গল্পভাবমূর্তি! রিয়াজ হক
“আমার কি ধৈর্য শক্তি কমে গেল! মাথাটা ঝন ঝন করছে কেন? বুকের ভেতরে চৈত্র মাসের শুকনো ধূলি ঝড় বইছে কেন?”। গলাটা শুকিয়ে নিদাঘ বৈশাখের নিঃসীম দুপুর, এক গ্লাস পানি খাওয়া দরকার। “ধুর, এসব আমি কি চিন্তা করছি?” একটু আগেই না পানি খেলাম, গ্লাসটা তো এখনও সামনে, নিরীহ বোকা চেহারা নিয়ে দরজার কাছে এখনও মরিয়ম ঠায় দাঁড়িয়ে! ওই না আমাকে পানি এনে দিয়েছিল!
মাথায় একটা আলতো ঝাঁকুনি দিয়ে উত্তরের জানালা বরাবর বাইরের বহুদূর বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠের দিকে তাকান আইনুদ্দিন। ডক্টর আইনুদ্দিন মুন্সী। বসে আছেন তার বাবা-দাদার ভিটায়।
এ তল্লাটে মুন্সী বাড়ি কে চিনে না, তাদের কথা কেউ শুনে নি এমন আঙ্গুলে গুনেও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আইনুদ্দিনের দাদা তৎকালীন বৃটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সাহারানপুর জেলার পৌর শহর দেওবন্দের দারুল উলুম মাদ্রাসায় থেকে পড়াশুনা করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে। প্রাচীন পুঁথি সাহিত্যের মতই তার কোলকাতা- দিল্লি ভ্রমণের নানা গল্প-কাহিনী আজও অত্র অঞ্চলের লোকের মুখে মুখে ফিরে।
তার বাবা হসানুদ্দিন মুন্সী, বৃটিশ আমলের আই এ। এ তল্লাটে প্রথম। আই এ তে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য একটি নকশা করা কাঁচের প্লেট উপহার পেয়েছিলেন জেলা শিক্ষা বোর্ড থেকে। যা আজও তাদের লোহার সিন্দুকে তোলা আছে। প্রায় ৪৫ বছর অত্র এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার শুরু হয়েছিল বৃটিশ আমলে যখন চেয়ারম্যানের পদ কে ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করা হত। আড়ালে আবডালে লোকে বলে যে এই চেয়ারম্যানের পদ কে ব্যবহার করেই মুন্সী বাড়ির কয়েকশ বিঘা জমি-জমা ও বিপুল শান-শওকাতের উদ্ভব! তাই বলে জনগণ কে তিনি বঞ্চিত করেছেন এমন কথা কেউ বলতে পারবে না।
তার আমলে গ্রামের রাস্তা ঘাট, মাদ্রাসা, স্কুল, এতিম খানা সবই এগিয়ে গেছে সেই সাথেই স্ফীত হয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পদ। দুর্জনেরা সরকারী খাস জমি, যমুনার গর্ভে জেগে উঠা নতুন চর ও রিলিফ সামগ্রীর নয়-ছয়ের কথা ফিসফিস করে বলে থাকলেও তার স্বপক্ষে নিরেট কোন সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। ফলে এর কোনটাই মুন্সী পরিবারের নাম-ডাক বা আভিজাত্যের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কালিমা লেপনে সক্ষম হয় নি।
মুন্সী পরিবারের তৃতীয় পুরুষ ডঃ আইনুদ্দিন। আইনুদ্দিনের মাথা আজ নুইয়ে আসে তার বাবার প্রতি। কি বিচক্ষণই না ছিলেন তিনি! দশ দশটি ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা করিয়েছেন। প্রথম দুটি কন্যা সন্তান বাদে বাকীরা প্রত্যেকেই ন্যূনতম ম্যাট্রিক পাশ। এর মধ্যে দুজন ইঞ্জিনিয়ার, দুজন চিকিৎসক। এ কম কথা নয় যেখানে তার শরিকদের মধ্যে একজন ছাড়া কারও ছেলেমেয়েই হাই স্কুলের গণ্ডী পেরুতে পারে নি।
“দাদা, দুফুরে আইজ কি খাইবেন”? মরিয়মের মিহি কণ্ঠের জিজ্ঞাসায় সম্বিত ফিরে পান আইনুদ্দিন। এখানে আসার পর থেকে আজ প্রায় তিন মাস মরিয়মের নিরঙ্কুশ সেবায় সময় কাটছে তার। তের-চোদ্দ বছরের কিশোরী মরিয়ম। এই মরিয়মের নানা একসময় মুন্সী বাড়ির জমি বর্গা করত। এখন মরিয়মের বাবা সেই জমির দায়িত্বে। খুবই কর্মঠ। বিশাল দেহী পুরুষ। গ্রামের এতিম খানায় মানুষ। ঘর জামাই হওয়ার সুবাদে ধলাচর গ্রামই আজ তার ঠিকানা।
মাদ্রাসায় পড়ত মরিয়ম। আইনুদ্দিন নতুন করে এ গ্রামে পা রাখার পর জয়নালকে সন্তর্পণে ডেকে মাদ্রাসায় পড়ার ভবিষ্যৎ যে অনিশ্চিত, অন্ধকার; বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বুঝিয়ে মরিয়ম কে তার সার্বক্ষণিক সেবার বিনিময়ে লোভনীয় মাসহারা প্রাপ্তির সুবিধা দেখিয়ে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন। রান্না, কাপড় ধোয়া সহ ঘর গৃহস্থালির সব কাজ এক হাতেই করছে মরিয়ম। বিনিময়ে স্বাভাবিক ভাবেই কিশোরী মরিয়মের শ্রমের উপার্জন চলে যাচ্ছে পিতা জয়নালের ট্যাঁকে।
‘আমার বাবা’, অস্ফুট স্বরে বলে কেমন আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন আইনুদ্দিন! ছেলে বেলায় দাদীর মুখে গল্প শুনেছেন; গ্রাম থেকে দশ মাইল দূরের হাই স্কুলে দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় জায়গীর থেকে বাবা পড়াশুনা করেছেন। দাদা ছিলেন সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক টাইপের সরল সোজা মানুষ। বিষয় আশয় জমি জমা নিয়ে তার কোন ভাব-ভাবনা ছিল না। ওয়াজ নসিহত, দোয়া-মিলাদ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। সেই দাদার বড় সন্তান তার বাবা শূন্য থেকে তিনশ বিঘা ধানী জমি, প্রাচীর তোলা বিশাল চৌচালা বসত বাড়ী, গোলা ঘর, বৈঠক খানা, মসজিদ, শান বাঁধানো দিঘী, দিঘীর পাড় ধরে নানা জাতের ফলমূলের গাছ সব মিলিয়ে যা করেছেন তা নিয়ে রীতিমত গর্ব করা যায় বলে নিজের অজান্তেই নড়ে চড়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসলেন আইনুদ্দিন।
“দাদা, বললেন না, কি খাইবেন”? মাছের মত শীতল স্থির চোখে মরিয়মের দিকে তাকান তিনি। ‘ছোট মাছ, সবজি, ডাল’ বলে আবার অনিঃশেষে নিজের ভেতর ডুব দেন।
মানুষের জীবন বড় বিচিত্র। কখনো ভাবেন নি, চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ছেঁড়ে যাওয়া এই নিভৃত গ্রামে আবার কোনদিন ফিরে এসে বাস করবেন! সেই যে পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪ সালে গ্রাম ছেঁড়ে ঢাকায় যেয়ে বড় বোনের বাসায় উঠেছিলেন, এরপর ছুটিছাটায় গ্রামের বাড়িতে এসেছেন মাত্র।
ছেষট্টি তে বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে উনসত্তর এ উচ্চতর পড়াশুনার জন্য দেশ ত্যাগের পর এক এক করে কেটে গেছে পচাত্তুর বছর। স্থিত হয়েছিলেন আমেরিকায়। হঠাৎ ঢাকা থেকে ছোট বোনের মারফত খবর পেলেন যে দেখভালের অভাবে গ্রামের জমিজমা সব বেহাত হয়ে যাচ্ছে। আরও বড় কথা, এক চাচাতো ভাই দীর্ঘ দিন মধ্যপ্রাচ্যে কাটিয়ে দেশে ফিরে জমির ভাগীদার হিসেবে বসত বাড়ির ভেতর দাগ কেটে গেছে। বলেছে পিতামহের সূত্রে এর অর্ধেক অংশ তার বা তাদের প্রাপ্য। এসব শুনে আর স্থির থাকতে পারেন নি আইনুদ্দিন। এই সেই চাচাত ভাই যাকে কিনা পড়ালেখার খরচ যুগিয়েছেন তার পিতা এখন সেই কিনা দাবী করছে তাদের বসত বাটি! তবে জমির দলিল, পর্চা, খতিয়ান, দাগ নম্বর অর্থাৎ একটি জমি কে বুঝতে যা যা দরকার সে অনুযায়ী এর বড় একটা অংশ যে তার পিতামহের নামে তা দেখে চমকে গেছেন আইনুদ্দিন। তারপরও কৃতজ্ঞতা বোধ বলে একটা কথা তো আছে। চাচা তোকে পড়ায়নি! কিভাবে তা ভুলে জমির অংশ নিতে আসিস! নিজের মনে মনে কথা বলে একরকম উত্তেজনায় ভুগতে থাকেন তিনি। এমন সময় আইনুদ্দিনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী, পাহারাদার, গ্রামের মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংযোগের ভিত্তি আতরাব এসে সালাম দিয়ে দরজার গোঁড়ায় দাঁড়ায়। -চাচা মিয়া, মাস্টর সাব আসছে। বাইরে বৈঠক খানায় বসছে। মাস্টার সাব মানে গ্রামের স্কুলের প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ স্কুলটি অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে সরকারী নেতা-আমলা-কর্মচারী ধরে, দিনের পর দিন লেগে থেকে তার অল্প বয়সে বিধবা হওয়া বড় বোন তাদের পৈতৃক জমিতে বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। বোনটি গত হয়েছে বেশ কয় বছর। অসম্ভব সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল এই বোন। বাবার মতই সে ছিল বিচক্ষণ। জানত কি ভাবে মানুষের মনের কথা পড়তে হয়। বাবার চেয়েও বড় যে গুন তার ছিল তা হল ধনী-গরীব সবার সঙ্গে মিলে যাওয়ার অসম্ভব ক্ষমতা। মনে হয় এই গুনটি সে পেয়েছিল তার সরল ভোলা ভালা নিরক্ষর মায়ের কাছ থেকে। গ্রামের সব মানুষের কাছে সে ছিল সবার প্রিয় ফুপু। এখনও প্রতিটি মানুষ তার কথা স্মরণ করে। কিন্তু তার জীবদ্দশায় বিদেশে বসবাসরত আইনুদ্দিন কোনদিন তেমন করে জানতে বা বুঝতে পারেনি তার এই বোনের এতসব গুনের কথা। যখনই বোন এসব জমি-জমা, স্কুল-মাদ্রাসা-এতিমখানার কথা বলত সে তত গায়ে লাগাত না। খালি বলত, আপনার যা ইচ্ছা করেন বুবু! গ্রামে ফিরে এসে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের চিন্তা কোন দিনও তার মাথায় তেমন ভাবে কাজ করেনি। গত তিন মাসে গ্রামে থেকেই কেবল তিনি তার প্রয়াত বোন সম্পর্কে এত কিছু অবগত হয়েছেন। সে যাক। তিনি চাইলেও তো আর বোনের মত হতে পারবেন না। আর সেটা তিনি চানও না। তাকে গ্রামের সবাই দূর থেকে সমীহ করে, কাছে আসতে দ্বিধা করে। কিছুটা ভয়ও যে পায় তা তাদের আচরণ থেকে নির্ঘাত বলা যায়। তিনি এ ভয়টাকে অদৃশ্যের আড়ালে প্রবল ভাবেই দৃশ্যমান রাখতে চান। ভীতি থেকেই মানুষের প্রতি অবিমিশ্র শ্রদ্ধা আসে বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করেন!
- আসছি। বলে নিভৃত চিন্তার অতীতকে পুনরুজ্জীবনের অপেক্ষায় রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান আইনুদ্দিন। ধীর পায়ে বৈঠক খানার দিকে অগ্রসর হন।
-জোরে কাশি দিয়ে এগুতেই বৈঠক খানা থেকে বেড়িয়ে আসেন মাস্টার ইমান আলী। -সালাম চাচা মিয়া। আমারে ডাকছেন, বলে বিনীত প্রশ্ন-কাতর চোখে তাকান ড: আইনুদ্দিন মুন্সীর দিকে।
হাতের ইশারায় ইমানুদ্দিন কে বেঞ্চে বসতে বলে নিজে বড় আরাম কেদারায় যেয়ে বসেন। ঘরে ওই একটিই চেয়ার আর তিনটি বড় বেঞ্চ ও একটি বড় চৌকি। মুন্সী বাড়ির গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আর কারো অধিকার নেই ঐ চেয়ারে বসা। এটা এমন কি এ গ্রামের ন্যাংটা শিশু পর্যন্ত জানে।
-হ্যাঁ। তোমারে আসতে বলছি কারণ আগামী সপ্তাহে বিপ্লব আসাতাছে শুনলাম। ও আমার চাচাত ভাই হলেও ওকে আমার চেয়ে তোমরা ভাল চিন। ওকে আমি ছোট থাকতে দেখেছি। এখন তার কিছুই মনে নাই। আরো শুনলাম সে নাকি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরদের হাত করে ও ঐ পারের খাঁ-পাড়ার ষণ্ডাদের সাথে মিলে জমির দখল নিতে আসবে!
-চাচা মিয়া, কিছু মনে করবেন না এই বিপ্লব বড় গোয়ার কিসিমের লোক। মুন্সী বাড়ির মানুষের জ্ঞান-গরিমা, আদব-কায়দা কোন কিছুই ওর সাথে যায় না। সে সব কিছু করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এই গ্রামের স্কুল ও থানার কলেজ থাইকাই তো লেখাপড়া করছে ওর বন্ধুবান্ধবরাই এখন এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বর। কাজেই ওর সঙ্গে পারণ বড় কঠিন। আফসোস আইজ ফুপু বাইচা থাকলে এইসব কিছুই করার সাহস পাইত না। ফুপু বাইচা থাকতে মিডল-ইস্ট যাওয়ার আগেও একবার আইছিল। তখন আমি খবর দিয়া ঢাকা থাইকা ফুপুরে নিয়া আসছিলাম। ফুপু খালি যাইয়া ‘ভাই’ বইলা হাত ধইরা ওরে নিয়া আইসা ঘরে বসাইছিল। ব্যস, চা-পানি, দুফুরের খাবার খাইয়া বিদায় হইছিল। যাওয়ার সময় ফুপু তারে এক মন ভাতের চাউল ও কিছু লাও-কুমড়া-বেগুন বাইন্ধা দিছিল। লোক দিয়া আমিই ওইগুলা স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাইয়া দিছিলাম।
-শুনো ইমানুদ্দিন, ওরে আমার বাপ পড়াইছে। বিপদে আপদে নানা সাহায্য করছে। আর ওর বাপ মানে আমার চাচা ছিল একজন বাউন্ডুইলা। না ছিল সংসারের প্রতি খেয়াল না ছিল ছেলেমেয়ের লেখা পড়ার প্রতি কোন নজর। আমার বাপই উনার সংসার চালাইত। বড় কথা, আমার বাপের ঘামের রক্তের বিনিময়ের এইসব সম্পত্তি। এইগুলা আকাশ থাইকা পড়ে নাই। এইগুলা কাউরো দয়ার দানও না। চাইলেই তো হয়না। আমি জীবিত থাকতে ওরে জমির ত্রিসীমানায় আসতে দেওয়া যাইব না। তুমি ডাকাতের চরের হরমুজ রে খবর দাও। ওরে বল দশ বারো জন লোক ও যন্ত্রপাতি নিয়া আগামী সোমবার আমার এইখানে চইলা আসতে। এইখানে থাকব-খাইব। যত টাকা চায় পাইব। বিপ্লব আসা ও না যাওয়া পর্যন্ত ওরা আমার মেহমান। থানার ওসি রে আমার সালাম পাঠাও। আর আমি ঢাকায় আমার বন্ধু বান্ধব পরিচিত জনদের দিয়া ডিসি-এসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সবাইরে ফোন দিয়া রাখতাছি।
- চাচাজান! এক রকম আতঙ্কগ্রস্ত স্বরে ডেকে উঠেন মাস্টার সাহেব। -অপরাধ নিয়েন না। এই অবস্থায় যদি বিরাট কোন গণ্ডগোল হয়, কোন খুন-খারাপি হয়, লাশ পড়ে একবার ভাবেন কেমুন হইব চারদিক, গ্রামের অবস্থা! বলে হতাশা ও ভয়ে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে ইমান আলী। - হেই মিয়া, তুমি খুন-খারাপি লাশ দেখ, গ্রামের অবস্থা দেখ কিন্তু আমার অবস্থাটা দেখ না! মুন্সী বাড়ির ইজ্জত দেখ না। এই বাড়ির ও আমার যে একটা ভাবমূর্তি আছে তা বোঝ, নাকি বোঝ না! কি ভাবে তোমার মত একটা দুর্বল প্রাণের ভীতু লোকরে আমার বইন হেড মাস্টর বানাইছিল আল্লাই জানেন বলে গজরাতে গজরাতে সটান উঠে দাঁড়ান আইনুদ্দিন। রাগে অনিয়ন্ত্রিত কাঁপতে থাকেন পচাত্তুর বছর বয়সের সর্বোচ্চ শিক্ষিত অভিজাত পরিবারের ডঃ আইনুদ্দিন মুন্সী।
রিয়াজ হক, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া, Jsfn21@gmail.com
|