শিল্পী রুমানা ফেরদৌস লনী ২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। শৈশবে মায়ের কাছ থেকে তার গান শেখার শুরু। বাবা-মার উৎসাহে সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ রুহুল কুদ্দুস এবং ওস্তাদ হাবিবুর রহমান এর কাছে। শৈশব থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে ছোটদের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করতেন তিনি।
৯০ দশকের বিভিন্ন সময় সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন রবীন্দ্র সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ছায়ানটে এবং পরে কোলকাতায় রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-সংগীত বিভাগে ভর্তি হন। কোলকাতায় থাকাকালীন সময় স্বপ্না ঘোষাল এর কাছে উচ্চাঙ্গ-সংগীত এবং ইন্দ্রাণী সেন এর কাছে রবীন্দ্র-সংগীত এর তালিম নিয়েছেন। ওখানকার পড়া শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স এ ভর্তি হন। রাজশাহী ও রংপুর বেতারে রবীন্দ্র-সংগীত এর নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময় “অরণি সাংস্কৃতিক সংসদ” এর একমাত্র মহিলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কয়েক বছর।
২০০৫ সালে বিয়ে হয় মেহেদী হাসান এর সাথে। পরের বছরই স্বামীর লেখাপড়ার সূত্রে সিডনিতে চলে আসেন তারা। নিজেও TAFE এ পার্ট টাইম কোর্স করে ফেলেন একটা। সংগ্রামী জীবন শুরুর প্রাক্কালে সংগীত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাসায় বসে যতোটুকু চর্চা করা। ২০১৮ তে ক্যাম্পবেল টাউন বাংলা স্কুলে বাচ্চাদের গান শিখিয়েছেন কিছুদিন।
বর্তমানে স্বামী, এক মেয়ে আর এক ছেলের সংসার সামলান তিনি। কিন্তু সব সময়ই সংগীত নিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছে পোষণ করেন।
একদিন মাউন্ট আনান বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে গিয়ে বৃষ্টির মধ্যে একটা গাছের নিচে বসে এই গানটি রচনা করেন রুমানা এবং বাড়ি ফিরেই হারমোনিয়াম নিয়ে বসে যান সুর দিতে।
Share on Facebook               Home Page             Published on: 8-Mar-2023