বোরহান উদ্দিন আহমদ এর দু'টি কবিতা
প্রশান্তিময় পার্থ
হেমন্তের স্নিগ্ধ দুপুরে এবার অস্ট্রেলিয়ায় তোমার মুখ প্রথমে দেখলাম হে প্রশান্তির পার্থ নগরী। প্রথম দর্শনে প্রশান্তি দিলে। প্রিয়জনের কাছে প্রত্যাবর্তন বারবার আনন্দময়। তুমি আনন্দ দিলে বিপুল আনন্দ দিলে। আত্মজার ব্যগ্র বাহুর মাঝে ফিরে এলাম তার স্বামী সংসারের স্নিগ্ধ ছায়ায় ফিরে এলাম দৌহিত্রী আনিসার তুলনাহীন ভালবাসার কাছে ফিরে এলাম। প্রায় মরুময় পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় মরূদ্যান যেন তুমি পার্থ জনবিরল তবু বাঙ্গালীর ভালবাসায় স্নিগ্ধ শ্যামল। এখানে তোমাকে শোনায় গান নিরন্তর ভারত মহাসাগরের আশ্চর্য নীল জলরাশি শুনেছি ভারত মহাসাগর এখানে কালাপানি নয়। প্রশান্তিময় পার্থ বসে আছি কখন দেখবো দু'চোখ ভরে ভারত মহাসাগরের সে বিপুল সৌন্দর্য সেই তৃষ্ণা প্রবল জেগে রয়।
পার্থের সোয়ান নদী
পার্থের সোয়ান নদী রাজহাঁসের নদী কালো রাজহাঁসের নদী পার্থের প্রাণ তুমি। কতবার তোমাকে দেখি কালো রাজহাঁস তোমার ভাসে রাজকীয় ভঙ্গীতে অবলীলায়। হে নদী, জড়িয়ে আছো তুমি পার্থকে অসীম স্নেহে শ্যামল স্নিগ্ধ পার্থ সবুজ চোখ জুড়ানো মাতৃসম তোমার জন্য। প্রথম দেখায় মন তুমি মন কেড়ে নিলে মেল্যান্ডসের ইয়ট ক্লাবের সবুজ চত্বর ঘেঁসে কী প্রশান্তিময় কী স্নিগ্ধ! কিংস পার্কের ব্যাবিলনের উদ্যান থেকে কী রূপ তোমার দেখি অপরূপ! কী প্রশান্তিময় কী স্নিগ্ধ! হে প্রবহমান স্নিগ্ধ জলরাশি কী শোভা তোমার উপদ্বীপ অন্তরীপ সম পয়েন্ট ওয়াল্টারে! কতবার তোমার বুকে দেখি শোভা পায় কত ভালবাসার সেতু পার্থের এপার ওপার ধরে রাখে অসীম ভালবাসায়। স্নিগ্ধ পার্থ চোখ জুড়ানো পার্থ স্নিগ্ধ তোমার যাদুর ছোঁয়ায়। পার্থের রাজমুকুটের শ্রেষ্ঠ রত্ন তুমি হে পার্থের প্রাণ হে মহান নদী তোমাকে অভিবাদন সকল মুগ্ধতা তোমার জন্য তোমার জন্য প্রশংসা অফুরান।
বোরহান উদ্দিন আহমদ, পার্থ থেকে
|