bangla-sydney













মিশন পসিবল / মাসুদ পারভেজ



জমজমের পানি পান করে সাফা আর মারওয়া পাহাড়ে সা’ঈ শেষে আসর ও মাগরিব নামাজ আদায় করে হোটেলে ফিরে ডিনার করি। কোনো রকম বিশ্রাম না নিয়ে রাত আটটায় বাসে করে আবার রওনা হয়েছি মিনা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। পথে অনেক ভিড় থাকায় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মিনা ক্যাম্পে পৌঁছিয়ে এশার নামাজ পড়ে দুইটি ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়ে বেঘোর ঘুমিয়ে পড়ি। আইফোনের পরিসংখ্যানে দেখেছি শুধু আজকের একদিনে ২২কিমি হাঁটার রেকর্ড যা এখনো “পার্সোনাল বেস্ট” হিসাবে রয়েছে।

২৯ ও ৩০শে জুন (১১ ও ১২ই জ্বিলহজ্জ) ক্যাম্পের তাঁবুতে আসরের নামাজ পড়ে বিকাল চারটায় এবং ০১জুলাই সকাল এগারোটায় মিনা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বাতাসবিহীন, প্রখর রোদে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি টানেল পেরিয়ে হেঁটে জামারাতে গিয়েছি। প্রতিদিন “আল্লাহু আকবার” ধ্বনিতে - একে একে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানের প্রতিকৃতিতে ৭টি করে মোট ২১টি পাথর নিক্ষেপ শেষে ঘর্মাক্ত দেহে ফিরে আসি ক্যাম্পে।

০১জুলাই (১৩ই জ্বিলহজ্জ) - দুপুর দুইটার পরে মিনা ক্যাম্প ছেড়ে সবার সাথে বাসে করে রওয়ানা হয়েছি মক্কায় আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে। মক্কার দিকে ছুটে চলা বাসের জানালা দিয়ে পিছনে ফেলে আসা মিনা ক্যাম্পর যতদূর দেখা যায় তা বার-বার দেখার চেষ্টা করেছি। মনের অজান্তেই পাশের সিটে বসা আমার সহধর্মিণীকে বলেছি – I want to come back again, আবার কবে আসতে পারবো এই মিনা ক্যাম্পে? বাংলাদেশে ও জাপানে আমার ছাত্রজীবনে হোস্টেলে কিংবা ডর্মিটরিতে থেকে লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি। আর তাই “এওয়ে-ফ্রম-হোম”- এর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। মিনা ক্যাম্পের সমগ্র পরিবেশ আমার কাছে ছাত্রজীবনে ফিরে যাওয়ার ও পাওয়ার অনুভূতি। এখানে মাত্র চার রাত অবস্থানের সংক্ষিপ্ত সময়ে ধর্মীয় অনেক ঐতিহাসিক তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আহরণের পাশাপাশি আমি মূল্যবান অনেক কিছু শিখেছি যা আমার “ধ্যান ও জ্ঞানের হরাইজন”-কে আরও প্রসারিত করেছে।

সন্ধ্যার আগে হোটেলে পৌঁছিয়ে আবার যথারীতি মসজিদুল হারামে নামাজ পড়েছি। মক্কায় আজ শেষ রজনী। আগামীকাল প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর শহর পবিত্র মদিনাতে যাবো। তাই এশার নামাজের পরে শপিং-এ বেরিয়েছি। পবিত্র কাবা শরীফের আশেপাশের রাস্তায়, দোকানে কিংবা হোটেলে বাংলাদেশী লোকের অভাব নেই। বাংলাদেশী মালিকানাধীন বেশিরভাগ দোকানে চট্টগ্রামের মানুষের দেখা পেয়েছি, আর স্বর্ণের দোকানে আরবী-ভাষী সৌদিয়ানদের মুখে শুদ্ধ বাংলা শুনে অবাক হওয়ার পাশাপাশি আনন্দে আপ্লুত হয়েছি।

০২ জুলাই (১৪ই জ্বিলহজ্জ)- আজ বিদায়ী তাওয়াফের দিন। আমার কাছে বিদায়ী তাওয়াফ একদিকে আন্দন্দের আরেক দিকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। “আনন্দ” এইজন্যে যে - হজের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে এবার আমরা প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর শহর পবিত্র মদিনাতে যাবো, আর “বেদনাদায়ক” এইজন্যে যে - পবিত্র কাবা শরীফ থেকে বাহ্যিকভাবে দূরে চলে যাওয়ার সময় হয়েছে, আবার কোনো দিন আসতে পারবো কিনা তা ভেবে। সকাল দশটায় আমি আর আমার সহধর্মিণী বিদায়ী তাওয়াফের জন্যে পবিত্র কাবা শরীফে গিয়ে তাওয়াফের মাঝে আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতিতে মহান আল্লাহর কাছে আমাদেরকে হজ পালনের সৌভাগ্য দেয়ার জন্যে শুকরিয়া জানিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্যে দোয়া করেছি।

মক্কা থেকে মদিনা শহরের দূরত্ব ৪৫৩কিমি। এই দুই পবিত্র শহরের মাঝে সেতু বন্ধনকারী হারামাইন হাইস্পিড ট্রেন ২০১৮সালে নির্মিত হয়েছে। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০০কিমি গতিবেগের এই ট্রেনে আজ বিকাল পাঁচটায় আমরা মক্কা থেকে মদিনা যাবো। সময় লাগবে মাত্র ২ঘন্টা ২০মিনিট। মক্কার পরে মুসলিমদের দ্বিতীয় পবিত্র শহর মদিনা যেখানে আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র রওজা শরীফ অবস্থিত। যদিও হজের অংশ নয়, তবুও অধিকাংশ মুসলিম হজের আগে কিংবা পরে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারত করেন। বিভিন্ন কারণে মুসলিম উম্মাহ-র হৃদয়ে, স্পন্দনে ও আবেগে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে মদিনা। আগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। এই শহরের মানুষ প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে আশ্রয় দিয়েছেন, এখানেই তিনি জীবনের শেষ ১০টি বছর কাটিয়েছেন। নবীর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত এখানকার অধিবাসীরা নিজ শহরের ইয়াসরিব নাম পরিবর্তন করে “মদিনাতুন নবী”, অর্থাৎ “নবীর শহর” রাখেন। আমাদের গন্তব্যস্থল আজ এই পবিত্র শহরে।

সন্ধ্যার পরে মদিনায় পাঁচ তারকা বিশিষ্ট “হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল”-এ পৌঁছনোর পর আমার ও আমার সহধর্মীনির জন্যে বরাদ্দকৃত আমাদের ডাবল অকুপেন্সি রুমের চাবি ও লাগেজ নিয়ে রুমে এসে দ্রুত তৈরী হয়ে হোটেল থেকে বের হই মসজিদুন নববী-তে এশার নামাজের জন্যে। মসজিদুন নববী-র সীমানা প্রাচীরের সাথেই আমাদের হোটেল, হেঁটে যেতে এক মিনিটের পথ। এখানে নেই মানুষের ভিড়। নেই কোনো তাড়া-হুড়া, ছুটা-ছুটি, ধাক্কা-ধাক্কি - এক প্রশান্তিময় পরিবেশ।


মসজিদুন নববী

০৩জুলাই – ভিশন২০৩০-র আওতায় আমাদের গ্ৰুপের পুরুষদের জন্যে আসরের নামাজের পরে ও মহিলাদের জন্যে এশার নামাজের পরে “নুসুক”-এর অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে “রিয়াজুল জান্নাত”- এ সুন্নত নামাজ পড়ার ও প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারতের ব্যবস্থা হয়েছে। সময় নিদৃষ্ট হওয়ায় ঝামেলা বিহীন। মসজিদুন নববী-র অভ্যন্তরে হজরত আয়েশা (রাঃ) যে ঘরে থাকতেন, এখন সোনালী রঙের গ্রিল দিয়ে ঘেরা সেই ঘরে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- কে দাফন করা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহ-র প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর রওজায় ভক্তিপূর্ণ সালাম জানাই -”আস-সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ”। নবীজির পাশে এখানে রয়েছেন নবীজির দুইজন ঘনিষ্ঠতম সাহাবী ও ইসলামের প্রথম দুই খলিফা - হজরত আবু বকর (রাঃ) ও হজরত ওমর (রাঃ)। নবীজি-র সাথে তাঁদেরকেও সালাম জানাই।


প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর রওজা

০৪জুলাই - আমাদের প্যাকেজের আওতায় আজ বাসে করে ইসলামের ইতিহাসের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে তাৎপর্যপূর্ণ ও মুসলমানদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান - ওহুদ পাহাড়, মসজিদে কুবা ও মসজিদ আল কিবলাতাইন পরিদর্শনে এসেছি।

ওহুদ পাহাড়

মসজিদুন নববী থেকে ৫কিমি দূরত্বে মদিনা শহরের উত্তর-পূর্ব দিকে ১,০৭৭মি উচ্চতার ঐতিহাসিক এই পাহাড়ের অবস্থান। ওহুদ পাহাড়ের পাদদেশে মক্কার কুরাইশ ও মদিনার মুসলিমদের মধ্যে যুদ্ধে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আহত হন। এই রণক্ষেত্রে নবীজি-র চাচা হজরত হামজা (রাঃ) এবং হজরত আকিল ইবনে উমাইয়া (রাঃ)সহ ৭০জন সাহাবী শহিদ হন।

মসজিদে কুবা

ইসলামের প্রথম মসজিদ। মসজিদুন নববী থেকে ৩.২৫কিমি দূরে মসজিদে কুবা অবস্থিত। হিজরতের পর প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। নবীজি বলেন – “যে ব্যক্তি এই মসজিদে আগমন করে নামাজ আদায় করবে তাকে একটি ওমরাহ-র সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে”।


মসজিদ আল কিবলাতাইন

এই মসজিদে নামাজ আদায়ের মাঝামাঝি সময়ে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে কিবলা পরিবর্তনের নির্দেশের ওহি আসে। আল্লাহর কাছ থেকে এই নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে নবীজি নামাজরত অবস্থায় কিবলা পরিবর্তন করেন। জামাতে দাঁড়ানো সাহাবীরাও নামাজরত অবস্থায় একই সাথে কিবলা পরিবর্তন করে মক্কার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেন। কিবলা পরিবর্তনের জন্য মসজিদটির নাম মসজিদ আল কিবলাতাইন - অর্থাৎ দুই কিবলার মসজিদ।

০৫ জুলাই - ফজরের নামাজ পড়ে জান্নাতুল বাকী-তে গিয়েছি। এখানে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, হজরত ওসমান (রাঃ) সহ সাহাবীদের অনেককেই দাফন করা হয়েছে। বর্তমানে হজ ও ওমরাহ মৌসুমে মদিনায় যারা ইন্তেকাল করেন তাঁদেরকে জান্নাতুল বাকী-তে দাফন করা হয়।


জান্নাতুল বাকী

আমাদের প্যাকেজে মদিনাতে মাত্র তিন রাত অবস্থানের ব্যবস্থা - সময় দ্রুত ফুরিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার উদ্দেশ্যে মদিনা থেকে সকাল এগারোটার হারামাইন হাইস্পিড ট্রেন ধরে আজ জেদ্দা এয়ারপোর্টে যাচ্ছি। কয়েকদিন আগে মক্কা থেকে মদিনায় আসার পথে আর আজ মদিনা থেকে জেদ্দা এয়ারপোর্টে যাওয়ার ট্রেন লাইনের দুই ধারে দেখেছি - মরুভূমি, গুল্মজাতীয় ছোট-ছোট গাছ, কোথাও যত্ন করে লাগানো খেজুর গাছের সারি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হাইস্পিড ট্রেনে মদিনা থেকে জেদ্দা এয়ারপোর্টে যাওয়ার ১ঘন্টা ৪০মিনিটের এই যাত্রায় ভাবছি - প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মদিনা শহরে প্রবেশ করার সময় থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয়েছে। প্রায় ১৪০০বছর আগে মক্কা থেকে মদিনাতে হিজরতের সময় নবীজি ও সাহাবীরা মরুভূমির রাস্তায় বাহন বলতে উটের উপর সওয়ার হয়ে কিভাবে এই দীর্ঘ, বিপৎসংকুল ও কষ্টদায়ক যাত্রাপথ অতিক্রম করেছেন?

দেখতে দেখতে আমাদের ১৮দিনের হজ প্যাকেজের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আর দুই ঘন্টা পরে ইতিহাদ এয়ারওয়েস-এ আমাদের জেদ্দা-আবুধাবী-সিডনি ফ্লাইট। জেদ্দা এয়ারপোর্টে আমাদের গ্ৰুপের সবার সাথে প্যাসেঞ্জার কাউন্টারে নিজ নিজ লাগেজ ও প্রত্যেকের জন্যে গিফট পাওয়া ৫লিটার জমজম ওয়াটারের কনটেইনার ওভার-সাইজড কাউন্টারে চেক-ইন করে ইমিগ্রেশন/বোর্ডিং লাউঞ্জের দিকে এগিয়ে যাই।

আবুধাবীতে যাত্রা-বিরতি নিয়ে ১৪ঘন্টার রাতের ফ্লাইটে সিডনি ফেরার পথে মনের ফ্ল্যাশ ব্যাকে আসতে থাকে একে একে অনেক কিছু। ভাবছিলাম – এইতো কয়েকদিন আগে করোনার আক্রমণে স্তব্ধ পৃথিবী সচল হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ তুলে করোনা পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের হজ। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পবিত্র ঘরকে দেখার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি মক্কায় আমাদের ৯রাতের অবস্থানে ৪বার মসজিদুল হারামের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মাতাফে পবিত্র কাবা শরীফ তাওয়াফে ২বার কাবা ঘরের “রুকুনে ইয়ামেনী” দেয়াল এবং ৪বার “মাকামে ইব্রাহিম”-কে বেশ অনেক সময়ের জন্যে স্পর্শ করার সৌভাগ্য দিয়েছেন। তীব্র খরতাপের মধ্যে পবিত্র কাবা ঘরের দেয়ালের শীতল তাপমাত্রার প্রশান্তির পরশ এখনও অনুভব করি হাতের তালুতে। বিদায়ী তাওয়াফের পর পবিত্র কাবা শরীফের সীমানা ছেড়ে চলে আসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার শক্তি আমার নেই।

হজে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে। প্রখর রোদে দৈনিক গড়ে ৫-১০কিমি হাঁটা, মসজিদুল হারামে প্রবেশের দরজায়, এস্কেলেটরে, মিনা ক্যাম্পে, মুযদালিফায় বিভিন্ন সময়ে বাসে ওঠার জন্যে অসংখ্যবার লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে সবাই হজে সৌদি আরবে আসা-যাওয়া ও থাকাকালীন পুরো সময়টাতেই ধৈর্যের নানারকম পরীক্ষা দেন যা ইবাদতের সমতুল্য। এখানে এসে শিখেছি - “সাবরান জামিলান” (বিউটিফুল পেশেন্স)।

“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক” ধ্বনিতে - হজের প্রতিটি কার্যক্রম সুচারুরুপে, নির্ভুলভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। শুনেছি মহান আল্লাহর কাছে একসেপ্টেড হজের একমাত্র রিওয়ার্ড জান্নাত।

২০২৩সালে “নুসুক” পোর্টালে হজের জটিল প্রক্রিয়া, দেশ প্রতি ১০০০জন মুসলিমের জন্যে ১জন কোটার প্রচলন এবং বিগত বছরের তুলনায় অপ্রত্যাশিত অতিরিক্ত খরচের কারণে অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে হজে যেতে পারেনি। এই প্রতিযোগিতামূলক অনিশ্চিত সামগ্রিক অবস্থায় মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৭০০জনের হজের কাফেলায় আমরা দুইজন সুস্থভাবে পবিত্র হজ পালন করে ৬ই জুলাই ২০২৩ (১৮ই জ্বিলহজ্জ ১৪৪৪) সন্ধ্যায় নিরাপদে সিডনিতে পৌঁছিয়েছি। আলহামদুল্লিলাহ - মিশন পসিবল : হজ ২০২৩।

১১/১১/২০২৩



আগের অংশ


মাসুদ পারভেজ, সিডনি / mmparvez@yahoo.com



Share on Facebook               Home Page             Published on: 14-Nov-2023

Coming Events: