শামস রহমানের সদ্য প্রকাশিত কাব্য গল্প “আমার পিঠা কোথায়?” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কামরুল আহসান
সম্প্রতি মেলবোর্নের কেম্বারওয়েল লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে অধ্যাপক শামস রহমানের সদ্য প্রকাশিত কাব্য গল্প “আমার পিঠা কোথায়?” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ড. শাহাদাৎ খানের সঞ্চালনায় সর্ব জনাব ড. লুৎফর খান, ড. কামরুল আলম, ডাঃ আজিজুল করিম, কাজী সেলিম, মাহবুব চৌধুরী, হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনাব ড. তাজুল ইসলাম এবং জনাবা ইরফাত বেগম গ্রন্থ থেকে কিছু নির্বাচিত অংশ আবৃত্তি করেন।
বক্তারা উক্ত গ্রন্থের বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরার সাথে সাথে প্রবাসে কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও শামস রহমানের বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, দেশের সার্বিক উন্নয়নের চিন্তা ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গ্রন্থের যে যে দিক গুলোতে বক্তাগণ বিশেষ ভাবে আলোকপাত করেন সেগুলো হলো, রূপক অর্থে শুশু, পুশু (দুটো ইঁদুর) এবং মনু ও মানুর (ক্ষুদ্রকায় মানব) বেঁচে থাকার তাগিদে (তা যে কোন মূল্যেই হউক) নতুন নতুন পথের অন্বেষণ ও তার ব্যবহারের এক চিত্র। কবি রহমান শুধু চিত্রটি একেই ক্ষান্ত হননি, এই কাব্য গ্রন্থে তিনি নতুন পথ আবিষ্কারের সম্ভাব্য মাধ্যম হিসাবে দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন দেখিয়েছেন। বক্তাগণের মতে, এই গ্রন্থটির বক্তব্য আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের নেত্রীবৃন্দ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে তাদের কর্ম ক্ষেত্রে প্রতিফলনের দারুণ সুযোগ রয়েছে।
গ্রন্থটির যে কোন বয়সের পাঠকের জন্যে সহজ পাঠ্যতা, গ্রাম বাংলার প্রচলিত প্রবাদের ব্যবহার এবং রূপক চরিত্রের সুন্দর প্রয়োগের ফলে সহজেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানের বাড়তি আকর্ষণ ছিল গ্রন্থ রচনা-কালীন সময়ে লেখকের বিভিন্ন চরাই উৎরায়ের কিছু ঘটনাপঞ্জীর বিবরণ যা বেশ হাস্য রসের অবতারণা করে।
সব শেষে, লেখকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে লেখক উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি পাঠক সমাজকে পড়ে বিচার করতে অনুরোধ করেন। এরপর তিনি গ্রন্থটির বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেন এবং উপস্থিত সুধী জনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বইটির মূল্য ধরা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ১০ ডলার এবং লেখক গ্রন্থটির বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বাংলাদেশে চিকিৎসা-ব্যয় বহনে অপারগ ক্যান্সার রোগীর সাহায্যার্থে ব্যয় করার কথা ঘোষণা করেন।
কামরুল আহসান, মেলবোর্ন
|