|
সিডনীর একুশে বই মেলা, ২০১০
আনিসুর রহমানঃ ২০০৯ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারী ছিলো শনিবার। এ বছর (২০১০) পড়েছে রবিবারে। পর পর দু'বছর সিডনীর ২১ শে বই মেলা উদযাপিত হয়েছে ঠিক ২১ তারিখেই। আগামী পাঁচ বছর আর এমন সুযোগ পাওয়া যাবে না।
অন্যান্য ছবি
দিন দিন জম জমাট হয়ে উঠছে সিডনীর বই মেলা। বাড়ছে মানুষের ভিড়, স্টলের সংখ্যা, খাবারের দোকান এবং অনুষ্ঠানের নতুনত্ব। সকাল ৯টায় একুশে একাডেমীর প্রভাতফেরী এবং শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন দিয়ে শুরু হয়েছে দিনের দীর্ঘ কর্মসূচী। নিয়মিত অনুষ্ঠান যেমন, নাচ, গান, বক্তব্য, কবিতা, কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা এসব ছাড়া এবছর দুটি নতুন সংযোজনা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। একটি হলো নতুন প্রকাশিত বই এর মোড়োক উম্মোচন এবং অন্যটি হলো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিত্ব।
চারটি নতুন বই এর মোড়ক উম্মোচন করা হলো মঞ্চে। নিউকাসল নিবাসী আবুল হাসনাত মিল্টনের ভ্রমণ কাহিনী, সবুজ পাসপোর্ট এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত কলামের সংগ্রহ, প্লাস মাইনাসের রাজনীতি। তৃতীয় বইটির নাম, নিঃশঙ্ক পথিক রণেশ মৈত্র। বাংলাদেশের প্রক্ষাত সংবাদিক রণেশ মৈত্রের সত্তুর বর্ষপূর্তী উপলক্ষে দেশবরেন্য ব্যাক্তিবর্গের লিখিত উপহার সংকলন। চতুর্থ বইটি একটি উপন্যাস, নাম ক্রসফায়ার; লিখেছেন সিডনী নিবাসী লেখক আহমেদ সাবের। এখানে সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয়টি হলো বইগুলি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হলেও চারটির মধ্যে তিনটি বইই রচিত হয়েছে অষ্ট্রেলিয়ায়। এ মোড়ক উম্মোচনের মধ্যদিয়ে প্রবাসে বাংলা সাহিত্য চর্চার উজ্জল ভবিষ্যতের দুয়ারও উম্মোচিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়। একুশে একাডেমীর আয়োজকদের এই প্রসংসনীয় উদ্যোগটি নেবার জন্য সাধুবাদ জানাতেই হবে।
২১শে ফেব্রুয়ারী এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই এদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কতৃক ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষিত হবার পর থেকেই অনেকে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। এবছর অভিনেত্রী এবং সমাজ কর্মী মৌসুমী মার্টিনের নেতৃত্বে সিয়েরা লিওন এবং নেপালের একটি দলকে দেখা গেল মঞ্চে। পৃথিবীর সব দেশেই শিশুরা মা'র বুকে শুয়ে, ঘুম পাড়ানি গানের মধ্যদিয়েই সম্ভবতঃ মাতৃভাষার সাথে প্রথম পরিচয় লাভ করে। মৌসুমী মার্টিনের ছোট্ট দলটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় আমাদের ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে শোনালো। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের পরিবেশনার জন্য এর চেয়ে ভাল বিষয় আর কি হতে পারতো আমি জানি না। ধন্যবাদ মৌসুমী মার্টিন।
Share on Facebook               Home Page             Published on: 28-Feb-2010
| | |