হারমোনি ডে মাসুদ পারভেজ
আজ ২১শে মার্চ ২০১৮ - হারমোনি ডে। জাতিসংঘের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৯ সাল থেকে হারমোনি ডে পালিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে। বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিভিন্ন দেশের তুলনায় অন্যতম বৃহৎ আকার এবং বিচ্ছিন্নতার কারণে অস্ট্রেলিয়া কখনো 'আইল্যান্ড কন্টিনেন্ট' নামেও পরিচিত। সমষ্টিগতভাবে ২০০ টিরও বেশি কথোপকথনের ভাষা রয়েছে এদেশে।
অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর ৯০টি দেশে ৫০০০ এরও বেশী ইন্ডিজিনাস গ্রুপ বসবাস করেন - যা পৃথিবীর জনসংখ্যার ৫% এর মতো - সংখ্যায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন।
গত ৭৫ বছরে (১৯৪৫সাল থেকে) এপর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২০০টি দেশ থেকে আসা ৭.৫ মিলিয়ন অভিবাসী মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে বসতি গড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ২৪.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কিংবা তাদের বাবা/মা এর অন্ততঃ একজনের জন্ম এদেশে নয়।
অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি এদেশের আকারের মতোই বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। এদেশের বহুজাতিক-বহু-সংস্কৃতির নীতি আমাদের সবাইকে বৈষম্য-মুক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা, নিজ-নিজ ভাষা অনুশীলনের অধিকার ও সুযোগ দিয়েছে - যা প্রতিফলিত হচ্ছে এদেশের খাদ্য, জীবনধারা, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যে। সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে অস্থিরতা থাকলেও অস্ট্রেলিয়াতে জাতীয় সংহতি এবং নিরাপত্তা রয়েছে অটুট। আর তাই সাংস্কৃতিক, জাতিগত, ভাষাগত ও ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ডের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যের মানুষ দুই শতাব্দী ধরে এদেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে পাশাপাশি।
হারমোনি ডে-র অব্যাহত বার্তা - “Everyone Belongs” - যা প্রকাশ করে বহুজাতিক জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য, অংশগ্রহণ এবং শ্রদ্ধা। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালতে অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিজ-নিজ দেশের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই হারমোনি ডে পালন করেন। হারমোনি ডে-র বার্তা বছরের প্রতিদিনে অস্ট্রেলিয়াবাসী সহ পৃথিবীর সব মানুষের জীবনে নিয়ে আসুক সম্প্রীতি, সম-অধিকার, শান্তি, আনন্দ, ভালবাসা, বৈষম্য-মুক্ত সমাজ, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মানবোধ।
মাসুদ পারভেজ, সিডনী, mmparvez@yahoo.com
|