bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












সুন্দর ফন্টের জন্য SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন...

সাক্ষাৎকার
নক্ষত্রের কাছে - ২
ডালিয়া নিলুফার


শনিবার বলে ভিড়ভাট্টা কম। তবে যেখানেই যাও রাস্তার ঝক্কি না থেকেই যায়না। তারপরেও সময় মত পৌঁছে গেলাম বেঙ্গল গ্যালারীর কফি শপে। শনিবার সকালটা বেছে নেবার কারণ ছিল। ঐ দিন আমার ছুটি।

ক’দিন ধরে টানা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঢুকলাম। ঢুকে দেখি ঘরের মধ্যে এক শান্ত শ্রী! বেতের চেয়ার টেবিল পেতে রাখা। পরিচ্ছন্ন। দেয়ালে গুণীজনের হাতে আঁকা গোটা কয়েক ছবি। চোখ এমনিতেই নরম হয়ে গেল। একপাশে লম্বা টানা কাচের দেয়াল। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত। কাঁচ বলেই দেখা গেল আকাশ। ভরা মেঘ। হিরে-কুচি বৃষ্টি। কে যেন সবুজ বাঁশঝাড়ের মায়ায় পড়ে গেছিল কোনদিন। তাই ঝাড় সুদ্ধ রেখে দিয়েছে একপাশে। কাটেনি। ছিপছিপে ভেজা গায়ে তারা দাড়িয়ে থাকল। বাঁশপাতাদের চোখ বেয়ে টুপটুপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। অবিরল। নীচে বিছানো কাঁচা মাটি তাই স্নেহের সাথে মুছে নিচ্ছে একটু পরপর। গাছগাছালিরা ইচ্ছেমত যে যার ধুলোবালি ধুয়ে নিল। এটা আসলে কথা বলার সময় ছিলনা। চুপচাপ দেখে যেতে পারলে বোধহয় খুব ভালো হতো। কিন্তু অবস্থাটা এইরকম যে, কথা না বললেই না। কারণ তখন আমার সামনে বসে ছিলেন এদেশের কোটি দর্শকের প্রিয় মুখ বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংরেজি সংবাদ-পাঠক, মাহমুদুর রহমান। তাকে বসিয়ে রেখে নির্বাক প্রকৃতি দেখব, এ হয়ইনা। বাংলা-সিডনীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েই তিনি এসেছেন। সেইসাথে এও জানলাম আমার লেখা তার ভালো লেগেছে। কথাটা শুনে অসম্ভব কৃতজ্ঞতা বোধ করলাম।

ভাবিনি, তবু কথা শুরুই হলো প্রকৃতি দিয়ে। “প্রকৃতি যে কত জীবন্ত হতে পারে, কাছে না গেলে বোঝা যায়না!”-বাইরে বৃষ্টি পড়া দেখতে দেখতে এইরকম একটা কথা দিয়ে নিজেই শুরু করলেন। আমি অবশ্য মনে মনে তখন একহাঁটু ধুলোর মধ্যে থেকে টেনে বের করেছি পুরনো এক স্মৃতি, যার বয়স আনুমানিক তিরিশ বছর। তখনও স্কুলে পড়ি। সেই সময় মাহমুদুর রহমানকে প্রথম দেখেছিলাম আমাদের গলির মুখে। তিনি দাড়িয়ে ছিলেন, কি একটা কাজে। দুপুর বেলা। মাথার উপর চটা রোদ। তবে দুর্দান্ত এই খ্যাতিমান, সুদর্শনের সামনে পড়ে দুপুরের অমন ক্ষ্যাপা রোদও কেমন যেন মাটি হয়ে গেল। নাটক, সিনেমা নয়ত পর্দার কাউকে দেখলে মানুষের উৎসাহ আর সাহস না বেড়েই যায়না। তাছাড়া আমি তার ভক্ত। অতএব কোত্থেকে যেন একদলা সাহস এসে গেল। দেরী করলামনা। কথা বলা শুরু করলাম। সেই সামান্য কথাবার্তার মধ্যে দিয়েই জেনেছিলাম তার কয়েকটা পছন্দ অপছন্দের কথা। বলেছিলেন গরম তার অসহ্য লাগে। ইলিশ পোলাও খুব পছন্দের খাবার। এবং পাঞ্জাবীতেই আরাম পান সবচে বেশী। এরপর অবশ্য টিভির পর্দা ছাড়া এই মানুষকে আর দেখিইনি কোনদিন। আজ সামনাসামনি তাকে আরেকবার দেখে শুধু মনে হলো, কিছু মানুষই আছে যাদের অতটুকুই পরিবর্তন হয়, যতটুকু একেবারে না হলেইনা। তবে সাধারণ মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা মনে হয় তার পুরনো অভ্যাস। কথা বলছিলেন সেই আগের মতই।

থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। জন্মেছেনও সেখানে। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলামেলা দরাজ পরিবেশ আর বিশাল সেই গাছগুলির নরম ছায়ায় বেড়ে উঠেছিল তার শৈশব। খোলা মাঠের ক্রিকেট, বৃটিশ কাউন্সিল, লাইব্রেরী, ম্যাগাজিন, এইসব নিয়ে কেটেছিল তার অবাধ কৈশোর। লেখার জন্যে একটা মন বোধহয় তার তখনই তৈরি হয়েছিল। প্রকৃতির সাথে মানুষের সখ্যতা থাকে বলেই সাহিত্য তাকে টানে। আর সেই টানে টানেই আসে লেখারা। নাহলে শব্দের কি আকার হয়? হয়না। তবু তো মানুষ টের পায়। আর উপলব্ধি দিয়ে, অক্ষর দিয়ে তার আকৃতি দেবার কথা ভাবে। একটা সরল প্রাণবন্ত শৈশব মানুষকে অনেককিছু দিতে পারে। তাকে অনেক দুর নিয়ে যেতে পারে। এই তার বিশ্বাস। ছোটবেলার অনেকটা সময় কেটেছে বিলেতেও। ঐ সময় গল্প লিখে স্কুলে তার সুনামও ছড়িয়ে গেল একটু একটু। কিন্তু পরে দেশে ফিরে কোনভাবে চর্চাটা আর হয়নি। তবে আত্মার মধ্যে বরাবরই লেখালেখির চিন্তাটা ছিল। লেখার জন্যে একটা আকুতি এখনও বোধ করেন।

কথা বলতে বলতে আমার মনে হলো, মাহমুদুর রহমানের সবকিছুতেই চাওয়ার আগে পাওয়ার মত অবস্থা। বিশেষ করে চাকরীর ক্ষেত্রে। লেখাপড়া শেষ হতেনা হতেই নিউ নেশনের চাকরী । খবর পড়া, সেও খুব অল্প বয়সে । আর কাজের জীবন শুরুই হলো সাংবাদিকতা দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর রবির দাপুটে চাকরীগুলোতে তার মেধা আর পরিশ্রমের যথার্থ ব্যাবহার সাফল্যের সাথে ঘটিয়ে দিয়েছেন একের পর এক।

তবে কেন জানি নিজের কোনকিছু নিয়েই তেমন উচ্ছ্বসিত হলেননা। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন “আমি খুব বড় সাংবাদিক না আর খুব বড় লেখকও না।” মনে হলো, নিজের সাফল্য নিয়ে বড় একটা মাথা ব্যথা নেই এই মানুষের। যেন যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে। এর বেশী কি হতে পারত। আর না হলেই বা কি হতো, এইরকম একটা অবস্থা।

বাবা, মা দুজনই শিক্ষক। শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতেন বলেই হয়ত ঐ সময় পঁচিশ টাকা বেতনে ছেলেকে পড়াতে দ্বিধা করেননি। জানতে চাইলাম, ঘরে মা, বাবা শিক্ষক। নিজে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। লেখালেখির জন্যে টানও ছিল। তারপরেও শিক্ষক, লেখক কোনটাই না হয়ে পেশাটা এত ভিন্ন দিকে গেল কেন?

: “পেশা ভিন্ন দিকে গেছে তার কারণ ঐ সময় সাংবাদিকতার ভাত ছিলনা। গেইনফুল কিছু করার জন্যে কর্পোরেট জীবনে ঢুকে যাবার এটাই সোজা সাপটা কারণ। আমার বড় বোন ডাক্তার। অতএব আমি ইঞ্জিনিয়ার হব, বাবা মা সেই স্বপ্নই দেখতেন। আমাকে দিয়ে সেটা হয়নি। ইচ্ছে ছিল ইংরেজি পড়ব। সেটাই পড়েছি। কোনকিছু নিয়ে দুঃখবোধ হয়না সেভাবে। ”

জানতে চাইলাম, এখনতো অনেক বেসরকারি চ্যানেল, কিন্তু মাহমুদুর রহমানকে বিটিভি ছাড়া অন্য কোন চ্যানেলে দেখা গেলনা কেন?

: আসলে এদেশে যে পরিমাণ চ্যানেল সেই পরিমাণ ইংরেজি সংবাদের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ইংরেজি সংবাদ দেখানো হচ্ছে মাত্র গোনা কয়েকটি চ্যানেলে। তাও পরিপূর্ণভাবে নয়। যে কারণে আমার খুব বেশী আগ্রহ তৈরি হয়নি কখনও।

কথাটার মধ্যে যুক্তি ছিল। তার কথা ধরেই জিজ্ঞাসা করলাম-

প্রশ্ন: আমরাও লক্ষ্য করেছি, এদেশের মানুষ বহুভাবে ইংরেজি গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। ঘরে বাইরে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইংরেজি তার জায়গা করে নিয়েছে। মানুষ বলতে চাচ্ছে এবং বলছেও । তারপরেও এতগুলো বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বাংলা সংবাদ যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, ইংরেজি সংবাদ বলতে গেলে সেভাবে প্রতিষ্ঠিতই হতে পারেনি। কারণটা কি?

: স্পষ্টত: দুটি কারণে। একটি বাণিজ্যিক কারণ এবং অন্যটি যথার্থ মেধার অভাব। হয়ত সেরকম দক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি, যেমনটা দরকার ছিল। সেই সাথে যারা ইংরেজি সংবাদ শুনতে চান, যেভাবে এবং যতটা নিরপেক্ষভাবে শুনতে চান সেভাবে তারা পাননি। তাদের সেই চাহিদাটা বেসরকারি চ্যানেলগুলি মেটাতে পারেনি। হয়তবা সেই অবস্থানে এখনকার চ্যানেলগুলো এখনও যেতে পারেনি। যে কারণে দর্শকও তৈরি হয়নি। অথচ বাঙ্গালী দর্শকরাতো ঠিকই খেলা দেখতে ইংরেজি ধারাভাষ্য শুনছেন। বিদেশী ছবি দেখছেন। অনুষ্ঠান দেখছেন। তাদের সেই কানটাতো তেরি হয়েছে। সেইসাথে হাসিমুখেই দুষলেন কিছু মানুষের অতি দেশপ্রেমকে। যারা মনে করেন ইংরেজি অনর্থক বেশী টেনে আনলে বাংলাভাষার মানই থাকেনা।

এদেশে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং তার নিরপেক্ষতা নিয়ে তার সন্দেহ এবং সংশয় দেখে জিজ্ঞেস করলাম-

: তবে কি মনে হয় এখনকার খবরে নিরপেক্ষতা নেই? সত্যতা নেই?

উত্তর না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করলেন “সত্য কি আসলেই কেউ চায়?”

একথা ঠিক যে, সেধে সত্যও কেউ চায়না আজকাল। আর এদেশে পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকা যে কিরকম কঠিন! তবে চ্যানেলগুলির চেষ্টা যে একেবারে কম থাকে, তা না। অনেককিছুর পরেও এদেশে সাংবাদিকদের একটা যথার্থ ভূমিকা আছে। এখনও।

: এখনকার প্রাইভেট চ্যানেলগুলিতে খবরের মান কিরকম?

: খবর হচ্ছে ভালো। কন্টেন্টও ভালো। পরিবেশনের ধরনও খারাপ না। তবে চর্চার কথা ভুলে যায় সবাই। যেটার দরকার সবচেয়ে বেশী।”

দেখা গেছে বিবিসি, আলজাজিরা বা অন্যান্য বিদেশী চ্যানেলগুলোতে যারা খবর পড়ছেন, তাদের বয়স এবং চেহারার মধ্যে বেশ একটা ম্যাচুরিটি আছে। যা দিয়ে তারা অনেক সহজেই দর্শকের আস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, যা বলছেন সত্যি বলছেন। কিন্তু আমাদের দেশে দেখি এর বিপরীতটা। এখানে যারা খবর পড়ছেন তারা যথেষ্ট কম বয়সের। এবং তাদের অনেকের চেহারার মধ্যেও আছে অপরিপক্কতা। সেই কারণে প্রশ্ন করলাম - এখনকার কমবয়সের তরুণ পাঠকরা দর্শকের মধ্যে সেই আস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে পারছেন কিনা। নাকি সংবাদ পাঠের ক্ষেত্রে বয়সটা কোন ব্যাপারই না?

: “আসলে খবরকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। কারণ ‘খবর’ এই শব্দটা বললেই বোঝা যায় এরমধ্যে ডিগনীটির একটা ব্যাপার আছে। ম্যাচুরিটির ব্যাপারতো আছেই। তবে সবার আগে নিউজ পারসন হওয়াটা জরুরী। সংবাদের মধ্যে মিশে যাওয়া চাই। আমি নিজেও অনেক কম বয়স থেকে খবর পড়া শুরু করেছি। সেই কারণে বুঝি।”

গণমাধ্যম নিয়ে কথাবার্তা শেষ হয়ে গেল । অনেক কিছু বলতে চেয়েছেন। আবার অনেক কিছু বলতে চাননি। শুধু হেসেছেন। বুঝে প্রসঙ্গ ঘোরাই।

মাহমুদুর রহমান টেলি কোম্পানি রবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট। অতএব প্রযুক্তি নিয়েই তার কাজ। প্রযুক্তির অভাবনীয় ক্ষমতা দেখে আর যন্ত্রের সেবা পেতে পেতে তার জীবন আগাগোড়াই অভ্যস্ত। তবু ভয় পান মানুষের জীবনে প্রযুক্তির বাড়াবাড়ি রকমের উপস্থিতি দেখে। এর অনর্থক অপব্যবহার দেখে। ইন্টারনেট, ফেইসবুক এসব এখন মানুষের ভয়েরও কারণ। একটা সময় প্রযুক্তি এও জানিয়ে দেবে মানুষের কখন, কোথায়, কি হচ্ছে। মানুষের জীবনে কোন আড়াল বলতেই থাকবেনা। জীবনের স্বস্তি, স্বতঃস্ফূর্ততা আস্তে আস্তে আরও কমে যাবে। যেটা সত্যি সত্যি দুর্ভাবনার কথা। তার কাছে প্রযুক্তি সেই সিঁড়ির মত যা দিয়ে মানুষ ওপরে ওঠে, আবার নেমেও যায়।

একথা সেকথার পর এসে গেল রাজনীতি। অকপট স্বীকার করলেন, এখনকার রাজনীতি তাকে হতাশ করে এবং দেশের আরাম হীন অবস্থা বুঝতে তার কষ্ট হয়না। তবে টক শো করে রাত জেগে অনর্থক কথা বলাবলির মধ্যেও তিনি কোন সারবস্তু খুঁজে পাননা। কিছু দর্শক হয়ত বক্তাদের মতের সাথে একমত হন। লাভ বলতে এইটুকুই। একশ’টা কথার চেয়ে এখন একটা ভালো কাজ করাই তার কাছে জরুরী বলে মনে হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে হাসিখুশি এই মানুষটি বন্ধুদের সাথে বসে স্রেফ আড্ডা দিতেই ভালোবাসেন। ভালোবাসেন ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে। গান শুনতেও । তবে এখনকার গানগুলির কথা আর সুর মোটের উপর তার বুঝতে কষ্টই হয়। মনেও থাকেনা। এখনকার শিল্পীদের রাতারাতি তারকা বনে যেতে দেখেও শঙ্কিত হয়ে পড়েন।

অকারণ দৌড়ঝাঁপ একেবারে পছন্দ করেননা। এখনও মনে করেন, জীবনে সুখী হওয়ার জন্যে আর যাইহোক কোন অসাধ্য সাধনের দরকার নেই। মানুষ চাইলেই খুশী থাকতে পারে। আর সেটা সামান্যতেই সম্ভব হয়। দেখলাম জীবনে বহুভাবে সাফল্যকে দেখবার পরেও নির্ভেজাল সাদামাটা জীবনে, সাধারণ ভাবেই বেঁচে থাকতে চান, কোটি দর্শকের প্রিয় মুখ মাহমুদুর রহমান।

বললেন মানুষকে ভালো রাখার জন্যে কোন কোন সময় প্রকৃতিই যথেষ্ট হয়। বলতে বলতেই ফিরে গেলেন একটা পুরনো দিনে। কাশ্মীরে বেড়াতে গেছেন। বারান্দায় দাড়িয়ে কোন এক সকালে শুনেছিলেন, সবুজ পাতার বুক ঘেঁষে বাতাসের চলে যাওয়ার শব্দ। দুরন্ত সেই স্পর্শে পাতারা সব নুয়ে পড়ে। বাতাস এসে আবার তাদের টেনে তোলে। কি জীবন্ত সেই স্পর্শ, সেই আবেদন! দেখে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন কি দিয়ে এই শব্দকে ধরে রাখা যাবে? ঐ মুহূর্তে দুজনার একজনও এর উত্তর খুঁজে পাননি। কেবল অন্তরাত্মা দিয়ে দু’জনই উপভোগ করছিলেন প্রকৃতির অসাধারণ সেই দুর্দান্ত ছেলেমানুষিকে। দেখলাম প্রকৃতির জন্যে মায়া মানুষের আজন্ম।







Share on Facebook               Home Page             Published on: 27-Aug-2014

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far