পরিবেশ সংবাদ পরিবেশনায়: বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) পরিবেশ সংবাদ, বর্ষ ১১, সংখ্যা ৪২-৪৩, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫
তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করবে চীনঃ
ব্রম্মপুত্র-যমুনা নদের উপরের অংশ কে চীন ইয়ারলাং-সাংপো নামে অভিহিত করে থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই শুনা যাচ্ছিল যে তিব্বতে অবস্থিত ইয়ারলাং-সাংপো নদে চীন জলবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই ভারত সরকার এই খবরে উদ্ধিগ্ন বোধ করে, কারন ব্রহ্মপুত্রের উপর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে বেশ কয়েকটি বাঁধ এবং জলবিদ্যুত কেন্দ্র রয়েছে। তিব্বতে বাঁধ তৈরী হলে ভাটিতে অবস্থিত ভারতের বাঁধ সমুহ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাই ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চীনের সাথে প্রস্তাবিত বাঁধের ব্যাপারে প্রতিবাদ করে এবং দেন-দরবার শুরু করে। এইসব প্রতিবাদে ভারত বাংলাদেশকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহবানও জানায়। একেই বলে কপটতা, কারণ ভারতে নির্মিত এবং প্রস্তাবিত শত শত বাঁধের ফলে ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পরিবেশের অপূরণিয় ক্ষতি এরি মধ্যে সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগন এবং সরকারের পক্ষ থেকেও অনেকবার অনেক প্রতিবাদ ভারতের কাছে পেশ করা হয়েছে। এসবেরই ফলাফল যে প্রায় শুন্য এ কথা বাংলাদেশের সব মানুষেরই জানা, কিন্তু এখন চীন বাঁধ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভারতের টনক নড়েছে, অথচ এ কথাটা বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা আমলে নেয়নি। উজানে নির্মিত বাঁধের ফলে ভাটিতে অবস্থিত ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েরই ক্ষতি হবে এবং আমরা চীনের এই বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করি, কিন্তু একই সঙ্গে ভারতের সরকারের কাছেও আমরা আবেদন জানাই যেন ফারাক্কা সহ উজানের সব বাঁধ তুলে ফেলা হয় এবং নদি সমূহকে তাদের প্রাকৃতিক নিয়মে চলতে দেওয়া হোক। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
জামালপুর পৌর কতৃপক্ষ ব্রহ্মপুত্র নদকে আবর্জনার ভাগারে পরিণত করেছে
সরকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হচ্ছে আইন মেনে চলা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তারা নিজেরাই যদি প্রচলিত আইনকে অবজ্ঞা করে এবং ভংগ করে তাহলে আইনের শাসন কখনোই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবেনা। জামাল্পুর পৌর কর্তৃপক্ষ এমন কাজটি করে যাচ্ছে, অর্থাৎ পরিবেশ সংরক্ষন আইনের তোয়াক্কা না করে ময়লা আবর্জনা সরাসরি ব্রম্মপুত্র নদে ফেলে সেই নদের পানি এবং জীব বৈচিত্রকেই ধ্বংসের মুখে টেলে দিচ্ছে। এটা কোনভাবেই চলতে দেওয়া যায়না। পরিবেশবাদি সংগঠন সমূহের উচিৎ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা এবং পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করাও জরুরী, এবং প্রয়োজনে পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের শরণাপন্ন হওয়াও জরুরী। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
দখলদারদের পক্ষ নিচ্ছে নদী রক্ষা কমিশনঃ
রক্ষকরাই যখন ভক্ষক হয়ে উঠে তখন আশার আলো নিভে যায়। বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এ কথাটি প্রতিদিনের জন্যই সত্যি। নদী সমূহের নাব্যতা, সরকারী মালিকানা রক্ষা, পানির গুঙত মান রক্ষা করাই হচ্ছে নদী রক্ষা কমিশনের কাজ, কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে উল্টো। বেন-বাপার অবস্থান সব সমই হচ্ছে প্রকৃতি-পরিবেশ-মানুষের পক্ষে। বেন-বাপা মনে করে যে, প্রকৃতিকে দিনের পর দিন বিনষ্ট করে এমনিতেই আমরা প্রকৃতির রোষাণলে রয়েছি। প্রকৃতিকে যদি এভাবে ধ্বংস করা হয় তবে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশবাসীকে পড়তে হবে। তাই প্রকৃতি-পরিবেশ, নদ-নদীসমূহকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
রক্ষকরাই যখন ভক্ষকঃ
উপরের সংবাদ গুলি থেকে স্পস্ট যে জামাল্পুর হোক, কিংবা হবিগঞ্জ হোক, কর্তৃপক্ষই বাংলাদেশে দখলদার এবং পরিবেশ ধ্বংসে লিপ্ত। এমনই আরো একটি খবর পড়ুন রাজশাহীতে শাসক দলের নেতারাই কিভাবে পরিবেশ সংরক্ষন আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করে ফেলছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
বড়াল এবং চলন বিল নিয়ে আর কথা নয়, কাজ দেখতে চাইঃ
বেন-বাপার অনেক দাবী এবং আন্দোলনের মধ্যে বড়াল এবং চলন বিল রক্ষা আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘ। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও নানা ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস অনেকবার এসেছে, কিন্তু কাজের কাজ এ পর্যন্ত তেমন কিছুওই হয়নি। আবারো সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন বড়াল সহ দেশের সব নদী মুক্ত করে ড্রেজিং করা হবে। কথাটির মধ্যেই আসন চিত্রটি লুকিয়ে আছে “দেশের সব নদীই আসলে দখলদারদের আওতায় এবং এইগুলিকে মুক্ত করা দরকার।“ অনেক কথাতো হলো, এবার কাজের মাধ্যমেই নাহয় এ সরকার প্রমান করুক যে দুই দুইবার “চ্যাম্পিয়ন অফ দা আর্থের” সন্মাননা পাওয়া এই বাংলাদেশে শুধু জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশলপত্র তৈরীর পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা করাও জরুরী। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
|