নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন ইস্যুতে সরকারী দল চাপের মুখে কাউসার খান
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের প্রস্তাবিত নতুন আইনটি বিল আকারে দেশটির ফেডেরাল (জাতীয়) সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল লেবার পার্টি নাগরিকত্ব প্রদানের নতুন শর্তগুলোর তীব্র বিরোধিতা করে মতামত প্রকাশ করেছে। তবে সংসদে বিরোধী দলের আনা বিভিন্ন প্রশ্নকে অনেকটাই অযৌক্তিক বলে মনে করেন দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন। নাগরিকত্বের প্রস্তাবিত নতুন আইনে অন্যান্য শর্তের সাথে চার বছর স্থায়ীভাবে বসবাস ও আইইএলটিএস পরীক্ষায় ৬ স্কোর করার আবশ্যিক শর্ত রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলীয় নাগরিকত্ব ও বহুসাংস্কৃতিক ছায়া মন্ত্রী টনি বার্ক এই নতুন আইনে ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণের পরীক্ষার স্কোরকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সমমানের বলে দাবি করেন। নাগরিকত্ব গ্রহণে অভিবাসীদের উচ্চতর ইংরেজি জানার প্রয়োজন নেই জানিয়ে বার্ক বলেন, সরকারের দাবি করা শর্ত একটি বিশাল অভিবাসী জনগোষ্ঠী পূরণ করতে পারবে না। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী অনেকেও এই ইংরেজি পরীক্ষায় এত দক্ষতা দেখাতে পারবে না বলেও দাবি বার্কের। এদিকে টনি বার্ক ও তার দল নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তনে প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করাকে অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন। ডাটন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, লেবার পার্টি নাগরিকত্ব প্রদানের শর্তে যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ইংরেজির কথা বলছে সরকার এমন একাডেমিক আইইএলটিএস এর প্রয়োজনের কথা বলছে না। মন্ত্রী পিটার ডাটন আরও বলেন, নাগরিকত্ব গ্রহণে কোনো আভিবাসীর একাডেমিক আইইএলটিএস এর প্রয়োজন নেই, জেনারেল আইইএলটিএস-ই এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে। তবে আইইএলটিএস এর জেনারেল এবং একাডেমিকের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই বলে ভাষা বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিতর্কের নতুন অংশে টনি বার্ক বলেন, আইইএলটিএস এর জেনারেল এবং একাডেমিক বলে তুলনা করা যাবে হয়তো জেনারেল পরীক্ষা একটু সহজও হতে পারে কিন্তু ৬ স্কোর করা অনেক কঠিন।
কাউসার খান, সিডনি, ইমেইল: kawsark@gmail.com
|