bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia













প্রবাসে পঞ্চাশ বছর (১৬)
ড. নজরুল ইসলাম



আগের পর্ব পরের পর্ব

সিরত শহরে হাসুর পোস্টিং হলো লিবিয়ান সামরিক বাহিনীতে। লিবিয়ান সমাজে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ছিল একটা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী। তাদের বেতন ছিল তুলনামূলক ভাবে বেশি। সবাই ডিফেন্স কলোনিতে ভাড়া ছাড়া একটা বাড়ি পেতো। এমনকি সেই বাড়ির ইউটিলিটি বিল পর্যন্ত দিতে হতো না। তাছাড়া, তাদের জন্য ছিল ডিউটি ফ্রি শপিংয়ের সুবিধা। ডিউটি ফ্রি দোকানে ইলেকট্রনিক আইটেম এবং অন্যান্য পণ্য স্থানীয় দোকানের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি হত। আমরা আশা করিনি হাসু এত আকর্ষণীয় পদে পোস্টিং পাবে। হাসুর ক্লিনিকের নাম ছিল 'আর্মি ফ্যামিলি ক্লিনিক'। শুধুমাত্র লিবিয়ান সেনা সদস্যদের স্ত্রী এবং নাবালক ছেলে-মেয়েরা সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে পারত। সেখানে কাজ হতো দুই শিফটে: সকাল এবং বিকেলের শিফট। প্রতি শিফটে একজন লেডি ডাক্তার কাজ করতেন। কাজের চাপ নোফালিয়ার তুলনায় অনেক কম ছিল। উপরন্তু কোনো ‘কল ডিউটি’ করতে হতো না। লিবিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বেশিরভাগ ডাক্তার, পুরুষ এবং মহিলা, উভয়ই ছিলেন পাকিস্তানি। যেই ডাক্তারের জায়গায় হাসু পোস্টিং পেয়েছিলো তিনিও ছিলেন পাকিস্তানি। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর হঠাৎ তাকে দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল। এটাই জীবনের পরিহাস; একজনের দুর্ভাগ্য অন্যজনের সৌভাগ্য বয়ে আনে!

আমরা উঠলাম সিরত ডিফেন্স কলোনির বাসায়। নোফালিয়ার বাসার মতন এটাও একটা তিন বেডরুমের ফার্নিশড বাসা। তবে আকারে আরো বড়। ভেতরের উঠানটাও বড়। প্রতিটা ঘর দামি ইটালিয়ান ফার্নিচার দিয়ে সাজানো। আধুনিক রান্নাঘর, যেখানে ছিল লেমিনেটেড বেঞ্চ-টপ, কিচেন ক্যাবিনেট এবং ওভেন সহ ইলেকট্রিক কুকার। বাড়ির সামনে একটা ‘কারপোর্ট’। প্রশস্ত রাস্তার দুই পাশে বাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো। পুরো এলাকাটা সুন্দরভাবে ডিজাইন করা এবং দেখতে অভিজাত।

প্রথম দিন পরিচয় হলো আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ডা. আবেদের সঙ্গে। তিনি একজন পাকিস্তানি ডাক্তার। তিনি জানালেন, সামরিক বাহিনীতে কর্মরত জনা বিশেক পাকিস্তানি এই ডিফেন্স কলোনিতে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন লিবিয়ান বিমান বাহিনীতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। তারা অবিবাহিত এবং তারা আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা বাড়িতে থাকেন। ডাক্তার ছাড়াও লিবিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু পাকিস্তানি অফিসার রয়েছেন। তারা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। বিমান বাহিনীর টেকনিশিয়ানরা ছাড়া তারা সবাই আমার প্রতিবেশী। ডা. আবেদের কাছ থেকে আরো জানা গেলো, এই কলোনিতে প্রচুর সংখ্যক রাশিয়ান “এডভাইজার” বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ নেই।

আমাদের বাসা থেকে গাড়িতে হাসু ক্লিনিক ৩ মিনিটের পথ। হাসু তার ক্লিনিকের গাড়িতে কাজে যাতায়াত শুরু করলো। ক্লিনিকটা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ছিল তাই আমি কখনও ভিতরে ঢুকিনি। হাসুর কাছ থেকে ক্লিনিকের যে বর্ণনা পেয়েছি সেটা এই রকম। ক্লিনিকে ঢুকতেই রুগীদের অপেক্ষা করার জন্য একটা ঘর। সেখানে রুগী নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন নার্স বসে থাকেন। তার কাজ হলো শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা। তবে, গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ছিল কম। তারা সাধারণত সিরত ডিসট্রিক্ট হসপিটালের ইমার্জেন্সি বিভাগে চলে যেত। তারপর ডাক্তারদের ঘর। প্রতি শিফটে কর্মরত ডাক্তারের জন্য দুটো আলাদা ঘর। একটা ডাক্তারের ঘর সব সময় খালি থাকে। সামনে ট্রিটমেন্ট রুম। সেখানে রুগীদের বিছানার পাশাপাশি নার্সদের বসার জন্য কয়েকটা চেয়ার। একদম পেছনের ঘরটা হলো ফার্মেসি। এই ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট হলেন একমাত্র পুরুষ কর্মচারী। ক্লিনিকের সার্বিক তত্ত্বাবধান তিনিই করেন। ক্লিনিকের সামনে রোগীদের জন্য একটা পার্কিং লট।

সিরতে থিতু হওয়ার পর আমি চাকরি খুঁজতে শুরু করলাম। সিরত একটা বড় শহর। এখানে সরকারি চাকরির সুযোগ অনেক বেশি। কিন্তু আমি সরকারি চাকরি করতে চাইছিলাম না। তার কারণ সরকারি চাকরিতে বেতন কম ছিল। লিবিয়ায় বিদেশীদের জন্য দুই ধরণের বেতন স্কেল ছিল। প্রথমটা হলো তাদের জন্য যাদের লিবিয়ান সরকার বিদেশ থেকে রিক্রুট করে এনেছে। তাদের কন্ট্রাক্টকে বলা হতো 'ফরেন কন্ট্রাক্ট'। আর যারা লিবিয়া আসার পর চাকরি নিয়েছেন তাদের কন্ট্রাক্টকে বলা হতো 'লোকাল কন্ট্রাক্ট'। ফরেন কন্ট্রাক্টে যারা কাজ করতেন তাদের বেতন ছিল বেশি, সঙ্গে ছিল অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা, যেমন দুবছর অন্তর দেশে যাওয়া-আসার টিকেট। হাসুর সৌভাগ্য, সে লিবিয়ায় আসার পর চাকরি পাওয়া সত্ত্বেও ফরেন কন্ট্রাক্ট পেয়েছিল। তার কারণ তাদের লেডি ডাক্তারের অভাব ছিল। আমার বেলায় তা হবে না। তাই আমি সরকারি চাকরি বাদ দিয়ে কোনো প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতে চাইছিলাম। প্রাইভেট কোম্পানিতে বেতন স্কেল ছিল ভিন্ন। সেখানকার বেতন ফরেন কন্ট্রাক্ট থেকেও বেশি। তাছাড়া, কোম্পানিতে যারা কাজ করতেন তারা তাদের বেতনের ৯০ শতাংশ বিদেশে পাঠাতে পারতেন। আর যারা ফরেন কন্ট্রাক্টে কাজ করতেন তারা তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ বিদেশে পাঠাতে পারতেন। তাই কোম্পানিতে কাজ করা খুব আকর্ষণীয় ছিল।

আমি সিরতে নতুন এসেছি। সিরত শহরে কোথায় কোম্পানির খোঁজ পাবো জানিনা। রোজ সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম সিরত শহর এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখতে। একদিন সমুদ্রের ধারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনো রাস্তাটার নির্মাণ কাজ চলছে। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা সাইনবোর্ড নজরে পড়ল। তাতে লেখা 'কাতকো কোম্পানি'। ভেতরে গিয়ে কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে দেখে করলাম। তিনি জানালেন, সমুদ্রের ধারের রাস্তাটা তাদের কোম্পানি তৈরি করছে। আমি তাকে বললাম, আমি একজন বাংলাদেশী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, একটা উপযুক্ত চাকরি খুঁজছি। তারপর আমার ‘রেসুমে’ তার হাতে তুলে দিলাম। আমার রেসুমে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি বুলগেরিয়া থেকে ইঞ্জিনারিং পাশ করেছো। উচ্চশিক্ষার জন্য তুমি বুলগেরিয়া কেন বেছে নিয়েছিলে? আমি তাকে বললাম, বুলগেরিয়ায় পড়াশোনার জন্য আমি একটা সরকারি বৃত্তি পেয়েছিলাম। তখন আমি জানতাম না, তিনি একজন ফিলিস্তিনি এবং তার ভাগ্নে, যে কোম্পানির ত্রিপলি অফিসে কর্মরত ছিল, মস্কো থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। তাই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পর্কে তার ভালো ধারণা ছিল। তিনি বললেন, আমরা একটা 'অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট' স্থাপনের জন্য একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার খুঁজছি। তুমি যদি কাজটা করতে পারো তাহলে আমরা তোমাকে চাকরিটা দিতে পারি। তারপর তিনি অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্টের একটা ড্রয়িং বের করে আমাকে দেখতে দিলেন। ড্রইংয়ের নীচের ডানদিকের কোণায় আমি 'মারিনি' কোম্পানির নাম লক্ষ্য করলাম। মারিনি, অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট তৈরির জন্য একটা বিশ্বখ্যাত ইতালিয়ান কোম্পানি। আমি উনাকে বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি যে বেতন অফার করলেন তা আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল। কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সফল হতে পারবো কিনা জানিনা। আমার চাকরির দরকার। আমি রাজি হয়ে গেলাম। পারি না পারি, অন্তত ছ’মাস তো চেষ্টা করে দেখার সুযোগ পাবো। এছাড়া, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তাদের এই পদটা পূরণ করা খুবই প্রয়োজন ছিল কারণ প্ল্যান্ট স্থাপনে আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ম্যানেজার আমাকে চাকরিটা অফার করেছিলেন। তবে, আমার রেসুমেতে ভার্না শিপইয়ার্ডে ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অ্যাসেম্বলি অপারেশনের অভিজ্ঞতার উল্লেখ ছিল। সম্ভবত তিনি ভেবেছিলেন যে এই দক্ষতা দিয়ে আমি একটা অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারব।

তারপর ম্যানেজার আমাকে কোম্পানির চত্বরটা ঘুরিয়ে দেখাতে নিয়ে গেলেন। অফিস ভবনের কাছেই ছিল শ্রমিকদের জন্য পাশাপাশি লাগানো অনেকগুলো ঘর। তার সামনে পড়েছিল কিছু রাস্তা তৈরির যন্ত্রপাতি: এক্সকাভেটর, রোলার, গ্রেডার এবং অন্যান্য। প্রাঙ্গণটা একদম ফাঁকা। সবাই কাজে চলে গেছে। প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে একটা খালি জায়গায় বালির উপর ছড়িয়ে থাকা বেশ কিছু মেশিনের যন্ত্রাংশ দেখতে পেলাম। এগুলো একত্রিত করে আমাকে অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট খাড়া করতে হবে। অফিসে ফিরে আসার পর, ম্যানেজার আমাকে আমার পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট এবং রেসুমে তার কাছে রেখে যেতে বললেন। সেই সময়, আমার ভিসা ছিল 'ডিপেন্ডেন্ট ভিসা'। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না যে এটাকে ওয়ার্ক পারমিটে রূপান্তর করা যাবে কিনা। তিনি বললেন, আমার ওয়ার্ক পারমিটের ব্যাপারে তিনি স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিসের সাথে যোগাযোগ করবেন। সপ্তাহ-খানেক পর আমি ম্যানেজারের সাথে দেখা করে জানতে পারলাম সবকিছু ঠিক আছে। তিনি আমাকে পরের মাসের প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করতে বললেন।

এর মধ্যে আরেকটা সুখবর, হাসু আবার প্রেগন্যান্ট। এবার আমি তার উপর নজর রাখছিলাম যাতে ও অতিরিক্ত চাপ না নেয়। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস ও 'মর্নিং সিকনেস'-এ ভুগছিল। বমি বমি ভাব থাকায় কিছুই খেতে পারতো না। অসুস্থতা সত্ত্বেও ও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। ওর ক্লিনিকের নার্সরা খুব যত্নশীল হওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছিল। তারা সবসময় হাসুর দেখাশোনা করতো। রুগীরাও ছিল খুব সহানুভূতিশীল। উল্লেখ্য যে, লিবিয়ায় চিকিৎসা পেশা ছিল বিদেশীদের জন্য সবচেয়ে সম্মানিত পেশা। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ক্লিনিকে কর্মরত একজন লেডি ডাক্তার হিসেবে হাসুর সম্মান ছিল বেশি। গর্ভাবস্থায় হাসু অনেক গন্ধ সহ্য করতে পারত না, বিশেষ করে মশলাদার খাবার। আমি রান্নাবান্না শুরু করলাম। রান্না করার সময় ও উঠানে বসে থাকতো। তার খাবারের মধ্যে ছিল দুধ আর ফল। নানা ধরণের মৌসুমি ফল, যেমন ডালিম, মাল্টা এবং আঙ্গুর দিয়ে ফ্রিজ ভোরে রাখতাম। লিবিয়ায় ‘হারিসা’ নামে একটা মরিচের পেস্ট পাওয়া যেত। ও হারিসা দিয়ে 'খুবজা' (লিবিয়ান পিটা ব্রেড) খেয়ে নিতো। একদিন হাসুর ইচ্ছে হলো সে কালোজিরা ভর্তা খাবে। সিরতে কালোজিরা পাবো কোথায়? অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক পাকিস্তানি প্রতিবেশীর কাছে কালোজিরা পাওয়া গেলো। কালোজিরা ভর্তার সব উপকরণ পাটায় বেটে নিতে হয়। এখানে পাটা পাবো কোথায়? গ্রাইন্ডার দিয়ে পাটার কাজ চালানো হলো। হাসুর জন্য আমার দুঃখ হতো। এই সময়ে দেশে থাকলে সবার কত যত্ন পেতো!

আমি মাসের পয়লা তারিখ থেকে কাজ শুরু করলাম। কাজের প্রথম দিন, ম্যানেজার আমার সাথে কাজ করার জন্য পাঁচজন কর্মীকে নিযুক্ত করলেন। তারা সবাই পাকিস্তানি। তাদের আরবি ভাষায় দক্ষতা ছিল না বললেই চলে। তারা কেবল উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারতো। তাদের সাথে কথা বলা কঠিন হয়ে গেলো কারণ আমি শুধু ভাঙা ভাঙা উর্দু বলতে পারতাম। আমি উর্দু ভাষা শিখতে শুরু করলাম। অল্প সময়ের মধ্যে কথোপকথনের জন্য যথেষ্ট উর্দু ভাষা শিখে ফেললাম।

আমাদের কোম্পানিতে যারা কাজ করতো তাদের জাতীয়তা অনুসারে তিনটা দলে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম দলটা হলো যারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, যেমন ফিলিস্তিন এবং সিরিয়া থেকে এসেছে। তাদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। তারা রাস্তা নির্মাণের যন্ত্রপাতি চালাতো। দ্বিতীয় দলটা ছিল তুরস্ক থেকে। তারা ট্রাক চালাত। তৃতীয় দলটা ছিল পাকিস্তান থেকে। তারা ছিল অদক্ষ শ্রমিক; তারা বিভিন্ন ধরণের কাজ করত। কোম্পানিতে তারাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের সংখ্যা ৩০/৩৫ জনের মতন হবে। ভাষা সমস্যা সমাধানের পর তারা আমার খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা আমাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতো। ভাবতো তাদেরই একজন। ডাকতো 'মোহান্দেস' বলে, আরবি ভাষায় যার অর্থ 'ইঞ্জিনিয়ার'। পরবর্তীতে আমি কাজ শেষে সন্ধ্যায় তাদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ শুরু করি। এর অবশ্য একটা বিশেষ কারণ ছিল, তা পরে উল্লেখ করবো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল যারা উর্দুও বলতে পারতো না। আমি তাদের কাছ থেকে পাঞ্জাবি ভাষা শিখেছিলাম। যদিও এখন খুব একটা মনে নেই, তবুও ট্রামে-বাসে পাঞ্জাবি কথোপকথন উপভোগ করি। অজান্তেই মনে পড়ে যায় বিদেশ বিভূঁইয়ে কাটানো কর্মময় দিনগুলোর কথা। (চলবে)




মারিনি অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্টের সামনে



আগের পর্ব পরের পর্ব



ড. নজরুল ইসলাম, কার্টিন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া



Share on Facebook               Home Page             Published on: 3-Mar-2025

Coming Events:

Lakemba Blacktown Money raised so far


*** মেলার তারিখ ১১ মে থেকে পিছিয়ে ১ জুন করা হয়েছে ***



Blacktown Money raised so far