রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলমনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক বনভোজন
কাজী সুলতানা শিমিঃ আনন্দময় পরিবেশে ২৭শে এপ্রিল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলমনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার (RUAAA)বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হলো সিডনির “প্ল্যাউ এন্ড হ্যরো” পার্কের সবুজ প্রান্তরে। সকাল দশটা থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উৎসব মুখর আমেজে একে একে জড়ো হতে থাকেন পার্কের রিজার্ভ করা ছাউনি তলে।
বর্ণীর করা ঝালমুড়ি ও চা দিয়ে ছিলো প্রথম আপ্যায়ন। এরপর আনিসুর রহমান নান্টুর তত্ত্বাবধানে RUAAA এর প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে বারবিকিউ করে দুপুরের আপ্যায়নের জন্য। পাশাপাশি মেয়েদের জন্য ছিলো মিউজিক্যাল চেয়ার আর ছেলেদের জন্য ছিল দড়ি টানাটানি ও সৌজন্যমুলক ক্রিকেট আয়োজন। মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার’ পর্বটি পরিচালনা করেন বাংলা-সিডনি ডটকমের সম্পাদক আনিসুর রহমান। ফটো শুটের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ছিলো রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস তথা পরিবহণের পোষ্টার। এই অভিনব পরিকল্পনাটি করেন কৃষিবিদ শিপন দাস। কাজী জলিকে দেয়া হলো রেফেলড্র’র দায়িত্ব। এছাড়া বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পুরো আয়োজনটিকে নিজ নিজ দায়িত্বে আনন্দ-মুখর করে রাখেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সিনিয়র জুনিয়র সকলের কাজগুলো যেভাবে বণ্টন করা ছিলো সবাই তা নিজ নিজ আগ্রহে সম্পন্ন করে। এরপর ফয়সাল খালিদ শুভ’র সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতে সমবেতকণ্ঠে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি পর্বে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তারিক জামান ও অনন্যরা। প্রাক্তন শিক্ষার্থী কণ্ঠশিল্পী লনির কণ্ঠে রেনেসাঁর গানটি ছিলো একটি মনোমুগ্ধকর সংযোজন। সেইসাথে শাখাওয়াৎ নয়ন’এর লেখা বোহেমিয়ান বই থেকে একুশে পদক প্রাপ্ত শিমুল মুস্তাফার কণ্ঠে আবৃত্তির একাংশ সময়টিকে করেছিল নস্টালজিক।
সবশেষে RUAAA’র বর্তমান সভাপতি জুলফিকার আহমেদ, রোখসানা রাজ্জাক’ ও ফাওজিয়া সুলতানা নাজলি’কে নিয়ে কেক কাটেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। আন্তরিক আড্ডা, গান, কবিতা, স্মৃতিচারণ নিয়ে বনভোজনটি ছিলো মনে রাখার মতো একটি দিন।
|