 কাতারের সুখ দুঃখ - ৯ আব্দুল্লাহ আল-মামুন
আগের পর্ব        পরের পর্ব 
প্রথম পর্ব লিখার পর লেখা-লেখির ভুবন থেকে বেশ লম্বা সময়ের জন্য ডুব দিতে হল। কাতার থেকে সিডনী যাত্রাই হল এর মূল কারণ। গত ক’দিনে সিডনী শহরে ফেলে আসা পুরনো বন্ধু-বান্ধব ও শুভার্থীদের সাথে দেখা হল, সান্নিধ্য পেলাম আমার বহু কলাম পাঠকের। বহুদিন পর এক সন্ধ্যায় চুটিয়ে আড্ডাও দিলাম বাঙলা-সিডনীর কর্ণধার আনিস ভাইয়ের সাথে। সবার একই কথা, লেখা বন্ধ কেনো? তাই কাল বিলম্ব না করে নতুন পর্বে হাত দিলাম।
কা’বার পথে – ২: এপ্রিল ৯, ২০০৯। ভোর সাড়ে তিনটায় তা’ইফের মি’কাতে এসে পৌঁছলাম। মি’কাত এলাকায় ঢোকার মুখেই রয়েছে সাদা কংক্রিটের আকাশ ছোয়া মিনার যা দিয়ে মি’কাতের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস থেকে নেমে মনে হল এক ভিন্ন জগতে পা রেখেছি। চারদিক শুধু সাদার মেলা। পুরো মি’কাত এলাকা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান পাট। সবখানে জ্বলছে সাদা নিয়ন বাতি যার আলোতে মনে হচ্ছিল শুভ্র ধবল মেঘের দেশে চলে এসেছি। দোকানের ভেতরে ও বাইরে থরে থরে সাজানো সাদা রংয়ের সামগ্রী যেমন ইহরামের জন্য পরিধেয় কাপড় (যাকে বলা হয় রিদা ও ইজার), সাদা স্যান্ডেল, সাদা বাম্প ব্যাগ ইত্যাদি। মহিলা ও পুরুষদের জন্য দেখতে পেলাম আলাদা বাথরুম/টয়লেট, সাথে একটি বিশাল মসজিদ। যে দিকেই চোখ রাখিনা কেন কেবল চোখে পড়ছে সাদা ইহরামের কাপড় পরা মানুষের কাফেলা। মি’কাতের সমগ্র এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে কেমন এক ধরনের উত্তাপ, শোনা যাচ্ছে চাপা গুঞ্জরন। সবার মধ্যে ব্যস্ততার ভাব, যেতে হবে সহসা অন্য কোথাও, চোখের মনিতে জ্বলছে শান্ত অথচ উৎকণ্ঠা ভরা আকুতি - কখন এবং কোথায় মিলবে কাংখিত স্বপ্নের দেখা?
পর্বতমালার শিখরে গড়ে উঠেছে এই তা’ইফ শহর। সমুদ্র-ভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৮০০ মিটার। মি’কাতে গোছল করে পাক পবিত্র হয়ে ইহরামের কাপড় পড়ে উমরার নিয়ত করতে হয়। এই হল সেই তা’ইফ শহর যেখানে সত্যের আহ্বান জানাতে এসে শহরবাসীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন আমাদের রাসুল (সাঃ)। সময়টা হল ৬১৯ সাল। নবুয়ত প্রাপ্তির পর পার হয়েছে প্রায় ১০ বছর কিন্তু মক্কায় মুসলিমের সংখ্যা তখনও মাত্র ২০০ জনেরও কম। তাছাড়া একই বছরে পর পর রাসুলের মমতাময়ী স্ত্রী ও সহযোদ্ধা বিবি খাদিজা, ও পরম শুভাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর পর মক্কাবাসীর লাঞ্ছনা ও হুমকির মুখে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল তাঁর। তাই মক্কার আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়ে তিনি দক্ষিণে তা’ইফ শহরের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো তাইফবাসী তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবে। কিন্তু সাড়া দেয়ার বদলে একদল উশৃংখল জনতা রাসুল ও তাঁর সঙ্গী যায়েদকে বিদ্রূপ করে পাথর ছুড়ে মারতে থাকে যার আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিল রাসুলের শরীর। রাসুলের শরীর থেকে বহমান রক্ত জমাট বেধে পায়ের পাতার সাথে পাদুকা সেঁটে গিয়েছিল। শহর থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি আশ্রয় নেন একটি আঙ্গুরের বাগানে যার মালিক ছিল একজন মক্কাবাসী। রাসুলের এই অবস্থা দেখে নিজের এলাকার মানুষ হিসাবে তার মনে দয়ার উদ্রেক হল। তিনি রাসুল (সাঃ) ও যায়েদকে বিশ্রামের সুযোগ দিলেন ও তার খৃষ্টান দাস আদ্দাসকে একথালা আঙ্গুরও দিতে বললেন। রাসুল (সাঃ) আঙ্গুর খাবার আগে উচ্চারণ করলেন “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন মুসলিমদের মুখে এই বাক্য উচ্চারিত হচ্ছে শত কোটি বার। আদ্দাস মহানবী (সাঃ) এর মুখে সত্যের শাশ্বত বানী শোনার পর ইসলাম গ্রহণ করলেন। রাসুলের মিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলোনা। এইভাবে তা’ইফের মরু-প্রান্তরে রাসুলের রক্তের আখরে লিখা হল আরো একটি নও মুসলিমের নাম - আদ্দাস। একটা ব্যাপার লক্ষণীয় তা হল তাইফ গমনের তিন বছর পর অর্থাৎ ৬২২ সালে রাসুল (সাঃ) মদিনায় হিজরত করেন। ৬১০ সালে নবুয়ত প্রাপ্তির পর থেকে ৬২২ সাল এই ১২ বছরে রাসুলুল্লাহকে ধর্মের বানী প্রচার করতে হয়েছে ভীষণ পরিশ্রম করে, কখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, কখনও লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সয়ে। তবে এত পরিশ্রমের পরও সফলতা মিলেছিল খুবই অল্প। কিন্তু দেখা গেল মদিনায় যাবার পর বাকী জীবনের মাত্র ১১ বছরের মধ্যেই তিনি অর্জন করলেন পরিপূর্ণ সফলতা, প্রতিষ্ঠা করলেন ইসলামিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা। ইচ্ছে করছিল সকালটা থেকে দেখে যাই তাইফের সেই আঙ্গুরের বাগান । কিন্তু আমার যে তাড়া রয়েছে। আর মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়বে বাস।
একটি প্লাস্টিক ব্যাগে আমার কাপড় চোপড় নিয়ে ছুটে গেলাম গোছল খানায়। যেয়ে দেখি সে এক ইলাহি কারবার! প্রতিটি বাথরুমের সামনে বিশাল লাইন। এখনই এই অবস্থা না জানি হজ্জ্বের সময় কি হবে? একটা লাইনের পেছনে দাঁড়ালাম। আমার সামনে আরো পাঁচ জন। একটু বিরক্ত হচ্ছিলাম আমার পেছনের মানুষটির ঠেলাঠেলি দেখে। কিন্তু সাথে সাথেই মনে পড়ল - এখন কোন বিরক্তি, রাগ, কিংবা উষ্মা প্রকাশের সময় নয়। সাথে সাথে নিজেকে সংযত করলাম। পেছনের মানুষটিকে আমার আগে দাঁড়াতে বললাম। ওই ভদ্রলোক বেশ অবাক হলেন। এভাবে প্রায় ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর আসল আমার পালা। বাথরুমে ঢুকে পড়লাম। ব্যাগে দেখি সাবান নেই। কিন্তু তাতে কি? বাথরুমের ছোট্ট শেলফ ও মেঝেতে সুগন্ধি সাবান থেকে শুরু করে শ্যাম্পু ও সেভিং রেজরও পড়ে আছে অনেক। একটা সাবান তুলে নিয়ে চট জলদি গোছল সেরে ফেললাম। ইতিমধ্যে দরজায় টোকা পড়তে শুরু করেছে। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে একটা খেজুর গাছের নীচে দাঁড়ালাম ইহরামের কাপড় পরার জন্য। আমার শরীর অনুপাতে আকারে বড় হওয়ায় নীচের অংশ অর্থাৎ ইজার পরতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। বেশ ক’বার চেষ্টার পর সফল হলাম। ইজারের উপর সাদা বেল্টটা টানটান করে বাধলাম আর উমরার নিয়মাবলী সংক্রান্ত পাম কার্ডগুলি বেল্টের চোরা পকেটে গুঁজে রাখলাম। মসজিদের সামনে এসে দেখি মুনিরা ও সেলি ইতিমধ্যে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মুনিরা অবাক চোখে আমাকে দেখে বলল - “বাবা তোমাকে অন্য রকম দেখাচ্ছে!” আমরা সবাই নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলাম।
মসজিদে ঢুকে চোখ বুলিয়ে দেখি ছোট বড়, বিভিন্ন বয়সের মানুষ, প্রার্থনায় নতজানু, সবার মুখে একই উচ্চারণ লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। কিছুক্ষণের মধ্যে ফজরের আযান হয়ে গেল। নামাজ পড়ে সবাই গাড়ীতে উঠে পড়লাম। ভোর ৬টার আগেই বাস চলতে শুরু করল । মহানবীর রক্ত ও ঘামে ভেজা স্মৃতির শহর তা’ইফ ছেড়ে চলে যাচ্ছে বাস। পেছনে ফেলে যাচ্ছে সেই আঙ্গুরের বাগান, রাসুলের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ। দু’পাশের খেজুর গাছের সারি যেন সেই বেদনাভরা কাহিনীর নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিষণ্ণ মৌনতায়। আমরা সবাই ক’দিন পর আবার ফিরে যাবো ইট কাঠের খাঁচার নিরাপদ আশ্রয়ে। শহুরে জীবনের যান্ত্রিকতা, ব্যস্ততা, ও আবেগের অরণ্যে হয়ত হারিয়ে যাবে তা’ইফের ক্ষণিক স্মৃতি। কিন্তু তা’ইফ শহরের এই মরু প্রান্তর অনাদিকাল ধরে লক্ষ কোটি হাজ্জীদের কানে কানে শোনাবে রাসুলের কষ্ট ও বেদনার কথা শব্দহীন সংলাপে।
গাড়ীতে পিন পতন নিস্তব্ধতা, কেবল থেমে থেমে উচ্চারিত হচ্ছে সমস্বরে লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। তখনো সূর্য ওঠেনি। দুর দিগন্তে লালচে সোনালী আভা উঁকি দিচ্ছে। মক্কা শহরে ঢোকার বিশেষ মুহূর্তটা চোখের আড়াল করতে চাইছিলাম না। ড্রাইভারের ডান পাশে ঠিক দরজার কাছে রয়েছে একটি খালি আসন। সম্ভবতঃ ড্রাইভারের সহযোগীর জন্য নির্ধারিত। তবে ড্রাইভারের সাথে কেউ নেই বলে আমি ওই সীটে গিয়ে বসলাম যাতে দু’পাশের দৃশ্য দেখতে পারি । পাহাড়ের গা ঘেঁষে বাস নীচে নেমে যাচ্ছিল সমতল ভূমির দিকে। প্রায় ৪০ মিনিট চলার পর মক্কা শহরে প্রবেশ করলাম। রাস্তার দু’পাশ জুড়ে চোখে পড়ল আকাশ ছোয়া কালো রংয়ের পর্বত মালা। পাহাড়ের গায়ে কোন লতা পাতা কিংবা গাছের রেশ মাত্র নেই। দোহা থেকে আসার পথে প্রকৃতির যে রূপ দেখেছি তা থেকে মক্কা অনেকটা ভিন্ন। একটু পরেই দেখলাম অমুসলিমদের জন্য এক্সিট রুটের সাইন, তার মানে আমরা অবশেষে পবিত্র হারাম এলাকায় প্রবেশ করছি। সকাল ৭:১০ মিনিটে হোটেলের সামনে এসে বাস থামল। বাসে বসে মসজিদুল হারামের মিনার দেখতে পেলাম। মনে হল হোটেল থেকে কা’বা ঘর খুব দুরে নয়, হেঁটেই আসা যাওয়া করা যাবে। বুধবার ভোর সাতটায় রওয়ানা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় একই সময়ে মক্কা পৌঁছলাম তার মানে পাক্কা ২৪ ঘণ্টা! তবে কাস্টম চেকপোস্ট ও তা’ইফে অবস্থানের মোট ৭ ঘণ্টা সময় বাদ দিলে স্বল্প বিরতি সহ সত্যিকার বাস ভ্রমণ হল ১৭ ঘণ্টা। ১৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য এটা গ্রহণযোগ্য বলেই মনে হল।

বাস থেকে নেমেই দেখি লাগেজ নিয়ে খাবারের দোকানের চেয়ে বেশী হুড়োহুড়ি। প্রতি সপ্তাহে আমাদের মত দোহা গ্রুপের একদল যাত্রী দোহা থেকে মক্কায় আসছে। আমাদের আগের সপ্তাহে যারা এসেছে তারা মক্কায় সাত দিন থাকার পর এই একই বাসে চড়ে মদিনা হয়ে দোহায় ফিরে যাবে। হোটেলের প্রবেশ পথ ওদের লাগেজে পরিপূর্ণ ফলে আমাদের ঢোকার কোন পথই নেই। মজার ব্যাপার হল আমাদের লাগেজ নামাবার আগেই মদিনার যাত্রীরা তাদের মালপত্র পাল্লা দিয়ে ঠেলে বাসে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল। ফলে ওদের সাথে আমাদের মালপত্র মিশে যাচ্ছিল। ড্রাইভার মদিনার যাত্রীদের বার বার বলছিলেন কারো ব্যাগ ফেলে যাওয়া হবেনা, দয়া করে দোহার যাত্রীদের নামার সুযোগ দিন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? সে এক কুরুক্ষেত্র। হঠাৎ করে সবাই কেন এত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল বুঝতে পারলাম না, যা দেখে আমি না হেসে পারিনি। কোনমতে সুটকেস নিয়ে রুমে গেলাম। মাঝারি আকারের রুম, রয়েছে তিনটি বেড ও সাথে ইংলিশ কমোড সহ বাথরুম। টয়লেট দেখে আমার মেয়ে মুনিরা হাঁপ চেড়ে বাঁচলো। কারণ এ পর্যন্ত রাস্তায় সব সবখানেই ছিল দেশের মত স্কোয়াট টয়লেট যার মেঝেতে জমে থাকে একগাদা পানি ফলে ময়লা পানি থেকে কাপড় বাঁচিয়ে রাখা খুবই দুষ্কর। আমাদের ফ্লোরের করিডোরের এক মাথায় সবার ব্যবহারের জন্য দেখলাম একটি ছোট রান্না ঘর। দেরী না করে লাগেজ রুমে রেখেই উমরা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।

কা’বার উত্তর দিকে প্রায় ২০০ মিটারের মধ্যে আমাদের হোটেলের অবস্থান। এই পাশটায় রয়েছে উঁচু পাহাড় যার নাম হল “জবলে কা’বা”। জানা যায়, এই জবলে কা’বা থেকেই পাথর নিয়ে হযরত ইব্রাহীম কা’বা ঘর নির্মাণ করেছিলেন। জবলে কা’বার চারপাশ জুড়ে মসজিদুল হারামের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এই ঐতিহাসিক পাহাড়গুলি হয়ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বুলডোজারের নির্মম আঘাতে। শুনলাম আমাদের হোটেলটাও নাকি ভেঙ্গে ফেলা হবে সহসা। পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে নেমে চলেছি কা’বার দিকে। রাস্তায় দেখলাম পুরুষ, মহিলা ও শিশু সহ মানুষের কাফেলা হেঁটে চলেছে একই গন্তব্যের পানে, কারো গায়ে ইহরাম কেউ আবার সাধারণ পোশাকে। অবশেষে সিঁড়ি বেয়ে মসজিদুল হারামের দুই মিনার বিশিষ্ট একটি বিশাল গেটের কাছে এসে দাঁড়ালাম। আমার স্ত্রী সেলি বলল কা’বাতো দেখতে পাচ্ছিনা, কা’বা কোথায়? আমি বললাম এই গেইট পার হলেই চোখে পড়বে কা’বা। আসার পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যন্ত্রপাতি, লোহা, ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর জন্য ঢোকার পরিবেশটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল তাই একটু বিস্মিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। যে গেইট দিয়ে আমরা প্রবেশ করছি তার নাম হল আল-ফাতাহ্, গেইট নাম্বার ৪৫। গেইটের আশে পাশে রয়েছে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো জুতো রাখার যায়গা। ঢোকার মুখেই বসে আছে ক’জন খাকী পোশাক পরা পুলিশ ও হালকা সবুজ আলখেল্লা ও আরবি পোশাক পরিহিত সিকিউরিটি গার্ড। ওরা সবার হাতের ব্যাগ পরখ করে দেখছিল কোন ভিডিও ক্যামেরা কিংবা খাবার আছে কিনা। বিসমিল্লাহ-এ-আল্লাহু আকবার বলে ভেতরে ঢুকে একটু এগিয়ে যেতেই অবশেষে দৃষ্টির সীমানায় উঠে আসল পবিত্র খানা-এ-কা’বা, আল্লাহর ঘর। (চলবে..)
আগের পর্ব        পরের পর্ব 
 আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কাতার থেকে
|