতী। এ’রকম ভরসা করি বলেই কিছুটা স্বার্থপরের মত স্বদেশ ছেড়ে এই অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেও দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বপ্ন ও আশা কখনো ছাড়ি না। ফারুখ ভাই এর বিদায়ের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমী, জন-দরদী, সৎ, নিষ্ঠাবান, নীতিবান, বলিষ্ঠ ও মাটিরতূল্য মানুষ হারালো। ফারুখ ভাই কে সশ্রদ্ধ সালাম।
যারা ফারুখ ভাই কে চেনেন না বা জানেন না, তাদের জন্য বলছি; খন্দকার মহম্মদ ফারুখ ঢাকাস্থ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন এবং সেই সুবাদে তৎকালীন এরশাদের সামরিক শাসন রিরোধী আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে নেতৃত্ব দান করে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি খেতমজুর সংগঠিত করেন এবং অবশেষে এনজিও সংস্থার নেতৃত্ব দেন। এমনি একটি ক্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়; সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন গত ২০১৪ সনের ২৯শে জুন।
ফারুখ ভাই এর মত একজন শক্তিশালী অথচ সাধারণ মানুষের মত ব্যক্তির প্রভাবে আমি ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও অনুশীলন করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান এবং গৌরবান্বিত মনে করছি। আমার ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি যদিও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে তথাপি ফারুখ ভাই এর প্রভাবেই আমি বেশী অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।
ফারুখ ভাই তখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি। আমি কিন্তু আসলে ফারুখ ভাই কে হাতের কাছে পেয়েছিলাম মাত্র হাতে গোনা স্বল্প কয়েকবার। এরই মধ্যেই তিনি আমার শ্রদ্ধা অর্জন করে নিয়েছিলেন। সবচে বেশী মনে পড়ে একটি ঐতিহাসিক বিজয় এবং রাজনৈতিক সংকটের সন্ধিক্ষণে তাঁর সঠিক পরামর্শ দেয়ার ক্ষমতা ও বলিষ্ঠতার কথা। বিষয়টা একটু খুলে বললে হয়ত এর গভীরতা কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে।
১৯৮৩ সনের নভেম্বর মাস। সময়টা স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিবিদদেরকে বন্দি ও হয়রানি প্রতিরোধ করে সামরিক শাসন তুলে নেয়ার সংগ্রামের সূচনালগ্ন। একটি গৌরবোজ্জ্বল অলিখিত ইতিহাস।
কেন্দ্রীয় সম্মিলিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কম্যান্ড থেকে সিদ্ধান্ত এলো দেশ জুড়ে অর্ধদিবস ধর্মঘট। প্রধান লক্ষ্য হলো যান চলাচল অচল করে দেয়া। আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম যে করেই হোক উত্তর বঙ্গের সাথে ঢাকার রেল চলাচল অচল করে দিতে হবে। এবং তা আমাদের মত এত সহজে কেউই করতে পারবে না। করলাম ও তা ই। কিন্তু তা কী আর স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক সরকার এত সহজে হতে দেবে? মোটেই না।
রাত বারোটা নাগাদ ছাত্ররা রেল লাইনে গাছ, কাঠ, ব্যানার, ইত্যাদি ফেলে লাইন বন্ধ করে যার যার হোস্টেলে চলে গেল। আমরা, যাদেরকে সামরিক বাহিনীর টিকটিকিরা (ইন্ফরমার) সুযোগ পেলেই গ্রেফতার করাতে পারে বলে ধারণা ছিল, তারা গেলাম সহৃদয় শিক্ষকদের বাসভবনে আশ্রয় নিতে। রাত দু’টোর দিকে বুঝতে পারলাম সামরিক জান্তার ট্রাক ঢুকছে বিশ্বিবদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। হোস্টেলে ফোন করে গার্ডকে জিজ্ঞেস করতেই জানালো সামরিক জান্তার ট্রাক টহল দিচ্ছে আর জিজ্ঞেস করছে অমুক তমুখ ছাত্র নেতাকে হোস্টেলে সর্বশেষ কখন দেখা গিয়েছিল। গার্ড সাবধান করে দিল আমরা যেন নিরাপদে থাকি। পর দিন ভোর হতে না হতেই শুরু হলো মিছিলের পর মিছিল। সব মিছিল কেন্দ্রীভূত হতে থাকল রেল লাইনের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে যদিও রেল লাইনের বাধা অপসারণ করে নিয়েছে সামরিক জান্তার জোয়ানরা তবুও অন্য এলাকায় বাধা সব সরানো হয়নি বলে রেল চলাচল তখনো চালু হয়নি। এরই মধ্যে খবর এলো যে সামরিক জান্তার জোয়ানরা ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং এর দিকে দু’জন কর্মচারীকে মারধর করেছে। ফলে মুহূর্তের মধ্যে শত শত কর্মচারীরাও মিছিলে নেমে পড়ল। প্রায় ঘণ্টা দুইয়েক ধরে চললো ছাত্র-কর্মচারী আর সামরিক জান্তার জোয়ানদের মধ্যে ধাওয়া এবং পাল্টা ধাওয়ায়। অবস্থা একটু সামাল দিতে না দিতেই এসব জটলার মধ্যে ছাত্রদের প্রোক্টরকে সরাসরি বেয়নেট চার্জ করল জোয়ানরা। সাথে সাথেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন; আমাদের চোখের সামনে। ছাত্র জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল মিছিল, প্রতিবাদ আর প্রতিশোধের দামামায়। বেশীক্ষণ ছাত্র জনতাকে ঐ জায়গায় থাকেতে দিলে পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে মনে করে মিছিল ঘুরিয়ে দেয়া হ’ল মূল সড়কের দিকে। এর মধ্যেই ঢাকা থেকে ফোনে খবর এলো, যে কোন মতেই যেন আন্দোলনকে বিপথে ধাবিত করা না হয়। যা ই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা যেন হটকারীতায় পর্যবসিত না হয়। আর এসব সাবধানতার মূলে রয়েছেন ফারুখ ভাই। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি বলেই তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মূল নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই বিক্ষূব্ধ জনতাকে সামাল দিয়ে নিরাপদে মিছিল ঘরে ফিরিয়ে নেয়ার উপায় কী?
মিছিল ক্রমাগত বেড়েই চলছে। একই সাথে বাড়ছে উত্তাপ। দু’ দু’ বার ক্যাম্পাস ঘুরেও ক্লান্ত নয় কেউ। তখন উপাচার্য মহোদয়কে অনেক অনুরোধ করে মিছিলে সামিল করতে পারায় ক্ষূব্ধ জনতা কিছুটা শান্ত হয়েছে মনে করেছিলাম আমরা। ভাবছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এলাকার উন্মুক্ত চত্বরে একটি সভা করে জনতাকে ঘরে ফিরিয়ে নেয়া যাবে। বিপত্তি বাঁধলো অন্যত্র। মিছিলের এক অংশ হঠাৎ মোড় নিয়ে রওনা হলো ময়মনসিংহ শহরের দিকে। প্রায় পাঁচ ছয় কিলোমিটার পথ। তাই এই সময়ে ময়মনসিংহ শহরের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়া কি ঠিক হবে? জানা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা সামরিক জান্তার জোয়ানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর ছেড়ে ময়মনসিংহ শহরের দিকে ফেরত চলেছে। একটু পরেই প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেল, সামরিক জান্তার জোয়ানদের আরও একটি বিরাট সংখ্যা ময়মনসিংহ শহর টহল দিচ্ছে। নতুন কোন সংঘাত যেন না বাঁধে সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে খবরটি উপাচার্য সহ মিছিলে সামিল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী নেতৃবৃন্দ কে জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে না নিতেই মিছিলের বেশীরভাগ অংশ শহর-মুখী মূল সড়কে প্রবেশ করে শহরের দিকে চলতে লাগলো। উপায় না পেয়ে আমরা অনেক কষ্টে মিছিলের সামনের অংশে পৌঁছলাম; সাথে উপাচার্য মহোদয় রয়েছেন রিক্সায়। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও ঐ মূহুর্তে আমাদেরই দেখতে হচ্ছে। মিছিল চলতে লাগল আর এরই সাথে বাড়তে লাগলো আমাদের উদ্বেগ।
মিছিল মাঝামাঝি পথ অতিক্রম করে পাট গুদামের কাছাকাছি জায়গায় পৌছাতেই আমাদের ইন্ফরমার শহরের দিক থেকে এসে খবর দিল, সামনে ময়মনসিংহ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে জোয়ানরা। অর্থাৎ আমরা চেষ্টা করেও যা করতে পারিনি সামরিক জান্তার জোয়ানরা কার্যত সেটাই করেছে। কিন্তু মুখোমুখি সংঘর্ষ কী করে এড়ানো যায় সেই দুশ্চিন্তা আমাদের কয়েকজনকে তখন প্রচণ্ডভাবে জড়োসড়ো করে ফেলেছিল। মিছিল দিব্য গতিতে এগিয়ে চলছেই। ইতিমধ্যে মিছিলের দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় আট নয় হাজার লোকের গণ মিছিল। একটু সামনে তাকিয়ে দেখি ঠিক তাই। ভয়ানক বাধা। রাস্তার উপরে আড়াআড়ি করে লাল দাগ দেয়া, এর এক গজ পিছনে লাল রং এর ব্যানারে লেখা রয়েছে, যদি লাল দাগটি অতিক্রম করা হয় তবে তাৎক্ষণিক গুলী করার নির্দেশ রয়েছে। তারই পেছনে এক সারি সামরিক জোয়ান যাদের হাতে আছে অটোমেটিক গান। তাদের পেছনে আরো কয়েক শ’ জোয়ান। যে কোন মূহুর্তে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। এই ভাবনা মাথায় রেখে অনেক কষ্টে মিছিলের গতি থামিয়ে দেয়া সম্ভব হল। আর অপর দিকে কথা বার্তা চলছে তাৎক্ষণিক উপস্থিত সামরিক কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে। এরা সকলেই একই সাবধানতার হুংকার দিয়ে চলছে। আলামতটা এমনই যে, এরা পুরোপুরি রণাঙ্গনের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। এদিকে ছাত্র জনতা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র। মিছিলের উত্তাপ পুনরায় বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। অবস্থা এমনই সংকটময় যে, যদি মিছিলে আর একটি ধাক্কা লাগে পেছন থেকে তাহলে আমরা বিপদ সীমা অতিক্রম করে যাবো! ডানে ব্রহ্মপুত্র নদ আর বাঁয়ে পাট গুদামের দীর্ঘ উঁচু প্রাচীর। অর্থাৎ একমাত্র নিরাপদ উপায় হলো মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরে যাওয়া। মাইকের সহায়তায় পরিস্থিতি সকলকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। মিছিলকে অন্ততঃ রাস্তায় বসিয়ে দিতে পারলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে পারে ভেবে সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হল কয়েকজনকে।
কিন্তু কতক্ষণই এই বন্ধ্যত্ব চলবে? আর কত সময় লাগবে এই সমুদ্র প্রমাণ মিছিলকে হয় ময়মনসিংহ শহরের দিকে ধাবিত করতে নয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই ফেরত নিতে? মিছিল যদি এভাবে দীর্ঘসময় দমিয়ে রাখা হয় তবে হঠাৎ করে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে মহা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই কথা ভেবে শিক্ষক সমিতির সভাপতির সাথে একটু আলাপ করতেই তিনি তাৎক্ষণিক যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা’ দেশের গণতন্ত্রের পূণরোদ্ধার আন্দোলনের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তিনি ঘোষণা দেন যে, স্বৈরাচারী সরকারের অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, অ-নিয়মতান্ত্রিক, অত্যাচারী, জনগণ বিরোধী কার্যকলাপ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কাজে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা একযোগে প্রকাশ্যে সমগ্র জনতার সামনে পদত্যাগ ঘোষণা করলেন। এর পরপরই ঘোষণা দিলেন কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সব ঘোষণা যখন একের পর এক আসছিল তখন জনতার চোখে মুখে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। তবুও ছাত্র জনতাকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছিলোনা পরিস্থিতি। কী করা যায়?
এবার বুদ্ধি করা গেল যে শেষ চেষ্টা হিসেবে উপাচার্য মহোদয়ের পদত্যাগ ঘোষণা হয়তো কাজ করবে। অনেক কষ্টে তাঁকে রাজী করানো গেল এই শর্তে যে বিষয়টি নিছকই প্রতীকী তবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ঠিক ঠিক তা ই হলো। তাঁকে রিক্সার সিটের উপর দাঁড় হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিতেই মিছিল ফিরে চললো বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। আবেগ-স্পর্শী কয়েকটি ঘোষণা এই সমুদ্র-প্রমাণ মানব মিছিলকে কোন নূতন ঘটনা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফিরিয়ে নিতে পেরেছিল ভেবে আজও শিউরে উঠে শরীর। পুরো ব্যাপারটা অসত্য, অলীক মনে হয়। অবাস্তব মনে হয়! এমন ঘটনা পৃথিবী র আর কোথাও হয়েছিল কি’না আমার জানা নেই।
প্রশ্ন আসতে পারে, এই ঘটনায় খ. ম. ফারুখ ভাই এর সম্পৃক্ততা কোথায়? হাঁ, সরাসরি তাঁর কোন সম্পৃক্ততা ছিল না কিন্তু ঘটনাবলীর দ্রুত বিবর্তনের মুহূর্তগুলোতে এবং চূড়ান্ত যবনিকা টানার সময়গুলোতে তাঁকে প্রয়োজনে লেগেছিল। সেই সময়গুলোতে দ্রুত বিজয় অর্জনের পরিবর্তে সামগ্রিক ও টেকসই বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে তিনি বিচক্ষণ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কিভাবে সাহায্য করেছিলেন তা স্পষ্ট হবে লেখার বাকি অংশে।
পরের অংশ
[ লেখক বিগত ২০ বছর যাবৎ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী। পেশায় একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী ও সরকারী কর্মচারী এবং সমাজকর্মী ]
|