করোনা কালীন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন অভিজ্ঞতা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ সফলতা ডাঃ নূর রহমান খোকন
প্রায় দেড় বছর আগে শুরু হওয়া করোনা তাণ্ডব বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক জীবন, ভ্রমণ, বাণিজ্য সহ সার্বিক অর্থনীতির উপর অভাবনীয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। করোনা রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসটির পরিবর্তনশীল এবং অনেক অজানা প্রকৃতির কারণে নিশ্চিত সঠিক প্রতিরোধ বা প্রতিষেধক ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশ্বব্যাপী সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। ঔষধ বা ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চয়তা কেউ দিতে না; পারলেও একটি বিষয় সম্পর্কে সবাই একমত যে রোগটির সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো সংক্রমণের চেইনকে বিঘ্নিত করা। তার মধ্যে সঠিক নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া এবং টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার আগে কাউকে জনগোষ্ঠীতে প্রবেশে বাধা দেওয়া তথা কোয়ারান্টিনের ব্যবস্থা করা। যেসব দেশ এই নিয়মগুলি যত বেশী নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে সেই দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ ততটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়ম গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো অন্য দেশ থেকে আসা কোনো ব্যাক্তিকে নিজের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা। সম্প্রতি ব্রুনেই থেকে অস্ট্রেলিয়া গমন এবং ফেরত আসার সময় দুই দেশেই কোয়ারেন্টাইন এর বিশেষ ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর এই অভিজ্ঞতার আলোকেই বলতে পারি করোনা নিয়ন্ত্রণে এই দুই দেশের অভাবনীয় সফলতা এসেছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখে ব্রুনেইতে প্রথম করোনা রোগী চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু তার আগে ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকেই ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ সহ বর্ডার কন্ট্রোল এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া শুরু করে দেশটির সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশে আগমন আর দেশ থেকে বহির্গমনের উপর অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ দেশে আগমন বা দেশ থেকে বহির্গমন করতে পারে না। বিশেষ ব্যবস্থায় বিদেশে অবস্থানরত ব্রুনাইয়ানদের দেশে ফেরত আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ হলো বিদেশ থেকে বিমান, স্থল, নদী বা সমুদ্র পথে আসা সকলের জন্য বাধ্যতা মূলক ১৪ দিনের (যা বর্তমানে দেশ ভিত্তিক শিথিল যোগ্য করা হয়েছে) হোটেল কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা।
প্রায় ৪-৫ মাস আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ২০২১ এ ব্রুনেই থেকে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করি। করোনা কালীন ভ্রমণের নিয়ম অনুযায়ী আমার রিপোর্টিং মন্ত্রী তথা আমাদের কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর চেয়ারম্যান মহোদয়ের স্বাক্ষরিত ভ্রমণের পূর্বানুমতি পত্র সহ প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে অনলাইন আবেদন দাখিল করি। দীর্ঘ এক বছর পরিবারের সদস্যদের সাথে করোনা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেখা না হওয়ায় বিষয়টিকে জরুরি ভ্রমণ হিসেবে দেখা হয়। যথা রীতি অনুমোদনও মিলে। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়া শুধু নিজ দেশের নাগরিক বা অনুমতি সাপেক্ষে অতি জরুরী প্রয়োজনীয় ভ্রমণকারীদেরকেই আগমনের অনুমতি দেয়। সীমিত সংখ্যক এয়ারলাইন চলাচলের এই দুঃসময়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এর একটি ফ্লাইট বুক করি। এয়ারলাইন থেকে শর্ত ছিল -
(১) ব্রুনেই প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি (২) অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের অনুমতি (৩) ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট এবং নেগেটিভ রেজাল্ট (৪) অস্ট্রেলিয়াতে ১৪ দিন কোয়ারান্টিনে থাকার জন্য খরচ (AU$3000+) বহন করার অঙ্গীকার (৫) ব্রুনেইতে ফেরত আসার জন্য ব্রুনেই প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়ের পূর্বানুমতি (৬) ভ্রমণের সময় সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার (৭) স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা (৮) সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা
এই সবগুলি শর্ত পূরণ করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এর একটি ফ্লাইট এ যাত্রা করি। করোনা দুর্যোগের এই সময়ে পরিবারের, শুভাকাঙ্ক্ষীদের, সহকর্মীদের সহ নিজে খুব উৎকণ্ঠিত বোধ করেছি কারণ ভ্রমণের ফলে মেলামেশা থেকেই মূলত করোনা মহামারী ছড়িয়েছে।
উৎকণ্ঠার আরো একটি কারণ হলো সিঙ্গাপুর ১১-১২ ঘণ্টার ট্রানজিট। জনসমাগম থেকে দূরে থাকা আর বিশ্রামের প্রয়োজনে এয়ারপোর্ট হোটেল বুক করা ছিল। সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট হোটেলে চেক ইন করতে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য ভিন্ন রকমের ব্যবস্থা। করোনা মুক্ত হওয়ার কারণে ব্রুনেই থেকে আগত ভ্রমণকারীদেরকে এয়ারপোর্টে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে অবাধ ঘোরা ফেরার জন্য একপ্রকারের গলায় ঝুলানো অনুমতি ব্যাজ দেয়া হয়। হোটেল থেকে বলা হলো শুধু ব্রুনেই, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান, চায়না, সিঙ্গাপুর থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য এই ব্যাজ প্রযোজ্য। অন্য দেশ থেকে আগতরা এই ব্যাজ পাবে না।
সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট হোটেলে ১১ ঘণ্টা ট্রানজিট শেষ করে এবার অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এর বিমান এয়ারবাস A359 মাত্র ২৪ জন (২ জন বিজনেস ক্লাস, ২২ জন ইকোনমি ক্লাস) যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রা করলো ভোর ১টা ১৫মিনিটে। দুপুর ১২:২০ মিনিটে সিডনি এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেখলাম সুনসান নীরবতা। যে এয়ারপোর্টে কয়েক মিনিট ব্যবধানে এয়ারক্রাফট অবতরণ করতো সেখানে মাত্র একটি ফ্লাইট এসেছে। সব যাত্রীদেরকে দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হলো। টেম্পারেচার চেক করার পর ইমিগ্রেশন, তারপর ব্যাগ সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ে বাসে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তুতি। মজার ব্যাপার হলো আমরা কোন হোটেলে থাকবো তা আগে থেকে বলা হয়নি। সম্ভবত মানুষের অহেতুক উৎকণ্ঠা এবং স্বজনদের ভিড় এড়ানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। বাসে ব্যাগ উঠানো, হোটেলে চেক ইন এবং রুমে পৌঁছানো পর্যন্ত সমস্ত কাজগুলো করলো অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এবং আর্মির লোকজন। আর্মির জওয়ানরা হোটেল রুম এ ঢুকিয়ে দিয়ে বেশ কিছু বিধি বিধানের কাগজ পত্র হাতে দিয়ে চলে গেলো। বলা হলো ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে রুম থেকে একেবারেই বের হওয়া যাবে না। রুমের চাবিও দেওয়া হলোনা।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন তিন বেলা খাবার দিত। হোটেলের স্টাফরা এসে দরোজায় নক করতো এবং দরোজার বাইরে খাবার রেখে চলে যেত। তার কয়েক মিনিট পরে দরজা খুলে প্যাকেট করা খাবার নিতাম। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী খাবার দেওয়া হতো। হালাল খাবারের জন্য অনুরোধ করা ছিল। প্রতি বেলায় হালাল শব্দটি প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতো। দিনে অন্তত দুইবার হোটেলে অবস্থানরত নার্স এবং স্টাফরা ফোন করতো। বিশেষত প্রতি দিনই নার্সরা জিজ্ঞেস করতো বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে চাইতো। বুঝতে পারলাম এশিয়ানদের জন্য এই সমস্যাটা আমলে নেওয়ার মতো না হলেও পশ্চিমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে বড় হওয়া মানুষ আমরা। তাই কোয়ারেন্টাইনে একা থাকাটা কষ্টের হলেও অসম্ভব নয়। কিন্তু যারা পাবে ক্লাবে প্রতিদিন না গেলে অস্থির হয়ে যায় তাদের জন্য ১৪ দিন অনেক দীর্ঘ সময়। আমার জন্য অবশ্যই সময়টা কষ্টের ছিল। বিশেষতঃ একবছর পর স্ত্রী সন্তানদের দেখতে এসে একই শহরে থেকেও কাছে যেতে না পারার কষ্ট। তবে আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম হোটেলে বসে কাজ করবো “ওয়ার্ক ফ্রম হোটেল”। আজকাল ডিজিটাল দুনিয়ায় - জুম কল, গো টো মিটিং, হোয়াটসএ্যাপ এর ভার্চুয়াল অনলাইন আর অফলাইন প্রায় সমান। সিডনিতে যখন সকাল এগারোটা ব্রুনেইতে তখন সকাল আটটা। আমার জন্য পারফেক্ট। সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত পরিবারের সাথে, দেশে বিদেশে বন্ধুদের সাথে গল্প করা, তার ফাঁকে অফিসের কিছু কাজ করা। এগারোটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত (১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিরতি ছাড়া) একটানা অফিস স্টাফ দের সাথে বা সংশ্লিষ্টদের সাথে অনলাইন এ ব্যস্ত থাকতাম। আর আমাকে একটি অপবাদ আমার অফিস এবং পরিবারের লোকজন দিয়ে থাকে যে আমাকে কোন দ্বীপে রেখে আসলেও আমার সমস্যা হবে না যদি ল্যাপটপ, ইন্টারনেট আর ফোন টা একটিভ থাকে।
দ্বিতীয় দিন এবং ১২তম দিনে করোনা স্যাম্পল নেয়া হলো। রুমের দরজার বাইরে ডাক্তার, নার্স আর হোটেল স্টাফ এসে মুখ এবং নাক থেকে স্যাম্পল নিয়ে গেলো। দুটি টেস্টই নেগেটিভ হওয়ায় ১৪ দিন পর মুক্ত জীবন ফিরে পেলাম। চেক আউট করার সময় পেমেন্ট এর কোনো প্রয়োজন ছিলোনা কারণ নির্দিষ্ট ইনভয়েস ইমেইল করে পাঠানো হবে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রাথমিকভাবে হোটেলকে পেমেন্ট করেছে যা ভ্রমণকারীকে পরে সরকারের নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্টে জমা করতে হবে।
আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী আর দু’সন্তান অপেক্ষায় ছিল হোটেলের বাইরে। দীর্ঘ বিরতির পর প্রিয়জনদের কাছে পাওয়ার পরম আনন্দে সিডনি এবং কুইন্সল্যান্ড এ অত্যন্ত প্রাণবন্ত সময় কাটালাম। বিশেষত আমার করিৎকর্মা স্ত্রীর সুনিপুণ পরিকল্পনায় নিজ পরিবারের সাথে ভ্রমণ এবং ১০টির অধিক পারিবারিক বন্ধুদের বাসায় সুস্বাদু খাবার আর মনে রাখার মতো আড্ডায় কেটে গেলো ১৬টি দিন। তারপর ফেরার পালা।
অস্ট্রেলিয়া থেকে বহির্গমনের জন্য বিধান ছিল -
(১) গন্তব্যের দেশে ভ্রমণের পূর্বানুমতি (২) ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ (৩) অস্ট্রেলিয়া থেকে বহির্গমনের অনুমতি, তবে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ৩ মাসের বেশি সময়ের জন্য ভ্রমণ করলে এই বিধান শিথিল যোগ্য। আমি যেহেতু ৩ মাসের অধিক সময় ব্রুনেইতে থাকবো তাই অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।
নির্দিষ্ট দিনে মাত্র ২২ জন যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এর এয়ারক্রাফট টি যাত্রা করলো। এয়ারক্রাফটের ভিতরে এয়ার হোস্টেজরা করোনার সব বিধান মেনে খাবার সহ সংশ্লিষ্ট সেবা নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে। যাত্রী খুব কম থাকায় যাত্রী সেবা ছিল অপেক্ষাকৃত উত্তম মানের। আগের মতোই সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট হোটেলে ১২ ঘণ্টা ট্রানজিট শেষে ব্রুনেই এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। সামান্য কিছু পার্থক্য ছাড়া ব্রুনেই এবং অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন বিধান প্রায় একই। পার্থক্যগুলি হলো -
(১) হোটেল ট্রান্সফার এর জন্য পুলিশ বা আর্মি নিযুক্ত করা হয়নি ব্রুনেইতে (২) অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার কারণে মাত্র ৬ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হয়েছে (৩) করোনা টেস্ট স্যাম্পল দেওয়ার জন্য মিনি বাসে করে নির্দিষ্ট সেন্টারে এ যেতে হয়েছে (৪) ব্রুনাইতে রুম সংলগ্ন ব্যালকনিতে যাওয়ার অনুমতি ছিল কিন্তু করিডোরে এ নয়
দুই দেশেই সরকার নির্ধারিত এই সুশৃঙ্খল বিধানগুলি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালনের কারণেই ব্রুনেই এবং অস্ট্রেলিয়াতে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। ব্রুনেইতে গত এক বছরের বেশি সময়ে দেশের অভ্যন্তরে কোন করোনা সংক্রমণ নাই। দেশের ভিতরে মনেই হবেনা যে করোনার কোনো প্রাদুর্ভাব আছে। অস্ট্রেলিয়াতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি কেস দেখা গেলেও তা কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রথম দিকে কিছু সংক্রমণ থাকলেও অঞ্চল ভিত্তিক লক-ডাউন, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার সহ বিদেশ থেকে আসা সকল ভ্রমণকারীকে হোটেলে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিধানগুলি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে। ব্রুনেই, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে করোনার বিধানগুলি যথাযথ পালন করলে অন্য দেশগুলিও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আগে জীবন পরে বাণিজ্য। কত ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ভেদাভেদ হীন ভাবে জীবন দিলো এই করোনা মহামারীতে। প্রতিটি জীবন মহা মূল্যবান। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যথার্থই বলেছেন জীবনে বেঁচে থাকলে ব্যবসা বাণিজ্য সম্পদ ঈদ সবই করা যাবে। আগে জীবন বাঁচান। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে দিন। দয়া করে করোনার বিধানগুলি সঠিক ভাবে মানুন। বাঁচতে চাইলে নিয়ম মানার বিকল্প নাই।
Dr Nur Rahman Khokon CEO, Ghanim International Corporation (Brunei Halal Foods), Brunei Email: rahmannur@hotmail.com
|