| প্রতীতির বর্ষবরণ ১৪২১ গত ১০ই মে শনিবার প্রতীতি বর্ষবরণ ১৪২১ উপলক্ষে “স্পন্দিত হবে আলোক অন্ধকার” শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি তিনটি  পর্বে বিভক্ত ছিল।
 
 প্রথম পর্বে ছিল পঞ্চ-কবির গান। এ পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,  কাজী নজরুল ইসলাম,  ডি এল রায়,  অতুল প্রসাদ সেন ও রজনীকান্ত সেন এর গান পরিবেশন করে প্রতীতির সদস্যরা।সম্মেলক গানের মধ্যে অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো,  গরব মম হরেছ প্রভু,  অনেক দিনের শূন্যতা মোর,  শূন্য হাতে ফিরি হে,  মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি,  প্রভাত বীণা তব বাজে,  আমি চিনি গো চিনি তোমারে,  দেলো সখী দে, কান্না-হাসির দোল দোলানো,  জাগো অমৃত পিয়াসী চিত আত্মা অনিরুদ্ধ-এসব গান ছিল উল্লেখযোগ্য।
 
 প্রভাত বীণা তব বাজে গানটির সাথে ছিল সরোদে আলাপ ও তান এর মিশ্রণ। একক গানের মধ্যে ছিল কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে,  আকাশ আমায় ভরলো আলোয়, তোমায় আমায় মিলন হবে বলে,  দোলা লাগিল দখিনার বনে, চাঁদ হেরিছে চাঁদ মুখ তার, তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী, তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙ্গাও, আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন,  তুমি যে হে প্রাণের বঁধু,  ধনে জনে আছি জড়ায়ে হায়,  নিশিদিন মোর পরাণ-এসব গান ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনটি নৃত্য পরিবেশনা ছিল গানের সাথে। অংশগ্রহণ করেন অর্পিতা ও তার দল। ধারা বর্ণনায় নাফিসা আসিফ।
 
 এরপর ৩০ মিনিটের বিরতি। তারপর বসে কবিতা পাঠের আসর। এতে কবিতা পাঠ করেন স্বাগতা,  কণা,  সুরভী ছন্দা ও শাহীন শাহনেওয়াজ।
 
 এরপরে দ্বিতীয় পর্বে ছিল হারানো দিনের গান। এ পর্বে ফেরদৌসি রহমান এর গাওয়া গান ছিল আমি সাগরের নীল, যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে,  সুধিরলাল এর গাওয়া মধুর আমার মায়ের হাসি, আঞ্জুমান আরা বেগমের গাওয়া তুমি আসবে বলে-কাছে ডাকবে বলে, আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল,  কমল দাশ গুপ্তর সুরে রবীন মজুমদার এর গাওয়া তুমি এসেছিলে জীবনে আমার পথের ভুলে, কমল দাস গুপ্তর সুরে এই কি গো শেষ দান,  মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর গাওয়া বাঁশী বাজে ওই দুরে,  কলিম শরাফীর গাওয়া পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া, কমল দাস গুপ্তর সুরে যূথিকা রায় এর গাওয়া এমনি বরষা ছিল সেদিন, খন্দকার নূরুল আলমের সুরে ফওজিয়া ইয়াসমিন এর গাওয়া মন তো নয় আর আয়না এবং সবশেষে আঙ্গুরবালা দেবীর গাওয়া দুটি গান হৃদয়ের পটে তোমার মূরতি এবং আমি জগতের কাছে ঘৃণ্য হয়েছি গান দুটির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
 
 অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন- অদিতি শ্রেয়সী বড়ুয়া, তনুশ্রী রায়, কাশফিয়া আশরাফ, রুমানা ফেরদৌস, ইশরাত জাহান, মমতাজ রহমান, তামিমা শেহরীন,  সুমিতা দে,  তাহমিনা খান,  নাফিসা আসিফ,  এ কে এম ফারুক,  সাজ্জাদুল আনাম চৌধুরী, মেহেদী হাসান,  রাফিউল ইসলাম,  অনুপম গোস্বামী ও সিরাজুস সালেকিন।
 
 সরোদ: তানিম হায়াৎ খান, তবলা সহযোগিতায়:শান্তনু কর, বাঁশী:বাপ্পা দে,  কি-বোর্ডে:সুজন, গীটারে:সাইফী,  ও মন্দিরায় লোকমান হাকিম। শব্দ প্রক্ষেপনে: ইফফাত আরা,  সার্বিক তত্বাবধায়নে: নাজমুল খান।
 
 সেরা বাঙালি সাজ এর জন্য শিশু কিশোরকিশোরী ও বড়দের পুরস্কার প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রতীতির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
 
 |