bangla-sydney













প্রবাসে পঞ্চাশ বছর (২)
ড. নজরুল ইসলাম



আগের পর্ব পরের পর্ব

পরদিন সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেলো। চব্বিশ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণের ক্লান্তি তখনও কাটেনি। আরো ঘুমের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ঘুমাতে পারছিলাম না। তার কারণ সোফিয়ার সময় ঢাকার থেকে তিন ঘণ্টা পিছিয়ে। নতুন টাইম জোনের সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। একটা ছোট ঘরে চারটা বিছানা; আমি তার একটাতে শুয়ে আছি। রুমমেটরা সবাই যে যার কাজে চলে গেছে। কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলাম। দেশের কথা খুব মনে পড়ছিলো; প্রবাসে জীবনের শুরুতে যেমন হয়। আর দেরি না করে উঠে পড়লাম। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে চলে গেলাম নিচতলায়। লিফটের সামনে খোলা জায়গাটায় আমরা মিলিত হলাম। দোমাকিনার কাছ থেকে জানতে পারলাম, গতকাল বিকেলে যখন আমরা বাজার করতে গিয়েছিলাম, তখন দুই জন বাংলাদেশি নাগরিক আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তারা কে হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। সকালের নাস্তা করা দরকার। কাছেই একটা ক্যাফেটেরিয়া পেয়ে গেলাম। সেখানে অনেক ধরণের খাবার ছিল যা আমরা আগে কখনো দেখিনি। তাই খেতে কেমন হবে বুঝতে পারছিলাম না। সস্তা খাবারের মাঝ থেকে একটা বেছে নিলাম। পরে জেনেছি খাবারটার নাম 'কিফলা', সকালের নাস্তা হিসেবে খুব জনপ্রিয়। কিফলা এক ধরণের মিষ্টি রুটি, ভিতরে জ্যাম ভরা। দেখতে অনেকটা ক্রোস্যান্টের মতো। সঙ্গে নিলাম কোকো মিশানো গরম দুধ। শীতের সকালে গরম দুধ দিয়ে কিফলা খেতে ভালোই লাগছিলো।

আজ আমাদের প্রথম কাজ হল শহরের একটা হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা। বুলগেরিয়ায় অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রদের জন্য এই ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। মেডিকেল টেস্টের ব্যাপারে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম। কেননা আমার এক বন্ধুকে সামান্য জ্বরের জন্য মস্কোর একটা হাসপাতালে সপ্তাহ খানেক কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সেই বছর সরকারি বৃত্তি নিয়ে যারা সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিল তাদের প্রথম ব্যাচ আগস্ট মাসের মাঝামাঝি এরোফ্লট এয়ারলাইনের একটা চার্টার্ড ফ্লাইটে মস্কো পৌঁছেছিল। তাদের মধ্যে আমার স্কুলের কয়েকজন বন্ধুও ছিল। আমরা বাংলাদেশ ছাড়ার আগেই, চিঠির মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জেনেছি। তাদের মেডিকেল টেস্টের অভিজ্ঞতার বর্ণনা আমাদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছিল, বিশেষ করে মেডিকেল টিমের সামনে নগ্ন হওয়ার কথাটা। আমরা যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেলাম। কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমাদের মেডিকেল টেস্ট হয়ে গেলো। মেডিকেল টেস্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল: সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা, বুকের এক্সরে, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা এবং দৃষ্টি পরীক্ষা। আজকাল অবশ্য ভিসা প্রসেস করার আগেই এ ধরনের মেডিকেল টেস্ট করতে হয়।

এরপর আমাদের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে যেতে হবে। গতকাল সেক্রেটারি এমনটাই বলে দিয়েছেন। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ধরে আমরা ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে পোঁছে গেলাম। সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানালেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মোস্তফার ভর্তির কাগজপত্র এসে গেছে। তিনি মোস্তফাকে ভাষা শিক্ষার কোর্সে ভর্তি করে নিলেন। আর সেই সঙ্গে মোস্তফা মাসিক বৃত্তির টাকাটাও পেয়ে গেলো। আমাদের আর্থিক সমস্যা কিছুটা লাঘবে হলো। বুলগেরিয়ান ভাষা শিক্ষার কোর্সে, শিক্ষার্থীদের ৮/১০ জনের ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে পড়ানো হয়। প্রত্যেক গ্রুপের একটা ফোকাস থাকে যা নির্ভর করে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে যে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবে। যেমন, যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে তাদের এক গ্রুপ, যারা ডাক্তারি পড়বে তাদের এক গ্রুপ বা যারা অর্থনীতি পড়বে তাদের এক গ্রুপ। সেক্রেটারি আমাদের গ্রুপ বরাদ্দ করে দিলেন। কাল থেকে ক্লাস শুরু হবে। আজকের মতন আমাদের অফিসিয়াল কাজ শেষ।

তারপর আমরা চলে গেলাম ক্যান্টিনে। তখন ক্লাস চলছিল, তাই ক্যান্টিন ফাঁকা। এক কাপ চা পাওয়া গেলে ভালো হতো। কিন্তু চা পাওয়া গেলো না। তখনকার দিনে বুলগেরিয়ায় চা খাওয়ার প্রচলন ছিল না। মুদির দোকানে এক ধরণের চা পাতা বিক্রি হতো যার নাম ‘গ্রুজিনস্কি চাই’(জর্জিয়ান চা)। স্বাদ অনেকটা হারবাল টি-এর মতো। তাতে কি আর চায়ের তেষ্টা মেটে? কিছুক্ষণ পর ক্যান্টিন ভোরে গেলো; তখন দুই ক্লাসের মাঝে বিরতি চলছে। সেখানে পরিচয় হলো বাংলাদেশী মেয়ে হাসুর সঙ্গে। সে এসেছে সপ্তাহ তিনেক আগে। সেই প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যে স্কলারশিপ নিয়ে বুলগেরিয়ায় পড়াশোনা করতে এসেছিলো। খুব সাহসী মেয়ে বলতে হবে! এই ভিনদেশে একা একা কিভাবে সব কিছু সামাল নিয়েছে? ওর কাছ থেকে জানতে পারলাম, গতকাল হোস্টেলে আমাদের সাথে দেখা করতে আসা দুজনের একজন সে। আমাদের আসার খবরটা ল্যাঙ্গুয়েজে ইন্সটিটিউটের সেক্রেটারি ওকে জানিয়ে ছিল। ওর সঙ্গে ছিলেন কৃষি বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যার নাম ড. ইসহাক। মাসব্যাপী একটা ট্রেনিঙে অংশ নিতে এসেছেন তিনি। উঠেছেন কাছেই একটা হোটেলে। ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়ায় হাসুর সঙ্গে বেশি কথা হলো না। ঠিক হলো বিকেলে ড. ইসহাকের হোটেলে আমরা আবার মিলিত হবো।

ইতিমধ্যে লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে। সেক্রেটারি আগেই বলে দিয়েছেন খাবার খেতে কোথায় যেতে হবে। সব বুলগেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত, ডাইনিং হলগুলো 'স্তল' নামে পরিচিত আলাদা ভবনে অবস্থিত থাকে। তাছাড়া সব ছাত্রাবাসের কাছাকাছিও স্তল রয়েছে। আমাদের ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্সটিটিউট একটা ছোট প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সেখানে তেমন কোনো সুবিধা ছিল না। কাছেই ছিল একটা পুরনো ছাত্রাবাস। আমাদের ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত অনেক ছাত্রছাত্রী সেখানে থাকতো। আমরা সেখানকার স্তলে গেলাম লাঞ্চ করতে। ডাইনিং হলে ঢুকতেই একটা অপ্রীতিকর গন্ধ অনুভব করলাম। একটা বিরাট ডাইনিং হলে ২০/২৫টা টেবিল সাজানো; প্রতি টেবিলে চার জন করে বসার ব্যবস্থা। কাউন্টারে মহিলারা খাবার সার্ফ করছেন। তিন কোর্সের খাবার: স্যুপ, মেইন কোর্স এবং ডেজার্ট। ৩০ স্তোতিনকিতে এতো খাবার আশা করিনি। বাইরে এই খাবারের দাম ১৫/২০ গুণ হবে। আমরা ট্রেতে খাবার নিয়ে একটা টেবিলে বসলাম। কোনোরকমে স্যুপ খাওয়া শেষ করলাম। কিন্তু মেইন কোর্স খেতেই পারছিলাম না। একেতো মসলা ছাড়া খাবার বিস্বাদ লাগছিলো। উপরন্তু, আমরা খাবারের সঙ্গে পানি খেয়ে অভ্যস্ত, কিন্তু সেখানে খাবার পানির কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। হঠাৎ দেখলাম ডাইনিং হলের কোণায় একজন সফ্ট ড্রিংক বিক্রি করছে। সেখানে দুই ধরণের সফ্ট ড্রিংক ছিল – প্রথমটার নাম 'অরেন্জাদা', অনেকটা ফান্টার মতো। দ্বিতীয়টার নাম 'আলতাই', পেপসির সস্তা প্রতিস্থাপন। আমরা অরেন্জাদা দিয়ে খাবার শেষ করলাম।

বিকেলে আমরা চলে গেলাম ড. ইসহাকের হোটেলে। হাসু আগেই পোঁছে গিয়েছিল। ড. ইসহাকের সঙ্গে পরিচয় হলো। অত্যন্ত অমায়িক মানুষ তিনি। প্রবাস জীবনের শুরুতে এমন একজন প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কাছে পেয়ে আমরা আনন্দিত হলাম। অনেক কথা হলো। হাসু এবং ড. ইসহাক একই ফ্লাইটে এসেছেন। বিমানে ওদের পরিচয়। পরে ওদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। তিনি যেখানেই যেতেন হাসুকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। কারণ হাসু একটু একটু করে বুলগেরিয়ান ভাষা শিখতে শুরু করেছে। ভিনদেশে ভাষা সমস্যা একটা বড় সমস্যা, কিছুটা হলেও সেই সমস্যা লাঘব হতো। উনার কাছ থেকে অনেক মজার মজার অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারলাম। হাসু আর উনি ট্রামে বসে আছেন। অনেকক্ষণ হয়ে গেলো কিন্তু গন্তব্য স্থল আসছেই না। এক পর্যায়ে ট্রাম থেমে গেলো। ড্রাইভার এসে জানালো এটাই শেষ স্টপ। অর্থাৎ যেখানে নামার কথা সেখানে নামা হয়নি। পরে উল্টো পথে ট্রাম নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন। উনার কাছ থেকে হাসুর রান্নার কথা শুনলাম। দেশি মশলা ছাড়া শুধু 'পাপরিকা' দিয়ে রান্না করা মুরগির মাংস খুব মজা করে খেয়েছিলেন। ডাইনিং হলে খাবারের যা নমুনা দেখলাম তাতে মনে হয় যত তাড়াতাড়ি আমরা রান্না করা শিখে যাই ততই ভালো। বাংলাদেশ ছাড়ার পর ব্যস্ততার মাঝে গোসল করা হয়নি। তাছাড়া হোস্টেলে ৫/৬ জন এক সঙ্গে গোসল করাটা আমাদের পছন্দ হয়নি; অভ্যস্ত হতে অনেক সময় লেগেছিলো। সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই হোটেলে গোসল সেরে নিলাম। গোসলের পর বেশ ফ্রেশ লাগছিলো।

পরদিন ছিল আমাদের বুলগেরিয়ান ভাষা শিক্ষার প্রথম ক্লাস। একটা ক্লাসে আমরা ৮ জন বসে আছি। ম্যাডাম পড়াচ্ছেন। টেবিলে রয়েছে ছবি ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। সেগুলো দেখিয়ে ম্যাডাম মাঝে মাঝে প্রশ্ন করছেন। সহপাঠীরা উত্তর দিচ্ছে। সবই বুলগেরিয়ান ভাষায়। আমি তার কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শুধু বসে বসে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। ৪৫ মিনিট ক্লাস চলার পর ১৫ মিনিটের বিরতি। সহপাঠীরা সবাই বাইরে চলে গেছে – কেউ তাজা বাতাস নিতে, কেউ ধূমপান করতে আর কেউ ক্যান্টিন থেকে কিছু কিনে খেতে। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতন ক্লাসে বসে আছি আর ভাবছি এই ভাষা আমি কোনো দিনও শিখতে পারবো না! ম্যাডাম হয়তো আমার মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন। কাছে এসে ইংরেজি ভাষায় বললেন – গ্রুপের বাকি সবাই দিন দশেক আগে ক্লাস শুরু করছে। চিন্তা করো না, কয়েকদিন পর তুমিও এদের মতন শিখে যাবে। সেই প্রথম জানলাম ম্যাডাম ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন। শুধু তাই নয়, তিনি ফরাসি ভাষায়ও সমান পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু ক্লাস চলাকালীন উনাকে কখনো বুলগেরিয়ান ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতে দেখিনি। পরে ম্যাডামের মন্তব্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই মোটামুটি চলার মতন বুলগেরিয়ান ভাষা রপ্ত করে ফেলেছিলাম।

ক্লাস শেষে ম্যাডাম জানালেন, দুপুরের খাবারের পর আমরা সোফিয়া শহরের উপকণ্ঠে ‘ভিতোশা’ পর্বতে বেড়াতে যাচ্ছি, উদ্দেশ্য পর্বতের চূড়ায় জমে থাকা বরফ দেখা। প্রোগ্রামটা আগেই ঠিক করা ছিল যা আমার জানা ছিল না। ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে এমন সুযোগ আশা করিনি। ভিতোশা পর্বত বুলগেরিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ; সোফিয়া-বাসীদের জন্য উইকেন্ড কাটানোর একটা জনপ্রিয় জায়গা। সেখানে হাইকিং, স্কিইং, রক ক্লাইম্বিং এবং পর্বতারোহণের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, সেখান থেকে সোফিয়া শহরের একটা চমৎকার প্যানোরামা দৃশ্য দেখা যায়। বিশাল গম্বুজের মতো দেখতে পর্বতটা ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৭ কিলোমিটার চওড়া। এই পর্বতের সর্বোচ্চ বিন্দুর নাম 'চের্নি ভ্রু' (কালো চূড়া), উচ্চতা ২২৯০ মিটার। সম্ভবত সোফিয়া ছাড়া অন্য কোনো ইউরোপীয় রাজধানীতে শহরের কেন্দ্রস্থলের এত কাছাকাছি এত বড় পর্বত নেই। জায়গাটা শহরের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত যেখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করা যায়। আমরা একটা স্থানীয় বাসে চড়ে বসলাম। অনেকটা পথ শহরের রাস্তা ঘুরে বাস পাহাড়ের পাদদেশে এসে পোঁছালো। এরপর বাসটা আঁকাবাঁকা পথ ধরে পাহাড়ে উঠতে থাকল। আর সেই সঙ্গে বদলে গেল চারপাশের দৃশ্যপট। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য চিরসবুজ পাইন গাছ। ঘণ্টা খানেক পর আমরা গন্তব্য স্থলে পোঁছে গেলাম। বাস থেকে নামতেই লক্ষ্য করলাম চারদিক ধবধবে সাদা বরফে ছেয়ে গেছে। বরফে ঢাকা পাইন গাছগুলো দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো। বাস থেকে নেমে জায়গাটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সঙ্গে ছিল বরফ ছোড়াছুড়ি খেলা। আমরা নির্মল আনন্দে মেতে উঠলাম। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ভুলে গেলাম দেশে আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের ছেড়ে আসার বেদনা। (চলবে)



সহপাঠীদের সাথে ভিতোশা পর্বতে



আগের পর্ব পরের পর্ব



ড. নজরুল ইসলাম, কার্টিন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া






Share on Facebook               Home Page             Published on: 17-Jun-2023

Coming Events: