সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া'র বার্ষিক পুনর্মিলনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে গত ১লা জুলাই ২০১৮ ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পার্সিভাল কমিউনিটি সেন্টারে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক বৃন্দের এক বাৎসরিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। গত আট বৎসরের ধারাবাহিতায় এই অনুষ্ঠানটির কলেবর দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাণের টানে ছুটে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা দিন ভর এই অনুষ্ঠানটিকে মাতিয়ে রাখেন “নানা রংয়ের দিনগুলির” স্মৃতি চারণে ও বিভিন্ন পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এবারের পুনর্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নাটক ও সিনেমা জগতের জনপ্রিয় শিল্পী ডলি জহুর ও প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী আপেল মাহমুদ। ডলি জহুর ও আপেল মাহমুদ তাঁদের কথা ও পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটিকে আরও আনন্দ মুখর করে তোলেন।
দিনটির শুরু হয় ৭ম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যক্রমের মাধ্যমে। এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আবদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্যের পর সেক্রেটারি জেনারেল আনিস মজুমদার ও ট্রেজারার কামরুল ইসলাম বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করেন। এরপর সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এ পর্বে সংগঠনের বিভিন্ন বিধিমালা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন, কার্যকরী পরিষদের কার্যক্রম সহ আরও নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল পর্বের আলোচনা সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মোস্তফা আব্দুল্লাহ ও আনিস মজুমদার। আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি জাকির হোসেন অস্ট্রেলিয়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কাজে সংগঠনটির আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মধ্যাহ্ন ভোজ চলাকালীন ডক্টর খাইরুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন কালীন স্মৃতিচারণে অংশগ্রহণ করেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আনিসুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, ডক্টর লায়লা আরজুমান, কাজী সুলতানা শিমি, মাহমুদুল হক, হায়াত মাহমুদ, রওশন পারভিন, ডলি জহুর ও রফিক উদ্দিন।
নতুন প্রজন্মের শিশুকিশোরদের নানা পরিবেশনা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় মধ্যাহ্ন ভোজের পর পরই। এবারের পুনর্মিলনীতে নতুন প্রজন্মের এই অংশগ্রহণটি ছিল একটি অভিনব ও আশাব্যঞ্জক সংযোজন। পর্বটি সঞ্চালনা করেন সেলিমা বেগম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে গান পরিবেশন করেন আনিস রহমান ও রোকসানা রহমান জুটি, সজীব, তামান্না, তামিমা শাহরীন ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ। এই পর্বটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল মান্নান আকাশ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল নানা অনুসন্ধানমূলক প্রশ্নমালা নিয়ে সাজানো ট্রিভিয়া। ট্রিভিয়া পর্বটি পরিচালনা করেন নাফিজা চৌধুরী। দিনের সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। রাফেল ড্রটি পরিচালনা করেন লিঙ্কন শফিউল্লাহ্ ও তাকে সহায়তা করেন হায়াত মাহমুদ ও রফিক উদ্দিন।
পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবারও একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে । স্মরণিকাটির সম্পাদকীয় পরিষদের সদস্য মণ্ডলী ছিলেন ডক্টর জাকিয়া হোসাইন, ডক্টর খায়রুল চৌধুরী, কামরুল মান্নান আকাশ ও মোস্তফা আব্দুল্লাহ।
এবারের অনুষ্ঠানের আরও একটি নূতনত্ব ছিল বড় পর্দায় অডিও ও ভিডিও ডিসপ্লে। অডিও ও ভিডিও ডিসপ্লে এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ছিলেন মাহমুদুল হক বাদল। প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারের অনুষ্ঠানটিকেও সার্থক করে তোলার পেছনে রয়েছে সেক্রেটারি জেনারেল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্বাহী কমিটির প্রতিটি সদস্যের অক্লান্ত শ্রম।
সর্বশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আনিস মজুমদার।
|