bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












মান্টো কে? কেন তাঁর কথা বলছি!
সা’দত হাসান মান্টো (১৯১২-১৯৫৫)
রিয়াজ হক



বলছি এজন্য যে অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি সচেতন, প্রবল মানবিক চেতনা বোধে আচ্ছন্ন আধুনিক লেখকদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সা’দত হাসান মান্টো। ১৯৪৭ এর ভারত বিভক্তির আগের ও পরের সামাজিক অবস্থাকে যদি গভীরে থেকে জানতে চাই, বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশাকে যদি রাজনীতি নয়, মনুষ্য-হৃদয় দিয়ে বুঝতে চাই তাহলে মান্টোকে পড়া ও জানা জরুরী। মনে রাখতে হবে যে ১৯৪৭ এর ভারত বিভক্তির মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে এপার-ওপারে (ভারত-পাকিস্তানে) ঠেলে দেওয়া হয়েছিল; মূলত করা হয়েছিল বাস্তচ্যুত! দেশান্তরের ফলশ্রুতিতে প্রায় বিশ লক্ষ লোক মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিল। সে সময় মান্টোর মত সচেতন খুব অল্প লেখকই ঐসব মানুষের হৃদয়ের আর্তনাদ কে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন!

মানুষের প্রতিদিনের জীবন-সংগ্রামের ছবি আঁকতে মান্টো বেছে নিয়েছিলেন সাহিত্য। সাহিত্য বলতে মূলত ছোট গল্প। ছোট গল্পকে ‘ভয়ঙ্কর’ এক শিল্প মাধ্যম বলে তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন। তাই তার রচিত সাহিত্যের মধ্যে আমরা পেয়েছি সবচেয়ে বেশী ২৩২টি ছোট গল্প, ৫২টি বেতার নাটক, কিছু প্রবন্ধ ও একটি মাত্র উপন্যাস। তার ছোট গল্পগুলি উল্লিখিত সময়ের ভারত বর্ষের মানুষ, বিশেষ করে নারীদের জীবনকে, সমাজের চোখে যারা অন্ধকারের জীব, যারা অচ্ছুত, অপাংতেয়, অবজ্ঞার, ঘৃণার তাদেরকেই উপজীব্য করেছেন তার অসংখ্য গল্পের প্রধান চরিত্র হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি তৎকালীন রাজনীতিতে দেশকে মাতার ভূমিকায় উত্তরণের জন-তুষ্টি মূলক স্লোগানের বিপরীতে সমাজে মাতা বা নারীদের করুন বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরেই তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মান্টোর জন্ম ১৯১২ সালের ১১ই মে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার সোমরালা গ্রামে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে তার পূর্ব পুরুষ কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব হয়ে লাহোরে চলে আসেন ও সেখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। মান্টোর দাদা খাজা জামালুদ্দিন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পশমের ব্যবসায় প্রভূত সাফল্য লাভে সমর্থ হন এবং তা অমৃতসর ও বোম্বে পর্যন্ত প্রসারিত করেন। মান্টোর বাবা মৌলভী গোলাম হাসান পিতার প্রত্যাশানুযায়ী নিজেকে ব্যবসায় না জড়িয়ে সরকারী চাকুরীতে যোগ দেন। তিনি পাঞ্জাবের একজন পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

মান্টো অমৃতসরের মুসলিম হাই স্কুল ও হিন্দু মহাসভা কলেজে পড়ালেখা করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বহির্মুখী। একধরনের ভবঘুরে। স্কুলের বইয়ের বাইরের জীবন ও পৃথিবী তাকে ক্রমাগত আকর্ষণ করত। ফলে স্কুলের বই তাকে নির্দিষ্ট গণ্ডীতে আটকে রাখতে পারেনি। পারেনি বলেই স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াও ছিল তার জন্য এক কঠিন বিষয়। তিনি, তিন বারের চেষ্টায় এন্ট্রান্স (বর্তমান এস, এস, সি) পাশ করেন তাও তৃতীয় বিভাগে। বলা বাহুল্য যে উর্দু ভাষার এই অনন্য লেখক, এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সেই উর্দু ভাষায়ই ফেল করেছিলেন তিনি। মান্টো কিছুকাল আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশুনা করেন।

অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমেই মান্টোর লেখক জীবনের শুরু। তিনি প্রখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর (১৮০২-১৮৮৫ খৃঃ) ‘কয়েদীর ডায়েরি’ উর্দুতে অনুবাদ করেন। অনুবাদ করেন ইংরেজ সাহিত্যিক অস্কার ওয়াইল্ডের (১৮৫৪-১৯০০ খৃঃ) ‘বেয়ারা’। একই ভাবে অনুবাদ করেছেন রুশ সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখকদের নানা গল্প। ফরাসি গল্পকার মোপাসা, ইংরেজ সাহিত্যিক সমারসেট মম্‌, রুশ লেখক গোর্কির রচনা তাকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেছিল। চিন্তায়-চেতনায় তার ভেতরে সৃষ্টি করেছিল আধুনিক এক মান্টো যাকে আমরা পাই পরবর্তী কালে, তার ছোট গল্পে।

মান্টোর প্রথম গল্প ‘তামাসা’ বারি আলি সম্পাদিত উর্দু সাময়িকী ‘খাল্‌ক’ এর প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে সাপ্তাহিক ‘মোসাব্বির’ এর মালিক নাজির লুধিয়ানভি’র আমন্ত্রণে তিনি বোম্বাই চলে যান। সেখানে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। ১৯৪১ এ ‘মোসাব্বির’ এর চাকুরী ছেড়ে ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’তে ১৫০ টাকা মাসিক বেতনে নাট্য রচয়িতার চাকুরী নেন। ১৯৪২ এ ‘বোম্বে টকিজে’ গল্পকার-চিত্রনাট্যকার হিসেবে যোগদান করেন। বেতন ৫০০ টাকা। ইতিমধ্যে ১৯৩৯ সালে তিনি মায়ের পছন্দে সুফিয়া বেগম নামক এক তরুণীকে বিয়ে করেন।


১৯৪৭ এ দেশ ভাগের আগের গল্পঃ

মান্টোর লেখা অনেক গল্পের একটি গল্পের কথা বলি, নাম ‘কালো সালোয়ার’। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘সুলতানা’। সে একজন বারবনিতা। সময়কাল দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধের। সম্প্রতি সে আম্বালার সেনা ছাউনির পাশের কলোনি থেকে দিল্লীতে এসেছে তার পার্টনার খোদাবক্সের আগ্রহে। আম্বালায় সে খুব ভাল অবস্থায় ছিল, খদ্দের ছিল গোরা সৈন্যরা। ফলে আয় রোজগার ছিল যথেষ্ট। দিল্লীতে এসে সে খদ্দের পাচ্ছে না, রোজগার নেই, ফলে জীবন বাঁচাতে তাকে তার অলঙ্কার, তৈজস-পত্র সব বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। খোদাবক্সও তার ফটোগ্রাফির কাজ নিয়ে কিছু সুবিধা করে উঠতে পারছে না। সে ভীষণ মানসিক অস্থিরতার ভিতরে সময় কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় তার দেখা মেলে শঙ্কর নামের এক দালালের সাথে। সে এক ভীষণ হিসেবী, সংযমী চরিত্র।

তিন মাস কেটে গেছে, এসে পড়ে মহররম। এদিনে শোকের উদযাপনে তার চাই এক কালো সালোয়ার-কামিজ। সে সাদা দোপাট্টা ও কামিজ কালো রঙ করে নেয়। কিন্তু সালোয়ারের অভাব। কালো সালোয়ারের পাবে কোথায়! অনুরোধ করে শঙ্করকে তা যোগার করে দিতে। শঙ্কর বিনিময়ে তার কানের রুপার দুল দুটি চায়। সুলতানা তা দিয়ে দেয়। মহররমের আগেভাগেই তার হাতে কালো সালোয়ার চলে আসে। সেই শোকের দিনে যখন সুলতানার সাথে আরেক বারবনিতা মুখতার এর দেখা হয়, তারা পরস্পর আবিষ্কার করে যে মুখতারের সালোয়ার এসেছে সুলতানার কাছে আর সুলতানার দুল শোভা পাচ্ছে মুখতারের কানে। এই গল্পের মাধ্যমে মান্টো সমাজে নারীর বেঁচে থাকার যন্ত্রণা ও শোষণ কে চিত্রিত করেছেন। যার দায় কোন দেশ, নেতা বা রাজনীতিবিদ নিচ্ছে না। কিভাবে রাজনীতি, যুদ্ধ সব ছাপিয়ে মানুষের, বিশেষত নারীর প্রতিদিনের বেঁচে থাকার অন্তহীন সংগ্রাম তাকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে দিচ্ছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

“গাঞ্জে ফেরেশতে” বা “টাক মাথা ফেরেশতা” নামে মান্টোর একটি অসম্ভব মজার স্মৃতিচারণা মূলক গ্রন্থ আছে। খুব কম পাঠকই বইটির খবর রাখেন। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত বোম্বাইয়ের ফিল্মি-দুনিয়ার সঙ্গে কাহিনী ও চিত্ৰনাট্যকার হিসেবে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন মান্টো। তিনি বোম্বে টকিজের বেতনভূক্ত কর্মচারীও ছিলেন। ‘গাঞ্জে ফেরেশতে” সেই সময়ের বোম্বে চলচ্চিত্রের কুশীলবদের কাহিনী। কে নেই সেখানে, নায়ক অশোককুমার, সম্পাদক বাবুরাও প্যাটেল (ফিল্ম-ইন্ডিয়া), কবি-গীতিকার শাহির লুধিয়ানভি, পাকিজা-খ্যাত চলচ্চিত্রকার-চিত্রনাট্যকার-কবি কামাল আমারোহি, ‘তামান্না’ খ্যাত নায়িকা নার্গিস, ‘পুকার’ খ্যাত নায়িকা পরিরানি নাসিমবানু, কোকিলকণ্ঠী নুরজাহান, বিখ্যাত উর্দু লেখিকা ইসমত চুঘতাই এবং মহম্মদ আলি জিন্নাহর ব্যক্তিগত সোফার হানিফ আজাদ সহ অনেকেই। মান্টো এদেরই বলেছেন, “গাঞ্জে ফেরেশতে” (অর্থাৎ টেকো মাথা দেবদূত যা একই সাথে অকল্পনীয়, বিদ্রূপের, হাস্যরসে ভরা নিরেট বাস্তবতার গল্প)।

মোট ১৪টি অধ্যায়ে ভাগ-করা এই বইটি। এতে আছে হাসি-কান্না, বিভ্রাট-বিপত্তির নানা কাহিনী। আছে নতুন নতুন নানান তথ্য। যেমন, অশোককুমার ঘরে বক্সিং খেলতেন। বালির ঝুলন্ত বস্তা পেটানো ছিল তার রোজ সকালের কাজ। প্রতিদিন একজন-না-একজনের নাম উচ্চারণ করে তিনি ওই বালির বস্তায় ঘুষিগুলি প্রয়োগ করতেন। তার বাহুদ্বয় ছিল এত শক্তিশালী যে, জানালার শিক বাঁকা করতে পারতেন। কি ভাবে বোম্বাই টকিজের নবাগত নায়ক নাজমুল হাসান হিমাংশু রায়ের স্ত্রী তথা নায়িকা দেবিকারানিকে নিয়ে কলকাতা পালিয়ে যাওয়াতে নায়ক হিসেবে অশোককুমারের ভাগ্যের দরজা খুলে যায় তার গল্প।

এসব লেখার ফলাফল খুব সুখের হয়নি। কারণ একান্ত ব্যক্তি পর্যায়ের এসব ঘটনায় পাত্র-পাত্রীরা খুব ক্ষেপে গিয়েছিল মান্টোর উপর।


১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পরের গল্পঃ

দেশ ভাগের উপর মান্টোর লেখা একটি অসাধারণ গল্প ‘টোবা টেকসিং’। দেশ ভাগের দু-তিন বছর পর হঠাৎ দু-দেশের পাগলদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। হিন্দু ও শিখ পাগলদের ভারতে ও মুসলমান পাগলদের পাকিস্তানে পাঠানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়। এইসব পাগলদের মুখ দিয়ে মান্টো অবিশ্বাস্য বিবেচনা বোধ ও নানা ন্যায্য প্রশ্নকে সবার সামনে নিয়ে এসেছেন। যেমন এক পাগল বলছে, “পাকিস্তান বস্তুটি কি” বা “পাকিস্তান যদি হিন্দুস্তানের মধ্যে হয় তাহলে হিন্দুস্তান কোথায়”। অন্য এক পাগলকে যখন স্থানান্তরের জন্য ধরতে যায় তখন সে গাছের ডালে চড়ে বসে। সে বলে, “আমি হিন্দুস্থান বা পাকিস্তান কোথাও যেতে চাই না। আমি এই গাছের ডালেই থাকব”। গল্পের মূল চরিত্র সোবান সিং অনবরত প্রশ্ন করে যায় যে “টোবা টেকসিং” কোথায়। অনির্দিষ্ট এই স্থান কোথায় তার উত্তর কেউই দিতে পারে না। সোবান সিং তার পনের বছরের পাগলা গারদের জীবনে সবসময় দাঁড়িয়েই থেকেছে। তাকে কেউ কখনো শুতে দেখেনি। তেমনি অনেক চেষ্টা-তদবির করে যখন তাকে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হল, সে কিছুতেই তার পরিচিত ভূখণ্ড থেকে অন্য কোথাও যাবে না বলে স্থির হয়ে রইল। পরিণতিতে সে সারা রাত ভারত-পাকিস্তানের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ দাঁড়িয়ে থেকে ভোর বেলায় সূর্য উঠার আগে চিৎকার করে মারা গেল।

দেশ ভাগ যে মানুষের মধ্যে নানা অমীমাংসিত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, মানুষকে তার পরিচিত জল-বায়ু, পথ-ঘাট থেকে উচ্ছেদ করেছে, তাকে মানসিক-শারীরিক নিপীড়নের পথে ঠেলে দিয়েছে মান্টো তাকে সামনে নিয়ে এসেছেন এবং রাজনীতিবিদ-নেতাদের কাছে তার জবাব চেয়েছেন।

“লোকসানের সওদা” নামে মাত্র ছ’লাইনে লেখা মান্টোর আরেকটি পিলে চমকে দেওয়ার মত গল্প শুনুন। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ ও দাঙ্গা কিভাবে নারীকে পণ্যে পরিণত করেছিল এ তার গল্প - “দুই বন্ধু মিলে দশ-বিশ জন মেয়ের মধ্য থেকে একটা মেয়েকে বেঁছে বিয়াল্লিশ টাকায় কিনে নিল। রাত শেষ হলে পরে এক বন্ধু সেই মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার নাম কি’? মেয়ে তার নাম বলল। নাম শুনে সেই বন্ধু হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। বল্‌ল, “আমাদের তো বলল, তুমি অন্য ধর্মের”। মেয়েটি জবাব দিল, “ওরা মিথ্যে বলেছে”। এই কথা শুনে সে ছুটে তার অন্য বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল, “ওই হারামজাদা আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। চল, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে আসি”।

মান্টোর আরেকটি বিখ্যাত গল্প “ঠাণ্ডা গোশত”। কিভাবে ধর্মীয় জিঘাংসায় উন্মত্ত হয়ে ঈশ্বর সিং নামক এক শিখ তার কৃপাণ দিয়ে অচেনা অন্য পরিবারের ছ’জন কে খুন করে তাদের অপূর্ব সুন্দরী মেয়েকে কাঁধে করে তুলে নিয়ে আসে তাকে ভোগ করবে বলে। কিন্তু যখন নদীর তীরের এক শুনশান এলাকায় তাকে কাঁধ থেকে নামায় তখন দেখতে পায় যে মেয়েটি মৃত। সে লাশ হয়ে ঠাণ্ডা গোশতে পরিণত হয়েছে।

সত্য বলার, সত্যকে গল্পের মাধ্যমে সবার সামনে উন্মোচিত করার জন্য মান্টো ভারতে এবং পাকিস্তানে দুই জায়গাতেই হেনেস্থার স্বীকার হয়েছেন। সাহিত্যে অশ্লীলতার দায়ে তার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে। তাকে বারবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে।

মান্টো.১৯৪৮ এ ভারত ত্যাগ করে পাকিস্তানে গিয়ে ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ সম্পাদিত উর্দু দৈনিক ইম্‌রোজ এ কলাম লেখায় মনোনিবেশ করেন। ‘নাক কি কলাম’ ও ‘দেওয়ার পর লিখনা’ নামের শিরোনামে তিনি পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের ভণ্ডামির তীব্র সমালোচনা করে ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখতে শুরু করেন। রেডিওতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তিনি পাকিস্তান রেডিওতে স্থান পান নি। পাকিস্তান সরকার তাকে কমিউনিস্ট পন্থী বিবেচনা করে তার জন্য রেডিও পাকিস্তানের দরোজা বন্ধ করে রেখেছিলেন।

মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মান্টো মৃত্যু বরণ করেন। লাহোরে তাকে কবরস্থ করা হয়েছে। তার এপিটাফে লেখা আছেঃ
“এখানে শুয়ে আছেন সাদ’ত হাসান মান্টো যিনি এখনও মনে করেন যে সময়ের আখরে লেখা এই নাম দ্বিতীয় কারো নয়”।




রিয়াজ হক, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
Jsfn21@gmail.com




Share on Facebook               Home Page             Published on: 9-Mar-2022

Coming Events:





A day full of activities, games and fun.







Blacktown Lakemba Mascot