bangla-sydney













প্রবাসে পঞ্চাশ বছর (১)
ড. নজরুল ইসলাম



আগের পর্ব পরের পর্ব


সময়টা ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাস। হেমন্তের সকাল। কিছুক্ষণ আগে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরোফ্লট এয়ারলাইনের একটা প্রোপেলার বিমান (ইলিউশান-১৮) টেক অফ করেছে। বিমানের জানালা দিয়ে শেষবারের মতো ঢাকা শহর দেখছি। এই শহরে আমার জন্ম। এখানে কাটিয়েছি আমার জীবনের ১৯টা বছর। সেই শহর ছেড়ে আমরা চারজন – আজিজ, আউয়াল, মোস্তফা এবং আমি, সরকারি বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছি বুলগেরিয়া। আমাদের ভ্রমণ-সূচী হলো ঢাকা-বোম্বে-তিবিলিসি-মস্কো-সোফিয়া। মাঝে মস্কোতে রাত কাটাতে হবে। ইতিমধ্যে সিট বেল্ট সাইন নিভে গেছে; আর সেই সঙ্গে বেড়েছে বিমানবালাদের ব্যস্ততা। মোস্তফার সঙ্গে আমার আলাপ জমে উঠেছে। দেখলে মনেই হবে না, ঘণ্টা খানেক আগে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়।

তিন ঘণ্টা পর বোম্বেতে এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি – প্রথম ডিউটি ফ্রি শপিং করার সুযোগ। শুনেছি এখানকার দোকানগুলোতে সস্তায় সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। ঘুরে ঘুরে দোকানগুলো দেখছি। কত জিনিস পরিপাটি ও আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো রয়েছে: ঘড়ি, ইলেকট্রনিক আইটেম, গয়না, পারফিউম, মদ, সিগারেট, চকোলেট এবং আরো কত কী। কিন্তু আমাদের পকেটে তো আছে মাত্র পাঁচ পাউন্ড করে। ওই টাকায় কি বা কেনা যায়! শেষ মেশ আমি আর মোস্তফা ভাগাভাগি করে খাবো বলে এক কার্টুন সিগারেটর কিনলাম এক পাউন্ড দিয়ে। পরবর্তীতে সেই সিগারেটের ৮০ শতাংশ শেষ করেছিল মোস্তফা আর আমার ভাগ্যে জুটেছিল ২০ শতাংশ। তখন কি জানতাম মোস্তফা হলো একজন চেইন স্মোকার আর আমি একজন সৌখিন ধূমপায়ী! তবে তাতে দুঃখ নেই। ভাগাভাগি করে খাওয়াটাই আনন্দ।

বোম্বে-তিবিলিসি ৭ ঘণ্টার ফ্লাইট। বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ পর দুপুরের খাবার পরিবেশন কর হলো। বিদেশী খাবার পছন্দ হলো না। খাবার খুব কমই খেতে পারলাম। প্রসঙ্গত, বিদেশী খাবারে অভ্যস্ত হতে আমাদের অনেকটা সময় লেগেছিলো। তখনকার দিনে ফ্লাইটে কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। তাই দীর্ঘ ফ্লাইটে সময় কাটানো ছিল কঠিন। মোস্তফার সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়ে গেছে। কত আর গল্প করা যায়? অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙল ক্যাপ্টেনের ঘোষণা শুনে। তিনি জানালেন – আমরা শিগগিরই তিবিলিসি বিমান বন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছি। এখানে এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি। ৭ ঘণ্টা বিমানে বসে থাকার পর এই বিরতির প্রয়োজন ছিল। একটু হাত-পা মেলার সুযোগ পেলাম। তিবিলিসি শহর সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। এটাও জানা ছিল না যে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র জর্জিয়ার রাজধানী। গোধূলি লগ্নে আমাদের বিমান যখন তিবিলিসি ছেড়ে যাচ্ছিল, তখন বিমানের জানালা দিয়ে দেখা একটা দৃশ্য আজও মনে গেঁথে আছে। পাহাড়ের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের বাড়িগুলোতে আবছা অন্ধকারে মিটমিট করে জ্বলছে হাজারো আলো।

মস্কো পৌঁছলাম স্থানীয় সময় রাত দশটা নাগাদ। বিমানের দরজা দিয়ে বেরিয়ে সিঁড়িতে পা রাখতেই হু হু করে একরাশ ঠাণ্ডা বাতাস বুকের ভিতর ঢুকে গেলো। বাংলায় 'হাড় কাঁপানো শীত' বলে একটা প্রবাদ বাক্য আছে। সেই প্রথম বারের মতো অনুভব করলাম সত্যিকার অর্থে হাড় কাঁপানো শীত কাকে বলে। তখন ইতিহাসে পড়া 'জেনারেল উইন্টার'-এর কথা মনে পড়ছিলো। এই প্রচণ্ড শীতের কারণে হিটলারের বাহিনী মস্কো পৌঁছাতে পারেনি। সামনে এক অবাক করা দৃশ্য! শতাধিক বিমান দাঁড়িয়ে আছে বিমান বন্দরে। একসাথে এত বিমান আগে কখনো দেখিনি। সিঁড়ির সামনেই বাস দাঁড়িয়ে ছিল। তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠে পড়লাম। বাসে হিটিং সিস্টেম থাকায় সে যাত্রায় শীতের হাত থেকে বেঁচে গেলাম। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশনের ভীষণ কড়াকড়ি। আমাদের সাথে সবুজ পাসপোর্ট (“সবুজ সাথী”) থাকায় কড়াকড়ির মাত্রাটা ছিল বেশি। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিমানবন্দর সংলগ্ন একটা ট্রানজিট হোটেলে। ইমিগ্রেশনের ঝামেলা চুকিয়ে হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেশ রাত হয়ে গেলো। পরদিন সকালে ফ্লাইট। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম।

আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট ছিল বলকান (বুলগেরিয়ান) এয়ারলাইন্সে। সকালে হোটেলে নাস্তা সেরে প্লেনে উঠলাম। মস্কো-সোফিয়া চার ঘণ্টার ফ্লাইট। সময় যেন কাটতেই চায় না। সোফিয়া বিমান বন্দরে যখন নামলাম তখন স্থানীয় সময় প্রায় দুপুর বারোটা। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মস্কোর তুলনায় শীত কিছুটা কম। তবুও শীতে কষ্ট পাচ্ছিলাম; কারণ আমাদের কারোরই উপযুক্ত শীতের পোশাক ছিল না। আমাদের পরনে ছিল নতুন বানানো সুট আর ফুলহাতা শার্ট। তাতে কি আর বুলগেরিয়ার শীত মানে! বিমানবন্দরে আমাদের রিসিভ করার জন্য তিনজন অপেক্ষা করছিলেন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা, ‘দেভ’ নামে একজন নাইজেরিয়ান ছাত্র এবং সাইপ্রাসের একজন অতি সুন্দরী ছাত্রী (নাম ভুলে গেছি)। আমরা সবাই একটা মাইক্রোবাসে চেপে বসলাম। মিনিট ১৫ পর আমাদের মাইক্রোবাস এসে থামলো একটা তিন তালা বিন্ডিংয়ের সামনে। দেভ জানালো, এটা ‘ইনস্টিটিউট ফর ফরেন স্টুডেন্টস’; এখানে ৯ মাস ধরে আমাদের বুলগেরিয়ান ভাষা শিখতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছিল মিশরীয় রাষ্ট্রপতি (১৯৫৬-৭০) গামাল আবদেল নাসেরের নামে। তিন/চারটা সিঁড়ি পেরিয়ে বিল্ডিঙে ঢুকতেই একটা খোলা বারান্দা। বারান্দার পাশের দেয়ালে নোটিশ বোর্ডে কিছু নোটিশ লাগানো। বারান্দা পেরিয়ে এগুতেই বা পাশে অফিস ঘর। সেখানে একে একে আমরা ভাষা শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হলাম। দুর্ভাগ্যবশত, কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় মোস্তফা ভর্তি হতে পারলো না। এরপর দেভ আমাদের নিয়ে গেলো ক্যাশিয়ারের কাছে। ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে সেই মাসের বৃত্তি বাবদ ৮৩ লেভা বুঝে পেলাম। নতুন একটা দেশের মুদ্রা হাতে পেয়ে পুলকিত হলাম। বারবার নোটগুলো নেড়ে চেড়ে দেখছিলাম। বুলগেরিয়ান মুদ্রা ‘লেভা’ সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণাই ছিল না। পরে জেনেছি, সরকারি হিসাবে লেভা এবং মার্কিন ডলার সমমূল্যের। তবে খোলা বাজারে এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল দুই থেকে আড়াই লেভা। এই টাকায় মাস চলতে হবে! শীতের কাপড় কেনার জন্য আমাদের ভাতা পাওয়ার কথা ছিল, তও পেলাম না। উপরন্তু ভর্তি হতে না পারায় মোস্তফা মাসিক বৃত্তির টাকাটাও পেলো না। আমরা একটা আর্থিক সংকটে পড়ে গেলাম।

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য স্থল 'দারভেনিৎসা স্টুডেন্টস সিটি' যেখানে সোফিয়া শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসবাস করে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটা শহর নির্মাণের ধারণাটা নতুন লাগলো কারণ শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে হয়ে থাকে। তখনো দারভেনিৎসা স্টুডেন্টস সিটির নির্মাণ কাজ চলছিল যা সম্পূর্ণ হতে আরো দুই দশক লেগেছিল। বর্তমানে সেখানে ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের মাইক্রোবাস এসে থামলো একটা ৮ তালা বিন্ডিংয়ের সামনে। সেটা ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য দুই নম্বর হোস্টেল। এই এলাকায় পাশাপাশি হোস্টেল ছিল চারটি, আর প্রতিটি হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা ছিল ৮ শতাধিক শিক্ষার্থীর। হোস্টেলে ঢুকতেই বা পাশে একটা ছোট্ট ঘর। সেখানে একজন মধ্যবয়সী মহিলা বসে ছিলেন। বুলগেরিয়ান ভাষায় উনাকে 'দোমাকিনা' বলা হয়। উনি এই হোস্টেলের গেট কিপার। দেভ উনার সাথে কথা বলার পর আমরা লিফটের সামনে একটা খোলা জায়গায় অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিছুক্ষণ পরে এলেন একজন স্বাস্থবতী জাঁদরেল মহিলা। তিনি এই হোস্টেলের সুপারিন্টেনডেন্ট। আমাদের ভর্তির কাগজ দেখার পর, তিনি চারটা ঘর বরাদ্দ করে দিলেন। আমরা চাচ্ছিলাম অন্তত দুজন এক ঘরে থাকি। তা হলো না। তবে ঘরগুলো একই তলায় (৮ তলায়) এবং কাছাকাছি হওয়ায় বিশেষ অসুবিধা হয়নি। আমরা জিনিসপত্র রাখতে যে যার ঘরে চলে গেলাম।

আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করা দরকার, বিশেষ করে শীতের কাপড়। দেভ জানালো, শীতের কাপড় কেনার জন্য সবচেয়ে ভালো দোকান হলো 'সুম'। সুম বুলগেরিয়ান ভাষায় সংক্ষিপ্ত নাম, পুরো নাম ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সাল স্টোর’, সোফিয়া শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত বুলগেরিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। এখান থেকে দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে মাইক্রোবাস আমাদের নামিয়ে চলে গেছে। এখন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যেতে হবে। আমাদের হোস্টেলের কাছেই ছিল হায়ার ইনস্টিটিউট অফ মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এখন যাকে বলা হয় টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ সোফিয়া), প্রকৌশল শিক্ষার জন্য বুলগেরিয়ার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে ট্রাম ধরলাম। আমার নানা দেশ বিভাগের আগে কলকাতায় চাকরি করতেন। তাঁর কাছ থেকে কলকাতার ট্রামের কথা অনেক শুনেছি। আজ প্রথম ট্রামে চড়ার সুযোগ হলো। সুম দোকানটা আসলেই শহরের কেন্দ্রস্থলে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত – কাছেই সচিবালয়, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং সংসদ ভবন। এই ধরণের বড় দোকান আগে কখনো দেখিনি। পাঁচ তালা ভবনে পণ্যগুলো বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে সাজানো রয়েছে। এর মধ্যে ছিল পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের জন্য তৈরি পোশাকের আলাদা আলাদা বিভাগ। এছাড়াও ছিল প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক্স, খেলনা, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য বিভাগ। আমরা ঘুরে ঘুরে সবচেয়ে কম দামের একটা ওভারকোট কিনলাম, আর সেইসাথে কিছু প্রয়োজনীয় শীতের পোশাক যেমন থার্মাল আন্ডারওয়্যার, মোজা এবং গ্লাভস। সমস্যা হলো মোস্তফাকে নিয়ে। ও তো বৃত্তির টাকা পায়নি, শীতের কাপড় কিনবে কী দিয়ে? মোস্তফার শীতের কাপড় কেনা হলো আমাদের সাথে আনা পাউন্ড ভাঙ্গিয়ে। তখন আমার লুকিয়ে আনা অতিরিক্ত পাঁচ পাউন্ড কাজে লেগে গেলো। দোকানের ভিতরে 'মানি এক্সচেঞ্জ' বুথ ছিল, তাই পাউন্ড ভাঙাতে কোন অসুবিধা হলো না।

সারাদিন ঘোরাঘুরির ফলে কিছু খাওয়া হয়নি। খুব খিদে পেয়েছে। দেভ জানালো, হোস্টেলে ফিরে যেতে যেতে ডাইনিং হল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দেরি না করে কাছেই একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়লাম। যতদূর মনে পড়ে রেস্তোরাঁটার নাম ছিল 'জ্লাতনো পিলে' (গোল্ডেন চিকেন)। মেনু বুলগেরিয়ান ভাষায় লেখা, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবে প্রতিটি আইটেমের পাশে লেখা দামটা বুঝতে পারছিলাম। ৫ লেভার কমে কোনো খাবার নেই। কী আর করা। বাঁচতে তো হবে। দেভের সাহায্য নিয়ে খাবার অর্ডার দিলাম। আমরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছি আর ভাবছি খাবারের এতো দাম হলে ৮৩ লেভায় চলবো কি করে। দেভ আমাদের দুশ্চিন্তা বুঝতে পেরেছিলো। ও জানালো – বুলগেরিয়ায় জিনিসপত্রের দাম সস্তা। ছাত্রদের ডাইনিং হলে খাবারের জন্য সরকার প্রচুর ভর্তুকি দেয়। সেখানে একবেলা খাবারের দাম ৩০ স্তোতিনকি (সেন্ট)। কাজেই মাসে দু বেলা খাওয়ার খরচ ১৮ লেভা। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বাস এবং ট্রাম ভাড়া যথাক্রমে ৬ এবং ৪ স্তোতিনকি। সেই হিসাবে ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে যাওয়া আসা করতে মাসে লাগবে ৩ লেভা। সকালের নাস্তার মাসিক খরচ ১৫ লেভা। হোস্টেলে থাকার জন্য কোনো ভাড়া দিতে হবে না। এ ভাবে, দেভ যা হিসাব দিলো তাতে সব খরচ মিটিয়ে মাসে ২০/২৫ লেভা জমা থাকার কথা। দেভ আরো বললো – জানি শীতের কাপড় কিনতে তোমাদের অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। চিন্তা করোনা, ১২ দিন পর নভেম্বর মাসের পয়লা তারিখে আবার ৮৩ লেভা স্কলারশিপ পাবে। তাছাড়া প্রয়োজনে ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে কিছু টাকা অগ্রিম নিতে পারো যা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। দেভের কথায় আমরা আশ্বস্ত হলাম। ইতিমধ্যে খাবার এসে গেছে। দেরি না করে খাবারে মনোযোগ দিলাম।

রেস্তোরাঁ থেকে যখন বের হলাম তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আমাদের গায়ে সদ্য কেনা ওভারকোট। তাই তেমন ঠাণ্ডা অনুভব করছিলাম না। বাইরে পেঁজা তুলোর মতন বরফ পড়ছে। রাস্তাঘাট বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। সে এক অসাধারণ দৃশ্য! রাস্তায় নরম বরফের উপর হাঁটার একটা নতুন অনুভূতি। দেভ জানালো, এটা এ মরশুমের প্রথম তুষারপাত। আর আমাদের জন্য ছিল তুষারপাত দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা। (চলবে)



আগের পর্ব পরের পর্ব




ড. নজরুল ইসলাম, কার্টিন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া






Share on Facebook               Home Page             Published on: 27-Apr-2023

Coming Events: