bangla-sydney













ডাইরির পাতা থেকেঃ
নিজামুদ্দিন উজ্জ্বলের সঙ্গীত সন্ধ্যা
মোহাম্মদ আবদুর রাযযাক


মাস তিনেক আগে, সম্ভবতঃ জুলাই মাসের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে, সিডনির বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী নিজামুদ্দিন উজ্জ্বলের একটা টেলিফোন কল পেলাম। সে জানালো সিডনিতে সে এবং তার বন্ধুরা একটি ঘরোয়া গানের আসরের আয়োজন করতে যাচ্ছে এবং সে অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত। অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র ‘আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য;’ এর জন্য কোন টিকিট কিনতে হবে না। তবে অনুষ্ঠানটি ঠিক বিনামূল্যে নয়, বিনিময়ে আয়োজকরা শ্রোতাদের দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করে। শিল্প কি দাম দিয়ে কেনার কোন পণ্য? ভাবা এবং ভাবানোর মত কঠিন এবং অনেকটা দার্শনিক প্রশ্ন, তবে আমি নিশ্চিত, আমন্ত্রিত হয়ে যারা এই দরবারী আয়োজনটি উপভোগ করেছেন তারা উচ্চ অর্থ মূল্যের বিনিময়ে হলেও এ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে দ্বিধা করতেন না।

যতটুকু মনে পড়ে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি উজ্জ্বলের ফেসবুকে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিতব্য একটা সঙ্গীত সন্ধ্যার ঘোষণা নজরে এলো - “কিছু গান কিছু কথা কিছু সুর নিয়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ……” - ডাইরির পাতা থেকে। অনুষ্ঠিত হবে হার্স্টভিল সিভিক সেন্টার মঞ্চে ১৪ ই অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল আজ থেকে ১৬ বছর আগে, ২০০৭ এর ২৮ জুলাই তারিখে বারউড ফাংশন সেন্টারে সিডনি শহরে তরুণ গায়ক উজ্জ্বলের প্রথম একক সঙ্গীতসন্ধ্যা্র কথা। তিন টগবগে তরুণ সঙ্গীত প্রেমী - নিজামুদ্দিন উজ্জ্বল আল খসরু (ভোকাল), ইয়াসের পারভেজ মিহির (তবলা) এবং জাহিদ ইসলাম সোহেল (গিটার)- এর গানের দল ‘তিলক কামোদ’ পরিবেশিত সেই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে তার একটা নতুন এবং ব্যতিক্রমী পরিচিতিও মিলেছিল ‘বাঘের বাচ্চা’ হিসেবে। গত ষোল বছরে সেই বাঘের বাচ্চা আর তার দুই তরুণ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী বন্ধু বাচ্চার বাবা হয়ে গেল, কিন্তু তারা আর উজ্জ্বলের একক গানের কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করল না। এখানে সেখানে, বিশেষ করে পথ প্রোডাকশন্স আয়োজিত জলসা’র কয়েকটি অনুষ্ঠানে সেই ‘বাঘের বাচ্চা’র সীমিত সংখ্যক গান শোনার সুযোগ হয়েছে; কিন্তু মোটেই মন ভরে নি, বরং তৃষ্ণা বেড়েছে। উজ্জ্বল তো প্রধানতঃ উচ্চাঙ্গ এবং রাগ প্রধান গান করে থাকে; ‘জলসা’র মত পাঁচমিশেলি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাণ ভরে সে সব গান শোনার সুযোগ কোথায়? জলসা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, আনন্দদায়ক এবং সিডনি-বাসীদের প্রিয় অনুষ্ঠান; কিন্তু এ অনুষ্ঠানের ধরণ বারোয়ারী – অনেকটা বিচিত্রানুষ্ঠানের মত। এখানে বিভিন্ন কণ্ঠশিল্পীরা আলোকোজ্জ্বল, চোখ ধাঁধানো মঞ্চে দাঁড়িয়ে বা বসে বিভিন্ন ধরণের গান করেন, গানের সাথে অনেক বাদ্যযন্ত্রী বিভিন্ন যন্ত্র সঙ্গত করেন এবং নৃত্যশিল্পীরা তাদের নৃত্য পরিবেশন করেন। দেখতে না চাইলেও মঞ্চে বিভিন্ন শিল্পীর উঠানামা দেখতে হয়। এই অনুষ্ঠানের মেজাজ উজ্জ্বল যে ধরণের গানের আসরে বসে গান শোনাতে ভালবাসে তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। তার গানের আসর যেন একটা বড় পরিসরের বসার ঘর, যেখানে কিছু নির্বাচিত অতিথির সামনে মোলায়েম আলোতে শিল্পী নিজের পছন্দের এবং তার নিমন্ত্রিত অতিথিদের অনুরোধের গান গাইবে, সীমিত সংখ্যক বাদ্যযন্ত্রী তার গানের সাথে সঙ্গত করবে, শ্রোতারা সেই সব গানকে তাদের হৃদয় দিয়ে অনুভব করবে এবং অনুষ্ঠান শেষে অনির্বচনীয় মানসিক প্রশান্তি নিয়ে ঘরে ফিরে যাবে। আমি সঙ্গীত-বোদ্ধা নই; তবে একজন খুবই মনোযোগী সাধারণ শ্রোতা। আমি গান শুনতে ভালবাসি; শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে গান যত সহজে মানুষের অনুভূতিকে স্পর্শ করে অন্য কোন মাধ্যম তা পারে না। সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা – জীবনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী একটি গান আমার মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে, দুঃখ ভুলিয়েছে, আনন্দে মন ভরে দিয়েছে, মনে অনাবিল প্রশান্তি এনে দিয়েছে।

আমরা জানি, সঙ্গীতের প্রধান চারটি উপাদান, কথা, সুর, যন্ত্রানুসঙ্গ ও গায়কী। এই মূল উপাদানগুলোর সুষম সমন্বয় না ঘটলে গান কখনো সমৃদ্ধ, হৃদয়গ্রাহী, এবং কালোত্তীর্ণ হতে পারে না। জলসা অনুষ্ঠানে এবং কখনো সখনো FACEBOOK এ পোষ্ট করা উজ্জ্বলের সীমিত সংখ্যক পরিবেশনা থেকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম উজ্জ্বল সাধারণতঃ যে সব গান গেয়ে থাকে সে সব গানের কথা বা বাণী অত্যন্ত সুন্দর এবং অর্থবহ; গানের সুর মন ছুঁয়ে যাওয়া; আর যন্ত্রানুসঙ্গ বাহুল্যবর্জিত, পরিমিত এবং হৃদয়গ্রাহী। কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল তার গায়কী, তার গানের প্রধান শক্তি যার মাধ্যমে সে তাঁর কণ্ঠের জাদু দিয়ে গানকে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। উজ্জ্বলের গায়কী, পরিবেশনা, সবই এখন অনেক বেশী পরিণত এবং পরিশীলিত হয়েছে। মনে হয়েছে সময় নিয়ে বর্তমান সময়ের পরিণত উজ্জ্বলের গান শুনতে পারাটা একটা অত্যন্ত ভালোলাগার ব্যাপার হবে। কিন্তু বার বার মনে হয়েছে – আমাদের এই প্রিয় শিল্পী কেন আর একক গানের অনুষ্ঠান করছে না? সে কি জানে না তার এবং তার বন্ধুদের পরিবেশনা সিডনি-বাসীকে কতটা টানে? আমরা যে এক বৈঠকে তার কণ্ঠের অনেকগুলো গান শুনতে চাই!

অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার আগেই হার্স্টভিল সিভিক সেন্টার মিলনায়তনে গিয়ে হাজির হলাম। হলে ঢুকেই মনে হয়েছে এটা অন্য রকম আয়োজন। মঞ্চ সজ্জায় কোন বাহুল্য নেই, কিন্তু আছে এমন একটা নজর কাড়া মোলায়েম স্নিগ্ধতা যা মনে তাৎক্ষণিক প্রশান্তি এনে দেয়। দর্শক শ্রোতাদের মাঝে আমার মত আশী ছুঁই ছুঁই প্রবীণ মানুষ থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের কিছু তরুণ তরুণীকেও দেখতে পেলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবার কথা থাকলেও গানের আসর আসলে শুরু হল সাতটা বেজে পাঁচ মিনিটে। নিজামুদ্দিন উজ্জ্বল তার দলবল নিয়ে আমার এবং আমার মত আরো অগণিত শ্রোতাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ করল। একেবারে খান্দানী বৈঠকি ঢঙ্গে কন্ঠশিল্পী উজ্জ্বল নিজে হারমোনিয়াম বাজিয়ে তার বন্ধু চার বাদ্যশিল্পী নীলাদ্রি, (কি-বোর্ড), সোহেল খান (একস্টিক গিটার), সুবীর গুহ (তবলা) এবং মিহির (তানপুরা, তবলা/ঢোল) কে নিয়ে সিডনি-বাসীদের উপহার দিল একটি অবিস্মরণীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘ডাইরির পাতা থেকে’। তবে এবারের অনুষ্ঠানের আয়োজক ২০০৭ এর ‘তিলক কামোদ’ নয়, উজ্জ্বল এবং তার চার সঙ্গীর ‘সিডনি মিউজিক ক্লাব’। অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালিকা নায়না (মিসেস ইয়াসের পারভেজ মিহির) ‘ডায়রির পাতা থেকে’ নামকরণের কারণ জানালো। ধনী-নির্ধন, মহিলা-পুরুষ, ছোট-বড় সব মানুষেরই দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য একটা ডাইরি থাকে যার পাতা ওল্টালে সে নিজেকে খুঁজে পায়। তাদের অনুষ্ঠানে ‘সিডনি মিউজিক ক্লাব’ সেই ডাইরির পাতা খুলে শ্রোতাদেরকে নিজেদের খুঁজে পেতে সাহায্য করতে চায়! নায়না মোটেও ভুল বলেনি, তার বিভিন্ন গানের মধ্যে দিয়ে উজ্জ্বল সে রাতে হার্স্টভিল সিভিক সেন্টার হলের প্রতিটি শ্রোতার সামনে সেই ডাইরির কোন না কোন পাতা উল্টে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে; গান শুনতে শুনতে প্রতিটি শ্রোতার মনে হয়েছে “আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো”!

অনুষ্ঠানের মধ্যমণি, শিল্পী নিজামউদ্দিন উজ্জ্বল তার দরাজ গলায় গান গাওয়া শুরু করলো - অনুষ্ঠানের প্রথম গান কালজয়ী নজরুল গীতি “আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী এ কোন সোনার গায়”। উজ্জ্বল খুব ভালোভাবেই জানে যে পরিবেশনাটাই মূলতঃ বৈঠকি গানের আসরের প্রাণ। আর সে কথা মনে রেখে ও তার গান পরিবেশনার একটা নিজস্ব স্টাইল তৈরি করে নিয়েছে। ও একটা গান শেষ করে পাশে রাখা ফ্লাক্স থেকে নিয়ে এক চুমুক গরম পানিতে গলা ভেজায়, তারপর মিষ্টি হেসে অত্যন্ত সুন্দর করে গানের পেছনের ছোট্ট গল্পগুলো বলে, সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার- রচয়িতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, তারপর আরেকটা গান ধরে। ও জানালো ওর ডাইরির পাতায় নাকি সাড়ে চার হাজার গান রয়েছে! আর তার মাঝ থেকে শ্রোতাদের অনুরোধ, গায়কের নিজের পছন্দ এবং দৈব চয়নের ভিত্তিতে পছন্দ করা কিছু গান সে আমাদের গেয়ে শোনাবে।

১৪ অক্টোবরের সেই মনোরম সন্ধ্যায় ক্লাসিকাল গানে পারদর্শী উজ্জ্বল অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে আমাদের শোনাল বিভিন্ন মেজাজের অনেক বাংলা গান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শুনলাম উর্দু এবং হিন্দি গান এবং গজল। শিল্পীর সবচেয়ে বড় মুনশিয়ানা ছিল গান নির্বাচন। সে শুনিয়েছে নজরুল গীতি, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবাংলার আধুনিক গান, এবং গজল। নিয়াজ মোহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শচীনদেব বর্মণ, জগজিৎ সিং এবং অন্যান্য অনেক শিল্পীর গাওয়া বেশ কিছু কালজয়ী গান সেদিনের সান্ধ্য আয়োজনে উজ্জ্বলের কণ্ঠে নতুন করে প্রাণ পেয়েছিল। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে – সন্ধ্যে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত - গাওয়া সবগুলো গান ছিল বাংলায়। বহুদিন পর উজ্জ্বলের ভরাট কণ্ঠে তার নিজের এবং আমার মত অনেক শ্রোতার প্রিয় শিল্পী সাইফুল ইসলামের ‘তুমি সন্ধ্যাকাশের তারার মত আমার মনে জ্বলবে’ (কথাঃ জনাব মুসা আহমেদ, সুরঃ জনাব আজমল হুদা মিঠু), এবং নিয়াজ মোহম্মদ চৌধুরীর আজ এই বৃষ্টির কান্না শুনে (কথা: কাওসার আহমেদ চৌধুরী, সুর: লাকী আকন্দ) গান দু’টো শুনে খুব ভালো লাগল। সাড়ে আটটায় ঘোষণা করা বিশ মিনিটের বিরতি ত্রিশ মিনিট পরে শেষ হয়ে রাত ন’টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হল। এ পর্যায়ে রাত দশটা পনেরো পর্যন্ত শিল্পী আমাদের শোনাল উর্দু এবং হিন্দি গান/গজল। সময় কম, দর্শক-শ্রোতার কাছ থেকে বিভিন্ন গানের অনুরোধ আসছে। কিন্তু খোশমেজাজী শিল্পী কারও অনুরোধ উপেক্ষা করছে না। ফলে এ পর্যায়ের কোন গানেরই পুরোটা শুনতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও উজ্জ্বলের কণ্ঠে আমরা শুনলাম তার নিজের পছন্দের এবং শ্রোতাদের অনুরোধের বিভিন্ন ঘরানার অনেক কালজয়ী গান এবং গজলের অংশ বিশেষের সমন্বয়ে তৈরি সুগ্রন্থিত মেডেলি (Medley)। অনেকের মত আমার কাছেও তার Medley র গ্রন্থনা খুবই ভালো লেগেছে। শিল্পীর ভরাট কণ্ঠ এবং গলার সূক্ষ্ম কাজ সমৃদ্ধ এই মেডেলিতে সুরের মীঢ়, গমক, মূর্ছনা এবং বাদ্যযন্ত্র সঙ্গত উপস্থিত শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করে রাখে, তাঁর সুরের মূর্ছনা তাদেরকে আপ্লুত করে। আমন্ত্রিত দর্শক-শ্রোতারা দাঁড়িয়ে শিল্পীদের সম্মান জানান এবং হাততালির মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। সিডনির আরেক শিল্পী রুমানা ফেরদৌস লনী মঞ্চে উঠে এসে শিল্পী উজ্জ্বলকে একটি উত্তরীয় এবং ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান জানান।

রাত সোয়া দশটায় যখন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হল, তখন মনে হল এমন সুন্দর একটা সন্ধ্যায় বড় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হলেও একটা নির্ভেজাল ভালোলাগার আবেশ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখল। অনুষ্ঠানের মঞ্চসজ্জা, আলোক এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণ শ্রোতাদের দৃষ্টি এবং শ্রবণে প্রশান্তি দিয়েছে। অহেতুক এবং বিরক্তিকর বক্তৃতার অনুপস্থিতি, শ্রোতাদের একাগ্র মনোযোগ, নীরবতা আর সেল্ফি তোলা থেকে বিরত থাকার প্রবণতা অনুষ্ঠানটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছিল। উজ্জ্বলের সহধর্মিণী শিখা, অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা নায়না এবং মঞ্চের আড়ালে থাকা তাদের অন্যান্য সাহায্যকারীদের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ; তারা অনুষ্ঠানটিকে মনোগ্রাহী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি নিশ্চিত,‘ডাইরির পাতা থেকে’ অনুষ্ঠানের সামগ্রিক পরিবেশ, উপস্থাপনা এবং গান শোনানোর আয়োজন শ্রোতাদের দীর্ঘদিন মনে থাকবে। সিডনি-বাসীরা সত্যিই অনেক দিন এমন পরিচ্ছন্ন গানের অনুষ্ঠান দেখেনি। অনবদ্য ভালোলাগার “ডাইরির পাতা থেকে” অনুষ্ঠানের একজন শ্রোতা হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।




মোহাম্মদ আবদুর রাযযাক, সিডনি



Share on Facebook               Home Page             Published on: 5-Nov-2023

Coming Events: