bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












এই লিংক থেকে SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন



বঙ্গবন্ধুঃ নেতা ও নেতৃত্ব / অধ্যাপক শামস্ রহমান



আগের অংশ


তখন দেশ রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়েছে মাত্র। চারিদিকে ধ্বংস আর অভাবের ছাপ। তবে নব গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা সীমাহীন এবং সেটাই হয়তো স্বাভাবিক। ঠিক সেই সময় বৃহত্তর বিরোধী দল হিসেবে জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) আত্মপ্রকাশ করে। তাদের কাছে মার্ক্সের সমাজতন্ত্র তত বৈজ্ঞানিক বলে মনে হয়নি। তাইতো জাসদের সমাজতন্ত্রের আগে প্রয়োজন হয় ‘বৈজ্ঞানিক’ নামক এক বিশেষণের। তখন জাসদের গণবাহিনী বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে এবং শহরতলীতে সৃষ্টি করে এক ত্রাসের রাজত্ব। ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার, কৃষকের উপর জুলুম, থানা আক্রমণ ও অস্ত্র লুট, গুপ্ত হত্যা – এসব ছিল প্রতিদিনকার ঘটনা। উদ্দেশ্য রাজনৈতিক হঠকারিতার মধ্য দিয়ে নব্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যহত করা। এটা যে হঠকারিতা ছিল তা স্পষ্ট হয়ে যায় যখন দেখি ১৯৭৫ পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজমের লেবাস ছেড়ে দলের নেতাদের কেউ রাতারাতি ধর্মের নামে রাজনীতির ঝাণ্ডা উড়ায়, কিংবা সামরিকতন্ত্রের বীর সৈনিক রূপে আত্মপ্রকাশ করে, এবং কেউ কেউ আবার মন্ত্রিত্বের শপথ নেয় রাজাকার-আল বদরদের সাথে একি কাতারে। তখন সুযোগ বুঝে গোপনে সাহায্যের হাত এগিয়ে দেয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এখানে উল্লেখ্য, মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির একাংশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন। অর্থ ও অস্ত্রের জন্য তারা পাকিস্তানের কাছে ধরনা দেন। ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ‘আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী’ সম্বোধন করে চিঠি লেখেন। চিঠির ভাষা ছিল এমনঃ ‘আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, পুতুল মুজিব চক্র এখন জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অর্থ, অস্ত্র ও ওয়্যারলেস সরঞ্জাম প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি।’ (সোহরাব হাসান, আগস্ট ০৮, ২০১৬, প্রথম আলো)।

সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের ধ্বংসস্তূপের উপর বসে যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করার কথা, তখন অভ্যন্তরীণ প্রতি বিপ্লবীদের সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়। সেই সাথে ১৯৭৪’এর বন্যা, খাদ্যাভাব এবং পি এল ৪৮০ অধীনে মার্কিন সরকারের নানা অজুহাতে প্রায় নয় মাস ঝুলিয়ে রেখেও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ না করা। ফলে দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে। ঠিক এসময় বাকশাল রাজনৈতিক ব্যবস্হা চালু হয়। দেশের ভিতরের প্রতিবিল্পবীদের প্রতিহত করে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করে এবং সেই সাথে বহির্বিশ্বের উপনিবেশিক শক্তিকে সামলিয়ে, সর্বস্তরে স্বাধীনতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভই ছিল এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য। তৎকালীন প্লানিং কমিশনের উপ প্রধান নুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন এবং কোন এক ঘরোয়া আলোচনার সময় বাকশালের ব্যাপারে তার নিজস্ব হতাশার কথা জানান। উত্তরে বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন তা তিনি এভাবে তুলে ধরেন: ‘বঙ্গবন্ধু অবাক হন at the inability or unwillingness to appreciate what he had said in his speech about the economic crisis and the political chaos gripping the country. This situation, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, required drastic solution. After very serious thoughts he (Bangabandhu) had decided that the proposed system (BAKSAL) was the only answer to the deep socio-political malaise facing the country… Therefore, … policies that were beyond comprehension (of many) were the prerogative of the leader who had the ultimate responsibility to the people (Islam, 2005, p.158, Making of a Nation – Bangladesh: an Economist’s Tale, The University Press Limited)। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনঃ ‘এটা একটি সাময়িক ব্যবস্থা। সঠিক সময়ে আবার ফিরে যাব ওয়েষ্টমিন্সটার স্টাইলের গণতন্ত্রে’। দুর্ভাগ্য সেদিনের সেই শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। আজও তার প্রায়শ্চিত্ত করছি আমরা। জাতি আজ জাতীয় মূলধারার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত। ব্যহত হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ, বিকৃত হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস, সেই সাথে মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পুনঃগঠিত হবার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে। বাকশাল পদ্ধতি বজায় থাকলে (স্বল্পকালীন সময়ের জন্য হলেও) স্বাধীনতার প্রতিবিল্পবীদের প্রতিহত করে, জাতীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব হত।

১৪ আগস্ট, ২০১৭ মেলবোর্ন



আগের অংশ

অধ্যাপক শামস্ রহমান, মেলবোর্ন





Share on Facebook               Home Page             Published on: 14-Aug-2017

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far