bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












আশীষ ভট্টাচার্যের ‘হ্যালো অস্ট্রেলিয়া’
রিয়াজ হক



আশীষ ভট্টাচার্য যিনি সিডনিবাসীদের কাছে আশীষ বাবলু নামে পরিচিত সম্প্রতি ‘হ্যালো অস্ট্রেলিয়া’ নামে তার একটি গল্পগ্রন্থ (তবে সবগুলিই গল্প নয়!) কলকাতার ‘মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল ২০২৫, ল্যাকেম্বা’র ধানসিঁড়ি রেস্তোরায় এই বইটির উপরে ‘দ্যা রিডারস ক্লাব’ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সূচিপত্রে গল্প ও অন্যান্য রচনার সংখ্যা বত্রিশ তবে ভেতরে তার সংখ্যা তেত্রিশ। কেন এরকম হল তা নিয়ে পরে বলছি। তার আগে আশীষের গল্পের ভেতরে ঢুকে পড়া যাক।


বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে

“বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে” এটি গ্রন্থের প্রথম গল্প। এ হল প্রেমে পড়ার গল্প। আশীষের ব্যাকরণ স্যারের কথায় এ হল বিশিষ্ট রূপে বাহন করার নাম “বিবাহ”রও গল্প। প্রেমে জুড়ে থাকে আদিগন্ত স্বপ্নের সম্ভার। বিবাহ-বাস্তবতায় তা মানব-মানবী কে স্বপ্নের সুষমা থেকে ধপাস করে মর্তের রুক্ষ কঠিন বাস্তবতায় নামিয়ে দেয়। প্রেমের সময় প্রেমিকের যে নাক ডাকার অভ্যাস কিশোর কুমারের গানের সুর বলে ভাবা যেত, বিয়ের পর তা প্রেমিকার কাছে উপদ্রব হয়ে ডাক্তারের প্রেস্কিপশনে এসে জায়গা নেয়। জীবন এমনই। প্রেমের সময়ের ভেসে ভেসে বেড়ানো মহানন্দের জীবন বিয়ের পরে একটি “অসম্পূর্ণ শাড়ি কেনার” সারা দিনের বিরক্তি ও বোঝায় পরিণত হয়! আশীষের কথায় জীবন এমনই “উল্টো দিকে বয়”।

এরকম প্রেম বা ভালোবাসার গল্প আছে অন্তত দশটি। যেমন ‘বৈশাখী মেলা ও বাসর রাত” এর গল্প। ঢাকার নূপুর ও সিডনির নীলের ফেসবুক-প্রেম, নীলের নূপুর দর্শনে তিন তিনবার ঢাকা যাওয়া-দেখা-ঘুরে বেড়ানো ও তারপর একদিন ফোন ও ফেসবুক থেকে তার ম্যাজিকের মত বিলীন হয়ে যাওয়া। সেই নূপুরের এরেঞ্জড ম্যারেজের পর সিডনি এসে স্ত্রী ও সন্তানের বাবা নীলকে খুঁজে পাওয়ার এক নির্মম বাস্তবতার গল্প।

এমনি ভালোবাসার গল্প আরো আছে। “দিঘির জলে কার ছায়া গো” যা আরিফ ও তিথির অদৃশ্য প্রেম ও বিয়ের গল্প। যে প্রেম দেখা যায় না কিন্তু উপলব্ধি করা যায়। এ প্রেম যেন “দৃষ্টি এড়ায়, পালিয়ে বেড়ায়, ডাক দিয়ে যায় ইঙ্গিতে”। তেমনি এক গল্পের নাম “বৈশাখী মেলা ও একটি হলুদ ব্যাগের গল্প”। দুটি অচেনা ছেলেমেয়ের ভালো লাগার, ভালো বাসার গল্প।“হঠাৎ দেখা”ও এ ক্যাটাগরিতেই পড়ে। চাকুরী জীবনের কলিগ ‘ফোরম্যান’ স্টুয়ার্ডের বোন লরেনের সঙ্গের এক রাতের সান্নিধ্য যেমন জীবনের নানা ঘাটে নিজেকে আবিষ্কারের কথা বলে। এ ধরনের সব গল্পগুলিই আমার কাছে ছোট বেলায় খাওয়া ’হাওয়াই মিঠাই’ এর মত মনে হয়েছে যা একটা ’সুখ সুখ’ আনন্দের অপূর্ব অনুভূতি এনে দেয়। এ অনুভূতি যেন ‘শেষ হয়েও হয়না শেষ’; যা ছোট গল্পের গল্প হয়ে ওঠার অন্যতম শর্তের মধ্যেই পড়ে।

“বৈশাখী মেলায় আরিফ ভাইয়ের গল্প” ও এক পুরনো ভালোবাসার কষ্টের গল্প। নিদারুণ “বিশ্বাসঘাতক” সময়ের গল্প। চল্লিশ বছর আগেকার যে সময়ের প্রেম ও তার অবারিত সৌন্দর্যকে বাস্তবে এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এ এক বুক চাঁপা হাহাকারের গল্প।


একজন জুয়াড়ি পুত্রের গল্প

আমাদের সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থাকে নিয়ে প্রশ্ন করার মত বেশ ক’খানি গল্পও আমার মনোযোগ কেড়েছে। তার একটি ‘একজন জুয়াড়ি পুত্রের গল্প’। এ আমাদের সাধারণের ধরা ছোঁয়ার বাইরের অন্য এক মানুষের গল্প। এই মানুষের নাম মুনির হোসেন। পেশায় জুয়াড়ু। সিডনির স্টার ক্যাসিনোতে যার সঙ্গে লেখকের সাক্ষাৎ ঘটেছিল। যিনি অঢেল অর্থের মালিক; যোগ বিয়োগের হিসেব করে যিনি জুয়া খেলেন না। যার একটি স্যুটের দাম হতে পারে নিদেন পক্ষে সত্তুর হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যার হোটেল সুইটের প্রতিদিনের ভাড়া বার হাজার ডলার। চল্লিশ বছর বয়সের এমন একজন অভাবিত ধনী মানুষের চেহারা, অভিব্যক্তি, আচরণ কে তিনি অত্যন্ত নির্মোহ ভাবে এ গল্পে তুলে ধরেছেন। যেখানে লেখক বলছেন, “এতদিন শুনে এসেছি কিছু লোক দেশে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন। সেই প্রচুর টাকার পরিমাপটা যে কত, মুনির হোসেনকে না দেখলে আমার মধ্যবিত্ত মানসিকতা কোনদিন আঁচ করতে পারতো না।”এ গল্প আমাদের এক অসম সমাজ ব্যবস্থার দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে।
‘বিবাহ ও বনানীর ফ্ল্যাটবাড়ি’ এমনি এক গল্প। এ গল্পের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে আমাদের সমাজ জীবনের চেহারা। যা সত্য, বাস্তব ও ক্ষেত্র বিশেষে কদর্য। আশীষের লেখা থেকেই কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরছিঃ

(এক) আমাদের দেশের অধিকাংশ বিয়ে হচ্ছে ন্যাটোর এয়ার স্ট্রাইকের মতো। দেয়া-নেয়ার হিসেবের খাতা। বিজনেস ডিল।
(দুই) আমাদের দেশে বিক্রি হয় না এমন কোন বস্তু নেই। হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল, দাম্পত্য জীবন, বুকের আবেগ থেকে চোখের জল সবই বিক্রি হয়।
(তিন) গরীবরা ভাঙ্গা ঘরে পেটায়, তাই সবাই দেখতে পায়। বড়লোকেরা ইটের দেওয়ালের মধ্যে পেটায় তাই সবাই দেখতে পায় না। মেয়ে হয়ে জন্মানোর কাহিনী সেকাল থেকে একাল অব্দি একই ধারায় চলছে।


ধানসিঁড়ি রেস্তোরায় আয়োজিত আলোচনা সভা

১৯৭১ এর মুক্তি যুদ্ধের সময়ের শেষ কন্সাল জেনারেল আর্চার কেন ব্লাড কে নিয়ে লেখা গ্যারি যে ব্যাসের গ্রন্থ ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ কে পাঠকের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ও একজন ন্যায়বান মানুষ হিসেবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরতে আশীষ যে গল্প বলেছেন তা এক কথায় অভূতপূর্ব। এ গল্প মানবতার পক্ষে আজও নীতিবান কিছু মানুষের বিবেকের সন্ধান দেয়। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় এ ধরনের মানুষ আজ আরও বেশি প্রয়োজন। যিনি সরকারের চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে বিবেকের প্রশ্নে অচল অটল থাকবেন। আর্চার ব্লাড যেমন ৭১এর পঁচিশে মার্চে আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া নির্বিচার হত্যাকে ‘গণহত্যা’ বলতে দ্বিধা করেন নি।

‘একদিন দেশে ফিরে যাব’ গল্পও আমাদের নিজেদের ভেতরের এক তীব্র দ্বান্দিকতার গল্প। কেন দেশ ছেড়ে এলাম, ওখানে ভালো ছিলাম না এখানে ভাল, এখানেই থেকে যাব না একদিন ওখানে (মানে দেশে) ফিরে যাব ইত্যাদি প্রশ্নে এখনও আমরা প্রবাসীরা অস্থির। চঞ্চল। এ প্রশ্নের আদৌ কোন মীমাংসা কি আছে না হওয়া উচিত! এসব নিয়ে আসিফ, ইফতেখার, জিয়া, লাভলি, রেহানাদের বাদ-প্রতিবাদ আমাদের প্রতিদিনের গল্প। পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে আশীষ অত্যন্ত দক্ষতার সাথেই আমাদের সব জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নগুলোকে এ গল্পে উত্থাপিত করেছেন।


হে কবি তোমাকে শ্রন্ধাঞ্জলি

আমাদের জীবন ও সমাজে যারা অবদান রেখেছেন এমন বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আশীষ লিখেছেন। যেমন লিখেছেন “মুখোমুখি’ নামে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এক কল্পিত সাক্ষাতকার, তেমনি লিখেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলামের শততম জন্মদিনে ‘হে কবি তোমাকে শ্রন্ধাঞ্জলি’ নামের এক হৃদয়স্পর্শি লেখা। দুটি লেখাই যথেষ্ট মেধা খাটিয়ে পরিশ্রম করে রচনা করেছেন। এজন্য তাকে অনেক বই পড়তে হয়েছে, নোট নিতে হয়েছে, চিন্তা করতে হয়েছে। আরও লিখেছেন ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’ নামে হুমায়ুন আহমেদ ও তার সাহিত্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু উল্লেখ করার মত এক রচনা।

গুণীজনদের নিয়ে লেখা এখানেই শেষ নয়। লিখেছেন, ‘হুমায়ুন ফরিদীর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা আড্ডার স্মৃতি’ যেখানে আমারা ঘরোয়া পরিবেশের এক সাধারণ হুমায়ুন ফরিদীকে দেখতে পাই। লিখেছেন স্বদেশ বার্তার নুরুল আজাদকে নিয়ে ‘খালি চোখে, অশ্রু চোখে’র নামের এক মনোমুগ্ধকর স্মৃতি কথা। লিখেছেন উজ্জ্বল হককে নিয়ে ‘সিডনির শাজাহান আর নেই’ নামে আবেগে আপ্লুত এক রচনা। এমন কি লিখেছেন ‘কায়েদ-ই-আজমের দুই স্ত্রী ও এক মেয়ে’ নিয়ে আমাদের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতার অন্দরের অপ্রচারিত এক মানবিক কাহিনী। এমন কি আশীষের লেখা ‘রন্টূদা’ নামের গল্পটিও এক সাধারণের অসাধারণ হয়ে উঠার পরিণতি পায় তার গল্প বলার স্টাইলে, পরিবেশ রচনায় ও ভাবনায়।

বইয়ের আলোচনার স্বল্প পরিসরে সব গল্প বা রচনা নিয়ে কথা বলা সম্ভব না। তাই আশীষের সমস্ত রচনাগুলোকে আমি মোটা দাগে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলেছি। একভাগে প্রেমের বা ভালোবাসার গল্প (বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে), একভাগে সমাজের বাস্তবতার নিরিখে লেখা গল্প বা রচনা (একজন জুয়াড়ি পুত্রের গল্প), অন্যভাগে আমাদের সমাজের গুণীজনদের নিয়ে লেখা কথা, কাহিনী, শ্রদ্ধাঞ্জলি যা আমি শুধুমাত্র ‘গল্প’ বলতে রাজি নই (হে কবি, তোমাকে শ্রন্ধাঞ্জলি)।

যে কোন শিল্পের শিল্প হয়ে ওঠার প্রধান অনুষঙ্গ তার পরিমিতি বোধ। গল্পকে গল্প হয়ে উঠতে গেলে যেমন তাকে থিম ও প্লট নিয়ে ভেবে নির্দিষ্ট পটভূমি তৈরি করতে হয়, চরিত্র আঁকতে হয়, দ্বন্দ্বের শুলুক খুঁজতে হয় তেমনি আবার তাকে আয়তনে সংক্ষিপ্ত, ভাবে অখণ্ড ও বোধে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে হয়। এখানেই ছোট গল্পের সার্থকতা। আশীষ সেসবের বিবেচনায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলাই যায়। আশীষ রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের সংজ্ঞাকে একেবারে হুবহু অনুসরণ করেছেন। তার গল্পের চরিত্র সাধারণ সব মানুষ, ছোট সহজ সরল বর্ণনা ও কথা দিয়েই তিনি তাদের আমাদের কাছে উপস্থাপিত করেছেন।

আশীষের সমালোচনা যদি করতেই হয়, তবে বলতে হবে আশীষ জীবনের প্রেম ও ভালোবাসাকে যতটা ভালো বেসেছেন ততটা বোধকরি জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম বা দুঃখ কে ভালবাসতে পারেন নি বা তিনি তা চান নি। জীবনানন্দের ভাষায় যাকে বলতে হয়, “কে হায়, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে”! যে জন্য আশীষের গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রাগৈতিহাসিক’ ধরনের গল্পের বা নরেন্দ্রনাথ মিত্রের “রস” গল্পের মত জীবনের আদ্যোপান্ত ছিঁড়ে খুঁড়ে জীবনযুদ্ধের গল্প রচিত হয় নি। তার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, আশীষ তা নিয়ে ভাবছেন না বা তা নিয়ে লিখবেন না।

আশীষের লেখায় রুচির পরিশীলিত রূপ আমি দেখেছি। দেখেছি তার লেখার কাব্যগুণ। তিনি যে একজন পড়ুয়া, তাও দৃশ্যমান তার গল্পের ছত্রে ছত্রে। তিনি অনায়াসে নানা লেখকের নানা বানীর যোগান দিতে পারেন। তাদেরকে গল্পের অনুষঙ্গ করে তুলতে পারেন। এ তার এক অসাধারণ কুশলতা। তার লেখার বড় গুন এ বাহুল্য বর্জিত, ঝরঝরে, মেদহীন। প্রয়োজনের বেশি একটি কথা বলতেও তিনি নারাজ। এ তার পরিমিতি বোধের পরিচয়কেই তুলে ধরে, যেখানে আমাদের খ্যাতি রয়েছে যে ‘আমরা থামতে জানি না’। আশীষের লেখায় প্রাণবন্ত হাস্যরসের বিপুল ছড়াছড়ি। এ গুনের অধিকারী হওয়া যার তার পক্ষে সম্ভব নয়।

আশীষের প্রতি যিনি অবিচার করেছেন, তিনি এই বইয়ের প্রকাশক। নিদারুণ অনাদরে এ বই ছাপা হয়েছে, নানা জায়গায় ছাপার ভুল আছে। তার চেয়েও বড় কথা একটি গল্পকে আরেকটির মধ্যে ঠেসে দেওয়া হয়েছিল (৫৭ পাতা দ্রষ্টব্য)। পরে বুঝতে পেরে তাকে তালি দিয়ে (গল্পের) শিরোনামের প্রকাশ ঘটাতে হয়েছে। যে কারণে সূচিপত্রে ঐ গল্পের (মায়ের ভাষা) উল্লেখ অনুপস্থিত থেকে গেছে। অথচ আমার বিবেচনায় ‘মায়ের ভাষা’ গল্পটি এ গ্রন্থের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গল্প। এ গল্প দিয়ে লেখক আমাদের জাতির শিকড়ের শক্তিকে উন্মোচন করতে চেয়েছেন। যা কিছু মাটি ও মানুষের তাকে বাদ দিয়ে কিভাবে আমরা আধুনিকতার নামে জীবন-বিস্মৃত হচ্ছি তাই এ গল্পের প্রতিপাদ্য। এরকম বহু গল্প আগামীতে আরও লেখার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

গ্রন্থের প্রচ্ছদের ক্ষেত্রে লেখক আরেকটু উদ্ভাবনশীল হলে গ্রন্থের প্রতি সুবিচার হত বলে মনে করি। প্রচ্ছদের রঙ জৌলুষহীন মনে হয়েছে। পাঠক হিসেবে উজ্জ্বল রঙ যতটা দৃষ্টি কাঁড়তে পারে তা এখানে পারছে না বলেই এ কথা বলছি। এ নিয়ে অবশ্য অন্য মত থাকতেই পারে!

গ্রন্থের নামের ক্ষেত্রে লেখক গল্পের বিষয়ের প্রতি নয়, মনে হয় পাঠকের দিকে তাকিয়েছিলেন। যে জন্য এখানকার বাঙালি কমিউনিটিকে সম্বোধন করে “হ্যালো অস্ট্রেলিয়া” বলেছেন। আমার ধারনায় গল্প গ্রন্থের নাম গল্পের শরীর থেকেই উঠে আসা উচিত তাহলে গ্রন্থে কি আছে তা নিয়ে পাঠক ভাবতে পারেন।

আশীষ আগামীতে তার লেখায় আরো বেশি করে মনোনিবেশ করুন। আমাদের আরও গল্প উপহার দিন এ প্রত্যাশা রইল। সমালোচনায় থেমে যাবেন না। কারণ কথায় আছে “সমালোচনার শীতল বাতাস সইতে পারা স্বাস্থ্যের লক্ষণ”।





রিয়াজ হক, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
Jsfn21@gmail.com




Share on Facebook               Home Page             Published on: 17-Apr-2025

Coming Events: