ক্যানবেরায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মহান বিজয় দিবস উদযাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ করোনা ভাইরাস জনিত মহামারির জন্য যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আজ ক্যানবেরায় যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় ক্যানবেরা কলেজের পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসকল বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যক্ষ ভূমিকা ও অন্যান্য যারা পরোক্ষ অবদান রেখেছেন তাদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সকলকে ‘স্বাধীনতার চেতনায়’ ঐক্যবদ্ধ করেছেন তা ধরে রেখে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ সম্ভব হবে বলে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে অভিমত ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে স্বাধীনতার চেতনায় প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণীর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা চার জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু উইলিয়াম এ এস অডারল্যান্ড, বীর প্রতীক, এন্থোনি লরেন্স ক্লিফটন, ডঃ জিওফ্রেই ডেভিস এবং প্রফেসর হারবার্ট ফেইথ এর অবদান তুলে ধরা হয় এবং তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপজীব্য করে নাট্যকার জন মার্টিনের নাটিকা “এ বার্ড ইন দ্যা কেজ” মঞ্চস্থ করা হয়। এরপর ক্যানবেরাস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন কাব্যকথন কর্তৃক কবিতা আবৃত্তি এবং ধ্রুপদ কর্তৃক স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত গান পরিবেশন করা হয়।
হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের শুরুতে সকাল ৭.০০ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা করা হয়। এই পর্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এ সময় আলোচনা পর্বে ক্যানবেরাস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যর তুলে ধরেন। বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের অব্যাহত প্রগতি সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সকালের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার
|