“ডেনমার্কের মিন্টু কারস্টেন ও মেলবোর্নের কামরুল চৌধুরী” প্রসঙ্গে
বন্ধু-পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে মেলবোর্ন গিয়েছি, সিডনি থেকে আমাদের চার পরিবারের এগার জন। এটা ২০১৬ এর ফেব্রুয়ারির কথা। তিন দিনের অনুষ্ঠান-ঠাসা ঝটিকা সফর ছিল ভীষণ রোমাঞ্চকর; আনন্দ উল্লাসের নির্মল অবগাহনে পূর্ণ। সেই বিয়ের আসরেই কামরুল হোসেইন চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের প্রথম মোলাকাত, নাফিসের মাধ্যমে। নাফিস আমাদের দলের তরুণ তুর্কী। ছিল কানাডায়। এখন সিডনি’র মেয়ে বিয়ে করে সিডনী-বাসী। নাফিসের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিয়ে করেছেন কামরুল হোসেইন চৌধুরীর এক কন্যাকে। সেই সূত্রে এই পরিবারের সঙ্গে তার নিগুঢ় ঘনিষ্ঠতা। সে অনুষ্ঠানেই আমরা কবুল করলাম চৌধুরী সাহেবের নিমন্ত্রণ। যেহেতু আমাদের সিডনি ফেরার ফ্লাইট বিকেলে, সিদ্ধান্ত হল আমরা ঐ দিনের পুরোটা সকাল কাটাব চৌধুরী সাহেবের বিশাল খামার বাড়ি ‘নার নার গুন’ এ। মেলবোর্নের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় সত্তুর কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত জিপ্সল্যান্ডের একটি ছোট্ট শহর এই ‘নার নার গুন’।
বলা বাহুল্য, মেলবোর্নের শহরতলীর এই অসম্ভব শান্ত সুন্দর এলাকায় একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালীর বিশাল অর্জনের ভেতর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে দৃষ্টি নন্দন খামার বাড়ি, মোরগ-মুরগি, ছাগল, মেষ, হরিণ, ইমু, ঘোড়া সহ নানা প্রজাতির প্রাণী ও পাখ-পাখালি দেখে আমরা অভিভূত হয়ে গেলাম। যেভাবে আমাদের হাতের খাবার (বড় বড় সাইজের বান রুটি) দেখে প্রাণীগুলো দৌড়ে আসছিল তা এক কথায় বর্ণনাতীত। আমাদের ছেলেমেয়েরা তো এদের নিয়েই মেতে থাকল দু-তিন ঘণ্টা। এর মধ্যে কখন যে বাড়ির ভেতরে রান্না হয়ে গেছে তা আমরা বুঝতেই পারিনি। যখন খাবারের জন্য আমাদের ডাকা হল, টেবিলে আমরা পেলাম খিচুড়ি সহ উনার ফার্মের সবজি, সালাদ, ডিম ভাজা, মাংস ও মিসেস চৌধুরীর নিজ হাতে বানানো নিজের বাগানের প্লামে’র আচার।
- রিয়াজ হক
|