বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস বার্ষিক সাধারণ সভা ও নতুন কমিটি
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃবিশ্বের এ প্রান্তে, সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও প্রবাসী বাংলাদেশী চিকিৎসকরা যুক্ত আছেন বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে বিপুলভাবে পরিচিত “বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস” তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১০ সালে গুটিকতক উদ্যমী চিকিৎসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে বি.এম.এস. নিউ সাউথ ওয়েলস। বর্তমানে এই সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যের সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। বাংলাদেশ থেকে নবাগত চিকিৎসকদের পেশাগত সহযোগিতা, ইন্টার্ভিউ প্র্যাকটিস, এ.এম.সি. মকটেস্ট, শিক্ষামূলক সভা, সেমিনার, সাইন্টিফিক মিটিং, কমিউনিটি স্বাস্থ্য সচেতনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াতে আর্থিক সহায়তা সহ নানামুখী জনহিতকর কাজে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত বি.এম.এস. নিউ সাউথ ওয়েলস।
গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২২, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের আনুষ্ঠানিক অভিষেক। মহামারীর এই পরিবর্তিত বিশ্বে এবারই প্রথম ভার্চুয়াল মিডিয়া জুম এর মাধ্যমে আয়োজিত হয় অনাড়ম্বর এই সভা। শুক্রবারের কর্ম ব্যস্ততা আর করোনা প্রাদুর্ভাবের মাঝেও অর্ধ শতাধিক সাধারণ ও কার্যকরী কমিটির সদস্যরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত হন এই সভায়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি ডা. রশীদ আহমেদ। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী ফারহান এর সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য পেশ করেন ডা. মিরজাহান মিয়া মাজু। কোষাধ্যক্ষ ডা. আমিন মুতাসিম চন্দন সংগঠনটির বার্ষিক আয়, ব্যয় ও তহবিল সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেনের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করেন। এরপর ডা. মেহেদী ফারহান বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন গত প্রায় আঠারো মাসের নানাবিধ কার্যক্রম। কর্মোদ্দীপ্ত সদস্যদের বাধা দিতে পারেনি করোনা মহামারি। বিগত কমিটির যে মহান উদ্যোগটি সবাইকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছে তা হলো করোনা-কালীন জনকল্যাণ-মূলক কাজ, যার ব্যাপ্তি ছিল অস্ট্রেলিয়াসহ আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত। সাধারণ সদস্যদের সহযোগিতা ও বিগত কমিটির শ্রম আর আন্তরিকতায় সম্ভব হয়েছে এই বিশাল অংকের অনুদান। অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. রশীদ আহমেদ তার বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। উপস্থিত সদস্যরাও তার কঠোর পরিশ্রম ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন, যার নেতৃত্ব দেন ডা. রবিউল করিম; বাকি দুই সদস্যরা ছিলেন ডা. নূরুল ইসলাম ও ডা. তোজাম্মেল হোসেন। ডা. রবিউল ইসলাম নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য ও নতুন কার্যকরী কমিটি পরিষদের নাম ঘোষণা করেন, যার নেতৃত্ব দিবেন ডা. মো. মিরজাহান মিয়া (সভাপতি) ও ডা. সায়েক খান (সাধারণ সম্পাদক)। ডা. মাজু তার স্বাগত বক্তব্যে বিদায়ী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান আর তাদের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সকল সদস্যের অংশগ্রহণে ও পরামর্শে ভবিষ্যতে নানামুখী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
নব নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির (২০২২-২৩) সদস্যরা হলেন:
সভাপতি : ডা. মো. মিরজাহান মিয়া মIজু
সহ-সভাপতি : ডা. হালিম চৌধুরী ডা. জাকির পারভেজ ডা. মেহেদী ফারহান
সাধারণ সম্পাদক : ডা. সায়েক খান
সহ-সাধারণ সম্পাদক : ডা. ইকবাল হোসেন ডা . ফয়জুর রেজা ইমন
কোষাধ্যক্ষ : ডা. আমিন মুতাসিম চন্দন
সাংগঠনিক সম্পাদক : ডা. জসিম উদ্দীন
সমাজ কল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : ডা. রিটন দাস
প্রকাশনা সম্পাদক : ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক : ডা. ইশরাত জাহান
কার্যকরী সদস্য: ০১. ডা. রশীদ আহমেদ ০২. ডা. শায়লা ইসলাম ০৩. ডা. ফখরুল ইসলাম ০৪. ডা. আয়েশা আবেদীন এষা ০৫. ডা. গোলাম খুরশীদ তাপস ০৬. ডা. সাজেদুল ইসলাম ০৭. ডা. শাফিন রশীদ ০৮. ডা. হাবীব হাসান শিল্পী ০৯. ডা. শেখ হায়দার তপু ১০. ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১. ডা. শেখ বদরুদ্দোজা শিপলু ১২. ডা. মুজাহিদ হাসান শোভন ১৩. ডা. নাইম সারওয়ার ১৪. ডা. ফারহানা রিমি ১৫. ডা. ফারাহ নাজ ১৬. ডা. আসিফ আলম সাজ্জাদ ১৭. ডা. সত্যজিত্ত দত্ত
- ডা. ওয়াহিদা পারভীন জলি (২১/২/২০২২)
|