bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













সূর্য: এক সম্ভাবনাময় প্রতিভার নাম





পার্থ প্রতিনিধি: দুই বছর বয়সে বাবা-মা’র সাথে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানো সূর্য আজ ১৫ বছরের কিশোর। ওর বাবা-মা, বাপি মাজহার এবং শাঁওলী শহীদ টোকিওতে থাকার সময় ২০০৩ সালে ওর জন্ম। পারিবারিক ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে ছোট্ট সূর্য অল্পবয়স থেকেই সঙ্গীতানুরাগী। সঙ্গীতে হাতেখড়ি মা’র কাছে। তাছাড়া গত ৭/৮ বছর ধরে সূর্য Western Classical এ কণ্ঠ সঙ্গীত ও ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়ে চলেছে। অস্ট্রেলিয়াতে বড় হলেও ছোট্টবেলা থেকেই সূর্য বাংলা, হিন্দি আর ইংরেজি ভাষায় অবলীলায় গান গেয়ে সকলের নজর কেড়েছে সূর্য। বর্তমানে সূর্য পার্থ এর বাঙালি অভিবাসীদের (এপার-ওপার বাংলার) কাছে সুপরিচিত একটি নাম। ২০১২ সালে ৯ বছর বয়সে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া এসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (BAAWA) আয়োজিত বাংলার মেলাতে গায়ক হিসেবে তার প্রথম আবির্ভাব। সে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত নানাবিধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে যাদের মধ্যে BAAWA; বেঙ্গলি এসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (BAWA), বাংলাদেশ ইয়ুথ এসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (BYAWA), হিন্দি সমাজ (HSWA) এর নাম উল্লেখযোগ্য। এ পর্যন্ত সূর্য National Basketball League (NBL) এর ফাইনালে পার্থ Arena স্টেডিয়ামে ৪/৫ বার হাজার-দশেক দর্শকের সামনে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত গেয়েছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে, বৃদ্ধাশ্রমসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে গান গেয়ে ও পিয়ানো বাজিয়ে উপস্থিত সকলকে আনন্দ দিতে সক্ষম হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল-৭ এ প্রচারিত Telethon আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক অডিশনের মধ্য দিয়ে সে দুবার সরাসরি গান করার সুযোগ লাভ করেছে। এছাড়া সে ২০১৩ সালে ১০ বছর বয়সে Carol By Candlelight অনুষ্ঠানে (Supreme Court Garden, Perth) প্রায় ৭০০০ দর্শকের উপস্থিতিতে ৫০ জনের এক অর্কেস্ট্রার সহায়তায় যে গানটি করে সেটি হলো “Once In A Royal David’s City”. সম্প্রতি সে বিভিন্ন শিল্পী-র সাথে পিয়ানো, গিটারে সঙ্গত করেছে। গত দশ বছর ধরে সূর্য পিয়ানো শিখছে। বর্তমানে সে AMEB - অষ্টম ও শেষ গ্রেডের শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে সে সম্প্রতি ছোট শিশুদের পিয়ানো শেখানো শুরু করেছে।

সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা এবং অদম্য আগ্রহ সূর্যকে বড় পরিসরে নিজেকে যাচাই করতে অনুপ্রাণিত করে, এবং তারই ফলশ্রুতিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি ডন রাসেল পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে হল ভর্তি শ্রোতাদের সম্মুখে নিজেকে নতুন করে তুলে ধরবার চ্যালেঞ্জ নেয়। তিন ঘণ্টার একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সে সর্বমোট ৩৬ টি গান গায়। ১৫টি বাংলা, ১৩ টি হিন্দি ও ৮ টি ইংরেজি। রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুল গীতি দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বাংলা, হিন্দি পুরনো গান থেকে শুরু করে বর্তমানের জনপ্রিয় গান গেয়ে উপস্থিত সব বয়সের দর্শক শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম হয় সূর্য। রবীন্দ্রনাথের “মন মোর মেঘের সঙ্গী” দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়. নজরুলের “অঞ্জলি লহো মোর” সবার মন কাড়ে। এরপরে একের পর এক মোহাম্মদ রফি-র “চৌদ ভি কা চাঁদ”, কিশোর কুমারের “মেরে মেহবুব”, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী’র “জীবনানন্দ হয়ে”, মিতালি মুখার্জীর “হারানো দিনের মতো”, অরিজিৎ সিংহের “মন মাঝি রে”, “জানাম জানাম”, মান্না দে-র “বাজে গো বীণা”, উদিত নারায়ণের “পেহলা নাসা” সহ ইংরেজি Frank Sinatra এর “Fly Me To The Moon”, John Legend এর “All Of Me”, “Speak Softly Love”, Lionel Richie এর “Hello”, Ed Sheeran এর “Perfect” প্রভৃতি গানে কিভাবে তিন ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেল মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতারা বুঝতেই পারেনি। পুরো অনুষ্ঠানে সূর্য নিজেই পিয়ানো বাজিয়েছে। সঙ্গে percussion এ ছিলেন কেরালা’র শ্রীজেশ বালান, বেস গিটারে হাসিবুর রহমান রজার আর লিড গিটারে সূর্য’র সাথে সঙ্গ দিয়েছে ইয়াসিন আলম মুন্না। এরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে পারদর্শী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিল রূপসা ও অদ্রি। দর্শক-শ্রোতাসহ সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সার্বিক সাফল্য লাভ করে।












Share on Facebook               Home Page             Published on: 8-Feb-2019

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far