bangla-sydney













আদরমাখা স্কুল!
জন মার্টিন



আমার স্কুল নিয়ে অনেক গল্প আছে। ইট, সুরকী দিয়ে এই স্কুল তৈরি হয়নি। দেয়ালগুলো অনেক পুরানো। দেয়ালে জমে আছে স্মৃতির শেওলা। আমরা ছুঁয়ে দিলেই সেই দেয়াল গুলো জেগে উঠে। আমরা স্কুলের সাথে কথা বলি। কত কথা।

এই দেয়ালে বেড়ে উঠার গল্প লিখেছেন অমর্ত্য সেন, ডঃ কামাল হোসেন, ডঃ বদরুদ্দোজা, ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী, ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্কুলের সকল ইট খুলে লম্বা লাইন করলেও গ্রেগরিয়ানদের এই লম্বা তালিকা ছাড়িয়ে যাবে না। ঐ যে মুক্তিযুদ্ধের ক্র্যাক প্লাটুনের আজাদের কথা মনে আছে। আজাদ এই স্কুলের দেয়ালে ওর গল্প লিখে গ্যাছে। এমন হাজার হাজার স্মৃতি কথা নিয়ে আমরা বড় হয়েছি। স্কুল আমদের আঁকড়ে রেখেছে। আমরা গ্রেগরিয়ান, আমাদের ভালবাসা এক। এমন কি আমাদের হাতের লেখাও এক।


সেই স্কুলের ১৪০ বছর হয়েছে। এই তো কিছুদিন আগে স্কুলে গ্রেগরিয়ানরা ছুটে এসেছে। নর্থ আমেরিকায় গ্রেগরিয়ানরা আমেরিকায় জড়ো হয়েছে। প্রবাসে বসে আমরাও সেই স্মৃতির শেওলার দেয়ালগুলো ছুঁয়ে দিতে চেয়েছি।

আমি অস্ট্রেলিয়া থাকি, আদর সিঙ্গাপুরে, ডমিনিক কানাডা, সায়মুর আর আগস্টিন বাংলাদেশে। আগস্টিন আর্কিটেক্ট - কিন্তু অসাধারণ স্কেচ আঁকে। আমরা সবাই গ্রেগরিয়ান। এই স্কেচগুলোকে প্রাণ দিল ডমিনিক আর আদর গলা দিয়ে আদর ঢেলে দিল। আমাদের স্কুল তো দিনরাত আমাদের সাথে কথা বলে। আমরা সেই কথা লিখলাম, আবৃতি করলাম এবং ভিডিও বানালাম।
এখন মনে হচ্ছে, সকল স্কুল তাঁর ছাত্রদের সাথে এইভাবে কথা বলে।
কেউ শুনতে পায়।
কেউ পায় না।
আপনি শুনতে পান তো?


সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল



জন মার্টিন, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া




Share on Facebook               Home Page             Published on: 21-Jan-2023

Coming Events: