রোদ পিঠা চা! আনিসুর রহমান
সিডনির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় সাবার্ব গ্লেনউডে এখন ৩০/৪০ টি বাঙালি পরিবার বাস করে। এদের কেউ কেউ কর্ম-জীবন থেকে অবসরও নিয়েছেন। জীবন কখনো থেমে থাকে না। ব্যস্ততাও মনে হয় কমে না। মানুষ সামাজিক প্রাণী তবে সামাজিকতার ব্যাপারে বাঙালি মনে হয় সবার শীর্ষে। খেলার মাঠে আর ক্লাব-পাবে বাঙালির উপস্থিতি কম হলেও দাওয়াত আর আড্ডায় তার জুড়ি মেলা ভার।
কিন্তু বয়সের সাথে সাথে জীবনের প্রায়োরিটিগুলো যেহেতু পাল্টায় তাই সামাজিকতার নতুন উপায় খুঁজছেন অনেকেই, বললেন গ্লেনউডবাসী জনাব মোস্তাফা আব্দুল্লাহ। সে রকম চিন্তা-ভাবনা থেকেই আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, অনেকটা হুট করেই গ্লেনউড লেকের পাশে আয়োজন করা হয়েছিলো পিঠা মেলার। কোন চ্যারিটি বা ফান্ড রেইজিং নয়; কোন বেচা-কেনা নয়; গ্লেনউড এবং আশপাশের সাবার্ব: বলকাল হিলস, ক্যাসল হিলস, কোয়েকার্স হিল এবং পন্ডস থেকে ১৫/২০ টি পরিবার ঘরে বানানো পিঠা, গরম চা আর সাথে গল্পের ঝুলি নিয়ে সকাল বেলা হাজির হয়েছিল পার্কে। কনকনে শীতের দিন শেষ। দক্ষিণ গোলার্ধের বাতাসে বসন্তের আগমনী বার্তা। পর্ণমোচীর ডালে ডালে উঁকি দিয়েছে নবীন পাতা। কোন ঘোষণা ছাড়া, ঢাক-ঢোল ছাড়া, সকালের মিষ্টি রোদ আর গ্রাম-বাংলার পিঠা-পুলি দিয়ে একদল নবীন-প্রবীণ যা উদযাপন করলো আজ, তাকে বসন্ত বরণ ছাড়া আর কি নাম দেয়া যায় বুঝতে পারছি না!
আনিসুর রহমান, সিডনি
|