bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












এই লিংক থেকে SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন



স্মৃতি বিলাস
মোস্তফা আব্দুল্লাহ


বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি যেমন লোপ পেতে থাকে তেমনি নাকি আবার অনেক পুরনো কথাও অকারণে স্মৃতির পর্দায় ভেসে আসে। আর সে সব সুখ-স্মৃতি যদি অন্যের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় তবে তা হয় আরও সুখময়। আর অবসর কাটানোর জন্য এই স্মৃতি রোমন্থনের জুড়ি নাই। যদিও আমি নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত (বেকার) ভাবতে স্বস্তি বোধ করি তবে তা নিয়ে আমার কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বও রয়েছে। যখন বেকার ছিলাম না তখন আমার একটাই কাজ ছিল – সকালে উঠে অফিস গিয়ে সারাদিন কাটিয়ে বিকেলে ফিরে আসা (উল্লেখ্য যে আমি ১৯৭৭ সালে এদেশে অভিবাসনে এসে ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে গিয়ে ২০০৮ পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করি)। আর এখন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কাজের তো কোন অন্ত দেখি না – গাড়ি চালাও, বাগানে কাজ করো, বাজারে যাও, নাতিদের স্কুল থেকে আনা নেয়া করো, তাদের সাথে খেল, সাঁতারে নিয়ে যাও আরও কত কি। অবশ্য আমার অর্ধাঙ্গিনীর বিশ্বাস যে সারাদিন আমি মোটামুটি আয়েশেই কাটিয়ে দিচ্ছি। তবে তাকে এখানে গৃহকর্মে খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়। তার প্রতি যদিও আমার সব রকম সহানুভূতি রয়েছে তবে অনভ্যাসের কারণে তার কোন সাহায্যে আসতে পারি না।

এ প্রসঙ্গে আমার মত বাঙালী পুরুষদের সম্বন্ধে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে আসা আমার এক ৭ বৎসর বয়স্ক নাতনির মন্তব্য মনে পড়ে গেল। বেশ কয়েকদিন আমাদের গৃহস্থালির কাজ কর্ম পর্যবেক্ষণ করার পর একদিন সে তার মাকে জিজ্ঞাসা করে বসল; “Why are the men so lazy here?”। আমার ভাগ্নি তো পড়ি কি মরি হয়ে মেয়ের মুখ হাত চাপা দিয়ে বন্ধ করতে পারলে বাঁচে।

এ দিক দিয়ে অবশ্য আমরা বাঙালী পুরুষরাও কম যাই না। কদিন আগে আমার ছোট কন্যার এক ডাচ বান্ধবী আমাদের সাথে কয়েক রাত্রির জন্য থাকতে আসে। সকালে সবাই এক সাথে নাস্তার পর চিরাচরিত নিয়ম অনুসারে টেবিলের কোনকিছু না সরিয়ে যখন উঠতে যাচ্ছি, লক্ষ্য করলাম যে মেয়েটা কিছুটা অস্বস্তির সাথে আমাকে লক্ষ করছে। উঠতে উঠতে তাকে আশ্বস্ত করার জন্য বললাম; “As you can see, we men are not allowed to do any house work”!

আমার সেই নাতনির আরও একটা মন্তব্য উল্লেখ না করেই পারছি না। কেননা এর মাঝে আমাদের জন্য বেশ চিন্তার খোরাক আছে বলে মনে করি। ওদের বাংলাদেশে বেড়ানোর সময়টা ছিল প্রচণ্ড গরমের মৌসুম। দাদীর বাসায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মার কাছে জানতে চায় এরা এয়ার কন্ডিশনার লাগায় না কেন। মা চুপি চুপি মেয়েকে বোঝায় যে এদের তো আমাদের মত এত টাকা পয়সা নাই তাই এরা সেটা পারে না। মা মেয়েকে আরও বোঝায় যাতে এসব কথা এদের সামনে না বলতে কেননা এতে তারা মনকষ্ট পেতে পারে। নাতনিটি মুখ বুজে গরম সহ্য করতে থাকে। তবে সকাল দুপুর রাতে টেবিল উপচে পরা খাবারের রকমফের দেখে তার মনে খটকা লাগে – খাবার কিনতে এরা এত টাকা পায় কোথায়? এমনই সময় তাদের আগমন উপলক্ষে দাদী সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত ক’রে মহা ধুম ধামের আয়োজন করে। এবার আর আমাদের নাতনিটি মুখ বুজে থাকতে না পেরে বলেই ফেলল; “Why can’t they eat less and buy an air-conditioner instead?”

নাতনির গল্প করতে করতে অবসরের কথার খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেখানেই আবার ফিরে যাওয়া যাক। আমার এক বন্ধু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে অবসরে যাওয়ার পর থেকে যখনি তাকে ফোন করি তখনি অপর প্রান্ত থেকে শুনতে হয় যে তিনি ঘুমাচ্ছেন। এমনি করে কয়েক দিন চেষ্টা করে তাকে না পেয়ে বিরক্ত হয়েই তার স্ত্রী ফোন ধরতেই বললাম যে ঘুমাক আর যাই করুক ওকে এখনই ফোন ধরতে বলুন নতুবা আমি সশরীরে হাজির হয়ে ওর গায়ে বালতী ভরা পানি ঢেলে দিব। অস্ত্রটা কাজে লাগলো – বন্ধুটি ফোন ধরা মাত্র এক গাল ঝাড়ি মেরে জিজ্ঞাসা করলাম অবসরে গিয়ে সারাক্ষণ কি ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিস নাকি?

“নারে দোস্ত ঘুমাই না – ঘুমের ভান করে পড়ে থাকি। অবসর নেয়ার পর থেকেই বাসার সবার ধারনা যে আমার আর কোন কাজ নাই। সারা দিন কেবল শুয়ে বসে কাটাই। তাই যখন যার প্রয়োজন পড়ছে সেই ভাবছে যে যেহেতু লোকটা বসেই আছে তাকেই ফরমাশটা দেয়া যায়। এ যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণের জন্যই এই ঘুমের ভান”!

অবসরে থাকার বিড়ম্বনা আমার নিজের বেলাতেও কি কম? আমাদের ছয় বছর বয়সের বড় নাতিটিকে স্কুল থেকে আনা নেয়ার পথে তার নানা রকম গল্প ও মাঝে মধ্যে দু একটি আবদার আর্জিও শুনতে হয়। এক দিন বলে বসল “Nana can you buy me a Porche?” একটু থতমত খেয়ে আমতা আমতা করে জবাব দিলাম; নানা আমি অত টাকা কোথায় পাবো। নাতিটি কিছুক্ষণ ভেবে জবাব দিল “Why do you sit at home all the time, can’t you go out and work? Then you can get lots of money”.

আমার গাড়ীটি বেশির ভাগ সময়ই ব্যাবহার হয় নাতিদের আনা নেয়া ও তাদের সেবায়। এবং সেটাকে নোংরা করার ব্যাপারে তাদেরই অবদান মুখ্য। তার পরও ছোট নাতিটির কাছ থেকে এক দিন শুনতে হোল “Why is your car so dirty - you should clean it sometime”.

আবার বাঙ্গালীর খাবার গল্পে ফিরে যাই। ঢাকায় আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে এসেছিলেন বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব হাবিব তানভীর । উৎসবের অন্তিম রজনীতে বক্তব্য দিতে দাড়িয়ে বললেন যে দেশে ফিরে গিয়ে বাঙ্গালীদের আতিথেয়তা ও ভালবাসার কথা বলে তিনি শেষ করতে পারবেন না। তার মতে “বাঙ্গালীরা অতিথিদের এতই ভালবাসে যে খাওতে খাওতে এক সময় তাদেরকে মেরেও ফেলতে পারে”।

আমি তখন ঢাকায় আই সি ডি আর, বিতে কাজ করি। প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রফেসার ডেমিছি হাবতের পুত্র এসেছেন নিউ ইয়র্ক থেকে কদিনের জন্য ঢাকায় বেড়াতে। তার পুত্র ও আমি একই পেশার হওয়াতে আমাকে ডেকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন – যদিও মুখে কিছু বললেন না, উদ্দেশ্য আমি যাতে তাকে কিছুটা সঙ্গ দেই। আমরা উঠবার সময় পুত্রকে উদ্দেশ্য করে বললেন “শোন – তুমি ডাইরেক্টরের পুত্র হওয়াতে অনেকেই তোমাকে বেশ খাতির করতে চাইবে, কেও কেও হয়ত তাদের বাড়িতে দাওয়াতও করবে। যদি দাওয়াত গ্রহণ করো - একটা বিষয় খেয়াল রাখবে; কিছু কিছু বাড়িতে দেখবে যে গৃহকত্রী খাওয়ার সময় তোমার কাছা কাছি দাড়িয়ে আছে এবং ওই মুহূর্তে তার জীবনের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হোল তোমার প্লেট যাতে কোন ভাবেই খালি থাকতে না পারে। অতএব তুমি যদি জীবন নিয়ে নিউ ইয়র্ক ফিরে যেতে চাও তবে কোন ভাবেই তোমার প্লেট খালি করবে না”!

এই গল্পটা মাঝে মধ্যেই এখানে সেখানে করে থাকি। বছর খানেক আগে নিউ ইয়র্ক বেড়াতে গিয়ে আমার এক ভাগ্নি জামাইয়ের সাথেও করেছিলাম। তার সাথেই দাওয়াতে গিয়েছি এক আত্মীয়র বাড়িতে। গিয়ে দেখি রৈ রৈ কাণ্ড। টেবিলের এক পাশ থেকে আর এক পাশ পর্যন্ত রকমারি খাবারের আয়োজন। প্লেট সমান কৈ, ইয়া মস্ত গলদা চিংড়ি, তেল তেলে ইলিশের পেটি, প্রমাণ সাইজ পাবদা মাছ - আরও কত কি, যা কিনা বাংলাদেশেও সচরাচর দেখি না। খেতে বসতেই আত্মীয় গিন্নীটি ঠিক টেবিলের পাশে এসে দাঁড়ালেন এবং কোন ভাবেই যেন কারো প্লেট খালি না থাকে সে দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে চললেন। কোন ভাবেই তাকে মানানো যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় কোন উপায় না দেখে জামাই বাবাটি মিন মিন স্বরে বলে উঠল “খালু - আপনার বসের সেই গল্পটা আর একবার একটু বলেন, না হলে তো আজ জান নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবোনা”!

সেই জামাই বাবাজির সাথেই গাড়ি করে টাইমস স্কোয়রে গেছি। গাড়িটা পার্ক করতে করতে পাশে এক ট্রাফিক পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলল “এই যে ভাই শুনেন”। আমি একটু অস্বস্তির সাথে জানতে চাইলাম যে ট্রাফিক পুলিশটি বাঙালী কি না। “বাঙালী না হলে তো আমার কথা বুঝবেই না, অসুবিধা কি?”। ভাগ্যক্রমে ট্রাফিক পুলিশটি বাঙালীই ছিল। জামাই বাবাজী তাকে বললঃ “এই যে ভাই গাড়িটা রাইখা গেলাম, একটু দেইখেন, গত দিন কিন্তু টিকিট খাইছি”। ট্রাফিক পুলিশটি একটু এদিক ওদিক চেয়ে নিচু গলায় জানালোঃ “রাখেন, তবে এখন থাইকা গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটা বাংলা পত্রিকা রাইখেন – না হইলে বাঙালীর গাড়ি বুঝমু কেমনে”! পড়ে জেনেছি যে বর্তমানে নিউ ইয়র্ক শহরে ট্রাফিক পুলিশের উল্লেখযোগ্য অংশই বাঙালী।

এটা আরও আগের কথা, প্রায় আশির দশকের মাঝামাঝি – জামাইটি আমাদেরকে আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চৌঠা জুলাইয়ের আতশ বাজি দেখানোর জন্য পাতাল রেলে করে শহরে যাওয়ার পথে ট্রেন বদল করার জন্য মধ্যবর্তী এক ষ্টেশনে নেমে কাওকে কোন উদ্দেশ্য না করেই হাঁক ছেড়ে জোর গলায় বলে উঠল “ভাই - অমুক জায়গায় যাওয়ার জন্য কোন প্লাটফরমে যেতে হবে”। সাথে সাথে লাইন এর অপর পাশ থেকে কে এক জন খাস বাংলায় বলে উঠল “নিচের প্লাটফরমে চলে যান”!

শত্তুরের মাঝামাঝি সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহের দিকে ওয়াশিংটন পোঁছাই – মাস দুয়েক যেতেই শীতের প্রচণ্ডতায় গলা ফুলে কলা গাছ। গরম মাফলারের খোঁজে বিশাল ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে দোকানীকে জিজ্ঞাসা করতেই একেবারে নিচের তালায় (basement) পাঠিয়ে দিল। সেখানে অনেক খোজা খুঁজি করেও মাফলারের কোন হাদিস পেলাম না – কেবলই মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ! ফিরে গিয়ে দোকানীকে আবারও জিজ্ঞাসা করতে সে আমাকে আবারও ভালো করে খুঁজতে উপদেশ দিল। এবারও বিফল মনোরথ হয়ে যখন তার কাছে ফিরে গেলাম তখন সে জানতে চাইল আমি কি ধরনের মাফলার খোঁজ করছি। তাকে বুঝিয়ে বললাম যে উলের হলে ভালো হয় যাতে গলাতে আরাম করে প্যাঁচাতে পারি। ভদ্রমহিলা স্মিতহাস্যে জিজ্ঞাসা করলেন “তোমার গলার স্বর খুব উঁচু নাকি, আমি তো গাড়ির আওয়াজ কমাতে মাফলার (silencer) লাগাই”!

সৃতি রোমন্থনের এক বিড়ম্বনাই বলুন আর সুবিধাই বলুন – এটা যে সময়ের ধাপ বেয়ে ক্রমান্বয়ে একটার পর আরেকটা আসবে - সেটা কখনই নয়। এর যখন যেটা মনে ধরে সেটাই এনে হাজির করবে আপনার সামনে। তাই ফিরে যাই আরও বহু আগে সেই কলেজ জীবনের দিন গুলিতে ৬৩-৬৫ সালের কথায়। প্রায় দিনের মতই পড়ন্ত দুপুরের দিকে দাড়িয়ে আছি ঢাকা কলেজের সামনে বাসের অপেক্ষায় ফার্মগেট যাবার জন্য। বেশির ভাগ যাত্রী বিহীন রিকশাই তখন উল্টো মুখে আজিমপুরের দিকে যাচ্ছিলো – সম্ভবত কাজ শেষে রিকশা জমা দেয়ার জন্য। এর মাঝে দুই এক জন রিকশা চালক হাঁক ডাক দিচ্ছিলো “আজিমপুর যাবেন নাকি – আজিমপুর?”। কেও কোন জবাব না দেয়ায় এক রিকশাওয়ালা তাচ্ছিল্য ভরে বলে উঠলো: “এখন তো সাইদা ডাকতাছি, এহন যাইবেন কেন – যখন চ্যাংদোলা কইরা খাটিয়াতে উঠাইয়া নিয়া যাইব তখন বাপ বাপ করতে করতে ঠিকি আজিমপুর যাইবেন”।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠী বন্ধুর কাছে জানতে চাইলাম প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাপের সাথে কোরবানির গরু কিনতে না গিয়ে শরিফ মিয়ার ক্যান্টিনে এসে বসে আছে কেন? বন্ধু বললো, “বাপের টাকা পয়সার অবস্থা খুব একটা ভালো না। আজকাল প্রায়ই ইব্রাহীম (সাঃ) এর পুত্র সন্তানকে কোরবানি করার গল্পটা আমদের শোনান আর আমার দিকে ঘুরে ঘুরে তাকান। তাই এই কদিন - বাপের কাছ থেকে একটু দুরে দুরেই থাকছি”। সাবধানের মার নাই –

আরও অনেক পরের কথা। গাড়ি করে মিন্টু রোড থেকে শেরাটন হোটেলের সামনে দিয়ে বায়ে মোর নিয়ে রেডিও বাংলাদেশের দিকে যাবো। ঢাকার ট্রাফিক জাম – বায়ে মোর নেয়ার রাস্তাটাও বন্ধ করে রেখেছে কতগুলো অটোরিকশা । শেরাটনের গেটের সামনে জটলা করে আছে – প্যাসেঞ্জারের অপেক্ষায়। একটু এগিয়ে গিয়ে ভারি গলায় বললাম “আপনারা এমন করে রাস্তাটা বন্ধ করে রেখেছেন কেন – রাস্তা ছাড়ুন”। একজন ড্রাইভার বেশ বিনয়ের সাথেই জানালেন “স্যার, আপনি কইলেই তো আর এইখান থাইকা যামু না – ওই ট্রাফিক স্যাররে জায়গার ভারা দিয়া এইখানে খারাইছি – পেসেঞ্জের না পাওয়া তক এইহানেই খারান লাগবো”।

নিরানব্বই সন থেকে প্রতি বৎসরই একবার করে সিডনী আসতে হয়েছে কন্যাদ্বয়কে দেখে যাওয়ার জন্য। বেশ আগে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় একটা চেক বই পেয়েছিলাম - সেটার পাতা ছিড়েই প্রয়োজন মত টাকা উঠাতাম। এমনই একদিন টাকা উঠানোর সময় মাঝ বয়স্ক মহিলা ব্যাংক কর্মচারী জিজ্ঞেস করলো “তোমার কি ব্যাংক কার্ড নেই – চেক ব্যবহার করছ কেন?” উত্তরে বললাম “আছে – তবে তা মেয়েদের কাছে, ওদের যখন টাকার প্রয়োজন পড়ে – তখন ওরা সেটা ব্যবহার করে”। মহিলা কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থেকে বলল “তোমার যদি কখনো আর একটা মেয়ের প্রয়োজন পড়ে তবে আমাকে দত্তক নিতে ভুলনা কিন্তু”।

পরের অংশ







Share on Facebook               Home Page             Published on: 11-Oct-2015

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far