এ মুহূর্তে পল্লী চিকিৎসকদের সহযোগিতা জরুরি মোশাররফ হোসেন মুসা
যে কোনো মহামারী যুদ্ধের মতোই। মহামারীকে আবার গণযুদ্ধও বলা যায়। যেহেতু দেশের সকলের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেকারণে সেযুদ্ধে কামান-বন্দুকের চেয়ে লাঠি-সোঠা কাজে লাগে বেশি। একইভাবে বর্তমানে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পল্লী চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কোনো রুগী জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হলেই তিনি ভাবতে শুরু করেন তার করোনা রোগ হয়েছে। ফলে কেউ কেউ মনের আতঙ্কে অর্ধমৃত হয়ে অযথা ক্লিনিক-হাসপাতাল ছুটোছুটি শুরু করে। তারা যদি প্রথমে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে যান, তাহলে সঠিক পরামর্শ পাবেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাও নিতে পারেন। এখানে ঈশ্বরদী উপজেলা উদাহরণ হতে পারে। এই উপজেলায় ইপিজেড ও পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থাকায় বিদেশি নাগরিকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচল রয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই এই উপজেলায় সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি। করোনা রোগীরা সকলেই হাসপাতাল অভিমুখী। দানশীল ব্যক্তিরা ঈশ্বরদী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছেন। কিন্তু সমন্বয়হীনতার অভাবে চিকিৎসকরা সেগুলো ব্যবহারে হিমসিম খাচ্ছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্য হাসপাতালে নগদ অর্থের বরাদ্দ নেই। সেকারণে কেউ কেউ নিজের টাকায় সিলিন্ডার রিফিল করছেন। ডাক্তাররা ঝামেলা এড়ানোর জন্য কোনো কোনো রোগীকে খামোখা রাজশাহী কিংবা ঢাকায় রেফার করছেন। এই উপজেলায় তিন শতাধিক রেজিস্টার্ড পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন (সমগ্র বাংলাদেশে লক্ষাধিক)। রোগীদের কেউ কেউ রাজশাহী কিংবা ঢাকায় না গিয়ে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে তাদেরকে নিযুক্ত করা উচিত। পাশের দেশ সহ কয়েকটি দেশে অস্থায়ী চিকিৎসক কিংবা টেকেনিসিয়ান নিয়োগ দিয়ে ভালো ফলাফল পেয়েছে। পল্লী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা প্রায়ই বলে থাকেন, 'আপনারা ৮১ হাজার গ্রামে একটি করে রোগী দেখলে প্রতিদিন ৮১ হাজার রোগী দেখছেন। আপনারাই জনগণের সবচেয়ে কাছের ডাক্তার।'
সরকার যদি বিষয়টি নীতিগতভাবে গ্রহণ করে তাহলে দেখা যাবে, স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে একটি সুন্দর নেটওয়ার্কিং-এর মধ্যে নিয়ে আসছে। সেজন্য বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করছি।
মোশাররফ হোসেন মুসা Center for Democratic Local Governance E-mail : musha.pcdc@gmail.com, সেল- ০১৭১২-৬৩৮৬৮২ ঈশ্বরদী, পাবনা
|