বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক নৈশভোজ
প্রেস রিলিজঃ অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি অব এনএসডব্লিউ (বিএমএস)। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও অন্যতম এটি। এর সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জনের বেশি।
বিএমএসের উদ্যোগে প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাধারণ সভা, সায়েন্টিফিক মিটিং, ঈদ পুনর্মিলনী, বার্ষিক বনভোজন ও নৈশভোজ উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সংগঠনটির জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক নৈশভোজ। সিডনি শহরের ওয়েন্টওয়ার্থভিল সাবারবের রেডগাম সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের.
সিডনিতে বসবাসকারী প্রায় সকল প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, তাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবেরা যোগ দেন এই অনুষ্ঠানে। সকলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। কর্মব্যস্ততার অবসরে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের এই মিলন-মেলা সকলকে অফুরন্ত আনন্দ এনে দিয়েছিল। সকলে মেতেছিলেন উৎসবের আমেজে।
নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সঞ্চালনা করেন ডা. আয়েশা আবেদিন এশা ও ডা. বুলবুলি নাতিয়া নাজ। নৈশভোজের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শায়েখ খান। তিনি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুই পর্বে সাজানো হয়েছিল। প্রথম পর্বে ছিল সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বক্তব্য, অনুপ্রেরণামূলক সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও সংগঠনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত ম্যাগাজিন “প্রতিধ্বনি”র মোড়ক উন্মোচন।
দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
ডা. আইরিন কবির ও ডা. কাজী শাহরিয়ার রানার হাতে অনুপ্রেরণামূলক সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ডা. শরীফউদ্দৌলাহ ও ডা. আয়াজ চৌধুরী।
ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন সংগঠনের প্রবীণ সদস্য ডা. সাদেক আহমেদ ও বক্তব্য দেন প্রকাশনা সম্পাদক ডা. ফখরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মিরজাহান মাজু। মতিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নৈতিক দায়িত্ববোধ, কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে কাজে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে এবং এখানকার মূলধারার সঙ্গে নিজেদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বহির্বিশ্বের আধুনিক, তথ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও পরস্পরের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা ও চিকিৎসা-শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।
মিরজাহান মাজু বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে অবশ্যই সহমর্মিতা থাকতে হবে। এটি শুধু পেশা নয়, জীবনের মহৎ কর্তব্যও। আমরা দেশ থেকে দূরে থাকলেও, দূরত্বে নাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সততা ও মেধা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা সুনাম অর্জন করছেন, এটি এখন আর নতুন কিছু নয়। সবাইকে এক জায়গায় এসে কাজ করতে হবে। তবেই হয়তো আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠান শেষে সামিনা চৌধুরী ও সহযোগী শিল্পীদের হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়। উপহার তুলে দেন ডা. জেসি চৌধুরী, ডা. জেসমিন শফিক, ডা. শায়লা ইসলাম, ডা. রফিকুর রহমান, মতিউর রহমান ও মিরজাহান মাজু।
সংগঠনটির কার্যকরী কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন - সহসভাপতি ডা. রশিদ আহমেদ, ডা. শফিক রহমান, ডা. সাব্বির সিদ্দিকি। যুগ্ম সম্পাদক ডা. মেহেদী ফারহান ও ডা. কাজী শাহরিয়ার রানা। কোষাধ্যক্ষ ডা. জেসমিন শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শায়লা ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. ফখরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শায়েখ খান, শিক্ষা সম্পাদক ডা. নাজমুন নাহার। কার্যকরী সদস্য ডা. জেসি চৌধুরী, ডা. আয়াজ চৌধুরী, ডা.শরীফউদ্দৌল্লাহ, ডা. আমীন মুতাসিম, ডা. আয়েশা আবেদিন, ডা. খালেদুর রহমান, ডা. রেজা আলী, ডা. জাকির পারভেজ, ডা. আইরিন কবির, ডা. রফিকুর রহমান বাবুল, ডা. শামসুল আলম বাবু, ডা. মইনুল ইসলাম, ডা. মামুন চৌধুরী, ডা. জান্নাতুন নাইম, ডা. শফিকুল বার চৌধুরী, ডা. হুসাইন আহমেদ।
|