ছোট গল্প
খাঁটি সোনার গহনা মোস্তফা আব্দুল্লাহ
তিন বোনের মধ্যে সব চেয়ে ছোট বনি। দেখতেও অন্য দুই জন থেকে বেশ অনেকটাই সুন্দরি। সারা দিন ছুটে বেড়ায় গুলশানের বাড়ির ওপর নিচ - আর সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা ইয়া মস্ত বাগান জুরে। মা বলেন আমার ছোট মেয়েটা একটা পাগলী। এই পাগলী মেয়েটাই একদিন হঠাৎ করে এক মহা পাগলামি করে ফেলল। সুদর্শন তরুণ গৃহশিক্ষক মনিরের হাত ধরে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বসলো। বনির এই উনিশ বছর বয়সের জীবনে কখনই কোন কিছু ভেবে চিন্তে করার অভ্যাস গড়ে উঠে নাই আর এই এক্ষেত্রেও তার কোন ব্যতিক্রম হল না। মনিরের সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ – দিন গুনছে ফল প্রকাশের। মেধাবী ছাত্র হওয়ার কারণে বাইশ বৎসর না পেরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে ফেলতে পেরেছে। হিসেব মত পরীক্ষার ফল বেরোবার পর মনিরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শিক্ষকতার চাকুরী মোটা মুটি নিশ্চিত। সে যে প্রথম স্থান অধিকার করবে এ নিয়ে কারো কোন সংশয় ছিল না।
কিন্তু এই নিশ্চিত ব্যাপারটিই চাকুরীর জন্য দরখাস্ত করার অনেক দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও বিশেষ কোন কারণে হয়ে উঠছিল না। বেশ কিছু বিলম্বে চাকুরীর দরখাস্তের ফল বেরুতে দেখা গেল পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকারিণী এক মহিলা চাকুরীটি পেয়েছেন। তিনি কর্তৃপক্ষ সমর্থক ছাত্র রাজনীতির সক্রিয় কর্মী হওয়ার কারণে অন্য দুই প্রার্থীর তুলনায় যোগ্য বলে নির্ধারিত হয়েছেন! খবরটা শুনে বনি ঠাট্টা করে বলেছিল; "সারা জীবন শুধু লেখা পড়া নিয়েই থাকলে – জাগতিক বুদ্ধি শুদ্ধি বোধ হয় তোমার কোন কালেও হবে না" "এ জগতে তোমাকে যে পেয়েছি তাতেই আমার সমস্ত জগত পরিপূর্ণ, সেখানে আর কিছু রাখার যে আর জায়গা নাই"। "তাতো বুঝলাম, তবে এখন জাগতিক প্রয়োজন গুলি মেটাবার ভাবনা চিন্তা করা শুরু কর, তোমার ভাবির গম্ভীর মুখ থেকে আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন না যে এখানে খুব বেশি দিন আর থাকা যাবে না, আর তুমি তো ভাল করেই জান যে এভাবে আমি বেশি দিন থাকবোও না"। "তুমি আপাতত কিছু দিন তোমাদের নিজেদের বাড়িতেই ফিরে যাও না – আমি কিছুটা গুছিয়ে উঠতে পারলেই আমরা এক সাথে থাকা শুরু করবো"। "তুমি জান সেটা কোন ভাবেই সম্ভব নয়, আমার বাবা যদি কোনদিন তোমাকে তোমার প্রাপ্য সম্মান দিয়ে গ্রহণ করেন তাহলেই সেই বাড়িতে আমার ফিরে যাওয়ার প্রশ্ন আসে। তবে সেটা হবার কোন সম্ভাবনা আমি দেখি না। আমার বাবা ভাঙবেন কিন্তু মচকাবেন না। মা বলেন আমার স্বভাবটা নাকি তার কাছ থেকেই পাওয়া। থাক এখন সে সব কথা, আপাতত চল আমারা লেগে পরি নিজেদের বন্দোবস্ত নিজেদেরই করার জন্য"। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবোধে মনিরের চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে উঠে – এতটুকুন একটা মেয়ে, এতটা আত্মসম্মানবোধ ও সাহস পায় কোথা থেকে? মনির বুঝতে পারে যে পিছনের দিকে ফিরে তাকাবার আর কোন অবকাশ নাই, পথ কেবল সামনের দিকেই।
কদিনের চেষ্টা চরিত্রেই একটা বেসরকারি কলেজে খণ্ড-কালীন একটা চাকুরী খুঁজে পেল মনির আর বনি ঢুকে গেল বাড্ডাতে একটি কিন্ডার গার্ডেনে, গুলশান লেকের অপর পাড়ে - বাড্ডায়। বাড্ডাতেই দুই রুমের এটা ফ্ল্যাট বাসা ভারা করে উঠতে যাবার প্রাক্কালে বড় ভাই মনিরকে ডেকে পাঠালেন নিজের ঘরে; "বড় ভাই হিসাবে তোমকে লেখা পড়া করিয়ে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর যে দায়িত্ব বাবা মা আমাকে দিয়েছিলেন তা আমি পালন করেছি। এখন আমার ছেলে মেয়ে দুটোও বড় হয়ে গিয়েছে, ওদের লেখা পড়ার খরচ যুগিয়ে আমি আর কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতি মাসে বাবা মায়ের খরচের যে টাকাটা আমি দেশে পাঠাতাম, আগামী মাস থেকে তুমিই সেটা পাঠাবে। আমি এ ব্যাপারে বাবাকে চিঠি লিখে সে মতই জানিয়ে দিয়েছি"। দুজনের উপার্জনে মাস খরচটা টায়ে টায়ে হয়ত বা চলে যেত। তবে দেশে অতিরিক্ত টাকাটা পাঠাবার জন্য মনিরকে কলেজের পর একটা টিয়ুটোরিয়ালে আরও দুই ঘণ্টা পড়ানোর কাজ নিতে হয়। ইচ্ছা ছিল বৎসর খানেক এর প্রস্তুতি নিয়ে বি সি এস পরীক্ষাটা দিয়ে দেয়ার। সময়ের অভাবে আজ প্রায় বৎসর তিনেক পার হয়ে গেল কিন্তু এখনো পরীক্ষাটা দেয়া হল না।
শুরুতে বোনদের সাথে বনির যে যোগাযোগটা ছিল সময়ের সাথে সাথে আস্তে আস্তে সেটা শিথিল হয়ে আসলো। বোনদের জমকালো বিত্ত বৈভবের সংসার ও সমাজে সে বেমানান – তাই সে সব থেকে দূরে দূরে থাকাই সমীচীন বলে মনে করে বনি। এক মাত্র পাশের বাড়ির শিশু বয়সের বান্ধবী সুমনার সাথেই যা একটু যোগা যোগ রয়েছে, তাও সুমনারই আগ্রহে। সুমনার প্রাচুর্যে ভরা সংসার; স্বামী ডাকসাইটে ডেভেলপার, বারিধারাতে প্রসাদ-সম বাড়ি।
বনি-মনিরের গদবাধা জীবনে ছন্দপতন ঘটাল রফিকুল। রফিকুল মনিরের সেই শিশু বয়সের বন্ধু, স্কুল কলেজও একই সাথে। যদিও রফিকুলের কলেজের গণ্ডিটা পেরুতে বেশ একটু বেশিই সময় লেগেছিল। কলেজে ঢুকে বিদ্যা শিক্ষা থেকে রাজনৈতিক দীক্ষা নেওয়াকে অপেক্ষাকৃত বেশি অর্থকরী বলে মনে হওয়ায় ইতিমধ্যেই সে বেশ রকম বিত্তবান ও প্রতাপশালী হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। রফিকুল একেবারেই নাছোড়বান্দা, পুরনো বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে এক পুনর্মিলনের অনুষ্ঠান তার উত্তরার বাসায়। বনিকে নিয়ে মনিরকে সেখানে যেতেই হবে, কোন ওজর আপত্তি সে মানবেই না। বহুদিন থেকেই এ রকম একটা আয়োজনের কথা রফিকুল মনে মনে ভেবে রেখেছিল – এত ঐশ্বর্য যদি বন্ধু বান্ধবদেরকেই না দেখানো গেল, তা হলে আর এ সব করে লাভ কি হল? বনি শুনেই বলেছিল যে তার পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। অনেক পিড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই ওকে বলতেই হল যে ওই ধরনের একটা অনুষ্ঠানে যাবার মতন তার কোন বেশভূষা নেই আর সে কারণেই তার যাওয়াটা ঠিক হবে না। এ রকম একটা কথা মনিরের একেবারেই মনে হয় নাই; তাই নিজেকে প্রচণ্ড রকম অপরাধী বলে মনে হল। বনি অনেক করে বোঝাতে চেষ্টা করে যে এর জন্য তার একটুও মনকষ্ট নাই, কিন্তু মনির কিছুতেই আর মুখ তুলে তাকাতে পারল না নিজের অক্ষমতার অপরাধ বোধে।
পরদিন একটু দেরি করেই ফিরল মনির। হাতে একটা প্যাকেট। প্যাকেট টা খুলে বনি তাজ্জব, মুখ দিয়ে রা শব্দটি নেই – ভেবে পাচ্ছিল না কি বলবে। বেশ দাম দিয়েই শাড়িটা কিনেছে বলে মনে হয়। তবে শুধু শাড়ি দিয়েই যে বেশভূষা পূর্ণ হয় না কথাটা বলতে গিয়ে চুপ করে গেল বনি। মনিরের উচ্ছ্বসিত মুখটার দিকে চেয়ে ওর আনন্দটিকে ম্লান করে দিয়ে কষ্ট দিতে মন সায় দিল না বনির। মনে মনে স্থির করল বাদ বাকি যা বন্দবস্ত করার তা সে নিজেই করবে। মনিরের মনোবাসনা ও মান সম্মান রক্ষা যেমন করেই হোক তাকে করতেই হবে।
পরদিন কিন্ডার গার্ডেন থেকে ফেরার পথে সুমনার বাসায় একটা ঢু দিল বনি। কোন রকম সংকোচ না করেই সুমনাকে পুরো ঘটনা বলে ওর কাছ থেকে একটা গলার চেইন আর দুইজোড়া চুরি ধার চাইল দিন কয়েকে জন্য মাত্র। সুমনা বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল। আলমারির ড্রয়ারটা খুলে বলল; "এখান থেকে যে কোন একটা গহনার বাক্স নিয়ে যা, যা যা চাইছিস সবই পাবি এসবের মধ্যে"। সুমনার খুব তারা, তাকে এক্ষণই বের হতে হবে। অগত্যা সামনে যে বাক্সটা পেল সেটাই একটু দেখে নিয়ে বনি বাসায় ফিরে এল। রফিকুলের বাসায় মহা আয়োজন। সুন্দরী বনিকে নূতন শাড়ি-গহনাতে অপরূপ লাগছিল। গল্প, হাসি ঠাট্টা, গান আর রকমারি ভুরি ভোজের সমাহারে কখন যে রাত গভীর হয়ে গেছে তা কারো আমলেই আসে নাই। মনিরকে এক ফাকে কাছে পেয়ে বনি ফিশ ফিশিয়ে বলল; "এই, যেতে হবে যে আমাদের স্কুটার করে সে কথা খেয়াল আছে?" তাইতো, বনির কথায় মনিরের সম্বিত ফিরে এল। গহনা গাটি পরে এত রাতে স্কুটার করে যাওয়াটা বেশ ঝুঁকি পূর্ণ বৈকি। রফিকুলের বাসা থেকে বেরুতে বেরুতে বনি চট পট গলার ভারি হারটা খুলে একটা রুমালে বেধে মনিরের হাতে দিয়ে বলল; ওটা তোমার কাছেই রাখ, হাইজাকার ধরলে তো আমার ব্যাগটাই প্রথম কবজা করবে। মনির রুমালের পুটলিটা হাতেই রাখল, পকেটে রাখলে যদি আবার কোন একটা কিছু ভেঙ্গে বা মুচরে যায়। বাসায় পোঁছতে পোঁছতে বেশ রাত হয়ে যাওয়াতে তরি ঘড়ি করে দুজনেই শুয়ে পড়ল – সকাল সকাল উঠেই তো আবার দুজনকে কাজে বেরুতে হবে। ঘুম ভাঙতেই বনির মনে হোল অনেকটা বেলা হয়ে গেছে। হুর মুর করে উঠে মনিরকে ধাক্কা দিয়ে বলল; "জলদি উঠো, অনেকটা বেলা হয়ে গেছে। আমি আবার যাবার পথে গহনার বাক্সটা সুমনার বাসায় পোঁছে দিয়ে তবে স্কুলে যাব। প্যাকেট টা কোথায় রেখেছ?" প্যাকেট টা? কোথায় সেটা? মনির কোন ভাবেই মনে করতে পারছে না স্কুটারে উঠে সেটা কোথায় রেখেছিল। গলির মুখে স্কুটার থেকে নেমে দুজনে হাত ধরা ধরি করে হেটে আসার সময় ওটা কি নিয়ে নেমেছিল? চোখ বন্ধ করে ভাবতে চেষ্টা করে কোন কুল কিনারা না পেয়ে বুঝতে আর বাকি রইল না যে সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে গত রাতেই। হাসি আনন্দে রফিকুলের বাসার পার্টির গল্প করতে করতে স্কুটার থেকে নামার সময় পুটলিটার কথা দুজনের কারো এক বারের জন্যও মনে হয় নাই। কিছুক্ষণ দুজনেই বোবার মত বসে ফেল ফেল করে একজন আর একজনের দিকে চেয়ে রইল। মনিরের সারা শরীর থর থর করে কাঁপছে, অনেক চেষ্টাতেও গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হল না। বনি কিছুক্ষণ মাথা চেপে ধরে চুপ করে বসে থাকার পর বলল; এ ভাবে সারা দিন চুপ করে বসে থাকলেও ওই গহনা আর ফিরে পাওয়া যাবে না, এখন কি ভাবে এর একটা সুরাহা করা যায় সেটাই ভাবতে হবে। যেমন করেই হোক হুবহু একটা হার তৈয়ার করিয়ে তার পরই গহনার বাক্সটা সুমনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
স্বর্ণকার চুরি, আংটি ও কানের দুল ও গহনার বাক্সে রয়ে যাওয়া টিকলিটা দেখে জানালো যে এর ম্যাচিং হারটা সে করে দিতে পারবে – খরচ পরবে ষাট হাজার টাকার মত। মনিরকে একটা ফোন কিনে দেবে বলে বনির গোপনে জমানো দশ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে আর বাকিটা মাসে মাসে শোধ করার কথা বলতেই স্বর্ণকার জিভ কেটে জানল; "ছি ছি আপা এটা কি বলেন, আপানদের বাড়ির কাজ করেই না আমরা আজ এ অবস্থায় এসেছি। আপনার যখন মনে হয় তখনি দেবেন, আর দিন পাঁচেক পর মনে করে হারটা নিয়ে যাবেন।"
সুমনার বাসায় গহনার বাক্সটা ফিরিয়ে দিয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন আর ওদের মধ্যে কোন যোগা যোগ হয় নাই। বনির মনের মধ্যে সব সময়ই শঙ্কা ছিল এই বুঝি সুমনা ফোন করে বলে যে হারটা নকল। তাই কোন যোগাযোগ না হওয়াতে ও একটু স্বস্তি বোধ করছিল যে সুমনা হয়ত বুঝতে পারে নাই। এমনি সময় একদিন হঠাৎ করেই গুলশান দুই নম্বরে সুমনার সাথে দেখা; "আরে সেইদিন তুই গহনার বাক্সটা দিয়ে যাওয়ার পর ওটা নিয়ে যে কি এক মজার কাণ্ড ঘটল সেটা তোকে বলি"। বনির আত্মাটা ধক করে উঠল, নিশ্চয়ই সুমনা ধরে ফেলেছে যে ওটা আসল হারটা নয়। গলাটা শুকিয়ে একদম কাঠ, কি বলবে বুঝতে পারছেনা বনি।
বনি ওটা ফিরিয়ে দেয়ার পরদিনই সুমনার বোনের মেয়েটা সেটা নিয়ে গিয়েছিল স্কুলের নাচের ফাংশনে পরার জন্য। গলা থেকে খোলার সময় অসাবধানতা বশত কেমন করে জানি কট করে ভেঙ্গে যায়। ও সেটা নিয়ে গিয়েছিল অলংকারের দোকানে মেরামত করার জন্য – আর সেখানেই ঘটে মজার ঘটনাটা। এক পাগল মহিলা ওটা দেখে একেবারে নাছর বান্দা – এ ধরনেরই একটা হার বহুদিন থেকে নাকি সে খুঁজছে। চেপে ধরল – কত টাকা হলে সে ওটা বেচে দেবে তার কাছে। ভাগ্নিটিও আজকালকার চালু মেয়ে, চোখ টিপ দিয়ে দোকানীকে কত দাম হবে জিজ্ঞাসা করতে দোকানী মুচকি হেসে জানালো যে হাজার আশি তো হবেই। আর মহিলা সাথে সাথে ব্যাগ থেকে টাকাটা বের করে হারটা নিয়ে নিল; "নিশ্চয়ই নূতন উড়তি কাচা পয়সার মালিকদের কেও হবে, তা না হলে হারটা দেখেও কি বুঝল না যে ওটা একটা আর্টিফিশিয়াল গয়না?" বনির মাথাটা বন করে ঘুরে উঠল, কোন মত পাশের দেয়ালে ভর দিয়ে নিজেকে স্থির করে বুঝতে চেষ্টা করল সুমনার কথাটা। "আর ওই মহিলাকেই বা দোষ দেই কি করে – আমি যখন প্রথম ওটাকে দেখি দুবাই এয়ারপোর্টে শোকেসের মধ্যে তখন কি বুঝতে পেরেছিলাম যে ওটা একটা আর্টিফিশিয়াল গয়নার সেট? পরে তো কাছে গিয়ে প্রাইস ট্যাগটা দেখে বুঝতে পারলাম আসল ঘটনাটা কি"!
(Guy de Maupassant লিখিত The Necklace গল্পটির ছায়া অবলম্বনে রচিত)
মোস্তফা আব্দুল্লাহ, সিডনি
|