ধুপশিখা কাজী লাবণ্য
শ্বেতশুভ্র ধোঁয়ার শিখাগুলি কিছু সোজা আবার কিছু কিছু একসাথে কুণ্ডলী পাকিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে আর মন কেমন করা এক অদ্ভুত গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। চাল ভর্তি একটি ম্যালামাইনের বাটিতে কদমফুলের মতো আগরবাতি গুলি গেঁথে দিয়ে চৌকির তলায় রাখা হয়েছে। আরো বেশ কয়েকটি এমন বাটি, কয়েকটি আগরদানি বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। উঠোনের এক কোনায় সেই ভেজা জায়গাটায় একগুচ্ছ আগরবাতি মাটিতে গাঁথা হয়ে গন্ধ বিলিয়ে যাচ্ছে।
এই আগরবাতির গন্ধটি যেন কেমন! এই গন্ধ নাকে এলেই মিলাদ, ঈদ, কোরান খতম, বা এই ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা মৃত্যু-বাড়ীর কথাই মনে হয়। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে অনেক কিছু, সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুই চলে গেছে চির বিলুপ্তির পথে। বহু আগে মানুষ সুগন্ধি হিসেবে আতর ব্যবহার করলেও এখন বেছে নিয়েছে আধুনিক বডি স্প্রে বা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পারফিউম। পরিবেশের জন্য এসেছে বিভিন্ন দামের বিভিন্ন নামের এয়ার ফ্রেশনার, কিন্তু পরিস্থিতি মতো আগরবাতির জায়গা আছে এক অভিন্ন।
এখন রাত কটা বাজে কে জানে! সমস্ত কোলাহল স্তব্ধ, চারিদিকে সুনসান নীরবতা, আগত শেষ মানুষটিও চলে যাবার পর পুরো পরিবেশ যেন আচমকা পালটে গেল। আচানক আমার মনে একটি অদ্ভুত ধারনা এলো- আচ্ছা এখন এই নিরিবিলিতে যখন দেখার বা শোনার কেউ নাই, এই ফাঁকে আব্বা কি একবার আমাকে কিছু বলতে পারেনা! একটিবার, একটু খানি কথা! এই রহস্যময় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কত কিছুই ত ঘটে! কত অলৌকিক ঘটনার কথা শোনা যায়! যদি তাই হত আমি কাউকে বলতামনা। সত্যি সত্যি সেই অসম্ভব অলৌকিক কিছু ঘটার আশায় আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে একটু পা চালিয়েই আব্বার কাছে গেলাম তার পাশ ঘেঁষে তার চৌকিতে বসলাম- আব্বা কি কিছু বলবে আমাকে! এই নির্জন নিস্তব্ধ চরাচরে যখন কেউ কোথাও জেগে নেই- আব্বা কি পারে না তার আলাভোলা প্রিয় কনিষ্ঠ সন্তানকে কিছু বলতে! চিরদিনের জন্য স্পর্শের একটু শেষ ভরসা দিতে! আমি শহরের একটি বেসরকারি কলেজের অংকের মাষ্টার। অংক একটি রহস্যময় আবার লজিক্যাল ব্যাপার হলেও আমি মানুষটা লজিকের বাইরে চিন্তা ভাবনা করি, যদিও সেগুলি খুব কার্যকর কোন ভাবনা নয়। কিন্তু না ভেবে আমি পারিনা। আমরা ৪ ভাই আর ১ বোন। ৩ ভাই নিজেদের ব্যবসা, জমি জমা, গঞ্জের দোকান, কিছু বাসা ভাড়া দেয়া আছে সেগুলি দেখাশোনা করে। আব্বা মা, ৩ ভাই ও তাদের বৌ বাচ্চা মিলে এখনও আমাদের যৌথ পরিবার। কেবল আমি চাকুরীর কারণে পরিবার নিয়ে শহরে থাকি।
আব্বা ছিলেন অত্র এলাকার একজন মান্যগণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তি। আজকালকার নৈতিক অবক্ষয়ের ঘৃণ্য রাজনীতি নয়, যখন রাজনীতি সত্যিই মানুষের কল্যাণে কাজ করত সেই তখনকার রাজনীতি। ব্যক্তি হিসেবেও তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী, পরিশ্রমী, মিতব্যয়ী, নির্মল চরিত্রের সমুজ্জ্বল প্রতীক। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আর মা! তিনিও বাবার ছায়া হয়ে নিজের মতো সংসার, সন্তান এবং আব্বার আদর্শকে মেনে নিয়ে জীবন নির্বাহ করেছেন। মা ছিলেন নিঃস্বার্থ দেশ সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত আব্বার যথার্থ জীবন সঙ্গিনী। মা ছিলেন আত্মপ্রত্যয়ে ভরা ত্যাগী সাহসী একজন মানুষ, মা বিশ্বাস করতেন কেবল ধন থাকলেই ধনী হয়না, যার যতটুকু আছে তা থেকে যে অকাতরে দান করতে পারে, সেই প্রকৃত ধনী। আব্বা- মা দুজনেই তাদের বিশ্বাস সন্তানদের মাঝে গ্রথিত করার চেষ্টা করেছেন। ৮০/৯০ বছরের পুরনো আব্বা মা আমাদেরকে নিজেরদের আত্মিক ও জাগতিক গুণাবলির সমন্বয়ে প্রকৃত মানুষ করার চেষ্টা করেছেন। কতটা আমরা হতে পেরেছি, আমি জানিনা। তবে আমি আমার মননে চেতনে ধারণ করি যে এমন সবল শুদ্ধ চরিত্রের অনন্য সাধারণ বাবা মায়ের সন্তান হতে পারাটাও জীবনের এক অতুলনীয় প্রাপ্তি। তারপরও জেনারেশন গ্যাপ সম্ভবত থেকেই যায়।
খুব স্বাভাবিক নিয়মে বয়স হলেও রোগ ব্যধি বিষণ্ণতা বা জীবনের উপর কোন বিরূপ মনোভাবে আব্বা কখনই জরাগ্রস্ত বা ভারাক্রান্ত হননি। আব্বার সঙ্গী ছিল একটি ইয়ামাহা-১৪০ মোটর বাইক, সকল কাজে এটাই ছিল তার একমাত্র বাহন। যখন তিনি এম পি ছিলেন তখনও তিনি (রাজধানীতে যখন গেছেন সেই সময় ছাড়া) অক্লান্ত এই বাহনই ব্যবহার করেছেন। অকুতোভয় মানুষটি অন্যায়ের সাথে, ভোগ বিলাসিতার সাথে আপোষ করেননি।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের কাজ নিজের হাতে করে সকলের কাছে বিদায় নিয়ে, সন্তানদেরকে শেষ উপদেশ দিয়ে, মার কাছে বিদায় নিয়ে চিরদিনের জন্য চোখ বুজেছেন। গত দুদিন ধরেই আব্বার শরীর খারাপ ছিল, শোনামাত্রই আমি সপরিবারে ঐদিনই চলে আসি। গত দুদিন ধরে আমি আব্বার বিছানার এক কোনে চুপচাপ বসে থাকতাম, তার অসুস্থতার খবর দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লে, স্রোতের মতো লোকজন আসতে থাকে। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ছাড়াও আসতে থাকে আব্বার কাছ থেকে যারা উপকৃত হয়েছে, যারা আব্বাকে বিপদের বন্ধু বলে জানে তারা। গত দুদিন ধরে চলে দর্শনার্থী মানুষের ঢল। আমি আব্বার কোন কাজে আসিনা, কেবল চুপচাপ এক কোণে বসে বসে আব্বার দিকে তাকিয়ে থাকি। তিনি প্রায় সকল মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে মঙ্গল প্রার্থনা করেন এবং নিজের জন্য দোয়া করতে বলেন। এভাবে একের পর এক চলতেই থাকে। ডাঃ এর নির্দেশ অনুযায়ী বড় ভাইয়েরা এই মানুষের ঢল এ্যালাউ করছিলেন না, কিন্তু আব্বার প্রবল ইচ্ছায় আবার কিছু বলতেও পারছিলেন না। ডাঃ এবং ভাইদের হাজার অনুরোধ স্বত্বেও আব্বা কিছুতেই হসপিটালে যেতে রাজী হলেননা। তিনি ধীর স্থির ভাবে এক কথাতেই অনড় রইলেন, বললেন-
-আমার সময় শেষ, কোন বিষয়েই তোমরা আমায় জোর করবে না...
একইরকম ভাবে গত দুদিন যাবার পর আজ শেষ বিকেলে আব্বা বললেন তাঁর চার পুত্র আর আম্মা বাদে কেউ যেন ঘরে না থাকে। তাঁর ইচ্ছেমত ব্যবস্থা করা হলে, আব্বা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন, কবছর আগে প্রয়াত একমাত্র কন্যার জন্য নীরব থাকলেন, তারপর আম্মার ব্যাপারে বললেন কোন অবস্থাতেই আম্মার যেন কোন অসুবিধা বা অযত্ন না হয়। তারপর বললেন- তোমরা আমার জন্য দোয়া কর, কিন্তু কান্নাকাটি বা আমার জন্য বিশাল বড় কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করবানা। বলার সামান্য পরেই সত্যি সত্যিই আমাদের জোড়া জোড়া সজল চোখের সামনে আব্বা চলে গেলেন অতি নীরবে নিশ্চুপে বিনা ভয়ে বিনা কষ্টে... কী প্রশান্তিময় সেই প্রস্থান!
আশ্চর্য, খুব আশ্চর্য! মৃত্যু এমন! বিস্ময়কর মৃত্যু আমায় একেবারে নির্বাক করে দিল। ভাইয়েরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে, মায়ের গলা ধরে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন, মা ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়লেন আর চিরকালই শান্ত ও ছাড়া ছাড়া স্বভাবের আমি বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়ে রইলাম। আমার গুছানো অতি পরিচিত ভুবন যেন পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ল, আমার হতবিহবলতা কাটেনা, একদম বিশ্বাস হয়না আব্বা চলে গেলেন! আব্বা আর নেই! এখন তাকে বলা হবে ডেডবডি বা লাশ। এ কি করে সম্ভব! এই যে আব্বা আমাদের মাঝেই শুয়ে আছেন, তাঁর অবিকৃত শরীর এখনও গরম অথচ তিনি নেই। একজন মানব শিশু জন্মাবার পর তাকে মানুষ করতে চলে যায় বছরের পর বছর, মানব শিশুর মত এতো সময় নিয়ে আর কোন প্রাণীই তো বড় হয়না। সেই পরিপূর্ণ একজন মানুষ কিনা এক লহমায় শেষ! সে আর মানুষ রইলনা! হয়ে গেল কেবল দ্রুত পচনশীল এক শরীর! তখন সকলের মুখে এক কথা তাড়াতাড়ি ঢাকার ব্যবস্থা কর, ঢাকার ব্যবস্থা কর। একজন কেউ মুরব্বি এসে আব্বাকে আপাদমস্তক একটা চাদরে ঢেকে দিলেন। মুহূর্তেই চারিদিক থেকে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহযোগী, সমর্থক সব দিয়ে বাড়ি ভরে উঠতে লাগল..
একসময় ভাইয়েরা ও ময়মুরুব্বি মিলে ঠিক হলো আগামীকাল সকাল সকাল আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁকে কবর দেয়া হবে। তিনি চলে যাবেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকার এক সুড়ঙ্গ পথের দিকে...
একজন কেউ মারা গেলে মৃত্যু পরবর্তী বহু করনীয় দায়িত্ব কর্তব্য থাকে। আমার ৩ বড় ভাই, মামাত চাচাত ভাই আরো প্রচুর আত্মীয় স্বজন মিলে সেগুলি করতে লাগল- যেমন কাফনের কাপড়, নতুন সাবান, লোবান, আগরবাতি ইত্যাদি কিনে আনা মাইকিং এর ব্যবস্থা করা, বাঁশ কাটা, কবর খোঁড়া, হুজুরদের খবর দেয়া, নাম ধরে ধরে প্রতিটি মানুষকে ফোন করে শোক সংবাদ দেয়া ইত্যাদি, কোন কাজই বাকি রইল না।
আব্বার গোসল দেয়া হল। তাকে উঠানের এক কোনে একটি তক্তপোষে শুইয়ে রাখা হল চাদরে ঢেকে। গোসলের জায়গাটি পানি ঢেলে লেপে দেয়া হল, সেখানে ধুপ এবং আগরবাতি জ্বালানো হল। তাহলে মৃত্যু কি অশুচি ব্যাপার! যে জায়গায় কেউ মারা যায় সে জায়গাও কি অশুচি হয়ে যায়! রাত বাড়তে লাগলে ধীরে ধীরে আগত মানুষজন চলে গেলে চারপাশ সুনসান হয়ে আসে। কেবল এতিমখানা থেকে আগত কয়েকজন ছোট ছোট ছেলে ঢুলে ঢুলে পবিত্র গ্রন্থ পাঠ করতে থাকে, একটু পরে তাদেরও গলার মিঠে সুর স্তিমিত হয়ে আসে।
অত্র এলাকার রীতি অনুযায়ী কেউ মারা গেলে আত্মীয় প্রতিবেশীরা খাবার দিয়ে যায়। যে কদিন কুলখানি না হয় খাবার আসা চলতেই থাকে। অনেক সময় আত্মীয় প্রতিবেশী বসে আলোচনা করে ঠিক করে নেয় কে কোন বেলা খাবার দেবে তারপরও দেখা যায় কোন বেলা একাধিক বাড়ি থেকে খাবার চলে আসে। বাড়ীর মানুষ, আগত আত্মীয় স্বজন খেয়েও অনেক খাবার বেঁচে যায়, সেগুলো গরীব মানুষদেরকে খাওয়ানো হয়। আজ রাতেও কে যেন প্রচুর খাবার এনে বাড়ীর সকলকে সামনে বসিয়ে মমতার সঙ্গে খাইয়ে দিয়েছে উপস্থিত সকলেই খেয়েছে, যারা আব্বাকে গোসল দিয়েছে তারা, বড় হুজুর এবং তার সাথে আসা সব তালেব উল এলেমরা সকলেই খেয়ে দেয়ে যার যার ঠিকানায় চলে গেছে।
আমাকেও কে যেন ডেকে খাবার টেবিলে বসিয়ে দিয়েছিল খেয়ে নিয়েছি, মনে হয় বেশীই খেয়ে ফেলেছি, কেন যেন খুব ক্ষুধা লেগেছিল।
আগামীকালের কাজকর্মের আলোচনা সেরে সকলেই চলে গেলে, খালা চাচির সহায়তায় হাইপ্রেসার ও ডায়াবেটিসের পেসেন্ট শোকে মুহ্যমান দিশেহারা আমার মা শুয়ে পড়লেন। সবাই চলে যাবার পর কেবল আমার ৩ বড়ভাই আলোচনা করে ঠিক করলেন- ক্ষমতাসীন দলের কোন কোন এম পি, মন্ত্রী মিনিস্টারকে কুলখানিতে ডাকবেন। এও ঠিক হলো কুলখানির আয়োজন হবে দু ধরনের সাধারণ মানুষের জন্য একরকম আর ভিআইপি দের জন্য স্পেশাল। একজন ভাই বলে উঠলেন আচ্ছা সেসব আলোচনার জন্য আরো সময় আছে, এখন ঘুমানো যাক। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন- সাদা পাজামা পাঞ্জাবি টুপি সব ঠিকঠাক আছে না নেই কে জানে! এরই মধ্যে কেউ একজন বড়, মেজো কিংবা সেজো উঁচু গলায় আমাকেও ডাক দিলেন।
নির্জন রজনী ধীরে ধীরে কেমন যেন ভুতুড়ে হয়ে উঠতে লাগলো। বাড়ির চারপাশে লাগানো বাল্বগুলোকে ঘিরে নানা পতঙ্গ উড়তে লাগলো।
পবিত্র কোরান তেলাওয়াত-কারীরা ঝিমিয়ে পড়ে অবশেষে ঘুমিয়ে পড়েছে। খাবারের লোভে যে কুকুর গুলি এসেছিল তারাও এক সময় এ কোনায় সে কোনায় ঘুমিয়ে পড়েছে, কেবল ঘুমহীন আমি জেগে রান্না ঘরের পাশে ঝোপালো কামরাঙা গাছটির নিচে একটি টুলে বসে আছি। মানুষের অহেতুক কৌতূহলী প্রশ্নের হাত থেকে লুকিয়ে থাকার জন্য এই গাছের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোন জায়গা হয়না। ছোটবেলা থেকে বাড়ির অবস্থা বুঝে কত আমি এখানে উঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতাম, মা জানতেন কিছু বলতেন না। পরিস্থিতি আমার অনুকূলে এলে নেমে আসতাম, মা এসে জড়িয়ে ধরে গায়ে মাথায় আটকে থাকা নাক-ফুলের মত কামরাঙার অপূর্ব ফুল, হলুদ পাতা, মাকড়শার ঝুল মুছে দিয়ে আদরের ঠোঁট কপালে ছুঁইয়ে বলতেন “যা বাবা খেলতে যা কিংবা পড়তে যা”। আমি চলে গেলে নিশ্চয়ই মার বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসত। আজও কয়েকবার আমার সেই পুরনো অভ্যাস মনে মনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, কিন্তু এখন আমি অদম্য ইচ্ছেকে দমন করতে শিখে গেছি।
পরের অংশ
|