bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













বাঘ বন্দী
সুতপা বড়ুয়া



‘তোমার চোখেই আমার মরণ লেখা, আমি তাতেই ডুবে মরতে চাই!’ কথাগুলো কোথাও পড়লে ওর নির্ঘাত হাসি পেতো, কিন্তু বাসর ঘরে নীলাঞ্জনার চোখে চোখ রেখে অংশুমান যখন কথাগুলো বলেছিল, তখনই ভালবেসে ফেলেছিল নীলাঞ্জনা তার কয়েক ঘণ্টার স্বামীকে। বিয়ের আগে থেকেই অবশ্য অংশুকে চিনত নীলাঞ্জনা, তবে সেভাবে আর কেইবা না চিনত তাকে! সুদর্শন অংশু যখন গান গাইতে স্টেজে উঠতো, অগণিত মেয়েদের মত তার বুকেও হিল্লোল জাগত বৈকি। সেই অংশুর সঙ্গে পারিবারিক ভাবেই সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল নীলাঞ্জনার এবং যদিও বিয়ের আগে একদিন কিছুক্ষণের জন্য তাদের একান্তে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল বাড়ীর বড়রা, কিন্তু লম্বা, ছিপছিপে নির্মেদ শরীরের সুপুরুষ অংশুমানকে দেখতে দেখতেই সময় টুকু পার করে ফেলেছিল সে।

পরে একদিন হাসতে হাসতে অংশু বলেছিল, ‘বাব্বাহ্, প্রথম দিন যা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়েছিলে আমার দিকে, আমি তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম। এই পুতুল পুতুল চেহারার মনীষা কৈরালা লুক-এলাইক মেয়েটা এই বুঝি আমার সব কিছু বুঝে ফেলল। সেই ভয়েই তো গলা শুকিয়ে যাওয়ায় সিগারেট ধরালাম আর দুটো সুখটান দিতে না দিতেই তোমার মামী পুলিসের মত এসে তোমায় পাকড়াও করে নিয়ে গেল।’ ওর কথা শুনে তখন হাসি পেলেও পরে বোঝে নীলা যে ওর ওভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে আসলেই চিন্তায় পরে গেছিলো অংশু!

প্রথম প্রথম নিজের ভাগ্যকেই বিশ্বাস করতে পারত না নীলা। অংশুই ‘ভালবেসে’ নীলাঞ্জনা থেকে ছোট করে নীলা করে দিয়েছিল তাকে। কখনো নীল আবার কখনো কখনো আরো মিষ্টি থরে ডাকত নিলি! নীলা জানতো দুর্দান্ত জনপ্রিয় গায়ক অংশুমানের অজস্র ফ্যান ফলোয়ার আছে, আর তার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশী। তাদের বিয়ের পর পর ট্যাবলয়েড পত্রিকা গুলোতে সেই সব ভক্তদের আহাজারির কথা পড়ে হাসিও পেত আর গর্বও হত ভীষণ। মনে হতো ওর বান্ধবীদের ডেকে ডেকে বলে- তোরা সবাই দ্যাখ অংশুমান আমার, শুধুই আমার! ওর বান্ধবী সুস্মিতা তো এক্কেবারে ফিদা ছিল অংশুর জন্য। ওদের বিয়ের পরও হ্যাংলার মতো কতবার যে ওদের বাসায় এসে বসে থেকেছে শয়তানটা। আর অংশুর দিকে সে কি প্রেম প্রেম চোখে তাকানো! পিত্তি আরো জ্বলে যেত যখন দেখতো অংশুও পুরোদমে ফ্লার্ট করে যাচ্ছে ওর সঙ্গে।

ধীরে ধীরে নীলা বুঝতে পেরেছে অংশু মেয়েদের ব্যাপারে ভীষণ দুর্বল। অংশু অবশ্য বলে মেয়েরাই ওর জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে, সেটা তো আর তার দোষ হতে পারে না! আর ওদের সঙ্গে একটু আধটু নির্দোষ ফ্লার্টিং করাটা তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্যই করতে হয়। অনেক অভিমান, অনেক চোখের জল, মাথার দিব্বি, কোনো কিছুতেই বদলানো যায় নি অংশুকে। কিছু বললেই মুখে সেই স্বর্গীয় হাসিটা মেখে নিয়ে ওর মুখটা দুহাতে ধরে হাসতে হাসতে বলতো - এই বোকা মেয়েটা একদম হাঁদা। আরে! তোমার তো গর্ব হওয়া উচিত পাগলী। যার জন্য এতো এতো মেয়েরা পাগল, সেই অংশুমান শুধু তোমাকেই ভালোবাসে। ব্যাস। কি যে হতো নীলাঞ্জনার, কিছুতেই আর রাগ করে থাকতে পারতো না সে। কোনো সময় যদি বেশি কিছু বলতে গেছে, অংশু নিজের মুখ দিয়ে তার মুখটা বন্ধ করে দিতো। এরপরেও নীলাঞ্জনার রাগ না কমলে কিভাবে সেটা কমাতে হয়, তাও খুব ভালো করে জানতো দস্যিটা।

বিয়ের পরের কয়েকটা মাস যেন স্বপ্নের মত ছিল। অংশু তখন ভীষণ রোমান্টিক। ওর কথা শুনে আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে আসত তার। আর ভালবাসতেও জানত বটে অংশু। মন থেকে শরীর আর শরীর থেকে মনে ঝড় তুলত পাগলটা। ঝড় শেষে ওর চওড়া বুকে ছোট পাখীর মত লেপ্টে পড়ে থাকত নীলা আর নির্ভরতার গন্ধে একসময় টুপ করে ঘুমিয়ে পড়ত। নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচে সুখী দম্পতি ভেবে নিয়ে মনের সমস্ত ভালবাসাটুকু দিয়ে যখন সংসারে মন দিল নীলা, একে একে কোলে এলো তোর্ষা আর তিতলি। এরই মধ্যে অনেক কিছুই কানে আসে নীলার। দেখলোও কতকিছু নিজের চোখে, কিন্তু কি এক অমোঘ টানে যেন কিছুতেই বেশিদিন রেগে থাকতে পারতো না সে অংশুর ওপর। অংশু গানের প্রোগ্রাম নিয়ে সারাক্ষণই ব্যস্ত হিল্লি দিল্লি করে, আর সেই সাথে তাল মিলিয়ে চলে তার সিগারেটে সুখটান। তোর্ষা হওয়ার আগে দু একবার যাও বা গেছে সে অংশুর সঙ্গে, কিন্তু ওই ভক্ত স্তাবকদের হৈচৈ, অটোগ্রাফের জন্য ধাক্কাধাক্কি আর স্পন্সর দের পার্টি তে বিয়ার আর হুইস্কির হুল্লোড়ে নিজেকে একেবারেই বেমানান লাগতো তার। মেয়েদের জন্মের পর আর কোনোদিনই যায় নি নীলা, কিন্তু ওসব জায়গায় কি হয় বা হতে পারে, সেটা ভালো ভাবেই বোঝে সে।

একসময় নীলা দেখলো তার আর মন খারাপ হয় না। সে যেন এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে গেলো। তারপর কয়েক বছর প্রচণ্ড জনপ্রিয়তার পর কেমন যেন স্তিমিত হয়ে গেলো অংশুর জনপ্রিয়তা। অংশুর দলেরই জুনিয়র শিল্পী তমালের কাছে শুনেছে বেশ কয়েকবার কাশির জন্য গান শেষ করতে পারেনি অংশু! আর তাই ধীরে ধীরে কমতে থাকে গানের প্রোগ্রাম আর জনপ্রিয়তা। ততদিনে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে, আর নিজেও কয়েক বছর হল কাছাকাছি একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করতে শুরু করেছে নীলা। বাবা হিসেবে কোন তুলনা নেই অংশুর। মেয়েরাও বাপি বলতে পাগল, আর খোস মেজাজে থাকলে নীলার সঙ্গেও ভীষণ ভাব তার। অথচ মাঝে মধ্যেই দু পাঁচ দিনের জন্য হুট করে লাপাত্তা হয়ে যেত অংশুমান। সে সময় হাজার চেষ্টা করেও অংশুর কোনো খোঁজ বের করতে পারতো না নীলা। প্রথম প্রথম ভয় পেয়েছে, রাগ করেছে, চেঁচামেচি করেছে, কিন্তু হাজারটা অজুহাত বানিয়ে অংশুর শেষ কথা এসে ঠেকত একটাই কথায়।
-এই তো আমি, নীল. তোমাকে ফেলে কোথায় যাব বলত? আর আমার মামনিদের ফেলে কি আমি থাকতে পারি?

প্রোগ্রাম কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ সময় ঘরেই শুয়ে বসে কাটায় অংশু। অনেক বলেছে মিলা ডাক্তার দেখাবার কথা, কিন্তু কিছুতেই শোনাতে পারে নি তাকে। সেসময় সিগারেট খাওয়াটাও কমার বদলে আরো বেড়ে যায় অংশুর। বলে বলেও ছাড়াতে পারে না নীলা। অথচ নিজের তহবিলে টান পড়লেও বন্ধুদের যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত অংশু। সবার প্রিয় অংশুদা। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে সেই অংশুদার কোনো জুড়ি মেলা ভার। আর একদিকে স্কুলের চাকরি, মেয়েদের, অংশুর আর সংসারের দেখাশোনা, তার ওপর অংশুর শরীর খারাপ নিয়ে হিমশিম খায় নীলা। অংশুর বড় আদরের 'নীলি'। সবদিক সামাল দিতে গিয়ে নিজের দিকে তাকাবার ফুরসৎ পায় না নীলা। নিজেরও একটু ঠাণ্ডা মত লেগেছে ওর , কিন্তু সে তো বছরের এই সময়টাতে প্রত্যেক বছরই হয় ওর, সঙ্গে অন্যান্য বছর একটু টান মতোও হয়, বরং হঠাৎ খেয়াল করে কয়েকদিন ধরে খুক খুক করে কাশতে থাকা অংশুর ঘর থেকে আজ কাশির আওয়াজটা যেন একটু বেশিই পাওয়া যাচ্ছে। কিছুতেই কি ওর কোন কথা শুনবে না বলে পণ করেছে লোকটা? অংশুর ঘরে ঢুকে বেশ কিছু কড়া কথা বলার জন্য প্রস্তুত হতেই, অসহায় দুটো চোখের চাহনি মুহূর্তে থমকে দেয় তাকে। ‘আমি বাঁচতে চাই নীলা!’ চোখে চোখ রেখে অংশু যখন কথাগুলো বলে, নিজেকে মনে হয় খাঁচায় বন্দী একটা পশু। বুকটা ধক করে করে ওঠে তার, তবে কি খারাপ কিছু হলো অংশুর?

-আজ যদি তুমি ডাক্তারের কাছে না যাও, আমি কিন্তু যেদিকে দু চোখ যায় চলে যাব বলে দিচ্ছি।
- আমাকে ফেলে কখনো গেছো কোথাও?
- যাই নি তো কি হয়েছে। এবার তিতলি কে নিয়ে ঢাকায় তোর্ষার কাছেই চলে যাবো।
- নীলি, কেন এমন করো আমার সঙ্গে? এভাবে বললে আমার কষ্ট হয় খুব। বুকে চিনচিনে একটা ব্যথা হচ্ছে ক'দিন ধরে, বোধয় কাশির জন্য..অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। তারই শাস্তি পাচ্ছি নীলা। আমি বোধয় আর বেশিদিন বাঁচব না। বেঁচে থেকে তোমাকে কষ্ট ছাড়া তেমন কিছুই তো দিই নি। দেখ আমার কর্মফল কেমন কড়ায় গণ্ডায় সব হিসাব মেলাতে বসেছে। তোমায় যতটা কষ্ট দিয়েছি, ততটা কষ্ট এখন আমাকেও পেতে হবে। যদি তারও চেয়ে বেশি কষ্ট আমি পেলে তোমার কষ্ট কমাতে পারতাম, আমার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারতাম, তাহলে তাই করতাম আমি..

নিজের কান্না লুকিয়ে অংশুর চোখের জল মুছিয়ে দেয় নীলা। আর দেরি করা যাবে না। কেমন যেন অসহায় লাগে নিজেকে। চারিদিকে এক অস্থির সময় পার হচ্ছে এখন দেশ। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই মানা আর বিশেষ প্রয়োজনে বের হলেও অনেক ভোগান্তি, তবু এবার আর দেরি করে না সে। অংশুর মানা সত্যেও জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় ওকে. আর তারপরের এ ক'টা দিন কিভাবে দৌড়াদৌড়ি করেছে নীলা এই লকডাউনের ভেতর তা একমাত্র সে-ই জানে। ডাক্তারের দেওয়া সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে যখন রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে যায় ওরা, তখন হঠাৎ ভীষণ শরীর খারাপ লাগে নীলার। ক'দিন ধরেই গা ম্যাজ ম্যাজ করছিলো, একটু শীত শীতও লাগছিলো, কিন্তু অংশুর জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়ে আর মন দেয় নি সেদিকে সে। ডাক্তার তাদের পরিচিত বলে বেশিক্ষণ বসতেও হয় নি, কিন্তু যখন ডাক্তার শুধু নীলাকে ভেতরে ডাকে আর অংশুকে বলে বাইরে অপেক্ষা করতে, তখন কেমন যেন দম বন্ধ লাগে তার। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসে আর দর দর করে ঘামতে থাকে সে। যে খবরটা সে প্রাণপণে শুনতে চায় নি, ডাক্তার যখন গম্ভীর মুখে সেটাই বলে দেন, তখন কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায় সে।

ওয়েটিং রুমে অংশু কে দেখে কোনোরকমে মুখে হাসি টেনে আনে নীলা। ডাক্তারের কাছে যা শুনেছে তা জানায় না ওকে। এমনিতেই মনটা দুর্বল হয়ে আছে ওর, এর ভেতর এসব শুনলে নিতে পারবে না ও, আর তাছাড়া একজন ডাক্তার কি বললো তার ওপর নির্ভর করে থাকার কোনো মানে হয় না। কোনোমতে বাইরে এসে একটা ট্যাক্সি ডেকে তাতে উঠে বসে ওরা। অংশু দুএকবার জানতে চেয়েছে ডাক্তার কি বললো, কিন্তু এটা সেটা বলে কোনোরকমে কথা কাটায় সে। তারপর যে কি হয় ঠিক বুঝে উঠতে পারে না নীলা। হঠাৎ করে চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসে, অংশুর বুকের ওপর মাথাটা এলিয়ে পরে, তারপর আর কিচ্ছু মনে নেই।

অনেকক্ষণ পর, নাকি কয়েক দিন পর? মনে হয় যেন লম্বা হয়ে শুয়ে আছে কোথাও, আর মুখের ওপর ঝুঁকে থাকা কার যেন মুখ।
কার মুখ এটা? মা, নাকি তোর্ষা? নাকি তিতলি?
না: এতো অংশুর মুখ! কিছু কি বলছে তাকে অংশু?
অংশুর চোখে জল কেন? কি হয়েছে তার?
কথা বলতে পারছে না, হাতটাও তুলতে পারছে না, তবে কি সে মরে গেছে?
কিন্তু ডাক্তার যে বললো অংশুর আর সময় নেই, রোগ এতো ছড়িয়ে গেছে যে এখন আর কিছুই করার নেই! এখন তো তার মরা চলবে না। অংশুকে যে তার বাঁচাতে হবে আগে।
সে যে চাচ্ছিল অংশুকে অন্য কোথাও নিয়ে দেখাবে, সেটা কি আর পারবে না? কি যেন একটা হচ্ছে চারিদিকে, তাই এখন আর কোথাও যাওয়া আসা যাবে না, তাই না?
তাহলে যাচ্ছে কোথায় তারা?!
বুকের ওপর এতো ভারী কি যে চাপিয়েছে কে জানে?
ওরা কি কোন গাড়ির ভেতর? এতক্ষণ ধরে কোথায় যাচ্ছে ওরা?
অংশুকে কি আর বলা হবে না. অংশু, তুমি কিচ্ছু ভেবো না, কিছু হবে না তোমার, আমি ঠিক তোমাকে ভালো করে তুলবো। তার জন্য যেখানে যেতে হয় যাবো আমি,
হোক লকডাউন, এম্বুলেন্সে নিলে কেউ আটকাবে না।

এটাও কি অ্যাম্বুলেন্স একটা? কখন ঠিক করলো সে? মাথা কাজ করে না নীলার। গাড়িটা কিছুক্ষণ পর পর থামছে কেন?
আমাকে ফেলে তুমি মাঝে মাঝে নেমে যাচ্ছ কেন অংশু?
আমার এমন লাগছে কেন? বাতাস নেই মোটেই কোথাও। ঘুম আসছে খুব.....
আমিও বাঁচতে চাই অংশু,
তোমার জন্যই বাঁচতে চাই
আমায় ছাড়া তুমি থাকবে কি করে অংশু?..

বলা হয় না কিছুই নীলির। মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ায় খুব সম্ভবত প্যানিক এটাক বা স্ট্রোক এর মত কিছু হয়েছিল তার, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। কিন্তু একের পর এক হাসপাতালে গিয়েও নীলাকে কোথাও ভর্তি করাতে পারে না অংশুমান। একদম বিনা চিকিৎসায় চলে যায় নীলা, আর তার সঙ্গে নিয়ে যায় অংশুর রোগের ডায়াগনোসিস। তাকে নিয়ে এই বাঘবন্দি বৈরী সময়ে অন্য কোথাও দেখাতে যেতে না পারার অক্ষমতাটুকু বুঝি নিতে পারে নি নিলি।


এপ্রিল ২০২০





সুতপা বড়ুয়া, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া




Share on Facebook               Home Page             Published on: 5-Apr-2020

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far