বোরহান উদ্দিন আহমদ এর চারটি কবিতা
বনের গন্ধ ভেসে আসে
সোয়ান নদীর ধারে মে ল্যান্ডস এর ওয়াকওয়েতে হাঁটি বনভূমি দুপাশে বনের গন্ধ ভেসে আসে।
বনের গন্ধ সে তো ঝাঁঝালো কেমন মাতাল করা কেমন নেশা ধরানো কখনো খানিক মিষ্টি কখনো নষ্ট জলের গন্ধ মাখা। বনের গন্ধ রহস্যময় প্রাচীনতার গন্ধমাখা ফুলের সুরভি সে তো নয় তবু তার রহস্যময়তা কাছে টেনে নেয়। অনেক বৃক্ষের সবুজ লতার অনেক প্রাণের কথা বলে বনের গন্ধ ভেসে আসে।
ক্ষণিক দেখা ভারত মহাসাগর
ক্ষণিকের দেখা ভারত মহাসাগরের রূপ এখনও মনে জেগে আছে কি সুন্দর হালকা সবুজ নীল মেশা জল কাছে একটু দূরে কালো জল দূরে আবার হালকা সবুজ নীল দূরে বহু দূরে চলে গেছে। কাক চক্ষুর মতো নির্মল জলরাশি ঢেউ হয়ে ভাঙ্গে আমার পায়ে। কাঠের জেটি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া আনন্দময় কিশোর কিশোরীদের ভিড় তরুণীদের ভিড় তার অগভীর বেলাভূমিতে। মহাসাগরের ঐ সবুজ নীল মুগ্ধ করে ক্ষণিক দেখা তার রূপ আজো মনে জেগে আছে।
কত আপন ছিলে
কতই না প্রিয় ছিলে ছিলে কতোই না স্নেহভাজন রক্তের বাঁধন নয় তবু কত প্রবল বাঁধন ছিল অন্তরের বাঁধন। তবু আজ বিপরীত সময়ের পরিক্রমায় আজ চলে গেছ কতদূরে। আজ বলতে পারি না স্নেহের বাঁধনে এই অন্তর কেমন কাঁদে। শেষ বার যখন দেখা হয়েছিল ভাঙ্গনের কাছাকাছি ভাঙ্গনের করুণ শব্দ শুনেছি নীরবে সারাক্ষণ তোমার শ্রদ্ধা ভালবাসা লেগেছে কেমন করুণ। জানতাম সেই দেখা শেষ দেখা হবে হয়তো তুমি জানতে সেই দেখা শেষ দেখা হবে। তবু কেউ কাউকে বলিনি সে কথা । নীরবে কেঁদেছে হৃদয় আজো যেমন কাঁদে। যেখানেই থাকো শান্তিতে থাকো আনন্দে থাকো। আমাদের ভালবাসা তোমায় ঘিরে আছে ঘিরে থাকবে চিরদিন। হে স্নেহভাজন ভালো থাকো তোমার জন্য পরান কাঁদে।
প্রকৃতি ও প্রিয়তমা
ভালবাসার নগরীতে পার্থে এসেছি ফিরে কবিতায় পার্থ আর প্রকৃতি ছেয়ে আছে পার্থের বসন্ত পার্থের ফুল ছেয়ে আছে তবু কবিতায় প্রিয়তমা তুমি আসোনি রয়ে গেছো হৃদয়ের গভীর হৃদয়ে তোমাকে করেছি স্মরণ অন্তরে অন্তরে তুমি আছ তাই বসন্ত সুন্দর ফুল সুন্দর তুমি আছ অন্তর জুড়ে তাই বসন্ত অন্তর ছুঁয়ে যায় সেদিন পূর্ণিমায় চাঁদ এসেছিলো বহু বছরের পরে সবচেয়ে কাছে জোছনা ছেয়ে ছিল প্রবল চারিধারে তুমি ছিলে আরো কাছে ছেয়ে ছিলে ছেয়ে আছ অন্তরের ভিতরে বাইরে। তোমার ভালবাসা ছিল জোছনার মতো মোহনীয়। পঙক্তিমালার গভীর অন্তরে তুমি থাকো তোমাকে ছাড়া কোন মুগ্ধতা নেই প্রিয়তমা। প্রিয়তমা তুমি আছ তাই প্রকৃতিও সুন্দর।
|