ঐকতানের দশ বছর অস্ট্রেলিয়ায় দেশীয় সংস্কৃতির চর্চায় নিয়োজিত একটি গানের দল ঐকতান। সম্প্রতি দশ বছরে পা দিল ঐকতান। এই উপলক্ষে ৩০শে আগস্ট সিডনীর ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে তারা আয়োজন করেছিল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দুই পর্বের এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের প্রথম পর্বে গান পরিবেশন করে ঐকতানের শিল্পীবৃন্দ। ঐকতানের বড়দের সাথে শিশুদের গ্রুপ কিশলয় কচিকাঁচাও গান পরিবেশন করে।
ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদেরই বসুন্ধরা – গানটি দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু। গানটি ছিল কিশলয় কচিকাঁচা ও ঐকতানের যৌথ পরিবেশনা। এরপর শিশুদের দল কিশলয় কচিকাঁচা পরিবেশন করে দুটি গান। ঘেঁটু পুত্র কমলা ছবির গান শুয়া উড়িল এবং একটা কথা মাগো আমি। পরের গানের গীতিকার ও সুরকার অধ্যাপক ইন্দ্র মোহন রাজবংশী।
কিশলয় কচিকাঁচার পর গান শোনান ঐকতানের শিল্পীবৃন্দ – রুবিনা হাসান (আকাশের হাতে আছে), ফাবিহা সিদ্দীক (চঞ্চলা মন), নিশাত সিদ্দীক (ফুলের কানে), ইসমাইল হাসান (ডালেতে লড়ি চড়ি), মিজানুর রহমান (যেখানে সীমান্ত), রোকসানা রহমান (বিমূর্ত এই রাত্রি) এবং আনিসুর রহমান (ওরে নীল দরিয়া)। এই পর্বে তাইফ রহমান তবলায়, আলী কাউসার অক্টোপ্যাডে, মিজানুর রহমান কিবোর্ডে, রোকসানা রহমান হারমোনিয়ামে এবং মীর সাদেক হোসেন ছিলেন গীটারে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে গান পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও স্বাধীন বাংলা বেতার খ্যাত বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্র মোহন রাজবংশী এবং দীপ্তি রাজবংশী। বাবা-মা’র সাথে ছেলে রবিন রাজবংশীও গান পরিবেশন করেন। ছায়াছবির গান, পল্লীগীতি, লালন গীতি, কীর্তন, বিচ্ছেদী থেকে মন মাতানো কিছু গান পরিবেশন করে এই সঙ্গীত পরিবার। এই পর্বে ঐকতানের তাইফ, আলী এবং মিজান যথাক্রমে তবলা, অক্টোপ্যাড এবং কিবোর্ডে সঙ্গ দেন। গীটারে ছিলেন গুণী শিল্পী দম্পতির সুযোগ্য সন্তান রবিন রাজবংশী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার আজাদ রহমান এবং আশির দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিনা আজাদ।
দুই পর্বেই শিল্পীরা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হন। অনুষ্ঠান শেষে দর্শকদের মুখে তৃপ্তির হাসি, সে কথাই প্রমাণ করে।
|