এমএলসি মুভমেন্ট এর উপর্যুপরি ঐতিহাসিক সাফল্যে প্রচ্ছন্ন ‘শক্তি’, এবং অতঃপর নির্মল পাল
ফোনটি ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে, “… ভাই ক্যামন আছেন, অনেক দিন কথা-বার্তা হয় না, আমি কামরুল বলছি, আমাকে চিনতে পারছেন তো?” ফোনটা রং নাম্বারে আসা এবং আমাকে করা নয়। তবুও নাম এবং কণ্ঠ দুটোই পরিচিত মনে হওয়ায় ভদ্রতার খাতিরে ফোনটা কেটে না দিয়ে আমার পরিচয় দিয়ে জানিয়ে দিলাম যে, ফোনটি ভুল নাম্বারে এসেছে। আমার কথা শেষ হতে না হতেই অপর প্রান্ত থেকে, “আরে দাদা, ভুল করেতো ভালই হল দাদা, ‘কনগ্রেসুলেশনস’ দাদা, ‘কনগ্রেসুলেশনস’; দাদা আপনার সবগুলো লেখা আমি পড়ি, এবং সব ভাল কাজগুলোর খবরও রাখি দাদা, বিশেষকরে ক্যানবেরার লেজিসলেটিভ এসেম্বলির খবরটাতো চমক লাগানো খবর, দাদা, আপনি সমাজের জন্য অনেক ভাল কাজ করেন দাদা”, একটু দম নিয়ে তিনি আবার বললেন, “আচ্ছা দাদা, এগুলো করে শেষ পর্যন্ত আমাদের লাভটা কি হবে দাদা?” প্রথমদিকে কোন কামরুল তা বুঝতে না পারলেও শেষে আমার বুঝতে দেরী হয়নি, যখন একটু দম নিয়ে তিনি আবার বললেন, “আচ্ছা দাদা, এগুলো করে শেষ পর্যন্ত আমাদের লাভটা কি হবে দাদা?” বলা যায় তাঁর হতাশার রেশ থেকেই তাঁকে চেনা। আমাদের প্রাপ্তির আনন্দগুলো এভাবেই বুঝি নিমিষে হতাশার ধুঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে যায়! আমার জানামতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এই প্রবাসে সমাজের কল্যাণে এবং সংস্কৃতি রক্ষায় সমানে সমান, নির্দ্বিধায় বলা যায় অনেকের চেয়েও নিঃস্বার্থ ও কমিউনিটি কেন্দ্রিক, শুভানুধ্যায়ী। সময়, শ্রম, অনুদান, সাংগঠনিক দায়িত্বপালন অথবা গঠনমূলক লেখায় সমান পারদর্শী এবং প্রশংসার দাবিদার। তবুও তাঁর কাছ থেকে লাভ ক্ষতির খতিয়ানের এই অংক কষার প্রচ্ছন্ন কারণের গভীর অনুসন্ধান আমার আজকের এই লেখার প্রাথমিক ভিত্তি। তাছাড়াও এসিটি লেজিসলেটিভ এসেম্বলি কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্তের উল্লাসে আরও একজন বিশিষ্ট সমাজসেবীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসামূলক প্রশ্ন, “তা হলেতো দাদা আগামী বছর থেকে ক্যানবেরায় একুশে’র ছুটি হবে, তাইনা দাদা?” অধিকন্তু সম্প্রতি রংধনু’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত আমাদের নতুন প্রজন্মের ট্যালেন্টদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মদের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ‘এমএলসি মুভমেন্ট’র কর্মকাণ্ড, সাম্প্রতিক সফলতা’, এবং ‘মহান একুশ’ নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য আমাকে বিনীত অনুরোধ আমার আজকের এই লেখার প্রধান নিয়ামক। এককথায় “মাদার ল্যাংগুয়েজেস কনসারভেশন(এমএলসি)মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ইনক” প্রচলিত সাংগঠনিক ধারা বা কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, যা ইউনেস্কোর ঘোষিত, প্রতিবছর মহান একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপনের তাৎপর্যকে সকল ভাষাভাষীর কাছে অর্থবহ ভাবে বিশ্বব্যাপী গণ-সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ইউনেস্কোকে কৌশলী সাহায্য সহযোগিতা করার দীর্ঘমেয়াদী কঠিন ব্রত নিয়ে নিবন্ধিত! মাতৃভাষার উপর গণ-ঝুঁকিপূর্ণ অবক্ষয়ের বিশ্ব বাস্তবতায় সকল ভাষাভাষীর প্রয়োজনে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিব” হিসেবে মহান একুশে’র চেতনাকে সৃজনশীল ও গঠনমূলক ভাবে সকল ভাষাভাষীর কাছে বৈশ্বিক দর্শনের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য। এই দীর্ঘ-সূরী লক্ষ্য অর্জনে মহান একুশে’র চেতনার বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিকতার সফলতা একদিকে যেমন সকল ভাষাভাষীকে নিজ নিজ ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা রক্ষায় অনুপ্রেরণা জোগাবে, অন্যদিকে ‘বাংলা’ ভাষা এবং ‘বাঙালি’ জাতিকে সকল ভাষাভাষীর কাছে সর্বকালে সম্মানিত করে রাখবে। বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষা সংরক্ষণে গণসচেতনতা সৃষ্টির সাংগঠনিক বৈশ্বিক বার্তা, “কনসারভ ইউর মাদার ল্যাংগুয়েজ”; এবং “মাতৃভাষার বিশ্ব-পরিবার” বা “গ্লোবাল ফ্যামিলি অব মাদার ল্যাংগুয়েজেস” গড়ে তোলা এই সংগঠনের বৈশ্বিক লক্ষ্য। যেকোন ধরণের বিভেদ বা বৈষম্যকে অতিক্রম করে সকল মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ভাষা-সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় নিঃস্বার্থ সেবা দানই সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তি। সংগঠকদের শুধু পবিত্র আবেদনের প্রতি উপলব্ধি, আর নিঃস্বার্থ অবদানের মধ্যেই সকল প্রাপ্তি এবং তৃপ্তি। ঝুঁকিপূর্ণ ভাষা বা মাতৃভাষা রক্ষায় সাধারণের উপলব্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সকলের অংশগ্রহণে উদ্ভুদ্ধকরা সাংগঠনিক সফলতার মাপকাঠি। কালের বিবর্তনে মানব সভ্যতা, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষার মুখ্য বাহক ভাষা। যেকোন ক্ষুদ্র মানবগোষ্ঠির সভ্যতার আদ্যন্তের ইতিহাস, সামগ্রিক সমাজ বিবর্তনের ধারা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্রমোত্থানের কালান্তরিক সংযোগ কোনটাই ভাষা ছাড়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী নিত্যাধুনিকতা, অভিবাসনের অবাধ সুযোগ, আর বিশ্বায়নের বহুমাত্রিক জোয়ার ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষাসমূহের দ্রুত অবক্ষয়ে বিশেষ ঋণাত্মক ভূমিকা রাখছে। একদিকে মানুষ নিজেকে আধুনিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজে নিজের অবস্থানকে খাপ খাইয়ে রাখার জন্য সার্বক্ষণিক-ভাবে প্রস্তুত রাখা, অন্যদিকে নিজের মাতৃভাষা, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকে ধরে রাখা একটি কঠিন অদৃশ্য সার্বক্ষণিক দ্বান্দিক বিষয়। কোন ব্যক্তি বা গুষ্টি এককভাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে নিজের মাতৃভাষা বা সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পারবে না, যদিনা এই বিশ্ব ব্যাপ্ত সমস্যাকে সমন্বিত পর্যায়ে, সামগ্রিক এবং সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা না যায়, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ধারার পাশাপাশি ভাষা ও সভ্যতার সংরক্ষণকে সমান গুরুত্বের সাথে সহনশীল ভাবে সুরক্ষার বিষয়টি প্রায়োগিক পর্যায়ে সুবিবেচিত না হয়। অতি প্রচ্ছন্ন অথচ সর্বব্যপ্ত এই সংঘাত-পূর্ণ বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কৌশল নির্ণয়কে চিহ্নিত করার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ‘এমএলসি মুভমেন্ট’এর উত্থান। কোন নির্দিষ্ট ভাষা হিসেবে একক একটি ভাষাকে বিবেচনা না করে সকল ভাষাকেই একমাত্র ‘মাতৃভাষা’র সাধারণ এবং সার্বজনীন মানে বিবেচনা করা, এবং যেকোন ভাষার সৃষ্টি, মানব সমাজ-সভ্যতা বিকাশে ভাষার মৌলিক অবদান এবং তার (যে কোন একটির) অবক্ষয়ের ক্ষতিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিশ্বসভ্যতার অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে ‘এমএলসি মুভমেন্ট’এর কাছে বিবেচিত। ‘মহান একুশে’র “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে উত্তরণের সুবাদে মহান একুশের চেতনাকেই (বাংলা ভাষাকে বাঙালিদের মাতৃভাষা হিসেবে বিবেচনায়) বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ সকল মাতৃভাষা রক্ষা এবং সংরক্ষণের অনুপ্রেরণা-কারী যাদুকরী মন্ত্র হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করা ‘এমএলসি মুভমেন্ট’এর বৈশ্বিক কৌশল প্রণয়নের ভিত্তি। ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ মহান একুশের চেতনাকে যেকোন মাতৃভাষা রক্ষায় ব্যক্তি-বিশেষের আত্মিক, মানসিক, নৈতিক, সামাজিক এবং শারীরিক অঙ্গীকার বা আপোষহীন অনবদ্য প্রতিশ্রুতি হিসেবে মূল্যায়ন করে। যে চেতনা মাতৃভাষা ‘বাংলা’ রক্ষায় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সদ্য-সৃষ্ট রাষ্ট্রকাঠামোতে দ্বিজাতিতত্ত্বকে উপড়ে ফেলে, সকল রাজনৈতিক মতভেদকে আগলে রেখে সভ্যতা, সমাজ ও সাংস্কৃতিক মাতৃত্ব হিসেবে “মাতৃভাষা” রক্ষার ঐকমত্য সৃষ্টির ভিত্তি; যে চেতনা একটি ভাষাভিত্তিক স্বাধীন রাষ্ট্র, ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার স্ফুলিঙ্গ, এবং সর্বোপরি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে আন্তর্জাতিক বলয়ে বিবেচিত এবং সম্মানিত। ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ একুশের এই মহান চেতনাকে সকল ভাষাভাষীর কাছে বিশ্বনন্দিত করে তোলা, তথা ঝুঁকিপূর্ণ ভাষাভাষীর কাছে কার্যকরী চেতনায় উজ্জীবিত করার কৌশল নির্ধারণের পথ বেছে নিয়েছে। “কনসারভ ইউর মাদার ল্যাংগুয়েজ” এই কৌশলের কৌশলী মন্ত্র, যা সকল ভাষাভাষীর কাছেই পারস্পরিক আবেদনমূলক, দায়িত্ববোধক এবং পালনীয় অঙ্গীকারের কথা প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ এর সাম্প্রতিক সাফল্য সমূহের পেছনে একুশের চেতনার বিশ্বায়নে কৌশলী পরিকল্পনা, একুশ’কে বৈশ্বিক একুশে উত্তরণে (একুশ শুধুই বাংলা বা বাঙালির নয়, সকলের, সকল ভাষাভাষীর) সকল ভাষাভাষীর সমাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি এবং বাস্তবানুগ প্রায়োগিক কৌশল প্রণয়ন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ জনপ্রিয়তা নয়, বরং কৌশলীক আবেগ তাড়িত গণ-সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা; শুধুই “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপন নয়, বরং দিবস উদযাপনকে অর্থবহ করার অনিবার্য প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক-ভাবে মাতৃভাষা চর্চা, রক্ষা এবং সংরক্ষণের বাস্তবানুগ কৌশল নির্ণয়ে বেশী যত্নশীল। কারণ ‘এমএলসি মুভমেন্ট’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সামগ্রিকভাবে নিয়মিত চর্চা বা ব্যবহারের অভ্যাস নিশ্চিত করা না গেলে, তথা সকল ভাষাভাষীর মধ্যে মাতৃভাষা সংরক্ষণের আন্তরিক তাগিদ বা উপলব্ধি সৃষ্টি করা ছাড়া মাতৃভাষার বৈশ্বিক অবক্ষয়ের ধারা বন্ধকরা অসম্ভব। সামগ্রিকভাবে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ভিত্তিক সামাজিক গণসচেতনতা এবং সাধারণের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। নির্দ্বিধায় বলা যায়, ‘এমএলসি মুভমেন্ট’এর দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত নিবিড় কার্যক্রমের ফসল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিশ্ব ব্যাপ্ত যুতসই কৌশলী প্রস্তাবনাসমূহ এখন স্থানীয়, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থায়ী অবস্থানে পরীক্ষিত শক্তি হিসেবে প্রমাণিত। বিশেষ করে এসফিল্ড কাউন্সিল; এনএসডব্লিউ স্টেট লাইব্রেরী; এসিটি লেজিসলেটিভ এসেম্বলিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনসহ প্রস্তাবিত ‘একুশে কর্নার’ এবং ‘ ‘মাতৃভাষা মনুমেন্ট’ নির্মাণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত; বাংলাদেশে মাতৃভাষা সংরক্ষণ আন্দোলনের গোড়াপত্তন এবং ৩৫০০ লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত; ইউনেস্কোর সাথে স্কাইপ মিটিং এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এর সাথে পার্টনারশিপে কাজ করার বিষয়ে ইউনেস্কোর সুনির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব; এবং সর্বশেষে ইউনেস্কোতে সদ্য যোগদানকারী এ্যম্বাস্যাডর মান্যবর কাজী ইমতিয়াজ হোসেন কর্তৃক ক্যানবেরা থেকে বিদায়-লগ্নে এমএলসি মুভমেন্ট বরাবরে ইস্যুকৃত প্রশংসামূলক পত্রটি এই বাস্তবতা মূল্যায়নের ভিত্তি।
এমএলসি মুভমেন্ট কর্তৃক অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রণীত পৃথিবীর ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভাষাভাষীর মাতৃভাষা সুরক্ষার জন্য ২০টি বৈশ্বিক কৌশলের মধ্যে ১৩টি কৌশল ইউনেস্কো কর্তৃক, এবং ৭টি কৌশল বাংলাদেশ সরকারের এখতিয়ারে বাস্তবায়ন চিহ্নিত করার পাশাপাশি সাড়া বিশ্বে আবাস-গড়া বাংলাদেশী তথা বাঙালিদের অগ্রণী ভূমিকা পালনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। একুশের চেতনার বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা সমূহের সুরক্ষা এখন অনেকাংশেই এমএলসি মুভমেন্টের প্রস্তাবানুযায়ী ইউনেস্কো এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যস্থিত সমন্বিত বৈশ্বিক নীতিমালা প্রণয়নের উপর নির্ভরশীল। বিগত ৭ই জুলাই’১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সাথে স্কাইপ মিটিং এর আলোকে অত্যন্ত সংগত কারণে এমএলসি মুভমেন্ট ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে যেকোন ধরনের আকর্ষণীয় পরামর্শ বা নির্দেশনা বা গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষমাণ।
নির্মল পাল, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন, এমএলসি মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশন্যাল ইনক email: nirmalpaul@optusnet.com.au ph: +61 2 98632644; +61 403 112 023
|