জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রবাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূণর্মিলনী ২০১৫
কায়সার আহমেদঃ গত ২৫শে অক্টোবর ২০১৫ রোববার সিডনিতে আনন্দ মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পূণর্মিলনী ২০১৫”। সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচ থেকে ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আনন্দ মুখর হয়ে উঠেছিলো। এবারের এই মিলন মেলায় উপস্থিতি গতবারের সংখ্যাকে ছাড়িয়েছে। অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তোলার লক্ষে আয়োজকদের কোন ত্রুটি ছিলো না। তবে আগামীতে আরো বড় হলের ব্যবস্থা না করলে আয়োজকরা নির্ঘাত সমস্যায় পরবেন বলেই মনে হয়েছে।
দুই পর্বের সাজানো অনুষ্ঠানটিতে সকাল এগারোটায় অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন করার পর সকালের নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্ব শুরু হয়। এই পর্বে উপস্থিত শিক্ষার্থীগন পর্যায়ক্রমে মঞ্চে এসে নিজেদের পরিচয় প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কালীন সময়ে স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণ পর্বে শিক্ষার্থীদের তাদের সেই সোনা ঝরা দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। হলে তিল ধরনের জায়গা ছিল না, স্মৃতিচারণের পর্বটিতে সবার অংশগ্রহণ প্রাণবন্ত করে তুলেছিলো।
নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতির পর শুরু হয় উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ৩২তম ব্যাচের মেহজাবীন সিদ্দিকী কাকলী।
অনুষ্ঠানে আগত সকল শিশু কিশোরদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। র্যারফেল ড্র ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অষ্টম ব্যাচ বাংলার খালেদা কায়সার মিনি। পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন ১৩তম ব্যাচের মাহফুজুল হক চৌধুরী খসরু ও সাবিনা ইয়াসমিন বেবি । র্যা ফেল ড্র পরিচালনা করেন ২৬তম ব্যাচের রাজন নন্দী ও সাবিরা রহমান রিমা। উপস্থিত জুনিয়ার শিক্ষার্থীরা ৮ম ব্যাচের খালেদা কায়সার মিনি ও ১৩তম ব্যাচের মাহফুজুল হক চৌধুরী খসরুকে পূনর্মিলনী আয়োজনে স্বার্থকভাবে নেতৃত্ব দেয়ায় সম্মানসূচক উপহার প্রদান করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।
“পূণর্মিলনী ২০১৫” আয়োজনে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ৮ম ব্যাচের খালেদা কায়সার মিনি, ১৩তম ব্যাচের মাহফুজুল হক চৌধুরী খসরু, ২০তম ব্যাচের শওকত আরা হোসেন বিথী, ১৯তম তাহমিনা রহমান বিনা, ২৩তম ব্যাচের সাজ্জাদুল হক, ২৯তম ব্যাচের মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন শিপলু ও ১৫তম সুরাইয়া মাহমুদ রুমানা, ১৫তম ব্যাচের সাইফ সিকান্দার রাফেল, ১৩তম ব্যাচের নিয়ামুল হক শরীফ, ২৫তম ব্যাচের নিয়াজ ইমতিয়াজ ও ২৫তম ব্যাচের কে.এম.শরিফুল বাসেত, ২৩তম ব্যাচের মেহজাবীন সিদ্দিকী কাকলি, ৩০তম ব্যাচের লামিয়া আহমেদ। ২৩তম ব্যাচের জুলফিকার আলী আহমেদ রিপন, ৮ম ব্যাচের শাহীন শাহনেওয়াজ। ১৩তম ব্যাচের জাফিরুল হোসেন জাফির ও ২৫তম ব্যাচের রোজলীন তুলি ও মিরোভা শারমিন।
|