bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













কাউসার খানের প্রতিবেদন
সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া (৩৯)



সিডনিতে গাড়ি-বন্দি অবস্থায় এক বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গাড়ি-বন্দি অবস্থায় তিন বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সিডনির স্থানীয় সময় বেলা ৩ টায় গ্লেনফিল্ড এর রেলওয়ে প্যারেডে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় সকালের দিকে শিশুটিকে গাড়িতে রেখে যাওয়ার পর দিনভর গাড়িতে আটকা অবস্থায় প্রচণ্ডে গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বলা হচ্ছে, শিশুটিকে গাড়িতে রেখে যাওয়ার কথা ভুলে যায় তাঁর বাবা। প্রায় দুপুর ৩টা নাগাদ ফিরে এসে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়াসহ জরুরী সেবায় কল করা হলে প্যারামেডিক এসে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় গ্লেনফিল্ডের তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

এ ঘটনার তদন্তে শিশুটির পিতাকে ক্যাম্পবেলটাউন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে তিনি পুলিশকে সকল তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। এ নিয়ে ক্যাম্পেলটাউন কমিউনিটির বাংলাদেশি সমাজসেবক আবুল সরকার তথ্য দিয়ে বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, বড় ছেলেকে স্কুলে এবং ছোট ছেলেকে ডে-কেয়ার সেন্টারে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তাঁদের বাবা। বড় ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে ছোট ছেলেকেও নামিয়ে দিয়েছেন ভেবে তাকে গাড়িতে রেখেই ফিরে আসেন তিনি। তবে বিকেলে বড় ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে গাড়িতে এসে বড় ছেলে গাড়িতে উঠে দেখে ছোট ছেলে পেছনের সিটের নিচে পড়ে আছে।’ এদিকে এ ঘটনায় সিডনির স্থানীয় বাংলাদেশিরা ‘বিস্মিত’ এবং শোক প্রকাশ করছেন। আবুল সরকার আরও বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই সেটা হোক ২ মিনিটের জন্য, তাও বাচ্চাদের একা গাড়িতে রেখে কেউ যাবেন না, প্রয়োজনে সন্তানকে কাঁধে করে নিয়ে যান।’ গ্লেনফিল্ড এলাকায় বহু বাংলাদেশিদের বসবাস রয়েছে এবং রেলওয়ে প্যারেডে অনেক বাংলাদেশিদের দোকান রয়েছে। বছর জুড়ে বাংলাদেশিদের নানান অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয় এই রেলওয়ে প্যারেডের আশেপাশে।

শিশুদের গাড়িতে একা না রেখে যাওয়ার জন্য বার বার সতর্কবার্তা জারি করে দেশটির সড়ক বিভাগ। বলা হয় গরমকালে গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা বাহিরের চেয়ে দিগুণ হয়ে যায়। আর এ ধরনের দুর্ঘটনা অস্ট্রেলিয়ায় অনেক ঘটতে দেখা যায়। গেল বছর ৪ হাজাররেও বেশি এ ধরনের দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়।



সিডনি থেকে বাংলাদেশে গিয়ে সাদ্দাম খানের মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি-প্রবাসী বাংলাদেশি সাদ্দাম খান মারা গেছেন। গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সিডনি থেকে বাংলাদেশে পরিবারের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন। অগ্ন্যাশয়ে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রিয়ভাজন সাদ্দাম খান ক্রীড়া সাংবাদিক, শিক্ষক ও ওয়েবভিত্তিক টিভি চ্যানেল ইয়েস টিভির স্বত্বাধিকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সিডনির বিভিন্ন পেশার বাংলাদেশি বিশেষত তরুণদের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সখ্যতা ছিল। তাঁকে বাংলাদেশে দাফন করা হলেও সিডনির বাঙালিপাড়াখ্যাত ল্যাকেম্বায় বড় মসজিদ ও সেন্ট মেরিজ মসজিদ—দুই জায়গায় গতকাল রোববার প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁর গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটি সাদ্দাম খানের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় সিডনির ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাব’ এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সাদ্দাম খানের বন্ধুসম শামনুন চৌধুরী মৃদুল বলেন, ‘তাঁর কথা স্মরণ করলেই একটি হাসিমাখা মুখের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। হাস্যরস ছিল তাঁর সাধারণ ব্যবহার। ক্রীড়াসহ সিডনিতে বাংলাদেশিদের অনেক আয়োজনেই তাঁর অবদান এবং অংশগ্রহণ ছিল। চলার পথে তাঁর ভুল ত্রুটিকে ক্ষমা করে তাঁর রুহের জন্য দোয়া করি সবাই।’



কাউসার খান: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: immiconsultants@gmail.com






Share on Facebook               Home Page             Published on: 2-Feb-2023

Coming Events:

Blacktown Lakemba Mascot







Blacktown Lakemba Mascot