bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












এই লিংক থেকে SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন



গিন্নি, পৃথিবী আজ সত্যি সমতল
ড. শামস্‌ রহমান


[তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশেও যে সমাজের কল্যাণ সম্ভব, তা কিছুটা হলেও প্রমাণ করেছে আজকের বাংলাদেশ। স্বীকৃতি স্বরূপ সম্প্রতি পেয়েছে দু দুটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। তবে এটা সত্য, পুরষ্কার পাওয়াই শেষ কথা নয়। এটা শুরু মাত্র। এ পথ অনেক দীর্ঘ। সেই সাথে এটাও স্বীকার্য যে, প্রযুক্তিতে এ দেশ অনেক পিছিয়ে। তবে, প্রযুক্তিতে (বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে) পিছিয়ে থাকা দেশের হাজারো অসুবিধার মাঝে একটি সুবিধা হচ্ছে, সে দেশের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে R & D ব্যয় অতি সামান্য কিংবা শূন্য। তাদের প্রয়োজন শুধু আবিষ্কৃত প্রযুক্তিকে সঠিক অবকাঠামো প্রদানে, দক্ষ কারিগরের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তাই, প্রয়োজন সঠিক নীতি নির্ধারণ; সরকার আর উদ্যোক্তাদের সমন্বয়; আর সঠিক মানব সম্পদ গড়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসা]


পৃথিবী গোলাকার। তাতে আজ আর কারো সন্দেহ নেই। একদিন ছিল। সে পিথাগোরাসের পূর্বে। তখন সমতল পৃথিবীতে ছিল মানুষের চলাচল। একদিন পিথাগোরাস বললো – পৃথিবী গোলাকার। পৃথিবীর মানুষ বললো – এ অসম্ভব! হাঁটছি, খেলছি। পরছি না ঢালে – তালে কিংবা বেতালে। তাহলে? - পৃথিবী গোলাকার হয় কি করে? পৃথিবী যদি গোলাকারই হতো, তবে অস্ট্রেলিয়া-বাসিদের কি হতো? নিশ্চয়ই পায়ের গোড়ালিতে ঝুলে থাকতো! লোকটা নির্ঘাত গাধা!

সেদিন মানুষের দৃষ্টি ছিল খাটো। দিগন্তই ছিল সীমানা। তার ওপাড়ে সব ছিল অজানা। ঢাল না সমতল, তা ছিল দৃষ্টির অগোচরে, কল্পনার বাইরে।

মধ্যযুগে ইউরোপ যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, ভারত উপমহাদেশ ঐশ্বর্যে তখন কানায় কানায় ভরা – সোনা, রুপা, হিরে-মুক্তা; সেই সাথে সিল্ক ও মশলা। এসবই আকৃষ্ট করে বর্গীদের। সম্পদ লুণ্ঠনে তারা হানা দেয় বারবার।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস তাদের একজন। ১৪৯২ সনে কোন এক কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে তিন তিনটি নৌকা নিয়ে রওনা হয়। গন্তব্য, ভারত উপমহাদেশ। সে জানতো পৃথিবী গোলাকার। তাই লক্ষ্যস্থলে দ্রুত পৌঁছোবার লক্ষ্যে, পূর্ব দিকে না গিয়ে, গেল পশ্চিম দিকে। এবং এক সূর্যস্নাত ভোরে তার তরী ভিড়ল পাড়ে। ভাবলো, এটাই ইন্ডিয়া। তাই, আদি-অধিবাসীদের সম্বোধন করে ‘ইন্ডিয়ান’। এভাবেই আবিষ্কৃত হলো এক নতুন ভূখণ্ড। নাম দিল আমেরিকা। আর তার মানুষগুলো ‘ইন্ডিয়ান’। আজও তাই। রঙেই শুধু তফাৎ - কালচে না হয়ে, ঈষৎ লালচে।

ব্যাঙ্গালোর আধুনিক ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালী’। কলম্বাসের ভারত যাত্রার পাঁচশত উনিশ বছর পর, ৭ই ডিসেম্বর ২০১৩, মেলবোর্নের গ্রীষ্মের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় আমি যাত্রা করি ভারত অভিমুখে – দিল্লী হয়ে ব্যাঙ্গালোর পথে।
সেদিন কলম্বাসের লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে ভুল হলেও, আমার হয়নি। কলম্বাসের নিশানা ছিল কম্পাসে। আমার ছিল জি পি এস’এ। আমি ঠিক সময়ে ও নিরাপদে পৌঁছে যাই ব্যাঙ্গালোর। সাক্ষাৎ পাই খাটি ইন্ডিয়ান। তবে চাল-চলনে, ইংরেজি উচ্চারণে প্রকৃতই আমেরিকান। কলম্বাসের মত আমিও খুঁজি সম্পদ। কলম্বাস খুঁজেছে hardware – মনি, মুক্তা, সিল্ক ও মসলা। এগুলো সেকালের সম্পদ। আমি খুঁজি software – বিশ্ববিদ্যালয়, উর্বর-মস্তিষ্ক, দক্ষ প্রকৌশলী ও কারিগর। এগুলি আজকের সম্পদ।

কলম্বাস ভারত উপমহাদেশ পৌঁছাতে পারেনি ঠিকি, তবে
দেশে ফিরে গিয়ে স্পেনের রাজা-রাণীকে
দৃঢ়তার সাথে বলে – পৃথিবী
সত্যি গোলাকার।
আমি ব্যাঙ্গালোর থেকে মেলবোর্ন
ফিরে গিয়ে স্ত্রীকে বলি – গিন্নি, পৃথিবী সত্যি সমতল।

ব্যাঙ্গালোরের আমেরিকান উচ্চারণে ইংরেজি বলা মানুষগুলো ভারতেই ছিল একসময়। পাঠ চুকিয়ে একদিন পাড়ি জমায় আমেরিকায়। সেখানে কাজ-কর্মে নিয়োজিত থাকে বিভিন্ন পেশায়। আমেরিকান কোম্পানির হয়ে, আমেরিকান বাজারের জন্য তৈরি করে কম্পিউটার, সফটওয়ার সহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী। প্রদান করে সেবা। দেশের লোক বলে – এ brain-drain; জাতির অপচয়।

সেসব আজ অতীত। ইতিহাস। নব্বই দশকের গোঁড়ার দিকে রাজীব গান্ধী দেশের অর্থনীতির দরজা খুলে দিল। ভারত উন্মুক্ত বাজারের অংশ হলো। ক্রমে আমেরিকায় কার্যরত অনেক ভারতীয় আবার দেশে ফিরে এল। এবার পাকাপোক্ত হয়ে। একে কি বলা যায়? একি brain-gain?

যারা একসময় কাজ করতো আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানির হয়ে, আজ তারা কাজ করে আমেরিকান কোম্পানির জন্য। একসময় যে কাজ হত আমেরিকায় বসে, আমেরিকানদের মাঝে থেকে, আমেরিকার বাজারের জন্য; আজ সে কাজ হচ্ছে ব্যাঙ্গালোরে বসে, ব্যাঙ্গালোরের মানুষের মাঝে থেকে, বিশ্ববাজারের জন্য। HP, Texas Instrument, 3M, Epson, GE থেকে শুরু করে বিশ্বমাপের যে কোন তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানির নাম বলুন – এদের প্রত্যেকটিই আছে ব্যাঙ্গালোরে। কম্পিউটার আর সফটওয়ার প্রযুক্তি বিষয়ক কাজ ছাড়াও, আজ সেখানে লক্ষ লক্ষ আমেরিকা-বাসির ট্যাক্স রিটার্নের কাজ হচ্ছে। আমেরিকানদের বুঝার কোন উপায়ই নেই যে, এ কাজ বোস্টনে হয়, না ব্যাঙ্গালোরে! আজ পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে, যে কোন বাজার বা ক্রেতার জন্য দ্রব্যসামগ্রী তৈরি ও সরবরাহ এবং সেবা প্রদান করা সম্ভব। দ্রব্য কোথা থেকে এল, ক্রেতার তাতে কোন মাথা ব্যথা নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত তা গুনে-মানে লাগসই এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে হয়। এ হল আজকের পৃথিবী। কলম্বাস সে যাত্রায় ভারত উপমহাদেশ পৌঁছাতে পারেনি ঠিকি, তবে দেশে ফিরে গিয়ে স্পেনের রাজা-রাণীকে দৃঢ়তার সাথে বলে – পৃথিবী সত্যি গোলাকার। আমি ব্যাঙ্গালোর থেকে মেলবোর্ন ফিরে স্ত্রীকে বলি – গিন্নি, পৃথিবী সত্যি সমতল।

পৃথিবী সমতল হওয়ার প্রধান চালিকা শক্তি দুটি। এক, তথ্য প্রযুক্তি। দুই, গ্লোবালাইজেশন। একটি প্রযুক্তি, অপরটি, নীতি (পলিসি)। তথ্য প্রযুক্তির অভিনব প্রয়োগে পৃথিবী ছুটছে দ্রুত গতিতে। গ্লোবালাইজেশনের প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত হচ্ছে বাজার। এ দুটি বিষয় ঘটছে সমান্তরালভাবে, যা গোলাকার পৃথিবীকে সমতল করছে আলোর গতিতে।

ব্যাঙ্গালোরের মত বাংলাদেশও হতে পারে আর এক সিলিকন ভ্যালী। আজ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি bdnews24.com’এর উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশে software বিষয়ক আলোচনা এ বিষয়ে উদ্যোক্তাদের (entrepreneur) আরও সচেতন করার একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

সেদিন ছিল এক বিয়ে। আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের। ঢাকাতে। যেহেতু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কিছুতো একটা করতেই হয়! ভাবলাম, মিষ্টি আর ফুল পাঠালে কেমন হয়। যে কথা, সেই কাজ। কুড়ি ডলারের মিষ্টি আর এক তোড়া ফুল পৌঁছে গেল – সুসজ্জিত মোড়কে, যথাস্থানে এবং যথাসময়ে।

না! এর জন্য আমাকে মেলবোর্ন থেকে ঢাকা যেতে হয়নি। ঢাকায় কোন আত্মীয়ের শরণাপন্ন হতে হয়নি। কাউকে টাকাও পাঠাতে হয়নি এ জন্য। তারে (Internet)টাকা ও তালিকা পৌঁছে গেছে মূহুর্তে, আর জিনিস পৌঁছে গেছে যথাস্থানে, যথাসময়ে। সঙ্গে আমার নাম খোদাই করা একটি কার্ডও গেছে।

এত কিছু ঘটে গেল, কিন্তু সবাই স্ব স্ব স্থানে রয়ে গেল। আমি মেলবোর্নে। আমার আত্মীয় ঢাকায় বিয়ের মঞ্চে। আর ঢাকার মিষ্টি ও ফুল - ঢাকাতে। আর এর মানেই ‘গোলাকার পৃথিবী সমতল হয়ে যাওয়া’।

এতে কি ঘটে গেল? রাজনৈতিক ও ভৌগলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে সংগঠিত হল কুড়ি ডলারের ব্যবসা। এক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। এর প্রভাবই বা কি? প্রথমত, ঢাকায় কুড়ি ডলার পৌঁছে গেল। ফলে, ফুল ও মিষ্টির চাহিদা বাড়লো। বাড়লো মোড়কে ব্যবহৃত রঙ্গিন কাগজ ও কার্ডের চাহিদা। মানুষের কর্ম সংস্থান বাড়লো, সেই সাথে নতুন কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা হল। সর্বোপরি, বাড়লো মানুষের আয়। এটা একটা উৎকর্ষ-চক্র (virtuous-cycle)। এটাই আজকের বাজারে বাজার-অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি।

এখানেই শেষ কথা নয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রভাবিত করে সামাজিক সূচক। মোড়কে মিষ্টি ও ফুল পৌঁছে দিতে হবে সুন্দরভাবে। যে চালক/ব্যক্তি পৌঁছে দিবে, তার অক্ষর ও সময় জ্ঞান থাকতে হবে। তাকে হতে হবে তুলনামূলক ভাবে রুচিসম্পন্ন। আর সেবা প্রদানের এ ব্যবসা দীর্ঘকালীন সময়ের(long term) জন্য পেতে হলে, তাকে হতে হবে বিশ্বস্ত। এককথায়, জ্ঞান, রুচি, সময়ের ধারণা এবং নৈতিকতা – এ সব আজকের বাজারে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ এবং তা টকিয়ে রাখার জন্য নূন্যতম আবশ্যক। এখানেই প্রয়োজন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসা; নিজেদের নিয়োজিত রাখা সঠিক মানব সম্পদ গড়ার কাজে।

পৃথিবী সমতল বলেই আজ আর ক্রিস্টোফার কলম্বাসকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে হয় না মণি, মুক্তা আর অল্প মূল্যের কুন্টাকিন্টের (আলেক্স হাইলির Roots উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম) শ্রমের জন্য। ভাস্কো-দা-গামাকে আজ আর ভারত উপমহাদেশে আসতে হয় না সিল্ক আর মসলার জন্য। ক্যাপ্টেন কুক্‌কেও আসতে হয় না অস্ট্রেলিয়ার এ প্রান্তে, প্রশান্ত মহাসাগরের দীপপুঞ্জের শিল্পকলা লুণ্ঠনে। আজ অনায়াসেই পৃথিবীর আঁনাচে-কাঁনাচে পৌঁছে যাচ্ছে চীনের শ্রম, বাংলাদেশের বস্ত্র-বালিকা শ্রম, ভারতের মসলা, সেই সাথে বলিউড মসল্লা।

অতীতে কলম্বাস, কুক আর গামা বল প্রয়োগে আমাদের সম্পদ ও শ্রম লুট করেছে। আমরা তাকে বলি – শোষণ। আজ স্বেচ্ছায় এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে সস্তা শ্রম দিতে আগ্রহী সেই একই শোষক শ্রেণির কাছে। তাকে কি বলবো? এ কি নিও-কলোনিয়ালিজম? পরিহাসের বিষয়, তা হলেও, এটাই আজ উন্নতি ও সমৃদ্ধির উৎকর্ষ কৌশল। চীন, ভারত এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বস্ত্র এবং চামরা শিল্প ছাড়িয়ে software engineering এবং service outsourcing সেবা প্রদানে বাংলাদেশও সক্ষম দৃষ্টান্ত স্থাপনে। গত দেড়-দশক জুড়ে ভারতের জাতীয় প্রবৃত্তির হার ছিল পাঁচ থেকে নয় শতাংশ। চীনে গত আড়াই দশকে এ হার ছিল তারও অধিক। ভৌগলিক ভাবে বাংলাদেশ, আকার, শক্তি এবং অর্থনীতিতে বৃহৎ এই দুটি দেশের মাঝে অবস্থিত। তাদের মত আমরা কি সমতল পৃথিবীর সুযোগ নেব না? দেশ ও দেশের উদ্যোক্তারা কি সেদিকে মনোযোগী? Brain-drain’কে brain-gain’এ রূপান্তরে দেশে যে পরিবেশ প্রয়োজন তা সৃষ্টি করতে পারছে কি বাংলাদেশের সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান?

Nike – টিক্‌ যার প্রতীক – একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। Nike’এর ব্যবস্থাপক শুধুমাত্র তাদের দ্রব্যাদি ক্রেতার কাছে লোভনীয় করে তোলায় (positioning the product) এবং দ্রব্যের নক্সা তৈরিতে ব্যস্ত। লন্ডন কিংবা নিউইয়র্কের হাই-স্ট্রিটের কোন অফিসে বসে তৈরি হয় নক্সা আর বাজারজাত করণের ব্যবস্থা। আর দ্রব্যসামগ্রী তৈরি হয় স্বল্প মূল্যের শ্রমে হাজার হাজার মাইল দূরে ইন্দোনেশিয়া কিংবা ভিয়েতনামে। যা আবার বিক্রি হয় লন্ডন কিংবা নিউইয়র্কের হাই-স্ট্রিটের কোন মলে। প্রবাসী বাঙালিরাও পারে এ ধারনা প্রয়োগ করতে। ধরুন, প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা। পত্রিকা বা ওয়েবসাইটের ডিজাইনের কাজ হল প্রবাসে বসে। মূদ্রায়নের যাবতীয় কাজ হল বাংলাদেশের কোন মফস্বল শহরে। আর তা তারের (Internet)মাঝে তড়িৎ বেগে আবার পৌঁছে যাবে প্রবাসে প্রকাশনার জন্যে। হতে পারে কি এমন কিছু? এটা একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র। এই একই ধারণায় এ ধরণের আরও হাজারো ছোট ও মাঝারি মাপের ব্যবসা সম্ভব।

আমার আত্মীয়ের বিয়ের উপহারের কথা ভাবুন। বাংলাদেশের মিষ্টি ও ফুল বাংলাদেশেই কেন-বেচা ও ব্যবহ্রত হল। অথচ তাতে এক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংগঠিত হল। আবার, বাংলাদেশের মফস্বল শহরের সেই মেয়েটি, যে ঘরে বসেই মূদ্রয়ন কাজের মাঝে তার শ্রম বিক্রি করলো আন্তর্জাতিক বাজারে। মাইকেল পোর্টারের ‘প্রতিযোগিতামূলক-সুবিধা’ (competitive advantage) কৌশলের সদ্ব্যবহার করার সুযোগ পূর্বে এত ব্যাপকভাবে আর কখনো আসেনি।

পিথাগোরাসের পূর্বে মানুষ না জেনে বলেছে – পৃথিবী সমতল। সে মানুষের অগত্যা। আজ মানুষ জেনে বলছে - পৃথিবী সমতল, এ মানুষের যোগ্যতা। সমতল পৃথিবীর সুযোগ নেয়ার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।



• ড. শামস্‌ রহমান, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া।
• ই-মেইল: shams.rahman@rmit.edu.au
• http://www.rmit.edu.au/contact/staff-contacts/academic-staff/r/rahman-professor-shams





Share on Facebook               Home Page             Published on: 21-Nov-2015

Coming Events:





A day full of activities, games and fun.







Blacktown Lakemba Mascot