bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













ঘুরে এলাম সুকুবা
ড. ফেরদৌসী জাহান


১৬ই মে, ২০১৩। বিকেল ৪ টা বাজে। আমি বসে আছি নারিতা এয়ারপোর্টে। জাপানের একটা ছোট শহর ‘সুকুবা’র এয়ারপোর্ট। সাত সপ্তাহ আগে এসেছিলাম এই সুন্দর টেকনলজিকাল শহর সুকুবা তে। যাবার বেলায় মনটা খুব ভারাক্রান্ত হয়ে আছে।

ডাইরির পাতা উলটচ্ছিলাম, উইক-এন্ড এর একটু অবসরে। উপরের লেখাগুলো চোখে পড়লো, আর ওমনি চোখের সামনে ভেসে উঠলো মধুর স্মৃতি বিজড়িত সেই দিনগুলো।

আমার অফিস (National Measurement Institute) থেকে একটা collaborative project এ আমাকে জাপানে যেতে হয়েছিলো। জাপানের সুকুবা শহরে অবস্থিত ‘National Metrology Institute of Japan’ এ আমাকে কাজ করতে হবে। যদিও এটা একটা খুশীর ব্যাপার ছিল, তবে আমার একটা ভীতি ছিলো জাপানে যাবার ব্যাপারে। ওখানে বেশি ভূমিকম্প হয় বলে। তাই তিন মাসের প্রোগ্রাম থাকলেও, কমিয়ে ছয় সপ্তাহ করেছিলাম। ২০১১ তে একবার যাবার প্লান হয়েছিল। এখনও মনে আছে, আমার যাবার সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, টিকেট কাটা হয়েছে। জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগের দিন, অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম, রেডিও তে খবর শুনলাম সেই ভয়ংকর ২০১১ র ভূমিকম্পের (এবং সুনামির) কথা। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, মাত্র একদিনের জন্য আমি সে যাত্রা রেহাই পেয়েছিলাম। তখন সরকার থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিলো জাপানে যাবার ব্যাপারে। জাপানের কলীগদের কাছে শুনেছিলাম কি ভয়ংকর ছিল সেইদিন, সবাই অফিসে ছিল সেই সময়। ভয়ংকর, বিধ্বস্ত ল্যাবের সেসব ফটোগুলো দেখে শিহরিত হয়েছি। সেই ভূমিকম্পে ওদের ইন্সটিটিউট এর অনেক ক্ষতি হয়েছিলো। যাহোক আমার মনের ভীতি আরও ব্যাপক হলো। তার দুই বছর পরে, তাদের সবকিছু স্বাভাবিক হলে, আবারও যাবার প্রোগ্রাম ঠিক করা হল। অবশেষে ২০১৩ র এপ্রিলের প্রথম দিকে রওনা হলাম, একাকী ভূমিকম্পের দেশ জাপানের উদ্দেশে। একটা নতুন দেশে, বিশেষ করে Non-English speaking দেশে, একাকী প্রায় দুই মাসের জন্য যাওয়া, নতুন ইন্সটিটিউট এ নতুন মানুষদের সাথে কাজ করা - অনেক চিন্তা-ভাবনা মাথায় ছিলো। তবে সেখানে যেয়ে জাপানিজ সহকর্মীদের কাছে যে ভালবাসা এবং আতিথেয়তা পেয়েছি, সত্যি মনটা আপ্লূত হয়ে গিয়েছিল। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খুব ভাল থাকে, তাই সেসময় যাবার প্লান করা হয়েছিল। সারারাত জার্নি করে, একটি সুন্দর সকালে ‘নারিতা’ এয়ারপোর্টে পৌছুলাম। আমার জাপানিজ কলিগ ‘ডঃ হিডেকী’ আমাকে নিতে এয়ারপোর্ট এ এসেছিল। তারপর বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা লাগলো, সুকুবা পৌছাতে।

‘সুকুবা’ শহরটি জাপানে ‘সাইন্স সিটি’ নামে পরিচিত। সুন্দর ছিমছাম সাজানো গুছানো ছোট্ট একটা শহর। ১৯৬৩ সালে এই শহরকে ‘সুকুবা সাইন্স সিটি’ হিসাবে অর্থাৎ National Scince and Technology Center হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে অনেক সরকারি-বেসরকারি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞান গবেষণাগার গড়ে উঠেছে। প্রায় ৩০০ র বেশী জাতিও এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান আছে এই শহরে। বিভিন্ন সময়ে পদার্থ বিজ্ঞানের তিনজন নোবেল বিজয়ী এই সুকুবা শহরের সাথে জড়িত। ঐতিহাসিক সুকুবা পাহাড় (Mt. Sukuba) এবং পাহারের উপরে ৩০০০ বছরের পুরানো ‘সুকুবা- শ্রাইন’, একটা উল্লেখযোগ্য দর্শনীও জায়গা । আমিও একদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম ডঃ হিডেকি’র সাথে। সারাটা দিন বিশাল বিস্তৃত পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছি। ‘ক্যাবল ট্রেন’ এ চড়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছিলাম। পাহাড়ের একটা চূড়ায় কিছু জায়গা সমান করে পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু করেছে, খাবারের দোকান, বিশ্রামের জায়গা। ল্যাডার বেয়ে আরও একটু উঁচুতে একটা প্লাটফরম তৈরি করেছে, যেটা সবসময় খুব ধীরে ধীরে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরছে। সেখান থেকে চারিদিকে সবকিছু দেখা যাচ্ছে। প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগলেও, অদ্ভুত সেই অনুভূতি ছিল। হরেক রকমের জাপানি ট্র্যাডিশনাল খাবারও খেয়েছিলাম।

আমি তাদের গেস্ট হাউজ “সাকুরা ক্যান” এ থাকতাম। জাপানের ইন্সটিটিউট, এখানে লিনফিল্ডে অবস্থিত আমাদের ইন্সটিটিউট এর চেয়ে অনেক গুনে বড়, সাইজ এবং মানুষের দিক দিয়ে। অনেক ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর বিজ্ঞানী ওখানে আসে কাজ করতে, আর প্রায় সবাইকে ‘সাকুরা ক্যান’, দোতালা এই অতিথি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করে। বৈজ্ঞানিক কাজের প্রয়োজনেই সব দেশের এই ‘Measurement Insitiute’ গুলো একটা বিরাট ফাঁকা জায়গায় স্থাপন করা হয়। আশেপাশে কোন ট্রেন চলাচল অথবা কোন ধরনের electrical, magentic and acoustical vibration and noise যাতে না হয়। গেস্ট হাউজ থেকে ৭-৮ মিনিটের হাঁটা পথ অফিসে যেতে। অতিথি ভবন ছাড়া আর কোন বাসা ক্যাম্পাসে ছিল না। গেস্ট হাউসের পিছনে ছিল বিরাট ফাকা জায়গা, গাছ-গাছালি ছিল চারিদিকে। তাই অফিসের সময় ছাড়া নীরব-নিঝুম চারিদিকে। এক বেডরুম, কিচেন এবং বসার ঘর সহ আমার ফ্লাট। যেহেতু আমাকে থাকতেই হবে, তাই ভয়ের কথা তখন মনেই আনিনি। যখন রুমে থাকতাম, প্রায় সবসময় টিভি চালিয়ে রাখতাম, যদিও জাপানিজ ভাষায়, তবুও। কিন্তু এখন মনে হলেই ভয় লাগে কিভাবে ছিলাম একা ওখানে। সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগতো রুমের টিভিতে ইংলিশ কোন চ্যানেল ছিল না। তবে কমন একটা বসার ঘড় ছিল, সেখানকার টিভিতে ইংলিশ চ্যানেল ছিল, তাই রাতে মাঝে মাঝে ওখানে যেতাম টিভি দেখতে। তবে শেষের দুই সপ্তাহ সিটি র কাছে হোটেল ‘ওকুরা’তে ছিলাম। খুব বড় আর সুন্দর ছিল সেই হোটেলটা। টেকনোলজিতে জাপান যে কত এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে, সেটা সবখানে নজরে পড়তো। মাঝে হঠাৎ করেই হেদায়েত এসেছিল মাত্র চার দিনের জন্য। সেই সপ্তাহে জাপানে অফিস ছুটি ছিল, বলা হয় ‘গোল্ডেন উইক’। তখন আমরা ক’টা দিন অনেক জায়গায় বেরিয়েছিলাম। ইলেক্ট্রনিকসের শহর টোকিও, সেটা ওখানে ঘুরেও মনে হত। এখনও চোখে ভাসে সেই ‘আকিহাবারা সিটি, এটাকে জাপানের ইলেক্ট্রনিক্স শহর বলা হয়। এর টিউব ষ্টেশন থেকে বের হলেই চোখে পরে বিরাট সাইনবোর্ড ‘আকিহাবারা’, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান বা শপিং মল। আমরা গাইডেড ট্যুর নিয়ে ঘুরেছিলাম ‘টোকিও টাওয়ার’ ‘সুমাড নদীতে নৌকাভ্রমণ, অনেক কিছু উপভোগ করেছিলাম।

‘আসাকুসা তে নামকরা ঐতিহাসিক টেম্পল ‘সেন্টি শ্রাইন’ সহ অনেক বৌদ্ধ টেম্পল দেখেছি। একটা জিনিস আমার মনে হয়েছে, যদিও এখন অধিকাংশ জাপানিজ ধর্ম মানে না, এখানে ওখানে প্রচুর টেম্পল বা ধর্মীয় মাজার চোখে পরে। সেগুলো এখন দর্শনীয় স্থান হিসেবে গণ্য হয়। টোকিও শহরের একদম মাঝখানে অবস্থিত রাজবাড়ী, যেটা ‘ইমপেরিয়াল প্যালেস’ নামে পরিচিত, সেখানে ঘুরে দেখলাম। তবে হ্যাঁ, বিরাট পার্ক আর গাছ-গাছালি এবং অনেক বিশাল একটা পাথরের দেয়াল ছাড়া এমন বিশেষ কিছু মনে হয় নি।

আমি যে বিভাগে গিয়েছিলাম সবাই খুব আন্তরিক ছিল। প্রতিটা উইক-এন্ডে কেউ না কেউ সময় দিয়েছে, আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে। সেই সময় আমেরিকা থেকে দুইজন বিজ্ঞানী এসেছিলেন। ওনাদের সাথেও বের হতাম। টোকিও ছিল ৩৫-৪৫ মিনিটের টিউব জার্নি সুকুবা থেকে। বিভিন্ন যাদুঘরগুলোতে ভ্রমণ করে জানতে পারতাম তাদের বিভিন্ন সময়ের ‘ভূমিকম্প’ হবার কথা। কিভাবে তারা বার বার ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত শহরগুলোকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলেছে। দেখে ভাবতাম, এই জন্যই বোধহয় জাপানিরা পরিশ্রমী জাতি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। প্রকৃতি তাদের বাধ্য করেছে শক্তিশালী হতে।

আমার তো ভূমিকম্পের ভয় ছিল, তাই সবার কাছে শুনে নিয়েছিলাম কি করতে হবে। সবাই বলে দিয়েছিল যে এখানে ভূমিকম্প গড়ে প্রতি সপ্তাহে একবার হবেই। তবে বিল্ডিংগুলো ভেঙ্গে পরবে না, তাই ভয় নেই। আমিও পেয়েছি ভূমিকম্প। হয়তো মিটিং চলছে, সাত তলার উপরে একটা ঘরে, হঠাৎ বিল্ডিং টা নড়তে থাকবে, চেয়ারগুলো দুলতে থাকবে। আবার কখন বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ বিছানা দুলতে শুরু করবে, কাঁচের জানালাগুলো ‘ঝনঝন’ শব্দ করতে থাকবে। প্রথমদিকে খুব ভয় হত তখন। কেমন যে একটা অনুভূতি সেই সময়ের!

ওই বিভাগে একজন সেক্রেটারি ছিল, নাম ‘হারুয়ে’, সে ভাল ইংলিশ বলতে পারত, তাই সে আমাকে বেশী সময় দিত। তার বাসাতে একদিন আমন্ত্রণ করেছিল। সেখানে যেয়ে দেখলাম কিভাবে কত ছোট বাসায়, তারা ১২ থেকে ২০ বছর বয়সের চারজন ছেলে নিয়ে থাকছে। অবাক হয়েছিলাম তার বড় ছেলেকে দেখে। একসাথে টেবিলে বসে খেলাম, পরে তার বড় ছেলে সবার জন্য কফি বানাতে গেল। সেই সময় রান্নাঘরে ছেলেটা একটা হোঁচট খেল, তখন জানলাম সে চোখে দেখে না। আমি আগে বুজতেও পারিনি। বার বা তের বছর বয়সে, একটা আঘাত পেয়ে দুইটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অথচ সেই ছেলেটা একাই আমাদের সবার জন্য চা-কফি বানিয়ে এনেছিল।

আর একটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, জাপানে যেয়ে আমি একটা জাপানি বোন পেয়েছি। হ্যাঁ, সেইদিনটির কথা মনে পড়ে। সেটা ছিল রবিবার, আমি বাস ধরে কাছের একটা ছোট শপিং মলে গিয়েছিলাম। সপ্তাহের টুকিটাকি কেনা কাটা করে, দুপুরে খাবার জন্য একটা প্যাকেট লাঞ্চ কিনতে চাইছিলাম। খুব অসুবিধা হত, সবকিছু জাপানিতে লেখা থাকতো। তাই প্যাকেটের উপর কি লেখা আছে বা খাবার টা হালাল কিনা যাচাই করা মুশকিল হত। তখন সেখানে একজন জাপানী মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, প্যাকেটের উপর কি লেখা আছে বলতে। ভাগ্য ভাল সেই মহিলা দেখলাম ইংরেজি জানে, তাই বলে দিল আর সেই সাথে আলাপ শুরু হল তার সাথে। সে যখন শুনল আমি বাসে ফিরবো, সে বললো, যদি আমি রাজী হই, সে আমাকে লিফট দিবে, তবে তার আগে ওর বাসায় যেয়ে কেনা জিনিসগুলো রেখে আসবে। জানিনা কেন তার সাথে কথা বলে ভাল লাগল, আর আমিও রাজী হয়ে গেলাম। যদিও আমার ফ্যামিলির সবাই শুনে বলেছে কেন আমি অপরিচিত একজনের সাথে তার গাড়িতে উঠতে রাজী হলাম।


তবে এরকম ঘটনা আমার জীবনে আরও ঘটেছে, তবে আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া, সব সময় আমি ভাল মানুষ পেয়েছি, মানুষকে বিশ্বাস করে ভুল করি নি। যাহোক, এভাবেই আমার ‘হিরোকো’র সাথে আলাপের শুরু। তারপর থেকে ওর পরিবারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হল। হিরোকো’র স্বামী একজন বিজ্ঞানী, ওদের এক মেয়ে, এক ছেলে, তখন পড়াশুনা করে এবং ওর মা, আশির কাছাকাছি বয়স, তাদের সাথে থাকে। সবাই আমাকে আপন করে নিল অল্পদিনের মধ্যে। আমি আর হিরোকো অনেক সময় বিকেলে ক্যাফেতে এ দেখা করতাম। চা-কফি খেতে খেতে গল্প চলতো। আমাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যেত, পরিবারের সবাইকে নিয়ে। ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেমেয়েও আমাদের সাথে যেত। একবার বেড়াতে গেলাম ‘কাসামা’ শহরে। প্রথমে একটা ‘পটারি মেলা’ দেখতে গেলাম ‘এজালিয়া পার্কে’। নানান বর্ণের, সুন্দর করে সাজানো, ফুলে ফুলে ভরা বড় বড় পাহাড়ের চুড়াগুলি। সেখানে ৮৫০০ এর বেশী এজালিয়া গাছ আছে সাত হেক্টর জায়গা জুরে, পাহারের উচ্চতা ১৪৩ মিটার। সুদূর আকাশের নীল, পাহাড়ের গাড় সবুজ আর উজ্জ্বল রঙের এজালিয়া – সব মিলিয়ে কিযে অপূর্ব মন মাতানো, চোখ ভুলানো দৃশ্য, আজও চোখে ভাসে! তারপর সেখান থেকে আবার একটা শ্রাইন দেখে আমাকে হোটেলে পৌঁছে দিল। হিরোকো’র মা ইংরেজি বলতে পারত না, তবু ভাবে বোঝাতো সবকিছু। আমার চলে আসার দিন, ওরা বাস স্ট্যান্ডে এসেছিলো বিদায় জানাতে, আর ওদের সবার চোখে জল দেখে আমিও অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। এখনও হিরোকো র সাথে আমার ইমেইল এ যোগাযোগ আছে। সে আমাকে সম্বোধন করবে ‘my dear sister’. ওর স্বামী এখন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে, ওরা এখন সুকুবা থেকে ওদের হোম-টাউন ‘আইস’ (Ise) শহরে নিজস্ব বাসায় ফিরে গেছে। আমাদেরকে ওখানে ছুটি কাটাতে যেতে অনুরোধ করে।

সুকুবা থেকে চলে আসার আগে ওদের ডিভিশন থেকে আমাকে বিদায় সম্বোধন জানানোর জন্য একটা লাঞ্চের আয়োজন করেছিল। সেখানে আমাকে বক্তব্য দিতে বলেছিল। আমার বক্তব্যের মধ্যে এটা উল্লেখ করেছিলাম যে, যদিও আমি এসেছি অস্ট্রেলিয়ান রিপ্রেজেনটেটিভ হয়ে, কিন্তু আমি ভিতরে একজন বাংলাদেশি। আর তাই দেখেছি জাপানিজ এবং বাংলাদেশীদের মন-মানসিকতা, সামাজিকতা এবং দুই দেশের মাটির কত মিল। সত্যি, সুকুবাতে যেয়ে তাদের যে ভালবাসা, আর আতিথেয়তা পেয়েছি, তা সবসময় মনে থাকবে।




ড. ফেরদৌসী জাহান, ক্যাসেল হিল, সিডনি





Share on Facebook               Home Page             Published on: 17-Dec-2021

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far