পরিবেশ সংবাদ পরিবেশনায়: বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) পরিবেশ সংবাদ, বর্ষ ১১, সংখ্যা ২৯-৩০ (২৬ জুলাই, ২০১৫)
হিমালয় অঞ্চলের বাঁধ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা:
হিমালয় পর্বতমালার ভূমিকম্পন-প্রবণ অঞ্চলে ভারত এবং চীন এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বড় আকারের বাঁধ নির্মাণ করেছে। এই সব বাঁধ বড় মাপের ভূমিকম্পনে ভেঙ্গে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে ভূ-বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বড় বাঁধেই ফাটল দেখা দিয়েছে, যেগুলি কিনা পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ধ্বসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। থেরাই বাঁধটির ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, কিন্তু এই মাত্রার অধিক আকারের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা ভূবিজ্ঞানীরা উড়িয়ে দিচ্ছেনা। এই বাঁধটি যদি ধ্বসে পড়ে তাহলে নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি জনপদের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাহলে সহজেই অনুমেয় ৬০০ এর অধিক বাঁধের বেশ কয়েকটি যদি বড় মাপের কোন ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়ে তাহলে কি পরিমাণ জীবন এবং সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে। ভূবিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন যে হিমালয় অঞ্চলে অদূর ভবিষ্যতে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে আন্তঃ নদী সংযোগের অংশ হিসাবে হিমালয় অঞ্চলে আরো অনেক বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ভারত হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
ভারতীয় আন্তঃ নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আরো এক ধাপ:
ভারতের প্রস্তাবিত আন্তঃ নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বেন-বাপা বিভিন্ন সময়ে অনেক সেমিনার, সম্মেলন, প্রেস কনফারেন্স, মানব বন্ধন, লেখালেখি করেছে, তাই এই ব্যাপারে বিষদ কিছু না বলেও সর্বশেষ অবস্থার কথা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুণ
পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বসে বিপর্যস্ত বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল:
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অধিক বৃষ্টির ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা এবং জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাতের ধরণ এবং মাত্রা যে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে একথাটি আজকাল সাধারণ মানুষও উপলব্ধি করতে পারছে এবং এইসবের জন্য যে জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী সে কথাটিও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ভূমিধ্বসেরও। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পাহাড় কাটার ফলে ভূমিধ্বস ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত গতিতে সমুদ্র-পৃষ্ঠ উঠে আসার পূর্ভাবাসঃ
জলবায়ু পরিবর্তন এবং সম্ভাব্য সমুদ্র-পৃষ্ঠ উঠে আসার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিপর্যয় বাংলাদেশের জন্য যে একটা অশনি সংকেত নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে একথা আজ কারো অজানা নয়। এমনকি এটাও বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ জানে যে এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র-পৃষ্ঠ যদি ১ মিটার উপরে উঠে আসে তাহলে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তু-চ্যুত হবে এবং ১৭% ভূমি বাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে আশংকা করছে যে অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্র-পৃষ্ঠ ৩ মিটার উপরে উঠে আসতে পারে। যদি এই আশংকা বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১০৬!
কিছুদিন আগেও পরিবেশ এবং বন মন্ত্রী বলেছিলেন যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে ৪০০ অধিক বাঘ রয়েছে, কিন্তু বাঘ গণনা জরীপের তথ্য মতে গত কয়েক বছরে বাঘের সংখ্যা অর্ধেকের বেশী কমে গিয়ে তা এখন মাত্র ১০৬ এ দাঁড়িয়েছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুণ
|