গল্প অস্ফুট কলির ঘ্রাণ দীলতাজ রহমান
সুনসান নীরবতা মৃদু তছনছ হতেই চমকে ঘাড় ফেরালেন নাহার। শ্যামলা নয়, কালো থেকে কিছুটা উজ্জ্বল, যাকে তামাটে বলা চলে। মাথার চুলও কমে কপালের প্রসারটুকু তার প্রজ্ঞাকে জাহির করতেই যেন সহায়ক হয়েছে। দীর্ঘ দেহের পঞ্চাশের কাছাকাছি এমনি একজন মানুষ দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়েছেন। কপাল জুড়ে গলগলে ঘাম। হাসফাস অবস্থা। ঠা ঠা চৈত্রের ঝিমধরা দুপুরের কয়েকটি সেকেন্ড মাত্র। তারপর অপরিচিত আসবাব, অন্যরকম গোছগাছ, আর অপরিচিত মানুষ দেখে ‘সরি’ বলে দ্রুত হাতে দরজা টেনে রেখে ফিরে গেলেন। ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া নাহার বুঝলেন, ভদ্রলোক ভুল করে ঢুকেছিলেন। লিফটের নাম্বারই হয়ত তিনি ভুল টিপেছিলেন।
দশতলা বাড়ি। প্রতিটি ফ্লোরে চারটে করে ফ্ল্যাট। হয়ত নিচে অথবা উপরে নাহারদের ফ্ল্যাট বরাবর কোনো ফ্ল্যাটের তিনি বাসিন্দা। তাই এই ভুল। কিন্তু আসল ভুল তো নাহার নিজেই করে রেখেছিলেন। দরজাটা সকাল থেকেই ভেতর থেকে লক করা ছিলো না। নাহারের এরকমটি প্রায় হয়। এমন ছিমছিম, সুনসান পরিবেশে নির্জনতা ভঙ্গ না হওয়ার অবসাদেই তিনি সারাক্ষণ ভোগেন। তাই বলে হাঁফিয়ে ওঠেন না। কোনো কিছুতেই হাঁফিয়ে ওঠা তার ধাতে নেই। একমাত্র সন্তানকে তিনি তৈরি করেছেন, বলার চেয়ে বলতে হয়, সামিউল নিজেই তৈরি হয়েছে মায়ের ধারণার চেয়ে অনেক বড় হয়ে।
নাহারের ধারণা আর কতটুকু ছিলো। সাত ভাইয়ের একটি মাত্র বোন তিনি। কোনোরকমে স্কুলের শেষ ক্লাসে উঠতে পেরেছিলেন। কিন্তু দাপট ছিলো। সদলবলে রাস্তা কাঁপিয়ে হাঁটতেন। গ্রামের উঠতি বয়সী ছেলেগুলো সব কোণঠাসা হয়ে থাকত তার সামনে পড়লে। তাকে পথে-ঘাটে প্রেম-ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়ে কারো কারো নাজেহাল হওয়ার ঘটনা মুখে মুখে ফিরতো তখন। তবু একদিন এমন নাহারের মতামতকে অগ্রাহ্য করে বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেললেন। বাবার কথার ওপর ভাইরা কেউ কথা বলতে পারে, বা স্বামীকে যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে মত ঘোরানো যায় এমনটি নাহারের মা ভাবেননি চেষ্টাও করেননি।
মহা ধুমধামের বিয়েটিতে ছ’মাস না যেতেই নাহার ভাঙনের ঘণ্টা বাজাতে লাগলেন। বউমাকে নিতে এসে স্বয়ং শ্বশুরও হাত কচলাতে কচলাতে একা ফেরার কথা ভাবেন। বাড়ির কর্তা, অর্থাৎ নাহারের বাবা প্রথম হুঙ্কার দিলেন- বেয়াদব মাইয়েরে আমি নিজে হাতে কাইটে টুকরা টুকরা কইরে মাটিতে পুঁইতে রাখপো! কুলাঙ্গার...! ভাইয়েরাও যে যার মতো বিয়েদারী বোনের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পক্ষে মন্তব্য ছোঁড়েন।
টুকরো টুকরো হতে রাজি নাহার, তবু ওই শ্বশুরবাড়ি ফেরা আর নয়। তার এই অনীহার কারণ ভাবীরা বলাবলি করে- মাঝবয়সী, অশিক্ষিত গোঁয়ার এট্টা মানুষ। আব্বা শুধু জামাইয়ের সম্পত্তিডা দ্যাখছে। কোনো শরিক নাই, বাপের কোনো কিছু ভাগাভাগি নাই কারো সাথে সেইডেই দ্যাখছে। কিন্তু বাঁইটে, কালা সারা মুখে বসন্তের খুবলানো দাগ যারে কয়...। তার ওপর বউয়ের মন বোঝার চিষ্টাটাও করে না। অন্য কারো আঁচে নিজের উত্তাপ কোনোদিন নাহার নির্ণিত হতে দেননি। তার ভালোলাগে না, তাই সে বাপের বাড়ি ছেড়ে যাবে না। যাওয়ার চেয়ে না যাওয়ার অধিকারকে বড় করে তুলতে নাহার একাই তখন অবিচল।
বাবা-ভাইয়েরা যখন তাকে চাপ সৃষ্টি করতেন- ‘এবাড়ির কোনো ঘরে তোর জায়গা হবে না!’ শুনতে শুনতে একদিন নাহার নিজেই মুখিয়ে কোনো এক কোণা ছেড়ে বাইরে, একেবারে মাঝ উঠোনে দাঁড়িয়ে বললেন- এ বাড়ির কোনো গরে জায়গা আমি চাই না! আমি আমার নিজির একটা গর চাই...। লা-জবাব সবার চমকানো, থমকানো, গজরানো ভেঙেচুরে নাহার অটল হয়েই পড়ে থাকলেন।
এরই মধ্যে অবশ্য খবরটা এসে গেছে- জামাই আবার একটা বিয়ে করেছে। এবার বাবার নিজের মাথার হাত মেয়ের গায়ে ওঠে। ঠেকাতে এসে মাও দু-চার ঘা বসিয়ে দেন। এমনতরো বিড়ম্বনাকে শঙ্কায় নিয়ে যেতে নাহার আরো তরান্বিত হয়ে উঠলেন। মা জানতে চাইলেন, তোর পেট-পাছা ভার ভার লাগে ক্যানরে? মাসিক অয় তো?
- না! চমকে ওঠেন মা। বলেন, কয়মাস মাসিক অয় না? - বিয়ের পর একবার অইছে!
আঙুল গুনে ধরা পড়লো চারমাসের বাচ্চা পেটে। আবার সবার অনুনয়, বিনয়, হাতজোড়- ফিরে যা নাহার। কত মানুষই তো সতিনের সংসার করে। বাচ্চার জন্য মেয়েমানুষ কী না করে।
কিন্তু নাহারের সেই ‘না!’
তারপর বাবা মারা যাওয়ার আগে শামসুন্নাহার বেগম ওরফে নাহারকে আলাদা করে বাবা যা দিলেন, তাতে বাবার সম্পত্তি সমান আট ভাগ হয়ে গেলো। বড়সড়ো করে টিনের একখানা ঘরও তিনি নিজের বাড়ি ঘেঁষে এমনভাবে করেছিলেন, যেন সেটা একখানা ঘরের স্বয়ংসম্পূর্ণ আরেকটা বাড়ি। কারণ তিনি টের পেতে শুরু করেছিলেন, ছেলের ঘরে জন্ম নেয়া নাতিপুতিরা মেয়ের ছেলেটিকে তাদের বাবা-মার প্ররোচনায় কথা দিয়ে নাজেহাল করতে ছাড়ে না। খেতে বসে সামিউলের পাতে তরকারি দিতে সব বউয়ের হাত কাঁপে। যেন ঝিনুক থেকে বেশি পড়ে যাচ্ছে দেখে পুরো ডিস আলগে ধরে সরিয়ে নেয়।
নিজের জীবনে কোনো আকাংখাকেই বাড়তে দেননি নাহার। অথবা আকাংখার ভাষা তার মন শেখেনি। চোখ খুঁজে পায়নি স্বপ্ন। বছরের দুখানা আটপৌরে শাড়িই তিনি এমন নিপাটভাঁজে পরেছেন, তাতেই ঢেকে গেছে অভাবের স্বরূপ। ছেলের পড়ার খরচের জন্য নিজের হাতে ফলানো হাঁস-মুরগি, সবজীর বহর দেখে অন্যদের তাক লেগে যেত। গরু পোষার মতো হুজ্জৎও তিনি সামলেছেন প্রসন্ন মুখে। এত যার শক্তি-ধৈর্য্য, সেই মানুষটি কেন স্বামীর ঘর করলো না, এই গুজুরগুজুর- ফুসুর-ফাসুর তার কান না এড়ালেও যেন ‘শোনার সময় নেই’ ভাবে তিনি নিজের কাজে মগ্ন থেকে গেছেন।
তবু একদিন সামিউল বলেছিলো- মা, আমি আমার বাবারে একটু দেখতে চাই। একদিন গিয়া দিনে দিনে ফিরে আসপো...। আমাগের গ্রামতে যারা স্কুলে আমার সাথে পড়ে, তারা আমাগে বাড়ির কত গল্প করে!’
ছেলের কথায় বড় চোখ করে নাহার ছেলের দিকে চেয়ে থেকে বেশ খানিকটা দেরি করেই উত্তরে শুধু বলেছিলেন- ‘তোগে বাড়ি না? তোর বাবা কয়দিন আইছিলো তোরে দেখতে!’
মায়ের কথা শুনে সামিউল কিছুটা ভড়কালেও, একটু সরে গিয়ে বলেছিলো- তুমিই তো যাওনাই বাবার বাড়িতে?
- সেইডা অন্য কথা। তুই কি মনে করছিস, তুই গ্যালে ধান-দুর্ব্বা দিয়া তোর বাবা তোরে বরণ কইরে নেবে? মানুষের লানত মাথা পাইতা নিতে যাবি ক্যান? তোরে নিয়া যেমন আমি একা অইছি, তেমনি আমি চেষ্টা করছি তোরে এ বাড়ির ছাওয়াল মাইয়ার মতো সমানভাবে চালাতি। তোর বাপের গরে বড় অলি এতদিন তোরে আতে লাঙ্গল তুইলা দেতো। আমার বাপে তো আমারে বিয়া দিছিলো পঞ্চাশ বিঘা জমি দেইখা। কিন্তু তাগো আচার-ব্যবহার, মুখের ভাষা শুইনা আমার দম আইটকা আসতো। আর সেগুলো আমি কোনোদিন কেউরে কইনাই। আমার বিয়ার পরেও তোর দাদা তোর দাদিরে গরু পিডানো লাডি দিয়া পিটাইয়া দিন নাই রাত নাই যহন তহন বেহুশ করতো। তোর বাপে মাঝরাতে বাড়ি ফিরা দরজা খুলতে দেরি অলিই আমার গায়ে আগুন লাগাই মারার হুমকি দিতো।
- সত্যি সত্যি তো আর আগুন দিতো না। অইটা তোমারে ভয় দেখাইতো।
- দেহিস না আশেপাশে দুইএক ঘরে... কেমনে বউরে পিডায়, আর পোলাপানগুলা চিৎকার করে... প্রতিদিন আত্মারে এইবাবে মারণের চাইয়ে আমার এই জীবনই বালো!
- তবু আমার তো নিজের মতো সব দেখতে ইচ্ছা করে।’ কথাটা বলে সামিউল আরো একটু পিছিয়ে যায়। সেই থেকে শুরু, মা শামসুন্নাহারের সাথে ছেলে সামিউল হকের দূরত্বের। নাহার ঝাঁপিয়ে এসে সে দূরত্বকে লাঘব করবেন, এমন ধাতের তিনিও নন। হোক না সে নিজের সন্তান। নাহারের ভেতরের তেজ এখনো গনগনায়। তাতে করে তার নিজের সব আবেগ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। নাহলে বাবা আবার যখন ভালো ঘর দেখে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তখন তিনি কার কথা ভেবেছিলেন? নিজের সন্তানের মাথার ওপর অন্য আরেকজনকে তিনি প্রতিপালক রূপে দেখতে চাননি বলে। স্রেফে এটুকুই। শুধু আজ কেন, নাহার কোনোদিনই কাউকেই কোনো কৈফিয়ৎ দিতে বাধ্য নন। নিজের ক্ষোভও কারো মধ্যে সংক্রমিত করতে চান না তিনি। তবু সেদিন কিছুটা রূঢ়স্বরে ছেলের কপালে নজর ঠেকিয়ে নারাচের মতো বলেছিলেন- শোন্ আমার যা বালো, তা তোরও বালো! আর এইহানে বালো না লাগলে, যা! যাইয়ে দেখ, সৎ মা’র বাড়া ভাত খাতি কেমন মজা?’
সেদিন মা’য়ের কথার প্রতিউত্তর খুঁজে না পেলেও, সামিউল কখনো অব্যাহতি দেয়নি মাকে। আর এমনি প্রতিপক্ষের মুখে নিজের আহার তুলে খাওয়াতে, তার অস্তিত্বকে নির্বিঘ্ন করতে, প্রতি পলে নিজের যে ক্ষয় তিনি নির্বিবাদে করেছেন, তাতে সবটুকুই তিনি বিসর্জনের আগুন হয়ে গেছেন। তাই আর নিজের কুণ্ডুলি ছাড়ানোর চেষ্টা করেননি।
তখনকার বারো বছরের সামিউলের যাওয়া হয়নি তার বাবার কাছে। আর সেটা মায়ের ভয়েই হোক, বা বাবার টানে ছিন্ন দোষেই হোক। কিন্তু একটা স্বার্থপরতার দুষ্ট আভাসে ক্রমেই ছেলে যেন মাকে ধোয়াচ্ছন্ন করে তুলেছে। নানার বাড়িতে মানুষ হওয়া একটা অ-সুখের খরা কোথায় যেন বিঁধিয়ে রাখে তাকে। তবু সব ভাইবোনদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে, সমান তালে বড় হয়ে যায় সে। আগে-পিছে মাতুল-বংশে কয়েকটা ছেলেমেয়ের ভালো রেজাল্টের মতো সামিউলও এগিয়ে আসে। শেষের দিকের সবগুলো পাশই তার প্রথম শ্রেণীর। ঢাকায় এসে উঠেছিল বড় মামার বাসায়। চাকরি পাওয়া পর্যন্ত কোথাও তেমন একটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি। বাকিটা নিজের যোগ্যতায় উৎরে গেছে সে।
নিজের মর্যাদাবোধের সাথে সন্তানের মঙ্গল-চিন্তাও অঙ্গাগি জড়িত থাকে। এই বিশ্বাস সামিউলের মধ্যে জন্মাতে না পারলেও কখনো বিরোধে তীব্র হয়ে ওঠেননি নাহার। তবু ছেলে মা অন্ত-প্রাণ হলো না, এ নিয়ে নাহারের একটা সূক্ষ্ম ক্ষোভ আছে। অবশ্য তা নির্লিপ্তই রয়ে গেছে। সামিউল ঢাকা শহরে বউ নিয়ে থাকবে, আর মা দূরে গ্রামে পড়ে থাকবে, ছেলে এতে গররাজি। তবু ছেলের এটুকু টানের চেয়ে, ছেলে-বউ দুজনের প্রয়োজনে নিজের হিম্মতটুকু প্রয়োগ করতেই গ্রামের সব গুটিয়ে চলে আসা। তার ওপর পিউ নটা পাঁচটার চাকুরে। শাশুড়িকে শাশুড়ি বলে মনেই হয় না বউমার। বউকেও সন্তানের চেয়ে অধিক জানেন নাহার। এতে সামিউল এখানে হয়ে ওঠে গৌণ। এ সংসারে বউটিই যেন নাহারের প্রাণের অপরিহার্য। ছেলের প্রতি সূক্ষ্ম ক্ষোভটি রাঙিয়ে তুলতে এবার যেন মোক্ষম অবলম্বন পায় নাহার। আর সামিউলেরও সুপ্ত অভিযোগগুলো চাপা পড়ে যায় এই ঘেরাটোপে।
ছুটির দিনেও ওদের দুজনকে বাড়িতে পান না নাহার। যেন প্রতিদিনই তাদের মধুচন্দ্রিমা। অফিস যাচ্ছে হেসে হেসে। ফিরছেও ক্লান্তিহীন। এ রোশনাই ভালোই লাগে নাহারের। নিজের ভাই, ভাতিজা কেউ এলে সেই ওরা দু’জন কখন ফিরবে সেই হিসাব করে আসে। তবু একাকীত্বের ধোয়া তুলে সারাদিনের দু’রুমের নিজঝুম বাসাটি ফেলে পালাতে চাইবেন, সে রকম টান বা দূরত্ব দুটোর কোনোটিই তিনি জীবনের কোনো কিছুতেই গ্রন্থিত করেননি। তাই তো সবাই অবাক এই অ-বিরোধিতায়। অথবা বিরোধের শক্তিমণ্ডিত মাধুর্যকে তিনি এতোই ব্যাপক করেছেন, যা সাধারণ চোখে কারো দেখার নয়।
সারাবাড়ি ঝাড়ামোছা, গোছগাছ করেও ক্লান্তি নেই নাহারের। পেটিকোট, ব্লাউজ, ব্রা এমনভাবে গুছিয়ে রাখা যায়, পিউ তা জানতোই না। তার নিজের মা’ও কর্তব্য হিসাবে তাকে বাধ্য করতেন সংসারের এটা ওটা করতে। কিন্তু শাশুড়ি নিজে এটুকুও করে দিতে পারলে বর্তে যান। কেক, পুডিংসহ শহুরে ডিসগুলো তিনি ছেলের বউয়ের থেকে শিখে রপ্ত করার চেষ্টা করছেন।
সেদিনও এক কুলো চাল বাছতে বাছতে ভাছিলেন তেমন একটা কিছু করার। কিন্তু নীরব বাসায় কুলোয় চালের কাঁকরের চোখ গিয়ে উঠলো অচেনা একজন পুরুষের কপালে! আপাদমস্তক তাকে দৃষ্টির আওতায় আনার আগেই আবার সে হাওয়া। কিন্তু ঘাম, সিগারেট, পারফিউম, আর পুরুষালী গন্ধের দোলাটা ঠিকই রয়ে গেলো কোথাও। সে রাতে একটুও চোখ বন্ধ করতে পারেনি নাহার। অন্ধকারের ভেতর তাকিয়ে ছিলেন। খুব একটা এপাশ ওপাশও না করে। পিউ মাঝে মাঝেই বলে- চলেন মা আপনাকে বিউটি পার্লারে নিয়ে মুখটা একটু ফ্রেশ করে আনি। চুলগুলো ছেঁটে নিলে তো কথাই নেই... আপনার চুলে স্ট্রেপকাট যা মানাবে না মা!
পরের অংশ
|