সিডনিতে পড়ুয়ার আসর এর আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপিত
 রোকেয়া আহমেদ: গত ৯ই ডিসেম্বর ছিল বেগম রোকেয়ার মৃত্যু দিবস। বাংলাদেশে এই দিনটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং কীর্তিমান মেয়েদের ‘রোকেয়া পদকে’ ভূষিত করা হয়।
একটু দেরিতে হলেও ২৪শে ডিসেম্বর বিকেলে ‘পড়ুয়ার আসর’ রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রুনু রফিক এবং রফিক উদ্দিন এর বাসভবনে এক বিশেষ স্মরণসভা ও পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রথমেই নাসরিন মোফাজ্জল পবিত্র কোরান থেকে পাঠ করেন এবং তারপর বেগম রোকেয়ার রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
 এরপরেই রোকেয়া আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। প্রথমেই বেগম রোকেয়ার জীবনী পাঠ করেন শামসুন্নাহার বিউটি ও নুরুন্নাহার বেগম। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে বেগম রোকেয়ার ‘অবরোধবাসিনী’ লেখায়। সেখান থেকে অংশ বিশেষ পাঠ করেন যথাক্রমে রীনা আক্তার, শামীমা আলমগীর, লায়লা লজি, লুৎফা সিদ্দীকা, আজিজা শাদাত, রুনু রফিক, রানী নাহিদ, রওশন আরা পারভীন ও সীমা আহমেদ। মতিচূর গ্রন্থে প্রকাশিত বেগম রোকেয়ার প্রথম প্রবন্ধ ‘স্ত্রীজাতির অবনতি’ সম্মিলিত ভাবে পাঠ করেন নাসরিন মোফাজ্জল, বুলা হাসান ও লতা খান। এরপর সম্মিলিত ভাবে একে একে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ ‘অর্ধাঙ্গী’ সহ অন্যান্য প্রবন্ধ, কৌতুক কণা ও বেগম রোকেয়ার লেখা চিঠি পাঠ করা হয়। পাঠের পাশাপাশি নারীর অগ্রযাত্রায় তাঁর অবদান নিয়ে মত বিনিময় করা হয়। বেগম রোকেয়া কে নিয়ে লেখা কবি রামচন্দ্র দাসের ‘আঁধার বিনাশী আলো’ কবিতাটি অত্যন্ত চমৎকার ভাব গাম্ভীর্য নিয়ে আবৃত্তি করেন নুরুন্নাহার বেগম।
 বেগম রোকেয়া নারী জাগরণ ও সামগ্রিক সমাজ উন্নয়নের এক হৃদয়-স্পর্শী আহবান জানান ‘সুবহে সাদিক’ প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধটি যৌথ ভাবে পাঠ করেন নাসরিন মোফাজ্জল ও রোকেয়া আহমেদ। সবশেষে ‘জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা’ সহ অন্যান্য গান পরিবেশন করেন সীমা আহমেদ, রুনু রফিক ও রানী নাহিদ। অনুষ্ঠান শেষে ছিল রুনু রফিকের আতিথেয়তায় নৈশ ভোজের বিশেষ আয়োজন। আগামী বছর ‘পড়ুয়ার আসর’ কর্তৃক রোকেয়া দিবস আরো ব্যাপক পরিসরে পালন এবং নারীর কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
|