bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













আমাদের ঢাকা সফর
মাসুদ পারভেজ



দেশ ভ্রমণ আমার পরিবারের প্রিয় শখ। গত দশ বছরে পরিবারের সবাই একসাথে অনেক দেশে ভ্রমণ করলেও বাংলাদেশে একসাথে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ডিসেম্বর ২০১৮তে হঠাৎ করে বেশ কিছু জরুরি প্রয়োজনে পরিবারের সবাই মিলে ঢাকাতে গিয়েছি।

পরিবারের সবার প্রিয় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে চড়ে সিঙ্গাপুরে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে পরিচ্ছন্ন-সুপরিসর ঢাকার হজরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেলাম। ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা আর বিনয়ী ব্যবহারে দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা সেরে গ্রামীণ ফোনের কাউন্টারে গিয়ে নতুন সিম কার্ড আর ফ্লেক্সি লোড করে এয়ারপোর্টের বাইরে এলাম। ঝামেলা-বিহীন চমৎকার অভিজ্ঞতায় আমরা সবাই বেশ খুশী।

আব্বা ইন্তেকাল করেছেন সাত বছর হলো। চার বছর আগে যখন আমি একা ঢাকাতে এসেছিলাম তখনও আব্বা ছিলেন না গেটের ওপারে। আব্বা আজও নেই আমাদের জন্যে অপেক্ষায়… বাস্তবকে মেনে নিতে কষ্ট হয়। মনের অতৃপ্ত বেদনা কাউকে বুঝতে না দিয়ে উঠে পড়ি ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের গাড়িতে। অল্প সময়ে পৌঁছে যাই দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে, আমাদের থাকার জায়গায়।

সদ্য ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত আমাদের ছেলে - শাকিবকে নিয়ে পরের দিন ভোর আটটায় গিয়েছি আজিমপুর কবরস্থানে। প্রতিবারের মতোই বেদনা বিধুর কণ্ঠে, শাকিব আর আমার মুখে ধ্বনিত হয়েছে - “আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবরে”। অসংখ্য সতীর্থদের সাথে এই পবিত্র স্থানে চির-নিদ্রায় শায়িত আছেন আমার আব্বা-আম্মা, শাকিবের দাদা-দাদী। এর আগে শাকিব তার দাদীর কবর কয়েকবার জিয়ারত করার সুযোগ পেয়েছে তবে দাদার কবর জিয়ারত তার জন্যে এই প্রথম। শাকিব আর আমি কবর জিয়ারতের মাঝে আজিমপুর কবরস্থানে চির-নিদ্রায় শায়িত না ফেরার দেশে চলে যাওয়া সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নীরবে বলি – “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানী সাগীরা”। আজিমপুর কবরস্থান থেকে বিদায় নেয়ার পথে শাকিব বললো – “থিংস টু ডু ইন ঢাকা” লিস্টের একটি পূরণ হলো আজ - তবে আবারও আসব ফিরে এখানে। ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সময়ের সফরে শাকিব এবং আমাদের মেয়ে - মেহনাজ এর আগ্রহ আর প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিতে আরো বেশ কয়েকবার ফিরে এসেছি আজিমপুর কবরস্থানে। ভাবতে ভালোই লাগে - আমি যখন থাকবো না শাকিব আর মেহনাজ তাদের ব্যস্ততার মাঝে কোনোদিন সুযোগ করে হয়তো এভাবেই আবারও আসবে দাদা-দাদীর কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। স্বপ্ন দেখতে তো আর দোষ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় আমার জন্ম। আজিমপুর থেকে ফেরার সময় মনে হলো - শাকিবকে আমার জন্মস্থান দেখালে কেমন হয়? বিল্ডিংয়ের সামনে গিয়ে দেখি - একটু পুরনো হলেও চারতলা বিল্ডিংটা ঠিকমতো দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে - আমাদেরকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে। শাকিব খুব এক্সাইটেড - সাথে আমিও। সিঁড়ি ভেঙে তিনতলায় উঠে কোনোকিছু চিন্তা না করেই দরোজায় টোকা দিতে বেরিয়ে আসেন এক গৃহিণী। সালাম বিনিময়ে, পরিচয় দিয়ে স্বভাব সুলভ বিনয়ী কণ্ঠে বলেই ফেললাম - আমার উদ্দেশ্য শাকিবকে তার বাবার জন্মস্থান দেখানো। গৃহিণী কি ভাবলো জানি না তবে একটু অপেক্ষা করতে বলে ভেতর থেকে ছেলেকে নিয়ে এসে বলেন – আসুন! ইতিমধ্যে শাকিব আর আমার এক্সসাইটমেন্ট বেড়ে গিয়েছে বহু গুণ - যা আমি দেখেছি শাকিবের চোখে-মুখে, হয়তো আমাকেও শাকিব দেখেছে আমার মতোই। কয়েক মিনিটের অবস্থানে আমরা দেখলাম ঘর, দেয়াল, জানালা, বারান্দা - কথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সে পড়ুয়া বাসার ছেলের সাথে, তার মায়ের সাথে, ক্ষণিকের পরিচয় হলো এক সুশিক্ষিত পরিবারের সাথে। বিদায় নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে শাকিব বলেই ফেলে – ড্যাড, ইউ আর গ্রেট।

১৪ই ডিসেম্বর গিয়েছি শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে, সংসদ ভবনে, ১৬ই ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় জাদুঘরে। কয়েকদিন পরে গিয়েছি পুরাণ ঢাকায় অবস্থিত লালবাগের কেল্লা আর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিলে। তোমাদের মুখে এতদিন শুনেছি আর এবার দেখলাম বাংলাদেশের এতো হিস্ট্রি, হেরিটেজ প্রপার্টি আর ট্রেজার আছে - আগে তা কখনো ভাবিনি বলেই ফেলে আমাদের শাকিব ও মেহনাজ। আমার সহধর্মিণী আর আমি ভাবি - আমাদের বাচ্চাদের জন্ম, বড় হওয়া এবং লেখাপড়া বিদেশে হলেও তাদের কাছে আমরা মনে হয় কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে পরিচয় করাতে পেরেছি।

কয়েকদিন পরে জাতীয় নির্বাচন। ঢাকা শহর থেকে ক্রমেই লোকসংখ্যা কমছে, রাস্তা-ঘাট বেশ ফাঁকা, যেকোনো জায়গায় যেতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না। আর উবারের সহজ-লভ্যতায় আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করা, শপিং কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নতুন ঢাকার - উত্তরা, বসুন্ধরা, গুলশান, বারিধারা, বনানী, মহাখালী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, ধানমন্ডি; নতুন ও পুরাণ ঢাকার সন্ধিক্ষণে - মগবাজার, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, পরিবাগ, পল্টন, মতিঝিল; পুরাণ ঢাকার - লালবাগ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, সদরঘাট, ইত্যাদি জায়গায় অনায়াসে অল্প সময়ে যেতে পেরেছি। প্রিমিয়ার গাড়িতে কয়েকটা রাইড নেয়ার পরে হঠাৎ করে মোবাইল ফোনে উবার থেকে মেসেজে পেলাম – “৭৫% ডিসকাউন্ট ইন নেক্সট ২০ রাইড” - আনন্দের সীমা আর রইলো না। যেখানেই যাই, সেখানেই মনে হয় - রিক্সা ভাড়া থেকে কমে, আধুনিক, মানসম্মত গাড়িতে, শিক্ষিত, মার্জিত এবং বিনয়ী উবারের ড্রাইভারের সাথে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছি অল্প সময়ে।

শীতের তেমন কোনো ছোঁয়া নেই ঢাকা শহরে। তবুও শীতের আমেজ রয়েছে কাপড়ের দোকানে, টেইলারিং শপে, মানুষের পোশাক পরিচ্ছদে - মনে হয় অনেকটা জোর করে পরা, কাঁচা বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানিতে আর জ্যান্ত এবং তাজা কই, মাগুর, শোল, রুই, কাতলা, চিংড়ি, আইড়, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, পাবদা, চিতল, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের মাছের অফুরন্ত সরবরাহে, বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় মেট্রো-রেলের কাজের জন্যে নির্মাণ স্থাপনায় রাস্তার খোঁড়া-খুঁড়ির বিড়ম্বনায় আর ধূলা-বালিতে সয়লাব পরিবেশে। দেখে বেশ আশ্চর্য হই - খাদ্য সামগ্রীর এমন কোনো বিদেশী ব্র্যান্ড নেই যা পাওয়া যায় না ঢাকার সুপার চেইন শপ কিংবা পাড়ার ছোট দোকানে। চার বছর আগে আমার দেখা ঢাকার সব জায়গার চিত্র এবারও মোটামুটি একই রকম - গায়ে গায়ে লাগানো গগনচুম্বী এপার্টমেন্টের সারি, নতুন-নতুন স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়/কোচিং সেন্টার, হাসপাতাল/মেডিকেল সেন্টার, ডিপার্টমেন্ট স্টোর, মুদি দোকান যেখানে সহজেই ফ্লেক্সি লোড করা যায়, দোরগোড়ায় ভ্যান গাড়িতে করে সবজি/মাছ/মুরগি বিক্রেতাদের অবাধ বিচরণ, যত্রতত্র ময়লার স্তূপ, টেলিফোন/ল্যাম্প পোস্টে ল্যান্ডফোন/ডিশ লাইন সংযোগের কুণ্ডলী পাকানো কালো রঙের তারের ছড়াছড়ি, ঢাকার ফুটপাথ অবৈধ দোকানিদের দখলে কিংবা ময়লা আবর্জনায় ভর্তি, ফুট ওভারব্রিজগুলি ভিক্ষুক আর হকারদের নিয়ন্ত্রণে, মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবাধে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছে, ইত্যাদি। ভাবছিলাম - ঢাকার মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক সাহেব বেঁচে থাকলে হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হতো।

গত সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ঘুরে এসেছি। উদ্দেশ্য ছিলো আমার এলাকার নির্বাচনী আবহাওয়া এবং পরিস্থিতি একটু বোঝার চেষ্টা করা। আজ ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ - একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বেলা বারোটার দিকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখি বেশ লম্বা লাইনে সারিবদ্ধ মানুষ। ন্যাশনাল আইডি কার্ড হাতে নিয়ে সবার শেষে দাঁড়িয়ে ভাবছি - এক কোটিরও বেশি ভোটার দেশের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনও প্রবাস থেকে আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি না - এই দুঃখ প্রবাসীরা নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রেখেও দেশের মঙ্গল কামনা করে যাই। আরো ভাবছি - ভোটার হয়েছি অনেক বছর আগে তবে সুদীর্ঘ পঁচিশ বছর বিদেশে থাকায় আর ভোটের সময় দেশে না আসার কারণে ভোট দিতে পারিনি। অস্ট্রেলিয়াতে স্টেট এবং ফেডারেল সরকার নির্বাচনে ভোট দিয়েছি বেশ কয়েকবার।

ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) এর আওতায় ঢাকার দুইটি আসনের একটি আমার এলাকার। আধুনিক পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার ব্যবস্থায় স্বাভাবিক কারণেই আমার কৌতূহল একটু বেশী। অবশেষে ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে সফলভাবে নিজের ভোট নিজে দিয়ে বাঁ-হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ভোট দেয়ার প্রমাণ স্বরূপ অপনেয় কালির নিদর্শন নিয়ে বেরিয়ে এসে আবারও ভাবতে থাকি - দেশকে ভালোবাসার জন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে হয় না কেবল সচেতন একজন নাগরিক হলেই চলে, দেশের দুই কোটি তরুণ ভোটারদের দায়িত্ব যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করার। আরও ভাবি - প্রবাস থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা হয়তো আগামীতে হবে আমাদের জন্যে। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দল দেশের চলমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখে আরও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে - হালকা শীতের মাঝে, ভর-দুপুরে, অনেক দিন পরে দেখা পাওয়া ঝলমলে সূর্যের নিচে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে ভালোই লাগছিল।

বন্ধুর মেয়ের গায়ে হলুদ হলো ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২রা জানুয়ারি ২০১৯। আর তিনদিন পরে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিয়ের আয়োজন। এই দুই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়াও আমাদের ঢাকা সফরের জরুরি প্রয়োজনের একটি। সুস্বাদু ভোজন, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত শিক্ষক সহ অনেক সফল ব্যবসায়ী বন্ধুদের সাথে বেশ অনেক দিন পরে একসঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে আর আড্ডায় সময় দ্রুত ফুরিয়ে গেলেও স্মরণীয় হয়ে থাকার অনেক স্মৃতির খোরাক নিয়ে এসেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি-র প্রতিবেদনে এসেছে ১৪৮টি উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থ পাচারের তথ্য। সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় চীন থেকে আর এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম। বাংলাদেশ থেকে গত বছরে প্রায় ৫০হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি। পরিচিত একজনের কাছে শুনলাম - নির্বাচনের আগে দেশান্তরী মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়ে যায় তেমনি বাড়ে অর্থ পাচার তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা আবার কমে আসে। ভাবছিলাম - পাচার হওয়া ৫০হাজার কোটি টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু (৩০হাজার কোটি টাকা) ও মেট্রো-রেল (২২হাজার কোটি টাকা) নির্মাণের মতো দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেত। তবে আশার বাণী - আগামী দুই-এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে এই দুই মেগা প্রকল্প।

ব্যতিক্রমধর্মী অভিনেতা, লেখক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার এবং ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক ও নির্মাতা জনাব আমজাদ হোসেন ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৮ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বছরের প্রায় শেষ দিকে জাতি হারালো এক অনন্য প্রতিভাকে। বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের জন্যে ৬ই জানুয়ারি ২০১৯ দেখলাম - গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকার রাস্তা অবরোধের আন্দোলন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পেছনেও এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, অথচ এই শিল্পে নিয়োজিত কর্মজীবী মানুষেরা ভাল নেই - সত্যিই ভাবতে কষ্ট হয়!

নির্বাচনের দুই দিন আগে একজন পরিচিত বিদেশী যাত্রীকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুর গামী ফ্লাইটে বিদায় জানাতে গিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বহির্গমন যাত্রীদের অস্বাভাবিক ধরণের ভিড় লক্ষ্য করলাম। মনে হলো সবাই যেন দ্রুত দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পরে একই ফ্লাইটে আমরা ফিরছি - যাত্রীদের ভিড় বেশ স্বাভাবিক মনে হলো। রাত এগারোটায় বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে যখন প্লেনে ওঠার জন্যে অপেক্ষা করছি তখন মেহনাজ বলেই ফেলে - আমি আবারো বাংলাদেশে আসবো। শাকিবও বলে - ওদের বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে শাখা খুলেছে দুই বছর আগে, তাই হয়তো আগামীতে সেও সিডনি থেকে ঢাকায় এসে কিছুদিন কাজ করবে।



মাসুদ পারভেজ, সিডনি / mmparvez@yahoo.com




Share on Facebook               Home Page             Published on: 5-Feb-2019

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far